নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
সারা বিকেল আর সন্ধ্যে নিউমার্কেট ঘুরে বাসায় ফিরছিলাম। রাত ১০ টা। প্রচন্ড বৃষ্টি। ছাতা নেই। ভিজে জবুথবু। রাস্তাঘাট ফাকা। কোন ভ্যান রিকসা নেই। আমার বাসায় ফেরার পথে বিলের মত একটা জায়গা বাধে। দুইটা বটগাছ আছে। লোকজন ধারনা করে এখানে ভুত টাইপ কিছু থাকে। গত ২০ বছরে এখানে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা গোটা পঞ্চাশের কাছাকাছি। বটগাছ ক্রস করতেসি। এমন সময় কোত্থেকে আওয়াজ আসলো "দাড়া"। আমি ভাবলাম সম্ভবত আমিও ভুত দেখার সৌভাগ্য অর্জন করছি। আমি সাধারনত এই টাইপ পরিস্থিতিতে ভয় কম পাই। ঘটনা শেষ পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করি। আমি ঘটনা দেখার অপেক্ষা করছি। বটগাছের ঐপাশ থেকে জন সাতেকের একটি দল এসে সামনে দাড়ালো। ঐ সেই পুরানো আওয়াজ শোনালো তবে রি-মিক্স করে।
ভাইজান সামনে ঈদ। সেলামী দেন!!!
আমি বাম পকেট থেকে কনডমে মোড়া দুটো মোবাইল আর পলিথিনে মোড়া মানিব্যাগ আর এক খিলি জর্দা পান বের করলাম। বৃষ্টিতে ভেজার পর পান খেলে শইল গরম হয় বলে ধারনা ছিল এলাকার এক পাগলের। আর কনডোমে মোবাইল ভরে রেখে পানির হাত থেকে বাচানো শিখেছি জেলেদের কাছ থেকে!
দলের মধ্যে থেকে একজন আমার কনডমে মোড়া মোবাইল আরেকজন পলিথিনে মোড়া মানিব্যাগ নিয়ে ঠাট্টা করতেসে।
কনডম ছিড়ে মোবাইল বের করে একজন আরেকজনের কানেকানে কি বললো। আমি অস্পষ্টভাবে শুনলাম ... এইচ টি সি মোবাইল...স্কিনে রোমেন ভাইয়ের ছবি...
দুইজনের কানাকানি শুনে বাকিরা পিছিয়ে গেল। এই দুজন ও পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে মানিব্যাগ মোবাইল পিচের উপর রেখে। আমি মোবাইল উঠিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দেখলাম অমুক...অমুক...অমুক
ভদ্র ঘরের ছেলেরা
( শুনতাম এই রোডে রাতে ছিনতাই হয়। আজ বুঝলাম কারা করে )
©somewhere in net ltd.