নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েক টুকরো হুমায়ুন আহম্মেদ হবার অপচেষ্টা :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০০

এক - জগতের সবচেয়ে ভয়ংকর মশার জন্ম হয় হাসপাতালে। এই মুহুর্তে সদর হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছি। মশা শরীরে কামড় দিচ্ছে। এই খবর ইলেক্ট্রিক সিগন্যাল হয়ে নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে খবর পাঠাচ্ছে। মস্তিষ্ক আবার হাতকে নির্দেশ দিচ্ছে মশা তাড়ানোর। সারারাত এভাবে চলতে পারেনা। মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখতে হবে। ভালবাসা বিষয়ক চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। ভালবাসা সৃষ্টি হয় ওপর ওয়ালার কোন এক ম্যাজিক মোমেন্টে। অতি রুপবতী এক তরুনী একবার নৌকায় করে দিঘী পার হচ্ছিল। দিঘীর কালো স্বচ্ছ্ব পানি দেখে তার মনে হল কেউ তার হাত ধরুক। নইলে সে ডুবে যাবে। কিন্তু কে হাত ধরবে তার জানা ছিলনা। সে আসলে প্রেমিকের প্রেমে পড়েনি। ইশ্বরের প্রেমে পড়েছে। নারী দুজনের প্রেমে পড়ে। এক নিয়তি। দুই ইশ্বর। প্রেমিক হল নিয়তি। আর যার হাত ধরে ডুবে যাওয়া যায় সে ইশ্বর। ইশ্বর নামের কেউ আসলেই আছেন কিনা জানা নেই। থাকলে তার অবশ্যই প্রেমে পড়া উচিত।

দুই -রাত পৌনে নটার কাছাকাছি । রমনা থানার জেলহাজতে বসে আছি । একই ক্লাসে পড়লে তাকে বলা হয় ক্লাসমেট । ঘর শেয়ার করলে হয় রুমমেট । তাহলে হাজতে যাদের সাথে বসবাস করছি এরা হাজতমেট । হাজতমেট কথাটা হেলমেটের কাছাকাছি । হেল মানে নরক । অবশ্য বানানের পার্থক্য আছে । রুমমেটের ক্ষমতাবান আত্বীয়স্বজন থাকলে সেটা ভাল ব্যাপার । ক্ষমতাবান হাজতমেট থাকলে সেটা ভালো কিনা বুঝতে কয়েক ঘন্টা পার করা লাগবে । আমার হাজতমেট বেশ ক্ষমতাবান । তার মতে এই ক্ষমতার উৎস বিড়ি । জেলখানায় বিড়ি দিলে হাজতমেটরা মাথা টিপে দেয় । সন্মান দেয় । অনুগত থাকে । এই মুহূর্তে আমার ও বিড়ি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে । গা বা মাথা টেপাটেপির কোন অভ্যাস আগেপরে নেই তাই সাহস নিয়ে বিড়ি চাইতে পারছিনা ।

তিন - হাজতফেরত মানুষের কাছে কোন টাকাপয়সা থাকেনা। হাজত থেকে বেরিয়ে সোজা হাটা শুরু করেছি। পকেটে হাজতমেটের দেওয়া তিনটে বিড়ি। গন্তব্য জানিনা। পৃথিবীতে কারো কোন গন্তব্য নেই। বর বিয়ে করতে যাচ্ছে। গন্তব্য কনের বাড়ি। গাড়ি একসিডেন্ট করে গন্তব্য হাসপাতাল হতে পারে। যিনি গন্তব্য নির্ধারন করে দেন তিনি আমাদের খুব কাছেই আছেন। এত কাছে যে তাকে দেখা যায়না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.