নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
বরাত হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে বসে আছি।রাত বারোটায় এই মেয়ের সাথে রাতের খাবার খাওয়া বরাতে ছিল।মেয়েটার বয়স ৭ এর কাছাকাছি।
রেইল স্টেশনের বেন্চিতে বসে ছিলাম।কোথা থেকে মেয়েটা এসে বলে - এই তোমার পায়ে জুতো নেই কেন।তোমার আব্বা কিনে দেয়নায়?
একটা জুতো ছিড়ে যাবার কারনে আরেকটা ড্রেনে ফেলে দিয়েছি।কিন্তু এত রাতে এই বাচ্চা আসলো কোথা থেকে?
বয়স সাতের কাছাকাছি।নাম জিঞ্জাসা করলে প্রতিবার ই নাম এবং তার অর্থ বলে।নিজের নাম বলে মজা পায় এমন একজনের সাথে পরিচয় ছিল।
জিঞ্জাসাবাদে যতটুকু জানা গেল নাম সামিহা জান্নাত।বাড়ি কুষ্টিয়া।খুলনায় এসেছিল বাবা মায়ের সাথে।স্টেশন থেকে হারিয়ে গেছে।ফোন নাম্বার বলতে পারেনা।শুধু বলতে পেরেছে তার বাবার নাকি অনেক সাহস। কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘোরে।লজিক বলে বাবা পুলিশ কর্মকর্তা।
রাতের ট্রেনে কুষ্টিয়া যাচ্ছি।আমাদের সাথে যোগ হয়েছে ভ্রাম্যমান চা বিক্রেতা সামসু।সামসু গান ধরেছে
-এক যে ছিল সোনার কন্যা/মেঘ বরন কেশ।
সামিহা আর আমি দাড়িয়ে আছি ট্রেনের দরজায়।ঝিক ঝিক ট্রেনের শব্দ।পার হয়ে যাচ্ছি অচেনা রুপসী নগর।জয়িতা ও ট্রেনের দরজায় এইভাবে আমার হাত ধরে দাড়াতে ভালবাসতো।
রাত বাড়ছে।ঘটনা ফিরে আসে।শুধু আমরা ফিরিনা।হয়তো ফিরি।অন্যভাবে।সামসু আবার গান ধরেছে।ট্রেন চলছে।একটা গান ঘুরেফিরে গাইতে সে বেশ মজা পাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.