![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
From dust we have come, dust we will be..
আমাদের স্কুলের পিছনেই মসজিদ।চোর-পুলিশ খেলা চলছিল টিফিন পিরিয়ডে।কয়েকজন গিয়ে মসজিদে ঢুকে লুকিয়ে গেলাম।আমার সামনেই একটু পর একজন লোক চলে এলেন,আবছা অন্ধকারে লোকটি আমার দিকে চোখ কুঁচকে তাকালেন,তারপরই ধমক:অ্যাই মেয়ে,এখানে কি করো?এখানে ঢুকেছো কেন?জানোনা মেয়েদের মসজিদে ঢোকা বারণ?
এখন হলে আমি নিশ্চয় ভয় পেতাম এরকম আক্রমণে,কুন্ঠিত হতাম কি বলবো ভেবে।কিন্তু যখনকার কথা বলছি তখন আর আজকের আমিতে অনেক তফাত..বলছি আমার ৭-৮ বছর বয়সের ঘটনা।সুতরাং আমি উনার প্রশ্নে একটুও না ঘাবড়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম,কেন?আমার বন্ধুরাও তো আসছে,ওই যে!
উনি এবার যারপরনাই বিরক্ত:আরে,এটা কি খেলার জায়গা?আর ছেলেরা ঢুকলেও সমস্যা নাই,তোমরা(মেয়েদের দেখিয়ে) আসছো কেন?
আমরা বেরিয়ে এলাম,বাইরে এসে খেলা চালিয়ে গেলাম।তবে আমার মনে কোখায় যেন ভদ্রলোকের কথাগুলো রয়ে গেল।তাই বাসায় ফিরে আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম,কেন মেয়েরা মসজিদে যেতে পারেনা?আব্বু একটু ভেবে বললেন,কথনো তো মেয়েদের যেতে দেখিনি,নিশ্চয় যাওয়া বারণ,তাই যায়না!
আমি এই ঘটনা ওখানেই ভুলে গেলাম।কিন্তু বহু বছর পর আবার মনে পড়লো যখন একটু একটু করে ইসলামকে জানার চেষ্টা করা শুরু করলাম তখন।
হাদিসে আছে:‘Do not prevent your women from attending the mosque if they seek your permission to do so.’ 2) do not prevent the female slaves of Allah from attending the mosques of Allah.’ 3) ‘If your womenfolk seek your permission to go to the mosque, then let them do so.’ (Sahih Muslim).
‘The believing women used to attend fajr prayer with the Messenger of Allah SAW, wrapped up in their outer garments...'- Bukhari&Muslim
এখন কথা হলো,আল্লাহর রাসুল( সা: ) মেয়েদের মসজিদে যেতে মানা তো করেননি,উল্টা মেয়েরা তখন তাঁর সাথেই মসজিদে নামাজ পড়তেন শেষ সারিতে।সুবহানাল্লাহ্!যেখানে সাড়ে চৌদ্দশো/পনেরোশো বছর আগে মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারতেন,সেখানে আজকের উপমহাদেশে এই প্র্র্যাকটিস খুব সীমিত মসজিদে,সীমিত জায়গায় আছে।কেন?
কিছু মানুষের গোঁড়ামীর কারনে!কিছু মানুষের অযথা ভয়ের নামে মেয়েদের খাঁচাবন্দী করে রাখার প্রচেষ্টার কারনে!
মেয়েরা কিন্তু ইউরোপ,আমেরিকায় ঠিকই কাজটি করতে পারেন,তাদের জন্য সেখানে আলাদা জায়গা থাকে মসজিদে।আর আমাদের দেশে,উপমহাদেশে (এবং আরো কিছু জায়গায়) সুন্দর মসজিদ বানানোর চেষ্টার অন্ত নেই,কিন্তু সেখানে মেয়েদের জায়গা!?নাউজুবিল্লাহ্! মেয়েরা এখানে মিনি স্কার্ট পরে ঘুরে,ঘুরুক।ছেলেরা পর্ণ দেখে দেখুক।No fitna(আমাদের হুজুরদের বড় প্রিয় শব্দ!) there!কিন্তু হিজাব করা একজন মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে?আর ইউ পম গানা?? বেসম্ভব কথা!যদি নামাজ পড়তে গিয়ে ছেলেদেরকে 'ফিতনায়' জড়িয়ে ফেলে??যদি নিজেরা বিপদে পড়ে যায়??
এ আমার বড়ই আজব দেশ।এদেশে ‘মুক্ত চিন্তার’ মানুষের অভাব নেই।দেশ-বিদেশ নিয়ে চিন্তার আমাদের শেষ নাই।কেবল ধর্ম নিয়ে চিন্তার সময় দেখা যায় বাপ-মা-হুজুর সেই ১৯৫৩ সালে যা জেনেছিলেন আর আমাদের যা জানিয়েছিলেন তার আর কোন নড়চড় নাই,এ নিয়ে আর কেউ চিন্তা করতে যায়না।এ নিয়ে ১৯৫৩ সালের জানার বাইরে আর কেউ কিছু ভাবেনা,ভাবার সময় কই? আরও মজার ব্যাপার হলো,কেউ যদি এইসব জানার বাইরে কিছু জানাতে যায়,তবে সে হয়ে যায় আমাদের শত্রু।আমরা যাচাই করিনা,নিজে কিছু জানিনা,পড়িনা,যে জানাতে যায় তারে হেস্তনেস্ত করে ছাড়ি।আরো আছে।আমি কিছু জ্ঞানী মানুষকে চিনি,যারা আসলেই অনেক জানেন।কিন্তু তাঁরা জামায়েত/শিবির নিয়ে এতো বেশী ব্যস্ত যে তাদের কথা শুনতে কারোর আগ্রহ হয়না,’তুই রাজাকার’ বলে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়।How they are wasting their knowledge by supporting these morons!
যাই হোক,যা নিয়ে প্যাঁচাল শুরু করেছিলাম,তা হলো মেয়েদের মসজিদে যাওয়া নিয়ে। সেখানে ফেরত যাই।
ইতিহাস বলছে,মেয়েদের মসজিদে যাওয়া আমাদের নবী(সাঃ)-এর সময় কোন সমস্যা ছিলোনা। উনার মসজিদের অনেক দরজা ছিল,একদিন তিনি একটি দেখিয়ে বললেন,"If we could only leave this door for the ladies!" (আমি হাদিস অনুবাদে যাই না যদি wordings-এ কোথাও ভুল করে ফেলি এই ভয়ে)মেয়েরা এরপর থেকে ওই দরজা ব্যবহার করতেন মসজিদে আসা যাওয়ার কাজে।(সব রেফারেন্স আমি নীচে দিয়ে দিয়েছি।)
আরো আছে,নবী(সাঃ)বলেছেন, “When I enter the prayer I intend to prolong it. Then I hear the crying of a child, so I shorten it knowing the difficulty his mother will have with him crying.” [Bukhari]
সুবহানাল্লাহ!আমাদের নবী(সাঃ)যেখানে মসজিদে বাচ্চাদের উপস্থিতি নিয়ে এবং মেয়েদের উপস্থিতি নিয়ে এতদূর মমত্ববোধ নিয়ে কথা বলছেন সেখানে এক ঈদের জামাতে(সিলেটে) শুনেছিলাম ইমাম সাহেব বলছেন,মেয়েদের সাথে বাচ্চারা থাকে,তাদের নানা সমস্যা থাকে,তারা বাড়িতে নামাজ পড়াই ভাল,বাচ্চাদের সাথে না আনাই ভালো...মেয়েদের এভাবে কুণ্ঠিত করার মানে কি?এই বিরক্তির মানে কি? উনার কাকে অনুসরন করার কথা?যে মহামানবকে করার কথা, তাঁকে অনুসরন না করে উনি ইমাম হোন কোন যুক্তিতে?
এখন দেখা যাক,কারা মেয়েদের মসজিদে নামাজ পরার,সেখানে ইভেন যাওয়ার ব্যাপারে নেগেটিভ মত দেন,কেন দেন। মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর মৃত্যুর পর আয়েশা(রাঃ) তখনকার মেয়েদের ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে একবার বলেছিলেন,"If the Prophet (peace and blessings be upon him) would have seen what the women do now, he would have stopped them from coming to Mosques." মেয়েরা তখন পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতেন না,পারফিউম ব্যবহার করতেন,ছেলেদের সাথে অযথা আলাপে ব্যস্ত হতেন,এ জন্যেই এই কথা তিনি বলেছিলেন।কিন্তু এ ঘটনা মেয়েদেরকে মসজিদে নামাজ না পড়তে দেবার কোনও রকমের যুক্তি হতে পারেনা,পারে কি?
আরেকটি ঘটনা হলো ওমর (রাঃ)-র স্ত্রীর মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে যা তিনি পছন্দ করতেন না।মজার ব্যাপার হল,তিনি কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারেননি,কারন,তিনি জানতেন তাঁর অপছন্দের কারনে তিনি মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর কথার বিরোধিতা করতে পারেননা।পড়ে দেখুনঃ
It is reported that the wife of `Umar Ibn Al-Khattab (may Allah be pleased with him) used to attend the congregational Prayer in the Mosque at Fajr and `Ishaa' Prayers. It was said to her, "Why do you leave home, you know that `Umar does not like that and he feels ashamed (that you leave home at that time)?" She said, "So what prevents him from stopping me?" The person said, "It is the words of the Prophet (peace and blessings be upon him) 'Do not prevent the she-servants of Allah from Allah's Mosques.'" (Reported by Al-Bukhari)
এখন যারা এই ঘটনাগুলোকে প্রমান হিসাবে উপস্থাপন করেন এবং এসবকে কেন্দ্র করে একসময় মেয়েদের মসজিদে যাওয়াই নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা কতটা যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন?
হ্যাঁ,মেয়েদের ঘরে সময় দেবার ব্যাপার আছে,তাদের মসজিদে নামাজ পড়া সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে,সুতরাং,মেয়েদের ব্যাপারে ছেলেদের মতো মসজিদে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা আসেনি।নবী(সাঃ)তাই বলেছেন,” “A woman’s prayer in her house is better than in her courtyard, and her prayer in her own room is better than her prayer in the rest of the house” (reported by Abu Dawud). অর্থাৎ একটি মেয়ের, যে ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মসজিদে যেতে পারছেনা,তার এই ভেবে দুঃখিত হবার কারণ নেই যে আমি ছেলেদের মতো সওয়াব পাবোনা।কিন্তু এর মানে কি এই দাঁড়ায় যে আগের হাদিসগুলোকে এই হাদিস nullify করে দেয়,নাহ!মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার কোনই মানে নাই,এটা কি এ থেকে বলা যায়?না!তারা কি হজ্জে গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ছেন না?পড়ছেন।হযরত মরিয়ম(আঃ) কি মসজিদেই আলাদা একটা ঘরে থাকতেন না??(আল কোরআন,3: 37,http://www.suhaibwebb.com/islam-studies/%E2%80%9Cwhat-would-mariam-do%E2%80%9D-part-1-by-muslema-al-purmul-al-azhariyah/)
তাহলে কেন আজকের যুগের/সমাজের পুরুষরা মেয়েদের ব্যাপারে এসব নীতি- নির্ধারণের চেষ্টা করেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের বিধানের বাইরে গিয়ে?
আজকের দিনে যে মেয়েটি ঘরেই শুধু কাজ করেনা,বাইরেও কাজ করে,সে যদি সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে মাগরিবের আযান হয়েই যায়,সে কি করবে? কিংবা কোনও কাজে ঘরে কাজ করা মেয়েটি-ই বিকালে বাইরে গেলো।তার একে তো অজু বাসায় করে যেতে হয়,সেই করা অজু নামাজ পর্যন্ত থাকবে কি থাকবেনা এই নিয়ে চিন্তার শেষ থাকেনা,তার উপর পথে আযান হলে সামনে মসজিদ থাকলেও সে নামাজ পড়তে পারেনা।অসহায় হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষা করতে হয়,অথবা রিক্সায়,অটোতে,গাড়িতে বা বাসে জায়গায় বসে নামাজ পড়ে।ছেলেটি কিন্তু মসজিদে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি,তার সমস্যা হচ্ছেনা।মেয়েদের ব্যাপারে কেন এই দৈন্যদশা?এমন তো না যে আল্লাহ/আল্লাহ-র রাসুল(সাঃ) তাকে এমন অবস্থায় ফেলেছেন!ফেলেছেন তো আজব সমাজের আজব মুরুব্বিরা, যারা বড়ই ‘চিন্তিত’ মেয়েদের ব্যাপারে।তা এই মেয়েটির নামাজের অসুবিধার দায় কি মুরুব্বিরা মাথায় নিতে রাজি হবেন শেষ বিচারের দিনে?
নীচের লেখাগুলো পড়ুন,দেখুন এই ব্যাপারে আমাদের দেশের মোল্লাদের আর মুসলমানদের জ্ঞানের দৌড় কতটুকুঃ
Click This Link
http://en.islamtoday.net/artshow-233-3599.htm
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
তারান্নুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
লাবনী আক্তার বলেছেন: অনেক ভালো লাগল পড়ে। মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। ধন্যবাদ আপু।
প্রিয়েতে নিলাম।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
তারান্নুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে,প্রিয়তে নেবার জন্যে।
ভালো থাকবেন।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
মাহমুদুল হাসান (সুমন)। বলেছেন: ++
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
তারান্নুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
চারশবিশ বলেছেন: ফেলেছেন তো আজব সমাজের আজব মুরুব্বিরা
-সহমত
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
তারান্নুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক মসজিদে আছে যে মেয়েরা সেখানে যেয়ে নামায আদায় করতে পারে। এমনকি হাজ্জেও দেখি মেয়েরা পুরুষের সাথে পাশাপাশি হাজ্জ আদায় করে। কিন্তু সমাজের অনেকেই আছেন যারা মেয়েদের মসজিদে যেয়ে নামায আদায় করা পছন্দ করেন না । এমন অনেক কিছুই আছে যা আমরা প্রকৃত ইসলাম অনুযায়ী করিনা । আসলে আমাদের ভেতর এমন ভাবে ইসলামের বিরোধী মনোভাব কিংবা শয়তানি আসর ঢুকে গেছে আমরা ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গেছি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
তারান্নুম বলেছেন: সহমত।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
মদন বলেছেন: ++++++++++++++
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
তারান্নুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
গ্রামের মানুষ বলেছেন:
আমার জানা মতে, ঢাকা নিউমার্কেট আর মিরপুর ডিওএইচএস জামে মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার সুবন্দোবস্ত আছে।
আমরা আবার একটু বেশী মুসলিম তো তাই নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখিনা। যদিও এটি পুরোপুরিভাবে ইসলাম সম্মত!!!
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
তারান্নুম বলেছেন: জ্বী,কিছু জায়গায় আছে।
ধন্যবাদ।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
হাছুইন্যা বলেছেন: +++
পুরনো মসজিদগুলোতে মহিলাদের নামায পড়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অবস্থিত বড় মসজিদওে আমি দেখেছি সম্পূর্ন আলাদা স্থান আছে মহিলাদের নামায পড়ার জন্য।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
তারান্নুম বলেছেন: জ্বী,কিছু জায়গায় আছে।সমস্যা হলো গ্রামে/জেলা শহরে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
ধন্যবাদ।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইসলাম নারিকে পর্দা দ্বারা অনেক সম্মানিত করেছেন কিন্তু সব মসজিদে আলাদা তাদের পর্দা অনুযায়ী নামায পড়ার সুবিধা নাই
এজন্য দায় ইসলামের নয় ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
তারান্নুম বলেছেন: ইসলাম পর্দা মেয়েদের দেয়নি খালি,ছেলেদেরও দিয়েছে,চোখের।
পর্দা অনুযায়ী নামায পড়ার সুবিধা নাই-মানে?
আল্লাহর রাসূল(সাঃ)-এর সময় তো পর্দা লাগে নাই ভাই মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্যে।এখন যদি লাগেই তো পর্দার ব্যবস্হা করেন..কিন্তু মসজিদে নামাজ পড়া কেন বন্ধ করা হলো?
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
িলয়া বলেছেন: Oshadharon likesen...share korlam Facebook e onumoti name niyei ...valo thakben r likben besi besi...
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
তারান্নুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শেয়ার করার জন্য অনুমতি লাগবেনা।
ভালো থাকবেন,দোয়া করবেন।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
মদন বলেছেন: রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার ভায়া লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা আছে। বললাম এই কারনে যে শহর থেকে অনেক দূরে গ্রামের মধ্যে থেকেও যে কাজ করতে পেরেছে, আমরা শহরে থেকেও অনেক আধুনিকতার দাবীদার হয়েও সে কাজ করতে পারি না।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
তারান্নুম বলেছেন: সহমত।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
সাগর তীরে বলেছেন: মহিলাদের যে কোন নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়ার অর্থ হল ইজমায়ে আযীমতকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
তারান্নুম বলেছেন: উমর(রাঃ) মেয়েদের মসজিদে নামাজ বন্ধ করেছেন?আপনার তথ্যসূত্র দিন।উনার এবং আয়েশা রোঃ)-এর ঘটনা আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি।
যা নবী( সাঃ )চালু করেছেন সেটা বন্ধ করার ধৃষ্টতা উনারা দেখাননি,আমরা দেখাচ্ছি।যার যৌক্তিকতা আপনার উল্লেখিত পোস্টে নাই।আপনি কোন প্রমাণও দেননি।
ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
তারান্নুম বলেছেন: Click This Link
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: apu ei bharat upamohadesh er murubbi ra ek2 besi bojhe...
tobe SUBHANALLAH din palatai tese,INSALLAH ek din potiti marjide mohila der namajer bebostha thakbe..
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
তারান্নুম বলেছেন: সহমত।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাগর তীরে বলেছেন:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে মহিলারা! তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান কর, অর্থাৎ পর্দায় থাক। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, মহিলাদের জন্য নামাযের উত্তম স্থান হচ্ছে নিজ গৃহের গোপন প্রকোষ্ঠ। শরীয়ত মহিলাদের জন্য যেরূপ জুমুয়া ও ঈদের নামায আবশ্যকীয় করেনি তদ্রুপ জুমুয়া, ঈদ, পাঁচ ওয়াক্ত ও তারাবীহ নামাযের জামায়াতে শরীক হওয়ার নির্দেশও দেয়নি। বরং শরীয়তের ফায়ছালা হলো- মহিলাদের জন্য জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী বা হারাম; আর খাছ ফতওয়া মতে কুফরী।
ইমাম, মুজতাহিদগণ উনারা পর্দার গুরুত্ব, মহিলাদের ঘরে নামায পড়ার উৎসাহ ও ফযীলতপূর্ণ হাদীছ শরীফ ও হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিষেধাজ্ঞা ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সমর্থনের কারণে আমভাবে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়াকে মাকরূহ তাহরীমী ফতওয়া দেন এবং উক্ত ফতওয়ার উপর উম্মতের ইজমা তথা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে, বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের মধ্যে। যেমন এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, “মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
যেখানে বিশ্বের অসংখ্য ইমাম, মুজতাহিদ উনারা একমত হয়ে মহিলাদের মসজিদে যাওয়াকে নাজায়িয অর্থাৎ মাকরূহ তাহরীমী বলে ফতওয়া দিয়েছেন, সেখানে এর বিরোধিতা করে এটাকে জায়িয বলা কুফরী ছাড়া কিছুই নয়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “কারো নিকট হিদায়েত বিকশিত হবার পর রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর মু’মিনদের পথ রেখে ভিন্ন পথের অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেদিকেই ফিরাবো যেদিকে সে ফিরেছে। এবং আমি তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাবো। যা নিকৃষ্ট স্থান।”
শায়খ হযরত আহমদ ইবনে আবু সাঈদ মুল্লা জিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে উল্লেখ করেন- “এ আয়াত শরীফ-এ মু’মিনদের বিরোধিতাকে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অতএব, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ-এর মতো তাদের ইজমাও অকাট্য ও প্রামাণ্য দলীল বলে পরিগণিত হবে।” (নুরুল আনোয়ার)
আয়াত শরীফ ও তার তাফসীর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ইমাম-মুজতাহিদগণের মতের বিরোধিতা করার অর্থ হলো, আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করা; যা সুস্পষ্টই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। আর এটাও জেনে রাখা দরকার যে- ইমাম, মুজতাহিদ উনারা যে ফতওয়া দিয়েছেন, তা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিপরীত নয় বরং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ ভিত্তিক। কাজেই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াসের দৃষ্টিতে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের কোন মাসয়ালার বিরোধিতা করা (সেটা যে কোন মাযহাবেরই হোক না কেন) মূলতঃ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এরই বিরোধিতা করা। তাই খাছ ফতওয়া মতে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলা কুফরী।
মহিলাদের জন্য জামায়াতে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী বা নিষিদ্ধ হওয়ার উপর উম্মতের তথা ইমাম মুজতাহিদগণ উনাদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বে তা অনুসৃত হয়ে আসছে। ইজমা ও ক্বিয়াস যেহেতু কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই অন্তর্ভুক্ত ও সমর্থিত, সেহেতু উক্ত ইজমাকে অস্বীকার করা বা মু’মিনগণের প্রচলিত পথের বিরোধিতা করা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর দৃষ্টিতে প্রকাশ্য কুফরী।
ইমাম-মুজতাহিদ উনারা যে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়াকে নিষেধ করেছেন তা প্রায় সকল নির্ভরযোগ্য কিতাবেই উল্লেখ আছে। যেমন- ওমদাতুল ক্বারী শরহে বোখারী ৫ম জিলদ ১৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হিদায়ার লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। তিনি আরো বলেন, জামায়াত বলতে এখানে (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন, কুসূফ, ইস্তিস্কা ইত্যাদি সবই অন্তর্ভুক্ত। আমাদের ফকীহগণ বলেন- কেননা তাদের (মহিলাদের) জামায়াতের জন্য বের হওয়ায় ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে, আর ফিতনা হারামের অন্তর্ভুক্ত। আর যা হারাম কাজে সহায়তা করে তাও হারাম। এ কারণেই মাকরূহ তাহরীমীর দ্বারা মূলতঃ মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া হারাম বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়াই উদ্দেশ্য।”
ফায়জুল বারী শরহে বোখারী ২য় জিলদ ৩২২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “উলামায়ে মুতাআখখিরীন উনারা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ বলে মত প্রকাশ করেন। কেননা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে মরফূ হিসেবে হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে যে, ‘মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়া সর্বোত্তম এবং ঘরের চেয়ে গোপন প্রকোষ্ঠ সর্বোত্তম।’ উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এর আলোকে শরীয়ত এই মতই ব্যক্ত করে যে, মহিলাগণ জামায়াতের জন্য মসজিদে যাবে না।”
হাদীছ শরীফ-এর কিতাব দাইলামী শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “মহিলাদের জন্য মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়ার মধ্যে ২৫গুণ বেশি ফযীলত।” সুবহানাল্লাহ!
, মায়ারিফে মাদানিয়াহ, শরহে তিরমিযী ৮ম জিলদ ১০৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করার কারণ হলো বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানগণের জনসংখ্যা ও জনশক্তি বৃদ্ধি করা। হযরত আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সে যুগ ফিতনা ফাসাদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা একেবারেই বিপরীত। ‘বাদায়ের’ লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন ইত্যাদিতে যোগদান করার অনুমতি নেই। কেননা আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘(হে মহিলাগণ) তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক।’ এ ছাড়াও মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়ার মধ্যে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে।”
, মূলকথা হলো- হযরত ইমাম-মুজতাহিদ উনারা যদিও আমভাবে মহিলাদের জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য বের হওয়াকে মাকরূহ তাহরীমী বা হারাম ফতওয়া দিয়েছেন কিন্তু খাছ ফতওয়া মতে তা কুফরী বলে সাব্যস্ত হয়। কারণ মহিলাদের জন্য জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলার অর্থ হলো- শরীয়ত অস্বীকার করা ও কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত ‘উলিল আমর’ অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরোধিতা করা। যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তাই খাছ ফতওয়া মতে মহিলাদের জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদে বা ঈদগাহে যাওয়া বা যাওয়াকে জায়িয বলা কুফরী।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
তারান্নুম বলেছেন: "কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “কারো নিকট হিদায়েত বিকশিত হবার পর রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, আর মু’মিনদের পথ রেখে ভিন্ন পথের অনুসরণ করবে, আমি তাকে সেদিকেই ফিরাবো যেদিকে সে ফিরেছে। এবং আমি তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাবো। যা নিকৃষ্ট স্থান।”...বুঝলামনা।
এখানে আপনিই তো রাসূল (সাঃ )-এর কাজের বিরোধিতা করছেন,আমি নই! উনি মেয়েদের ঘরে নামাজ পড়াকে উত্তম বলেছেন,কিন্তু মসজিদে যেতে কোথায় না করলেন যে আপনি কুফরী বলে ফেললেন মসজিদে যাওয়াকে??
‘Do not prevent your women from attending the mosque if they seek your permission to do so.’ 2) do not prevent the female slaves of Allah from attending the mosques of Allah.’ 3) ‘If your womenfolk seek your permission to go to the mosque, then let them do so.’ (Sahih Muslim).
‘The believing women used to attend fajr prayer with the Messenger of Allah SAW, wrapped up in their outer garments...'- Bukhari&Muslim..এই হাদিসগুলো কি মিথ্যা?
আর তখনকার যুগ নিরাপদ ছিলো এখনকার চেয়ে??কি বলেন?এখন তো মেয়েরা আরো বেশী নিরাপদে বাইরে যাতায়াত করেন।উমর (রাঃ ) বা আয়েশা (রাঃ) কখনোই মেয়েদের মসজিদ যাতায়াত নিষিদ্ধ করেননি।কোন প্রেক্ষিতে কে কি বলেছেন আমি পোস্টে জানিয়েছি।
আপনি এখনও ভ্যালিড কোনো লিংক বা বইয়ের নাম দিলেননা ভাই।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
রাতুলবিডি২ বলেছেন: Women should not go to maszid. This is fatowa.
But at first tell do you believe in Fatowa or not.
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০
তারান্নুম বলেছেন: of course i do believe in fatwa. But i question: who is giving the fatwa and what is his basis of fatwa.
I know that a particular school of thought of our subcontinent gives this fatwa, but I don't accept it as I find more authentic ones, based on sound evidence.
U haven't given any evidence, have u?
১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
উমাইর চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাজাহ দান করুন ।
আমি ইরানে থাকি।
এ পর্যন্ত এমন কোন মসজিদ দেখিনি যেখানে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা নাই ।
হোক পার্ক, হোক তা বাজার !
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
তারান্নুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
শাহজাহান মুনির বলেছেন: আমাদেরও একদিন তাই হবে। শুভকামনা & অনেক অনেক ভাললাগা।
২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭
তারান্নুম বলেছেন: সহমত।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: প্রত্যেক মসজিদেই মেয়েদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ, অন্ততঃ বড় মসজিদগুলোতে।
কিন্তু, এটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, আপনার দেয়া সূত্রগুলো থেকে যে, মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে ঘরে মধ্যে নামাজ পড়া বেশী উত্তম এবং সওয়াবের। সুতরাং, সেই চেষ্টাই থাকা জরুরী। হারাম শরীফের মসজিদেও মেয়েদের তাওয়াফ, সাঈ এসব ছাড়া ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়তে যাওয়া জরুরী নয় বরং ঘরের মধ্যে পড়াই বেশী সওয়াবের।
আল্লাহ নিজেই পছন্দ করেন, মেয়েরা ঘরে অবস্থান করবে। সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেনঃ
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
এই সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
আপনাকে যিনি মসজিদে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে নিষেধ করেছিলেন, খোজ নিয়ে দেখেন তিনি কোন আলেম নয় বরং সাধারণ বা অল্প শিক্ষিত মুসলিম। সুতরাং, তার সূত্র ধরে আ'মভাবে আলেম সমাজকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।
মনে রাখবেন, দ্বীন শিখতে হবে আলেমদের সোহবতে থেকেই। ওয়েবসাইট দিয়েই যদি পুরো দ্বীন শেখা যেত তাহলে দুনিয়াতে আর কোন শিক্ষালয়ের দরকার পড়ত না। আপনার শুভাকাংঙ্খী হিসেবে বলছি, আলেম ওয়ালামাদের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হন। কারণ, তারা আম্বিয়াদের উত্তরশূরী, সহীহ হাদীস অনুসারে। আর ওলামাগণ নবী-রাসূলগণের সম্পদের উত্তরাধীকারী নয়, তাদের রেখে যাওয়া ইলম এর উত্তরাধীকারী...
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
তারান্নুম বলেছেন: Sorry I deleted your last message somehow.By the way,I differ from you here.Scholars are universal.Yes,there may be issues where particular region needs particular fatwas like hijab styles in Saudi Arabia wont be like in America for different perspective and behavior of people,but scholars are not different for different places.
বাংলা লেখা যাচ্ছে!তো,যা বলছিলাম,সূরা আজহাবের ব্যাখ্যার ব্যাপারে আপনি যে আলেমকে ফলো করেন,আমি তা করিনা।এতে আপনার উত্তেজিত হবার কোনো কারণ দেখছিনা।মত ভিন্ন হতেই পারে।আমিই ঠিক,আর সবাই ভুল,এরকম এ্যাটিচুড ঠিক নয়।যে যার মত নিয়ে ব্যাসিক ব্যাপার ঠিকভাবে মেনে চলুন,বাকি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন আল্লাহু আ'লম বলে।
আপনার আর কোনো উত্তেজিত মন্তব্য চাচ্ছিনা।জাযাকাল্লাহ্।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
তারান্নুম বলেছেন: কুরাআনকে আপনি কন্টেক্সট ছেড়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?এই আয়াত যাদের উদ্দেশ্যে তাঁদের ছেড়ে আপনি অন্যদের নিয়ে জেনারালাইজ করবেন কিভাবে?তাহলে নিচের আয়াতের ব্যাখ্যায় কি বলেন?এই আয়াত কি আমাদের সবার জন্যে প্রযোজ্য?
‘’... then kill the polytheists wherever you find them and capture them and besiege them and sit in wait for them at every place of ambush. ...’’
জ্বি, আমি সূরা তাওবার ৫ নাম্বার আয়াতের কথা বলছি।আমি যদি আপনার মতই বলি যে আহযাবের ৩৩ নং আয়াত যদি সব মেয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়,তাহলে উপরের আয়াত সকল সময়ের সকল মুসলিমের জন্যে প্রযোজ্য??তখন কি হবে? ইসলামকে খুনাখুনির ধর্ম বলতে রাজি হবেন আপনি?চিন্তা করুন।বিধর্মীরা এভাবে চিন্তা করেতো আমাদের বহু অপমান করেছে,তাইনা?আমরাও কি তাদের মতো ভাববো?আসলে মাঝখান থেকে একটা লাইন টেনে এনে ব্যাখ্যা করা ঠিক না ওদের মতো।
আবার দেখুন, পর্দার আয়াত কিভাবে এসেছে। একবার মুমিন নারী এবং নবী (সাঃ ) এর স্ত্রী দুই দলের কথাই উল্লেখ আছে,( সূরা ৩৩,৫৯ আয়াত) আবার এক জায়গায় শুধু মুমিন নারীরা এসেছেন( সূরা ২৪,৩১ আয়াত) ।এর মানে কি?স্পস্ট কি বলা হয়ে গেলনা দ্বিতীয় উপায়, মুখমণ্ডল,হাত অবমুক্ত রাখার অপশন নবী (সাঃ ) এর স্ত্রীদের জন্যে নয়,কারন সাধারন নারীদের থেকে উনারা আলাদা?
তাহলে আপনি যে আয়াতের কথা বললেন সেখানে মুমিন নারীরা নয়,কেবল নবী (সাঃ )এর স্ত্রীদের কথা কেন এল যদি ওটা সবার জন্যে বলা হতো?কারণ,ওই আয়াত শুধুই উনাদের জন্যে ছিল।তার প্রমান দেখুন ঠিক আগের আয়াতে।‘O wives of the Prophet, you are not like anyone among women. (সূরা ৩৩,৩২ আয়াত) ভেবে দেখুন। কুরআন কোথাও অস্পষ্টতা রাখেনি,তাহলে বুঝতে সমস্যা কোথায়?
আমি শুধু আমার মত বললাম,মনে করবেন না যে আপনার বা আপনার পছন্দের স্কলারের মতকে আমি অপমান করেছি।স্কলারদের মতের ভিন্নতা নিয়ে ঝগড়া না করাই ভালো।
মা-আসসালাম।
২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
তারান্নুম বলেছেন: সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াত নবী( সাঃ ) এর স্ত্রীদের ব্যাপারে স্পেসিফিক।যাই হোক,পোষ্টে আমি উল্লেখ করেছি মেয়েদের নামাজ ঘরে পড়া উত্তম।আমার ইস্যু ছিল,তাদের মসজিদে নিষিদ্ধ করাটা যা অন্যায়।
আর আলেম মানবোনা কেন?অবশ্যই মানি।আমি অনলাইন রেফারেন্স দিয়েছিলাম আলেমরা এ ব্যাপারে কে কি বলেছেন সেটা জানানোর জন্যেই।তবে এখন আমাদের দেশের আলেমদের চেয়ে বিদেশে বহু ভালো স্কলার আছেন, যারা অনেক বেশী জানেন, অনেক মেধাবী, আমাদের দৈন্য দশার মাদ্রাসা পাশ হুজুরদের মতো না।তাই ওদের ফতোয়া,মতামত জানতে আমাকে ওদের ওয়েবসাইট এ যেতে হবে বা এমন ওয়েব সাইট এ যেতে হবে যা তাঁদের কথা জানায়,লেখে। উনাদের বই পড়তে হলেও ওয়েব সাইট ছাড়া জানবেন কোথায়?তারিক রামাদান কিংবা সুহাইব ওয়েবের নিজের ওয়েবসাইট আছে, পড়ে দেখতে পারেন।আলেম সমাজ সম্পর্কে ধারণা অনেক পালটে যাবে,ইনশাআল্লাহ।
২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: Ami kintu amar kono motamot ba explanation deini. Rather, widely accepted Ibn Kathir er tafsir quote korechilam !!
I was never exited and now I understand your way of thought. I pray for you so that Allah keeps you on straight path.
Inshallah I'll refrain myself from appearing in your blog again...
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
তারান্নুম বলেছেন: ভাই আমার ব্লগে আর আসবেন না এমন বলছেন কেন?আমি শুধু আপনার আমার মত,যাদের আমরা আলেম বলে মানি,ফলো করি তাঁদের মত ভিন্ন এটা বলেছি।আমরা দুজনই কিছু ভুল বলে থাকলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
ব্লগে আসবেন।খুব বেশী আস্তিক লোক এই ব্লগে নাই ভাই,সুতরাং আপনার মতোরা ব্লগ পড়তে আসলে আসলে খুবই খুশী হই।মা-আসসালাম।
২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪
আশফাক সুমন বলেছেন:
"মেয়েদের নামাজ ঘরে পড়া উত্তম। তবে তাদের মসজিদে নামায নিষিদ্ধ করাটা অন্যায়।"-
আমি এটুকু বিস্বাস করি
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
তারান্নুম বলেছেন: জ্বী ভাই,আমিও তাই-ই বিশ্বাস করি।কারণ রাসূল( সাঃ ) এটাই করতে বলেছেন এবং তিনি যা বলেছেন,তার সবই প্রকারান্তরে আল্লাহ -ই বলেছেন,তাইনা?
২৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
প্যাপিলন বলেছেন: মেয়েরা ডমিনেটেড সব জায়গায়, ধর্ম বা লিঙ্গ কেবল অজুহাত মাত্র। খেয়াল করে দেখুন যুক্তরাষ্ট্রেও মেয়েদের ভোটাধিকার পেতে আন্দোলন করতে হয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
নস্টালজিক বলেছেন: দারুন লিখসেন!
মন দিয়ে পড়লাম!
শুভেচ্ছা তারান্নুম!