![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন অনেক ছোট। আমাদের বাসার পাশে এক রুমের একটি ঘরে সাবলেট এল এক লোক। শুনলাম তিনি নাকি পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখি করে। পরদিন বাবা বলল ইনিতোমাদের নতুন স্যার, রোজ সন্ধ্যার পর তোমাদের পড়াতে আসবেন।
পরদিন পড়াতে এসে তিনি আমার মাকে তার জন্য একজন বুয়াঠিক করে দেয়ার অনুরোধ করল। আমাদের বাসায় এক বুয়া কাজ করত যার প্রচন্ড পান খাওয়ার নেশা। তাকেই মা তার জন্য ঠিক করে দিল।
স্যার সারাদিন ঘরে থাকতেন না তাই ওই বুয়ার কাছে ঘরের চাবি দিয়ে যেত। স্যার ছিল অতিভোলা প্রকৃতির। আমি কিছুদিন পর স্যারকে বললাম, স্যার, আপনি যে বুয়াকে চাবি দিয়ে যান, সে যদি সব চুরি করে পালায়? তিনি বললেন, আমার আছেই কি যে নেবে? থাকার মধ্যে তো ওই বিছানা বালিশ আর ঘর ভর্তি বইপত্র, ম্যাগাজিন, পেপার। অতএব তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। আর এতকিছু ভাবলে লেখায় মন দেয়া যায় না।
যা হোক, বুয়া দু’দিন পর পর মায়ের কাছে পান খাওয়ার জন্য টাকা চাইতো আর মায়ের ঝাড়ি খেত। আমি প্রায়ই লক্ষ্য করতাম, বুয়া স্যারের ঘর থেকে কাগজপত্র আঁচেলের নিচে নিয়ে যায়। সেদিন আর মায়ের কাছে টাকা চায় না। আমি একদিন স্কুল থেকে ফেরার সময় দেখি বুয়া কাগজওয়ালার কাছে অনেক ম্যাগাজিন বিক্রি করছে। আমি ভাবলাম স্যারই হয়তো বলেছে, তাই এ নিয়ে আরমাথা ঘামাইনি।
ক’দিনপর দেখি স্যার ঘর তন্ন তন্ন করে কিসব খুঁজছে। আমি জিজ্ঞেস করতেই বলেন যেসব ম্যাগাজিন তার লেখা ছিল তার একটাও পাওয়া যাচ্ছে না। আরও বলেন, এগুলো আমার যক্ষের ধন। আমি ভাবতেও পারছি না কোথায় উধাও হলো এগুলো। তখন আমার আর বুঝতে কিছু বাকি থাকে না। মনে মনে বলি, আমার কথার দাম দেননি তো এখন বোঝেন ।
যক্ষের ধন বেচে বুয়া মনের সুখে পান খাচ্ছে!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাকে কিছু বলি না, মনে মনে বলি, আমার কথার দাম দেননি তো এবার বোঝেন।
যক্ষের ধন বেচে বুয়া মনের সুখে পান খাচ্ছে!
আপনে মানুষ ভালা নাহঃ
(সব ছোটলোকরে বিঃশ্বাস করাটা বোকামি)
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ছোট কালে দুষ্টু ছিলাম, এখন ভাল হয়ে গেছি তো!
আসলেই সবাইকে বিস্বাস করা বোকামি, উনার কথা ভাবলে আমার এখনো মায়া লাগে
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিশ্বাসের অসাধারণ প্রতিফল!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম
তবে বুয়ার দিক থেকে দেখলে সেতো আর এত কিছু বোঝে না
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭
অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: যক্ষের ধন ১০ টাকা কেজি ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হাহাহাহহা
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আহহা খুবই করুণ ঘটনা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: যার কাছে যা দামি আরকি
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আহারে , এজন্যই বুঝেশুনে বিশ্বাস করতে হয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এদিকে বুয়া হয়তো ভাবছে, কয়টা কাগজইতো নিছি, টাকা পয়সাতো আর নেই নাই!
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বুয়া কি অার এই জিনিসের ফজিলত বুঝবে? অাহা! বেচারা লেখক!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বেচারা
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: একটা লেখকের জন্য খুব কষ্টের কাহিনী। ধন্যবাদ বোন তাবাসসুম। চমৎকার ঘটনা উল্ল্যেখ করেছেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার।
শুভকামনা নিরন্তর।
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি হলে অবশ্য ভাবতাম, যাক ! লেখাগুলো একটা কিছুর জন্য কাজেতো দিয়েছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হায় হায় বলে কি!!!!!
আপনার মধ্যে পজিটিভিটি ওভার লোডেড
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
সুমন কর বলেছেন: যক্ষের ধন বেচে বুয়া মনের সুখে পান খাচ্ছে! -- হাহাহাহা
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন:
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
নেক্সাস বলেছেন: লিখাটা অনেক কষ্টের একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। লিখা হারিয়ে যাওয়া যে কি কষ্টের তা ভুক্তভোগী মাত্রই বোঝে। আপনি একটু বুদ্ধি খাটালে স্যারের প্রিয় সন্তাংুলোকে বাঁচিয়ে ফেলতে পারতেন হারিয়ে যাওয়া থেকে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাইয়্যা ঘটনাটা আমারো স্পষ্ট মনে নাই এত্ত ছোট ছিলাম, কাল আপুর মুখে শুনলাম। গুছায় লিখার জন্য এভাবে লিখছি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়্যা
১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০
সাহসী সন্তান বলেছেন: গিয়ানী বুয়ার জন্য পোস্টে পিলাচ! বুয়ারে আলাদা ভাবে পান খাওয়া টাকা না দিলে তো সে এমনই করবে? এখন থেকে বাসায় কাজের বুয়া রাখলে আগে তার সার্টিফিকেট যাচাই করে তারপর চাকুরি দেবেন........!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হাহাহাহা, আপনার মন্তব্যেটা মাকে দেখালাম, সে ও হাসতেছে
১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এটাইতো স্বাভাবিক! একেক জনের কাছে একেক জিনিসের গুরুত্ব একেক রকম৷ বুয়ার কাছে কাগজ ভূয়া, পান অতি মূল্যবান৷ আবার লেখকের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা৷
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম, ঠিক তাই।
ভাল থাকুন, ভাল লিখুন, শুভকামনা নিরন্তর
১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: না না ঠিক আছে । ভাল বেশ ভাল
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯
ধমনী বলেছেন: কারো দরকার 'বই'
আর কারো দরকার 'খই"
কী আর করা! বই বেচে খই!!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বাহ্! সুন্দর ছড়াতো
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় লেখক
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বুয়ার কীর্তি!
পারফেক্ট ইউটিলাইজেশন অব দ্যা ম্যাগাজিন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন:
১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৪
ফারান বলেছেন: হা হা হা.... মানুষের ধর্ম সংগ্রহের দিকেই ছুটে বেশি,রক্ষনাবেক্ষনে কম যার দায়ভার নারীদের উপরই বেশি... তাইতো ....
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: তা কেন হবে? প্রিয় জিনিসের প্রতি নারী- পুরুষ সবারই সমান যত্নশীল হওয়া উচিৎ
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবা,, শুভকামনা
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মনে মনে বলি, আমার কথার দাম দেননি তো এখন বোঝেন। যক্ষের ধন বেচে বুয়া মনের সুখে পান খাচ্ছে!
এই মুহুর্তে এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কী-বা হতে পারে বলেন আপুনি!এরকম কাছাকাছি সমস্যার মুখোমুখি আমিও প্রায় হয়ে যাচ্ছিলাম।বুয়াকে অনেকগুলো জমা হয়ে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় খাতা বিক্রি করতে দিলাম।উনি রুমের বইয়ের দিকেও নজর দেয়।বলে কি ঐ বইগুলোতো পুরাতন হয়ে গেছে।এরপর উনারে অনেকক্ষণ বলে কয়ে বুঝালাম এগুলো কেমন বই...এর গুরুত্ব টাকার অংকে দাম কত,এরপর উনি নিজেই গুছিয়ে সংরক্ষণ করেন।আমি বেঁচে আছি
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ভাইয়্যা ঘটনাটা আমারো স্পষ্ট মনে নাই এত্ত ছোট ছিলাম, কাল আপুর মুখে শুনলাম। গুছায় লিখার জন্য এভাবে লিখছি।
বুয়ার কথা নাহয় বাদই দিলাম, পাশের বাসার মহিলা সেদিন আমার মা কে বলে, ভাবী রোজ পত্রিকা রেখে লাভ কি, খবর তো টিভিতেই দেখা যায়!
আমাদের দেশের কয়টা মানুষে মূল্য বোঝে বইয়ের?
১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৬
এমডি এআর মুবিন বলেছেন: বেচারী বুয়া! পান খাওয়ার দুটো পয়সা জোটায় "জ্ঞান" বেঁচে!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: লেখক বেচারা
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়্যা
২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: স্যার যক্ষের ধনগুলো একটু আগলে রাখলেই পারতেন, শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম আপু
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: যক্ষের ধনতো আর আমার ছিলো না, আর আমি তো তখন পিচ্চি
পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৯
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হায় কপাল !! যক্ষের ধন আরও একটু আগলে রাখা উচিৎ ছিল ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম, বুয়ার আর দোষ কি দোষ তো লেখকেরই
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বোয়ার কাছে পান খাওয়াটা ছিল জরুরী, গরীম মানুষ মনে করছে অগুছালো কাগজ পত্র রেখে লাভ কি! তার চেয়ে বেচে পান খাওয়াই উত্তম।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম, সেটাই
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ
২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
আবু শাকিল বলেছেন: স্যারে বোঝছে- তার কি গেল
এই কষ্ট টা কাওকে বোঝানো যাবে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম
২৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুম, বুয়ার আর দোষ কি দোষ তো লেখকেরই
আসল কথাটা কেউ কইল না !!!
আসল দুষ আপনের আম্মার
পান খাঔয়ার পয়সা নিয়মিত দিলেইতো বেচারা লেখকের আর বেচারা হতে হয় না!!!!
++++++++++++++++
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হাহাহাহা.....
দাড়ান আম্মার কাছে বিচার দিচ্ছি আপনার নামে :p
২৫| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাহাহাহা.....
দাড়ান আম্মার কাছে বিচার দিচ্ছি আপনার নামে :p
আবার বিচার আচার কেন ভায়া!!
ইফতারীর আগে দৌড়ে পালাব কুথায়????
ইফতারীর পড়ে দিয়েন
২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বিচার দিতে গিয়েছিলাম, নালিশ শুনে আম্মা হাসতে হাসতে শেষ। কি আর করা
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো