নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাসাইয়ু

তাসাইয়ু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুলের(সাঃ) আহলে বায়েতের(আঃ)(নবী পরিবারের আঃ) প্রতি শত্রুতার বিষয়ে সতর্কীকরন

০২ রা মে, ২০১৬ ভোর ৫:৪৫


১/ রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেনঃআমার পরে ইমাম হবে ১২জন,এদের মধ্যে ৯জন হবে হোসাইনের(আঃ) বংশ(ঔরস) থেকে এবং তাদের ৯ম জন হল 'ক্কায়েম'(অর্থাত ইমাম মাহদী আঃ)।সুসঙ্গবাদ তাদের জন্য যারা তাদেরকে ভাল্বাসবে এবং দুর্ভোগ তাদের যারা তাদের সাথে শত্রুতা করবে(কিফায়াতুল আসারঃ৩০)।

২/ রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেনঃযদি কোন দাস 'সাফা' ও 'মারওয়া'র মাঝে ১০০০ বছর ইবাদাত করে-এরপর আরো ১০০০ বছর এবং এরপর আরো ১০০০বছর (ইবাদাত করে),কিন্তু আমাদের প্রতি ভালবাসা না থাকে,তাহলে আল্লাহ তাকে উপুড় করে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন।তারপর তিনি(সাঃ) এই আয়াতটি পাঠ করলেনঃ"বল,'আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না-শুধু(আমার) নিকটতম আত্নীয়দের জন্য গভীর ভালবাসা ছাড়া"(তারিখু দামেস্ক-তারজুমাতে ইমাম আলী(আঃ)-১/১৩২/১৮২(সুরা শুরা-২৩)।

৩/ রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেন ঃ শুধু অপবিত্র(অবৈধ) জন্মের সন্তানরাই আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে(আমালী আস-সাদুকঃ৩৮৪/১৪;আল-ফাক্কীহ-১/৯৬/২০৩) ।

**আহলে বায়েতের(আঃ) শাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীগন

• ইমাম আস-সাদিক্ক(আঃ) বলেনঃমহান আল্লাহর এ কথা-“আমরা তোমাদের বিরুদ্বে জাগ্রত করেছিলাম আমাদের দাসদেরকে যাদের শক্তি ছিল বিরাট এবং তারা(তোমাদের) বাড়িঘরের ভিতর পর্যন্ত তছনছ করেছিল(সুরা বনী ইস্রাইল-৫)”-সম্পর্কে বলেনঃআল ক্কায়েম( ইমাম মাহদী আঃ)এর আত্নপ্রকাশের আগে আল্লাহ এ জাতির পুরুথথান ঘটাবেন;আলে মুহাম্মাদের ওপর অত্যাচার করেছে এমন কাউকেই তাঁরা হত্যা না করে ছাড়বে না
• ইমাম জাফর আস-সাদিক্ক(আঃ) বলেন-“শীঘ্রই কুফা বিশ্বাসী শুন্য(মু’মিন হতে শুন্য) হয়ে যাবে এবং এটি এমনভাবে জ্ঞান-শুন্য হয়ে যাবে যেভাবে সাপ তাঁর গর্তে লুকিয়ে যায়।এরপর জ্ঞান এমন এক শহরে প্রকাশিত হবে যার নাম হবে ‘কোম’ এবং এ শহরটি হবে জ্ঞান ও কল্যানের খনি,যতক্ষন পর্যন্ত না এ পৃথিবীর উপরে ধর্মীয় ক্ষেত্রে দুর্বল একজনও জ্ঞান লাভ করা থেকে অবশিষ্ট না থাকে-এমন কি পর্দার আড়ালে থাকা নারীরাও।এ সব কিছু ঘটবে আমাদের ক্কায়েম(ইমাম মাহদি)(আঃ)এর আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে।আল্লাহ কোম ও এর অধিবাসীদেরকে প্রমান(হুজ্জাত) হওয়ার মর্যাদা দিবেন;যদি তা না হত তাহলে পৃথিবী বাসিন্দাদের গিলে খেয়ে ফেলতো এবং পৃথিবীতে কোন প্রমান (হুজ্জাত) থাকতো না।জ্ঞান এখান থেকে বন্যার মত প্রবাহিত হয়ে পুর্ব ও পশ্চিমের অবশিষ্ট শহরগুলোতে ছড়ি্যে পড়বে-যেন সব মানুষের মধ্যে আল্লাহর প্রমান(হুজ্জাত) পরিপুর্নতা লাভ করে,যেন একজন মানুষের কাছেও দ্বীন(ধর্ম) ও জ্ঞান পৌছতে বাকী না থাকে।এরপর আল-ক্কায়েম( ইমাম মাহদী আঃ) আবির্ভুত হবেন।“(আল-বিহার-৬০/২১৩/২৩)।

**ইমাম আস-সাদিক্ক(আঃ) বলেন- “ কোম-এর মাটি হল পবিত্র এবং এর অধিবাসীরা আমাদের থেকে এবং আমরা তাদের থেকে;যদি কোন অত্যাচারী শাসক এ লোকদের উপর অত্যাচার করে,তাহলে সে শীঘ্রই শাস্তি পাবে,শুধু শর্ত হল তাঁরা যেন তাদের ভাইদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করে;যদি তাঁরা তা করে,তাহলে আল্লাহ তাদের উপর অত্যাচারী ও মন্দ শাসককে কর্তৃত্ব দিবেন।জেনে রাখ,নিশ্চয়ই তাঁরা হল আমাদের ক্কায়েম(ইমাম মাহদী আঃএর)এর সাহায্যকারীগন এবং আমাদের সত্যের আহবানকারীগন”।এরপর তিনি তাঁর মাথাকে আকাশের দিকে উঠালেন এবং বললেন-হে আল্লাহ,তাদেরকে সব ফেতনাহ থেকে রক্ষা করুন এবং সব ধ্বংস থেকে পরিত্রান দিন।(আল-বিহার-৬০/২১৮/৪৯)।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৭

আমি ভাল মানুষ বলেছেন: ইমাম এবং খলিফা দুইটা কি একই?

২| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি তো শীয়া দের ধর্ম বিস্বাশ থেকে লিখেছেন । এগুলি অনেক গুলি আমাদের সূন্নীদের আকীদার সাথে মেলে না।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:০৪

তাসাইয়ু বলেছেন: এজন্যই সুন্নিরা আজ পর্যন্ত কোথাও ইসলাম প্রতিষ্টা করতে পারেনি,১২ ইমামিয়া শিয়ারা ইরানে ইসলাম প্রতিষ্টা করেছে ১৯৭৯ সালে।বাহরাইন,ইরাক,ইয়েমেন,লেবাননে ঐ একই ইমামতের ধারায় ইসলাম প্রতিষ্টার পথে।

৩| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি লেখা কোন সহীহ হাদীস গ্রন্থ থেকে নিয়েছেন তার সূত্র উল্লেখ করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.