![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শহরে আমি নেই আমি থাকবোনা,সেই শহরে তোমাকে ছুয়ে দেবে বিষাক্ত রোদ্দুর,ছায়াহীন মেঘ,বারুদে ঝাঝালো বাতাস,ন্যাপথলিনের উগ্রতা।
অন ফ্লোর্টিং বডিতে আর্কিমিডিস লিখেছিলেন- যে জিনিস যত ডুবে, সে ততই নিজের ভার হারায়। আমি হয়তো নিজের ভার হারাচ্ছি। আমি ডুবে যাচ্ছি। আই এম আ ফ্লোর্টিং বডি রাইট নাও। স্ক্রিনে আবারও ঝিকঝিক করে লেখা উঠলো — রেইনি ডেইজ আহেড। তখন আমি জানলার দিকে তাকায়ে দেখতেসিলাম—
আমার সাবেক প্রেমিকার স্কার্ফ, বৃষ্টিতে ভিজে জানালার রডে শুকোচ্ছে না, শুধু ধীরে ধীরে নিচে নামতেসে। এই জিনিসগুলা আসলে আর শুকোতে চায় না । কারণ তারা জানে, একবার শুকায়ে গেলে পুরনো গন্ধ আর ফিরবে না।
আই অ্যাম আ ফ্লোর্টিং বডি রাইট নাও।
তবু জানি—
এই বৃষ্টি একদিন থেমে যাবে,
স্কার্ফটা হয়তো শুকায়া যাবে,
তবে তার গন্ধ থাকবে না।
ক্রিনে তাকালাম। ৩ টা বাজে। এই সংখ্যাটাকে দেখতে পাথরের মতন লাগছে। কঠিন, নিঃসঙ্গ, প্রাণহীন। একটা নিখুঁত গোলাকার বোতামের মতন, যেটা কেউ কেটে ফেলে দিয়েছে পুরনো কোট থেকে। সংখ্যা আর স্মৃতি সব সময় একই কাগজে বাসা বাঁধে।
আর্কিমিডিস বুঝেছিলেন, সবকিছুই ভেসে থাকে এক বিন্দু ভারসাম্যের জন্য। তাই— রাইট নাও আই এম আ ফ্লোর্টিং বডি। সামান্য বাতাসে আমি দুলে দুলে উঠছি। Fluctuat nec mergitur. আমি দুলেই যাবো, কিন্তু ডুবে যাবোনা। ল্যাটিন শব্দগুলা আসলে পুরনো সিগারেটের কৌটার মতন।
আর ডুবে যাবার পরেও আমি জানবো- এই ডুবে যাওয়া মানেই শেষ না। কখনো কখনো, ডুবে যাওয়াটাই ভেসে থাকার প্রথম ধাপ। এই শহর এইসব চিন্তা আমাকেও ফরাসি করে ফেলেছে। ডুবে যাচ্ছি- কিন্তু সেখানে জলের নিচেও একটা বিপ্লব থাকে।
আই অ্যাম আ ফ্লোর্টিং বডি রাইট নাও।
শিপইয়ার্ড। খুলনা।
©somewhere in net ltd.