নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের সাথে আগামীর পথে

অতীত এবং বর্তমানকে সাথে নিয়ে আগামীর সপ্ন দেখি । সময়ের সাথে আগামীর পথে -সদা নির্ভীক..

ডিজিটাল সময়

ডিজিটাল সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪০০ বছর পরেও হামজা (রাঃ) এর লাশ অক্ষত অবস্থায়!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১০

হযরত হামজা (রাঃ) ছিলেন একজন বীরযোদ্ধা। রাসুল (সাঃ) এর সম্পর্কে চাচা। সত্যের সাথে মিথ্যার যুদ্ধ উহুদের ময়দানে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে সুযোগ পেয়ে তারা মুসলমান শহীদদের লাশকে ছিন্ন ভিন্ন করতে লাগল। তার নাক,কান কাটা হল। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা নিজে হামজাহ (রাঃ) এর পেট চিরে ফেললেন। (আবু সুফিয়ান ও হিন্দা উভয়েই পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) তার কলিজা বের করে চিবাতে লাগলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিলতে না পেরে তা ফেলে দিলেন। তাকে দাফন করা হয় উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে।



বেশ কয়েক বছর আগে (সাল তারিখ আমার জানা নেই) বন্যার পানিতে তার কবর খুলে গিয়েছিল। সেখানে সউদী সরকার তাদের লাশকে দাফন করার জন্য বড় বড় কিছু আলেমকে দাওয়াত করেছিলেন দাফন অনুষ্ঠানে। উক্ত আলেমদের মধ্যে একজন দাওয়াত পেয়েছিলেন তার নাম "মাহমুদ আস সাওয়াফ"। তিনি এগুলো অন্যদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন যে,



আমরা যাদেরকে দাফন করেছি তাদের মধ্যে ছিল হযরত হামজাহ (রাঃ)এর লাশ। তার শরীর ছিল ক্ষত-বিক্ষত; নাক ও কান ছিল কর্তিত। পেট ছিল চেরা। তার একটি হাত ছিল পেটের উপর।



তিনি বলেন: আমরা যখন তার হাত নাড়াচাড়া করলাম দেখলাম যে, ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় তার থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল। এ ঘটনাটি অত্যধিক প্রসিদ্ধ একটা ঘটনা।



এ ঘটনা আল্লাহ তায়ালার সেই বাণীর সত্যায়ন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ

অর্থাৎ, আল্লাহর রাস্তায় যারা শহীদ হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলিওনা; বরং, তারা জীবিত। অথচ, তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না। (সুরা আল বাকারা: ১৫৪)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৭

এম চৌধুরী বলেছেন: ভালো লাগল। রেফারেন্স লিংক দিলে বেশি ভাল হতো।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

ইভা লুসি সেন বলেছেন: SubahanaALLAH

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

বাল্যবন্ধু বলেছেন: ইসলামের পথে যারা মৃত্যু বরন করে তাদেরকেই প্রকৃত শহীদ বলা হয়।
আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুন এবং সকল শহীদদেরকেও বেহেস্ত নসিব করুন।
আমিন।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

কলমবাঁশ বলেছেন: আল্লাহু আকবর

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

দূর প্রবাসী বলেছেন: তারা সেই বিদ্যায় বিদ্যান ছিলেন যে বিদ্যা রাসূল (স) তাদেরকে শিখিয়ে গেছেন। সেই বিদ্যা হলো এলমে তাসাউফ বা এলমুল কালব।একজন মানুষ যখন মারেফাতের সকল স্তর পার করে ফানাফিল্লাহ স্তরে উত্তীর্ণ হন তখন তার দেহ কেয়ামত পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় থাকে।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২০

ম.শরীফ বলেছেন: সুবহানাল্লাহ্ । তবে আল্রাহর রাস্তায় শহীদ হওয়ার আগে আমাদের আল্লাহ-ওয়ালা হতে হবে। আল্লাহ ওয়ালা না হয়ে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হতে চাওয়া বিশৃঙ্গলা সৃষ্টিকারির সামিল।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২২

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: আল্লাহর কুদরত। সোবহানাল্লা।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

পয়গম্বর বলেছেন: ভাল লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

ফারুকুল ইসলাম রানা বলেছেন: আল্লাহ সর্বশক্তিমান

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

নীল বেদনা বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ!!!

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: আপনার এই কথা কতটুকু সত্য তা জানি না।

তবে আমি যেটা জানি তা হলো সেটা ওহুদের যুদ্ধের ৪০ বছর পরের ঘটনা। আপনি সেটাকে ১৪০০ বছর পরে বর্তমানের কথা বলছেন।

আর রক্ত প্রবাহিত হওয়াটা কি সঠিক কিনা তা জানি না। তবে লাশ সরানোর সময়ে তার হাত সরিয়ে দিলে তিনি আবার হাত তার ক্ষত স্থানে সরিয়ে নেন।

এখানে আরো একটি কথা আছে, হিন্দ বিনতে উতবা যিনি তার কলিজা চিবিয়েছিলেন, এই ঘটনা নবীজির (স) এর কানে আসলে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন সংবাদাতা কে, ঐ নারী তার কলিজা খেয়ে ফেলেছিলেন কিনা? সংবাদাতা জানিয়েছিলেন, না হিন্দ তা খাননি।
নবীজি বলেছিলেন-সেটা খেলে দোযখের আগুন হিন্দ কে পুরাতো না। কারন শহীদের মাংস পিন্ডকে দোযখের আহুন স্পর্শ করে না।

পরে হিন্দ বিনতে উতবা ইসলামের ইতিহাসে এক মহিয়সী নারীতে পরিনত হয়েছিলেন।

আল্লাহ শহীদ কে জীবিত রাখেন এটা সত্য কথা, কারন কোরান মিথ্যা বলে না। কিন্তু খেয়াল করে !!!------সেটা আমরা বুঝতে পারবো না। কিন্তু শহীদের মৃত দেহকে অবিকৃত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিনা সেটা আমি শুনিনি।

তবে পয়গম্বর এবং নবী-রাসুলদের দেহকে অবিকৃত রাখবেন বলে শুনেছি। তবে আল্লাহ কিছু নমুনা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দৃস্টান্ত দেখানোর জন্যেও কিছু মৃত দেহ অবিকৃত রেখে দিয়েছেন, যেমন ফেরাউনের মৃতদেহ।

আপনার উপরে বর্নিত ঘটনাটি কবে ঘটেছে সেটার সুত্র জানতে পারলে ভালো হতো।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪২

নেটপোকা বলেছেন: @মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন: আপনার মন্তব্যটি ভাল লাগল। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছেঃ "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা।" অথচ আমরা মুসলমানরাই ধর্ম নিয়ে, ধর্মের নামে সবচেয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করে থাকি। সামুতে আজকেরই এরকম একটা পোস্ট দেখুন এখানে

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭

মাসুদ রানা হৃদয় বলেছেন: ভালো লাগল।

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

অকপট পোলা বলেছেন: আমাগো দেশে যে অহরহ শহীদ!! হইতাসে ঐগুলার কি অবস্হা তা মাঝে মাঝে চেক করা দরকার। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

মোজাম্মেল মাহমুদ বলেছেন: আল্লাহু আকবার । । ।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০৭

মো: ইমতিয়াজ আল্‌-হারুন বলেছেন: সুবহানাল্লাহ্

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: অকপট পোলা বলেছেন: আমাগো দেশে যে অহরহ শহীদ!! হইতাসে ঐগুলার কি অবস্হা তা মাঝে মাঝে চেক করা দরকার। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


ওরা যে শহীদ তো বুঝলেন কিভাবে ? অকপট সাহেব !

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৮

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: এম চৌধুরী বলেছেন: ভালো লাগল। রেফারেন্স লিংক দিলে বেশি ভাল হতো।

সহমত

১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৬

পারাবত বলেছেন: রেফারেনস ছাড়া পোষ্টে

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৩৬

অকপট পোলা বলেছেন: @রিফাত হোসেন
ওরা যে শহীদ তো বুঝলেন কিভাবে ? অকপট সাহেব !

রিফাত সাহেব, ঐটাই তো চেক করতে চাই। ;) সীতার অগ্নিপরীক্ষার মতো টেষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.