নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
কোথাকার কোন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষিকা ছাত্রের চুল কেটে ফেললো সেইটা নিয়ে দেশ তোলপাড় হয়ে গেল৷ হট টপিক৷ কিন্তু গত এক বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ফায়েক সাহেব যেসমস্ত অপকর্ম করে গেছেন সেইসব নিয়া কেউ কোন কথা বলেনাই৷ অবৈধভাবে তিন শিক্ষককে অপসারণ করে ফেলা হয়েছে৷
ভিসি অফিসের এক কর্মকর্তা আমার পাশের ফ্লাটে ছিলেন তখন৷ ভদ্রলোক মাঝে মাঝে দুঃখ প্রকাশ করতেন৷ শুনতাম ভেতরকার কাহিনী৷ এনাদের অপসারণ করা হয়েছিল কারন ছাত্র আন্দোলনে এই শিক্ষকেরা ফুয়েল দিয়েছিলেন৷ খুবই দরকারী দাবিদাওয়া ছিল স্টুডেন্টদের৷ শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি কমানো, আবাসনসংকটের সমাধান এবং আরো দুই তিনটা ভ্যালিড ডিমান্ড ছিল তাদের৷
এই বিষয়ে কেউ কথা বলেনাই মাননীয় স্পীকার৷ বিশ্বাস করেন কেউ বলেননাই৷ আতেল, সুশীল, বাম, রাম কেউ না৷
তো এইটা হইতেসে রিসেন্ট পাস্ট৷ এইবার অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আসেন৷
ড. সেলিম সাহেব৷ এই ভদ্রলোকের সাথে একবার সাহাব ভাইয়ের বাসায় এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পরিচয় হইসিলো৷ সাহাব ভাই বলসিলেন এই লোক কোন শো অফের মধ্যে নাই৷ অভাব অনটনের মধ্যে বড় হইসেন৷ রাস্তায় ফল বেচে পড়ালেখার খরচ চালাইসেন৷ দারুন একজন মানুষ৷ ব্লা ব্লা৷
এর পর পাঁচ বছর গেসে৷ উনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ক্রিপ্টোগ্রাফিতে PHD নিয়ে এসে কুয়েটেই প্রফেসর হিসেবে যোগদান করলেন৷ একদল ছাত্র(!) তাকে অপমান করলো৷ কি বিষয় নিয়ে অপমান করলো? হলের ডাইনিং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে! মানে আপনি বুঝতেসেন একদল ছাত্রকে তাদের বাপ মা কুয়েটে পাঠাইসে হলের ডাইনিং ম্যানেজার হওয়ার জন্য৷
উনি বাসায় ফিরে লজ্বায়, অপমানে স্ট্রোক করে বাথরুমের মধ্যে মরে গেলেন৷ এইটা নিয়ে দেশ গরম না, কেউ গ্রেফতার হয়নাই, কাউকে বহিস্কার করা হয়নাই৷ কি আশ্চর্য! কুয়েটে একটা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করা হইসিলো৷ তারা বলেছে তদন্ত করতে পারবে না৷ চাপ আছে উপর মহলের
আবার ছাত্রলীগ বলতেসে উনি স্ট্রোক করে মারা গেসেন৷ আবার তারাই বলতেসে সেলিমের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ তার মানে তারা দোষ স্বীকার করে নিসে! ফানি না?
এইসব ঘটনা তো নতুন না৷ খুলনার বি এল কলেজের এক নেতা একবার প্রিন্সিলাল সাহেবকে স্টেজের উপরে থাপ্পড় দিয়েছিল৷ সেই ঘটনার বিচার হয়নাই৷ সেই নেতা অবশ্য এখন আওয়ামিলীগ এর গাড়ি পোড়ানো মামলায় বছরের ছয় মাস পালায়ে বেড়ায়৷
এক কাজ করেন৷ আপনারা যেহেতু শিক্ষকের মর্যাদা দিতে পারতেসেন না৷ ভুলভাল মানুষরে ভিসি বানাইতেসেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোক্রেসি চালাইলে সেইটার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারতেসেন না৷
সেহেতু দুই রকম ইউনিভার্সিটি, স্কুল, কলেজ বানান৷
একটায় যাবে যারা শুধুমাত্র পড়ালেখা করতে চায়৷
আরেকটায় আপনারা দলীয় ক্যাডার, চোর, ছ্যাচ্চড়, বদমায়েশ, ধর্ষক এগুলো পড়াবেন৷ সেগুলোর ভিসি বানাবেন ফায়েক উদ্দিনের মত জানোয়ারদের৷ সেগুলোর ছাত্র নেতা হবে ধর্ষনে সেঞ্চুরি করা মানিক৷ হলের ডাইনিং এর ম্যানেজার হওয়ার লোভে শিক্ষককে খুন করা ছেলেপেলে৷
রিয়াজ রোমেন
খুলনা
ডিসেম্বর ৫
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: খবরে দেখলাম নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও কিছুই হবে না। কদিন পরে যেই লাউ সেই কদুই হয়ে যাবে।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্রলীগ ভয়ংকর।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী কুয়েট রেখে আসলাম আর কী দেখতেছি এখন!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা। দেশের সকল সরিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অবস্থা। প্রিন্সিপাল /ভিসি আর ছাত্রলীগ সমার্থক।