নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তপন চাকমা

তপন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত বাকশক্তির জাগ্রত অনুভূতি

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

দেশের চলমান বাস্তবতা বিবেচনার দিক থেকে জনগণের বাকশক্তি খুব একটা নাগরিক অধিকারের কাছাকাছি কিংবা সংস্পর্শে নেই বললে চলে।মুক্তচিন্তার হৃদস্থল থেকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে টু শব্দ করাও দোষের।পিছু ছুঁটে সবসময় গ্রেফতারের ভয়!প্রাণনাশের হুমকির ভয়।তবে যারা সত্যকারের মুক্তমনার অধিকারী হয় তারা কখনো মৃত্যুর ভয়কে পরোয়া করেনা।তারা লিখে চলে অবিরাম যতদিন থাকে কলম শক্তি।সেসব মুক্তমনা লেখকরা বিশ্বের দরবারে তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে সত্যকে তুলে ধরে মৃত্যুর শপথ নেয়।যেমনটা সেই শপথ নিয়ে মৃত্যুকে জয় করে সকলের মাঝে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের শীর্ষে অমর হয়ে আছেন প্রগতিশীল মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার আমাদের প্রাণপ্রিয় শ্রদ্ধাভাজন অভিজিৎ রায় দাদা।বর্তমানে অভিজিৎ রায় দাদার মৃত্যুর জয় নিয়ে কিছু লিখলেই রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সেটা হয় অন্যায়।বছরের পর বছর বিচার বহিঃর্ভূতভাবে পড়ে আছে শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ রায় দাদার হত্যাকান্ড।এই ব্যার্থটা কারোর নয়,এই ব্যার্থটা রাষ্ট্রের।এই লজ্জা কারোর নয়,এই লজ্জা রাষ্ট্রের।
এভাবে পড়ে আছে আরো অসংখ্য প্রগতিশীল লেখক ব্লগারের হত্যা মামলা।সেসব প্রগতিশীল লেখক ব্লগারদের দোষ বলতে খুব একটা কঠিন কিছু নেই।তাদের দোষ একটাই তারা মুক্তমনের আলোকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যকে বিশ্বের দরবারে লেখালেখির মাধ্যমে উন্মোচন করে বলে।কথাগুলো বলছি একারণে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের যাতে অতিদ্রুত কর্ণপাত হয়।তবে হবে কিনা জানিনা!কারণ সাধারনত রাষ্ট্র এসব কথা আমলে নেয় না।যদি আমলে নেয় তবে হয়তো নিজের নামমাত্র মানবতার আড়ালে থাকা দানবতার ফোকাসটা পাবলিকে বেড়িয়ে আছে!সত্য এটাই।
আমার নতুন ভাবনা আমি মুক্তমনের মাঝে হারিয়ে যাবো চিরদিনের চিরতরে।একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে কেন থাকবে অন্যায় অবিচারের আইন ব্যাবস্থা?সেসব অন্যায়ের প্রতিকূল অবস্থানে থাকবে আমার মুক্তচিন্তার ভাবনা।খুব দীর্ঘসময় ভেবেচিন্তে আমার এই ব্লগিং রাজত্বে পা দেওয়া।অন্যায়ের মূখোশ খুলে সত্যর সন্ধান খূঁজে বেড়ানো আমার ব্লগিংয়ের প্রথম এবং অদ্ধিতীয় উদ্দেশ্য।আমি চাই রাষ্ট্র থেকে দানবতার পতন হোক।একটি সুসমৃদ্ধ মানবতাবান্ধব রাষ্ট্র গঠন করার পক্ষে আমি থাকবো এবং থেকে যাবো।গরীব,দুঃখী,মেহনতী মানুষের অধিকার নিশ্চিৎ করে রাষ্ট্রকে তুলে আনা বিশ্ববাসীর প্রসংশার শীর্ষে।গণতান্ত্রিক অধিকার থাকুক রাষ্ট্রের সকল স্তরের মানুষের মাঝে সমানভাবে।বহু ধর্মের, বহু ভাষাভাষির এবং বহু জাতের রাষ্ট্রের কেন থাকবে এক জাতি স্বাধীন এবং অন্য জাতি পরাধীন(?)এটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মোটেও গর্বের বিষয় নয় বরং লজ্জার।প্রশ্ন আসতে পারে, কোন জাতি পরাধীন(?)হ্যাঁ,আমি খোলাসা করবো স্বাধীন রাষ্ট্রে পরাধীন জাতির অবস্থান।
আমাদের এই বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটা বৃহৎ অংশ যার নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম।নামটি আমাদের সকলের জানা তবে অজানা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা।পার্বত্য চট্টগ্রাম মূলত তিনটি জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি নিয়ে গঠিত।সুউচ্চ পাহাড়ে মনোরম পরিবেশ এবং বৈচিত্রময় প্রকৃতিতে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম।পার্বত্য চট্টগ্রামে রয়েছে ১৩ ভাষাভাষি ১৪ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর বসবাস।১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলার গৌরবীয় সন্তান সেনাবাহিনী এবং বহিরাগত সেটেলার বাঙালী কতৃক নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সেসব আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীরা।দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাধান করতে গিয়ে তথসময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে আদিবাসীদের পক্ষে “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি”র মধ্য “পার্বত্য শান্তি চুক্তি” নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে,”পার্বত্য শান্তি চুক্তির” দীর্ঘ ২২ বছর অতিবাহিত হলেও হয়নি এখনো চুক্তির মৌলিক ধারাগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন।এবং বিপরীতে চাঁপিয়ে দেওয়া হচ্ছে পার্বত্য চুক্তি পরিপন্থী আইন ব্যাবস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কতৃক।অব্যাহত সেনাশাসন!বহিরাগত সেটেলার বাঙালী কতৃক আদিবাসীদের জায়গা জমি দখল!সেনাবাহিনী এবং সেটেলার বাঙালী কতৃক আদিবাসী নারীদের ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর নৃসংশভাবে হত্যা ইত্যাদি নির্যাতন,নিপিড়ন,শাসন ও শোষণ। তাও আবার সম্পূর্ণ বিচার বহিঃর্ভূত।বিচারের দাবিতে রাজপতে নামলে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে আদিবাসীরা হয়ে যায় রাষ্ট্রদ্রোহি,দেশদ্রোহি!নেই তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার,নাগরিক অধিকার,সাংবিধানিক অধিকার,রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার। তাহলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের গৌরবতা থাকলো কোথায়??? প্রশ্ন সাপেক্ষ।
কেবল এটি বা এধরনের অন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়। দেশের সমতলের বিভিন্ন অংশে উক্ত বাস্তবতার শিকার অনেক সর্বহারা গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষ।ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার অনেক নারী।
তাই আমার ভাবনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়,রাষ্ট্রেরর মধ্য সৃষ্ট অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে,অন্যায় সৃষ্টকারীদের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.