নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
জয়ি,
আজকেও ঘুম আসেনি। আমি আমার রুমের দরজা খোলার সাথে সাথে কোথা থেকে যেন মারাত্বক রকমের হাস্নাহেনার ঘ্রাণ আমার সমস্ত ঘরে ঢুকে পড়ল। তারপর আর ঘুম হয়নি। ঘরভর্তি হাসনাহেনা হাসনাহেনা ঘ্রাণ নিয়ে বসে আছি। একটা জিনিস প্রচণ্ডভাবে টের পাই। আমার ভেতরটা আসলে এখনো অনেক নরম। আমি প্রচণ্ডভাবে সংক্রামিত হতে পছন্দ করি। কাশফুল দেখে আমি অসুখে ভুগি, তোমার সাথে ঝগড়া হলেই জ্বর আসে, প্রচণ্ড ভালোবাসা পেলে গলা ভারী হয়ে আসে, আমার রোদচশমায় দুপুর দেখে বিভ্রান্ত হই, বৃষ্টি পড়লে ছাঁদে যাই। এটা ঠিক না। অনেকটা ইম্যাচুরড ব্যাপারস্যাপার।
ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন ঘটনা। হঠাৎ করে প্রচণ্ড বৃষ্টি। সবাই এক ছুটে পালাল। আমি ডিপার্টমেন্ট এর সামনের রাস্তায় ভিজলাম। সমস্ত সবুজ আর প্রচন্ড বৃষ্টি। কেমন যেন একটা হ্যালুসিনেশান। আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে। তারপর একটানা ৭ দিন জ্বরে ভুগলাম। বৃষ্টিতে ভেজা নেশার মত হয়ে গেল। মনে আছে ঐ সিজনের কোন বৃষ্টি মিস করিনি। তারপর হলে গিয়ে কাপড়চোপড় চেঞ্জ করতাম। রকির রুমে। ওহ হ্যা। ছেলেটা যে খ্রিষ্টান সেটা টের পেয়েছিলাম অনেক পরে এসে।
ইদানিং আরেকটা নেশায় পড়ে গেছি। বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। একটা থ্রিডি গ্লাস আর অনেকগুলো ত্রিমাত্রিক সিনেমা ধরিয়ে দিয়েছে। সিনেমা দেখাটা নেশার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারারাত কানে হেডফোন আর চোখে ত্রিমাত্রিক সিনেমা দেখার বিশেষ চশমা লাগিয়ে সিনেমা দেখি আর কাপের পর কাপ চা খাই। আমাদের চোখ অবশ্য ত্রিমাত্রিক দেখেনা খুব একটা।
আমার পছন্দ চতুর্মাত্রিক স্থানাঙ্ক। ফোর্থ ডাইমেনশান হচ্ছে সময়। আমার আর তোমার একটা ফোর্থ ডাইমেনশনাল জগৎ আছে। যেখানে স্থান কাল বেঁকে যাচ্ছে ক্রমশই… আমাদের আন্তঃনাক্ষত্রিক ছায়াপথগুলো একটি বিস্ফোরণ থেকে প্রাপ্ত বেগের কারণে পরস্পর থেকে দূরে……বহুদূরে… শূন্যের মধ্যে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে…
এই মুহুর্তে আমার সময়কে অস্বীকার করা উচিৎ। না?
-রি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার।