নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার খোলস মাত্র! আমি মানে একজন নষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষ, ব্যর্থ প্রেমিক, দারুন একজন পাঠকের অপমৃত্যু, লেখক পরিচয় দিতে লজ্বাবোধ করি। তবে আমার ভেতরে যিনি লেখালেখির চেষ্টা করতেন তিনিও শয্যাশায়ী!।।

তেলাপোকা রোমেন

যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।

তেলাপোকা রোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলেখালেখি-২

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫১

ভদ্রলোক সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে টিভি দেখছিলেন। মজার প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম আমি দেখেছি। এক এক করে সব ম্যাজিশিয়ান দের সিক্রেট ফাঁস করে দেওয়া হয়। একজন তরুণীকে কফিনে ভরে কফিনেই ছোরা চালানো হচ্ছে এফোঁড়ওফোঁড় করে। কিন্তু কফিন খোলার পর দেখা যাচ্ছে তরুণী দিব্যি হাসিমুখে দর্শকের উদ্যেশ্যে হাত নাড়ছে!
রহস্য হলঃ কফিনের মধ্যে আরো একটা গোপন কম্পার্টমেন্টে ছিল। কফিনে ঢুকেই মুহূর্তের মধ্যে তরুণী ঐ গোপন কম্পার্টমেন্টে চলে যাবে। ছুরি তলোয়ার কোন কিছুই তাকে স্পর্শ করবে না।

আমার সময় খুব অল্প। আমি আমার রিভলভার বের করে দুটো গুলি করলাম জানালা দিয়ে। একটা বুকে আরেকটা মাথার পিছনের দিকে। ইনফর্মারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বাড়িতে ভদ্রলোকের একা থাকার কথা এই সময়ে। কিন্তু করিডোর ধরে দৌড়ে লিফটের কাছাকাছি যেতেই আবছায়া একটা নারীমূর্তি চিৎকার করে এগিয়ে আসছে।

আমি আরো একটা অব্যর্থ শ্যুট করলাম এবং ততক্ষণে দৌড়ে আসা নারীমূর্তিরর চেহারা স্পষ্ট। আমার প্রাক্তন প্রেমিকা। সোমদত্তা!

প্রকৃতি কতকগুলো ঘটনার একটামাত্র ছবি সাজায়। জিগস পাজলের মত। অনেকগুলো কাঠের টুকরোতে একটা ছবির বর্ণনা দেয়া থাকবে। টুকরোগুলো কখনোই এক করা যাবেনা। মানে পাজল সলভ করে ছবি সম্পূর্ণ করা যাবেনা। কিন্তু জীবনের উত্থান পতনে এই পাজলের টুকরোগুলো মাঝেমাঝে ছবির কিছু অংশ তৈরি করবে। সেই ছবির একাংশে দেখা যাবে সোমদত্তা আমার সাথে বসে বাদাম খাচ্ছে। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যাবে পাজলগুলো আবার কোন কারনে নাড়াচাড়া লেগে আরেকটা অসম্পূর্ণ ছবি তৈরি করেছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সোমদত্তা নামের সেই তরুণী আবার অন্য একজনের স্ত্রী হিসেবে রান্নাঘরে কফি বানাচ্ছে!

আবার পাজলের টুকরোগুলো অন্য কোন ঘটনায় নাড়াচাড়া লেগে আরেকটা অসম্পূর্ণ ছবি তৈরি করছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিলিং কন্ট্রাক্টে সোমদত্তার স্বামী আমার রিভলভারের দুটো গুলিতে মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমি জানতে পারছিনা এটা সোমদত্তার স্বামী! এবং ঐ একই ছবিতে সোমদত্তার আততায়ী আমি! এই বৃহৎ পরিকল্পনার ছবি প্রকৃতি কখনোই প্রকাশ করবেনা।

আমি সেন্ট্রাল এসির মধ্যে থেকেও ঘামছি। সোমদত্তার হাতে দৌড়ে আসার সময় কফির কাপ ছিল। সেটি ভেঙে মেঝেতে টুকরোটুকরো হয়ে আছে।

আমি ছুটে ঘর থেকে বের হলাম ভবিষ্যতের দিকে। আমাদের মনস্তত্ত্ব ভবিষ্যতমুখী। আমরা অতীতের কোন ঘটনাই মনে রাখিনা। আমাদের গন্তব্য ভবিষ্যতের দিকে। সোমদত্তার হাতের কফির কাপ একসময় রান্নাঘরে ডেস্কের উপর ছিল এই ঘটনা আমরা মনে রাখবো না। আমরা মনে রাখব সোমদত্তার কফির কাপ ভেঙে টুকরো হয়ে মেঝের উপর ছড়িয়ে আছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২২

লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: :) খুবই ভালো কইলেন্না ক্যান :(

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

সুমন কর বলেছেন: লেখার ধরনটা ভালো লাগল। প্লাস।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: ভালোবাসা নিবেন

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ চমৎকার গল্প। পড়ে শান্তি পেলাম।
ধন্যবাদ নিন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: শুভকামনা। ভালো থাকবেন

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
নিরীক্ষাধর্মী গল্প ভাল লাগল খুব।

শুভকামনা জানবেন। :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.