নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
খুলনা শান্তিধাম ওমেকা ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিং থেকে বের হয়েছি মাত্র। পাশেই চায়ের দোকান। সৌম্যদর্শন একটি ছেলে চা খাচ্ছে। হঠাত একটা হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেল পাশে এসে থামলো। বাইক থেকে নেমেই দুটো ছেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চা খাচ্ছে যে ছেলেটি তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো শুরু করলো। আমি দুই মিনিটের সেই বীভৎস দৃশ্য এখনো দেখি। একটি ছেলে ছটফট করে মারা যাচ্ছে। পিচের উপর দিয়ে রক্ত গড়িয়ে ড্রেনে গড়িয়ে পড়ছে। মনের সেন্সরবোর্ড সেই দৃশ্য মুছে ফেলেনি এখনো। সেটা আমার দেখা প্রথম প্রকাশ্য খুন।
দ্বিতীয় খুন- খুলনার কোন এক এলাকায় একসময় দুটো গ্রুপ গজিয়ে উঠলো। সিন্ডিকেট, ছিনতাই, চাঁদাবাজি চক্র থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রন এই দুই গ্রুপের হাতে। যে গলি দিয়ে আমাদের বাসায় ঢুকতে হত সেই গলির সামনে ছিল চায়ের দোকান। এক গ্রুপের ছেলেরা সবসময় ঐ গলিতে আড্ডা দিতো। সেই সুবাদে ছেলেগুলা আমাকে চিনতো। গ্রুপ লিডার, ধরি মানিক ভাই আমাকে স্নেহ করতেন। একদিন সাড়ে এগারোটায় চা খেতে ওই চায়ের দোকানে ঢুকতে গিয়ে দেখি মানিক ভাই বসা। ওনাদের দেখে চলে আসছি। মানিক ভাই বললেন চা খেয়ে যাও। আমি বললাম ভাই আসছি। বলে কেবল পিছনে ফিরেছি। এর মধ্যেই পরপর চারটে গুলির শব্দ। তাকিয়ে দেখি মানিক ভাইয়ের শরীরের অর্ধেক বেঞ্চের ওপারে আর অর্ধেক বেঞ্চের এপারে। একটা গুলি চোখ ভেদ করে চলে গেছে।
তৃতীয় খুন- ২০১২ সালের রোজার মাস। আমাদের গ্রামের এক ছেলেকে পাশের গ্রামের এক পাড়ার কয়েকজন বিনা কারনে পিটিয়েছে। যাকে পিটিয়েছে সে আমার পাশের বাড়ির। একসাথে বেড়ে উঠেছি। রাজীবকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে শুনে আমার মাথায় খুন চড়ে গেল। আমাদের বাড়ি বানানোর সময় জাহাজের স্টিলের কাটপিচ বেচে গিয়েছিল কিছু। দৌড়ে বাসায় ঢুকে তার একটা নিয়েই ছুটলাম। এলাকা ততক্ষনে রনক্ষেত্র। বোমা, গুলিগোল্লা, চলছেই। আমাদের এক ভাইয়ের গুলি লেগে গেল। তারপর থেকেই আমরা মারমুখো হয়ে উঠলাম। ততক্ষনে আমার বাম কাধে একটা গুলি এসে লেগে গেছে। আমি ক্রমশ জ্ঞান হারাতে হারাতে দেখলাম পুকুর পাড়ে অপজিশনের একজনকে পেটানো হচ্ছে। মুখ দিয়ে শুধু রক্ত পড়ছে। আমি আই সি উ তে ছিলাম তিনদিন। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারলাম পুকুর পাড়ে যাকে পেটানো হচ্ছিল সেই একমাত্র মারা গেছে।
এগুলো হয়, হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকাশ্যে মাত্র তের বছরের ছেলে রাজনকে মেরে ফেলে ফেইসবুকে আপলোড করা হল! এ কেমন নৃসংসতা !!
দুই হাজার টাকায় স্মমার্টফোন আর ফ্রি ফেইসবুক ই কি এর জন্য দায়ী ?
খোদ নির্যাতনকারীরাই সেটি পরিকল্পিতভাবে তুলে। এবং উল্লাস করতে করতে তার ভিডিওধারণ করেছে। ‘লাইভ নির্যাতনের’ এই ভিডিওটিও তারা আবার নিজেরাই ফেসবুকে আপলোড করেছে। নির্যাতনকারীদের যে সঙ্গী ভিডিও ধারণ করছিল, তাকে উদ্দেশ্য করে নির্যাতনকারীরা জানতে চায়, ঠিকমতো ভিডিও ধারণ হচ্ছে কি-না। ‘ফেসবুকে ছাড়ি দিছি, অখন সারা দুনিয়ার মানুষ দেখবে ’ জবাব দেয় ভিডিওধারণকারী।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৮
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: এদের খুজে পাওয়া গেছে। রিমান্ড চলছে। সঠিক বিচারের প্রত্যাশা।
আর এই অধঃপতনের হাত থেকে বাচার উপায় অনলাইন নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৪
গাওগ্যারামের পোলা বলেছেন: খুনিদের ঠিক একই কায়দায় সবার সামনে মারা উচিৎ । কিন্তু এদেশে এত বড় বর্বর ঘটনার কি আদৌ কোন বিচার হবে?
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১০
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: আপনি ঠিক কোন ঘটনার বিচার চাইলেন? আগেরগুলা হোক। তারপর না হয় এরা। আপাতত সরকারী টাকায় কয়েক বছর খানাপিনা করে নিক
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের সামনে এদের ফাঁসী দেয়া হোক; সিলেটবাসী শিখুক।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২০
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: শুধু সিলেটীরা নয়। সমগ্র পৃথিবী দেখুক। ইউটিউব কত্তৃপক্ষ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছে। বিশ্ব দেখেনি। এদের ফাসি দিয়ে ঐ ভিডিওর শুন্যস্থান পূরনের দাবী।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৪
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কোন রকমেই মানতে পারছি না!! এটাও দেখতে হলো!!
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৮
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: এরপর আরো ভালো মানের ভিডিও পাবেন। অপেক্ষায় থাকুন। কয়েকটি নতুন স্মমার্টফোন বাজারে এসেছে। ১০৮০ পিক্সেলের রেকর্ডিং হয় দাম ৮ হাজার
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বিবেকশূন্য জাতি হয়ে ওঠার পথে
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: বিবেকের দায় কতখানি জানিনা, তবে এই ঘটনাটা সামনে আসায় প্রশ্ন উঠেছে। আড়ালে এর চেয়ে তীব্র নিষ্ঠুর কিছু ঘটে!
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নির্মম, পৈশাচিক, অমানবিক
নিষ্ঠুরতার চরম প্রকাশ. ধিক
এই মানবরুপী পশুদের।
নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দাবী করছি।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৬
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: এদের রিমান্ডে নিয়ে এগ থেরাপি থেকে শুরু করে যতরকম প্রসেস আছে সবগুলো আ্যপ্লাই করা উচিত। এদের এই নির্মমতা দেখে আমার কোন মানবতা বিবেকবোধ কিছু নেই এদের প্রতি। ক্ষমাশীলতা মহানুভবতা বলে কোন শব্দের অস্তিত্ব নেই অন্তত এই জা*জ সন্তান গুলোর জন্য।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৯
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: এই অমানুষগুলোকে মন থেকে ঘৃণা করি। আপনার পোস্টে গালিটা দিয়েই ফেললাম। ক্ষমা করবেন আমাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০২
নতুন বলেছেন: সমাজের এই সব সাইকোরা আগে নিরবে এসব করো... কিছু খবর পত্রিকায় আসতো..এখন অনলাইনে সবার কাছে দ্রুত পৌছায়।
কিন্তু সমাজের এই অধপতনের থেকে রক্ষাপাবে কিভাবে।
পুলিশ এদের খুজছে। আশা করি এদের শাস্তি নিস্চিত হবে।