![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সাথে প্রতারণা করি না। যেটা বিশ্বাস করি, সেটাই লিখি
একজন মানুষ ঘাতকের হাতে মৃত্যুবরণ করলেন। মৃত্যুর পর লক্ষ মানুষ তার জানাযায় অংশ নিল। বলা হলো তিনি নাস্তিক তাই তার জানাযায় যারা অংশ নেবে তারাও নাস্তিক।
তারপর- তাকে নাস্তিক প্রমাণের জন্য সবাই উঠেপড়ে লাগলো-। অথচ কথা আছে- তুমি যাকে নাস্তিক বলবে সে যদি নাস্তিক হয় তাহলে ঠিক আছে-- আর যদি সে নাস্তিক না হয় তাহলে তোমার কথা তোমার দিকেই ফেরত আসবে।
যার বিচারের দায়িত্ব এখন আল্লাহ তায়ালার, তার বিচার করার জন্য মরীয়া হয়ে উঠলো সবাই। কেন? তিনি যদি রাসুল বা আল্লাহ সম্পর্কে কোনো খারাপ মন্তব্য করেন তাহলে সেটা তো মৃত্যুর আগেই করেছেন। তখন এ নিয়ে কথা হলো না কেন?
দাফনের পর যখন তার আচরণের পর আল্লাহ এর গজব শুরু হওয়ার কথা- তখন মানুষ কেন গজব করবে?
এরা কি আশরাফুল মখলুকাত? হে আল্লাহ- এই নির্বোধ মানুষদের তুমি ক্ষমা কর আর এর পেছনে ইন্ধনদাতাদের তুমি হেদায়েত কর।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। তবে যথাসময়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে বললে ভাল হতো। আর যে মানুষ মৃত তার প্রতি অভিযোগ তুলে কোন লক্ষ্য অর্জিত হবে?
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
এনজেল মাইন্ড বলেছেন: "janaja " mane holo doa kora Allah paker kase mrito bektir jonno..ar Je bekti behest-dojokh biswas korto na,Allah ke slang dito tar Janaja pore Allah paker sathe rosikota korlen naki ?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: সে দায়িত্বটা আমরা নেব কেন? আল্লাহ কি রসিকতা বোঝেন না? আর বিচারের মালিকতো তিনিই। নাকি মৃত মানুষের বিচারটাও মানুষ করবে? তাহলে কি শিরক হয়ে গেল না?
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তিনি যে নাস্তিক ছিলেন, তার জন্য কি আপনার প্রমাণ প্রয়োজন???
তাহলে এই পোস্টের ৩ এবং ৪ নং কমেন্টের লিংকগুলো দেখুন।
Click This Link
তিনি যেহেতু আত্মস্বীকৃত নাস্তিক, তাই কোন মুসলমানের তার জানাযায় যাওয়া হারাম !
কেন হারাম সেটা জানতে এই পোস্ট দেখুনঃ
Click This Link
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আমার প্রমাণের প্রয়োজন নেই। ধরে নেই তিনি নাস্তিক ছিলেন- তাহলে আগে এই কথা বললে অনেকে হয়তো তার জানাযায় যেতো না। তাহলে যারা না জেনে গেছে তারা কি সব নাস্তিক হয়ে গেল?
আর এখন কাকে শাস্তি দিচ্ছেন যিনি মারা গেলেন তাকে না যারা না জেনে জানাযায় গেলেন তাকে? জহিরুল ইসলাম নাম থাকলেই যেমন কেউ ইসলামপন্থী হয় না জামাতে ইসলাম মানেই ইসলাম না।
ইসলাম তো আচরণের। সেটি কি জাতীয় পতাকা ছিড়ে প্রমাণ করতে হবে? তাহলে তো ইসলামকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে কে? নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। বিধর্মীকে হত্যা করাও অপরাধ। কারণ আইন প্রয়োগের সিস্টেম তো মানতেই হবে।
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
এনজেল মাইন্ড বলেছেন: Sobar dabi ektai " Juddho-oporadhi" der fasi ......keo jate islam ke bachar jonno use na kore
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কেন, ব্যবহার করছে না? আপনার কি মনে হয়?
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮
আয়রন ম্যান বলেছেন: রাজিবের ব্যাপারটা আমি ভালোভাবে জানি না- সে নাস্তিক না আস্তিক ছিলো
আপনার থিউরি অনুযায়ী তো আসিফ মহিউদ্দিনেরও জানাজা পড়তে হবে। আর যদি আসিফ মহিউদ্দিনের জানাজা পড়া হয় তাহলে তো বাংলাদেশের যেকোন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানের মৃতু্র পরও জানা পড়া উচিৎ, তাই নয় কি?
যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে আশাকরি উত্তর দেবেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৭
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন যদি নাস্তিক জেনে যদি কেউ জানাযা পড়তে না চায় তাহলে তো দোষ দেওয়া যায় না। আমার হিসেবে ধর্ষনকারীর জানাযাও পড়া উচিত না। কারণ তারা নিজেরা আস্তিক সাজে আর নারী ধর্ষন করে। আমার মতে যারা রগ কাটে তাদেরও জানাযা পড়া উচিত না। কারণ তারা আস্তিক সাজে আর কর্মে ইসলাম বিরোধী আচরণ করে।
আপনি মুসলমান তো। বলেন তো ধর্ষনকারী, খুনীদের জানাযা পড়বেন কিনা?
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০
মোঃ শাব্বির আহমাদ বলেছেন: রাজিবের কি আদৌ জানাজা হয়েছে?
১। সূর্যাস্তের সময় সকল রকম নামাজ পড়া হারাম। তার নামাজ হয়েছে ঠিক সূর্যাস্তের সময়।
২। জানাজার নামাজ চার তকবিরের সাথে পড়তে হয়। ওখানে নামাজ পড়া হয়েছে তিন তকবিরের মাধ্যমে।
৩। জানাজার নামাজে মৃত ব্যক্তিকে সামনে রেখে বাকি সবাইকে পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ সবাই মাইয়াত এর একপাশে থাকবে। কিন্তু নামাজিরা মৃত ব্যক্তির তিন দিক ঘিরে ছিল। হায়রে নামাজ?
৪। নামাজ শুধু মাত্র মুসলমানদের জন্য। লাইনের মাঝে কোন অমুসলিম থাকতে পারবে না। সেখানে সকল ধর্মের লোক একসাথে দাঁড়িয়ে কিভাবে নামাজ পড়ল আমার বোধগম্য নয়।
৫। জানাজার নামাজ শুধুমাত্র পুরুষেরা পড়বে। সেখানে কোন নারী থাকবে না। কিন্তু হায় এখানে অসংখ্য নারীর উপস্থিতি এবং অবশ্যই বোরখা ছাড়া। হায়রে নামাজ?
৬। সূর্যাস্তের সময় এমন অদ্ভুত জানাজার নামাজ পড়া হলেও মাগরিবের নামাজে কারো খোঁজ নেই। সমানে গান বাজনা চলছে।
৭। তারপরের কথা হল এমন একজন ব্যাক্তির জানাজা যে কিনা এই নামাজের নির্দেশ দানকারী আল্লাহকে নিয়ে অনেক আজেবাজে মন্তব্য করেছে, এমন একজন ব্যাক্তির জানাজা যে কিনা এই ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে মোহাম্মক বলে গালি দিয়েছে। (নাউজুবিল্লাহ)
এখানে কাকে অপমান করা হল? কার আদর্শকে জলাঞ্জলি দেওয়া হল? কার আদেশকে হেয় করা হল?
এতে হুজুররা ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করলে তাদের দোষ। তাই হুজুরদের উপর নির্বিচারে চালাও গুলি।
এরপরও আপনি কোন মুখে আমাকে বলেন এই ঘটনার নায়কদের সমর্থন দিতে?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: তাহলে তো ল্যাঠা চুকে গেল। যে জানাযা হয় নাই সেটা নিয়ে বিতর্ক করার দরকার কি?
হুজুররা আন্দোলন করলো কি নিয়ে-- জানাযা সঠিকভাবে হয় নাই এ জন্য নাকি জানাযাা পড়ানোর জন্য- নাকি নাস্তিকতার জন্য? যে লোক মারা গেছে সে নাস্তিক বা আস্তিক সেটা তো বিচার্য নয়। তাহলে সঠিকভাবে জানাযা পড়ানো হয় নাই সে জন্য?
আমি কাউকে সমর্থন দিতে বলি না। আপনার নিজের বিবেককে সমর্থন করুন। ওটা কি বলে
? আর ওটা না থাকলে আপনার জন্য আমার এই পোস্ট নয়।
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
মোঃ শাব্বির আহমাদ বলেছেন: আমার বিবেকের কাছে আমি ক্লিয়ার। কারন রাজিবের অনেক পোস্ট আমি পড়েছিলাম। এবং তাও অনেক আগেই। তার মৃত্যুর অনেক আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে এসকল ব্লগে অনেক লেখা লেখি হয়েছে। অনেক কমেন্টস হয়েছে। আমি নিজেও তাতে অংশ গ্রহণ করেছি। এখন আপনি তাকে আস্তিক বানানোর মিশনে নেমে থাকলে জয়লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই এটুকু বলতে পারি।
হুজুররা আন্দোলন করছে কারন এখানে আল্লাহকে এবং মহানবী (সাঃ) কে অপমান করা হয়েছে। তাদের আন্দোলনে আমিও সমর্থন দিব।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: এবং অনেকে আগে পড়েও আপনি তা সবার সামনে আনেননি। এজন্য অনেক মুসলমান তার জানাযায় অংশ নিয়েছে। এখন এই সব মুসলমানদের যদি কোনো পাপ হয় তার জন্য আপনাকেই দায়ি করা যায়। আল্লাহ ও মহানবী (স কে অপমান জেনেও আপনি মুখ বুজে ছিলেন। সেদিন তাহলে এই চুপ থাকাটাও সঠিক ছিল না। নিজের কাছে নিজেকে বড় প্রমাণ করা যায় কিন্তু অন্যরা কি বলে সেটা মনে রাখা ভাল।
আমি কাউকে আস্তিক বা নাস্তিক বানাতে চাই না। কারণ আমি জানি এ অধিকার আল্লাহ তাকেই দিয়েছেন যিনি সবটা জানেন। আমি শুধু প্রশ্ন তুলতে চাই আচরণ নিয়ে যেটা কোনোমতেই কাম্য নয়। ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে আমিও থাকবো তবে খুনী রক্ষার আন্দোলনে নিশ্চয়ই থাকবো না।
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
না তুমি না আমি বলেছেন: কারও পক্ষ বা বিপক্ষে কথা বলার আগে নিজের ঈমানের দিকে খেয়াল রাইখেন!
এমন কোন কথা বলা ঠিক না যাতে নিজের ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমি কারো কারো পক্ষে বলছি না। ঘটনাটা বলছি। আর আমার ইমানের চিন্তা নিজেই করি। আমার ইমান কাচের পাত্র না যে সহজে ভেঙ্গে যাব। সু পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমার প্রমাণের প্রয়োজন নেই। ধরে নেই তিনি নাস্তিক ছিলেন- তাহলে আগে এই কথা বললে অনেকে হয়তো তার জানাযায় যেতো না। তাহলে যারা না জেনে গেছে তারা কি সব নাস্তিক হয়ে গেল?
আর এখন কাকে শাস্তি দিচ্ছেন যিনি মারা গেলেন তাকে না যারা না জেনে জানাযায় গেলেন তাকে? জহিরুল ইসলাম নাম থাকলেই যেমন কেউ ইসলামপন্থী হয় না জামাতে ইসলাম মানেই ইসলাম না।
ইসলাম তো আচরণের। সেটি কি জাতীয় পতাকা ছিড়ে প্রমাণ করতে হবে? তাহলে তো ইসলামকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে কে? নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। বিধর্মীকে হত্যা করাও অপরাধ। কারণ আইন প্রয়োগের সিস্টেম তো মানতেই হবে।
আসলে আমি বুঝতে পারছি না, আপনি এই পোস্টে কি চাচ্ছেন বা আমাদের কি বুঝাতে চাচ্ছেন বা কি জানতে চাচ্ছেন !! আমার মনে হচ্ছে, আপনি সব কিছু গুলিয়ে ফেলেছেন।
এক এক করে আপনার কথার উত্তর দেই।
যেসব মুসলমান না জেনে জানাযায় গেছে তারা নাস্তিক হওয়া দূরে থাক, তাদের কোন গোনাহও হয় নি ! কিন্তু যারা জেনে শুনে গিয়েছে, তারা হারাম কাজ করেছে। কারণ, আল্লাহ নিজেই অবিশ্বাসীদের জন্য দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। জানাযার নামায মানে হল মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া। এখন কাউকেই শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। আপনি ব্লগে নতুন, তাই হয়ত ইতিহাস ভালভাবে জানেন না। এই তথাকথিত নাস্তিকগুলোর কাজই হল ইসলাম নিয়ে গালাগালি করা, তাদের এসব না করতে বহু বোঝানো হয়েছে, আমি নিজেই তাদের সাথে বহু কলমের লড়াই করেছি। কিন্তু, কোন কাজ হয়নি। তাই এখন কাউকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। বরং রাজীবের মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের ইসলাম নিয়ে কুরুচীপূর্ণ চটি চর্চার বিষয়টি সামনে এসেছে এবং তারা সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের সম্মুখিন হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা সবার কর্তব্য। এতে নাস্তিকরা বুঝতে পারবে যে তারা যা খুশী তাই করবে সেটা হবে না, এই দুনিয়াতে কিছু নিয়ম কানুন আছে, সভ্যতা ভব্যতা আছে। পৃথীবিতে বাচতে হলে সেগুলোও মেনে চলতে হয়। কেউ নিজে নাস্তিক হয়ে বসে থাকলে বা নাস্তিকতার গুন কীর্তন করলে কোন সমস্যা নেই, সমস্যা তখনই যখন সে অন্যের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কুরুচীপূর্ণ চটি রচনা এবং প্রচার করে।
কোন মুসলিম যদি দেশে জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলে, সে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইনে অন্যায় করেছে, কেউ তার পক্ষ নিবে না।
বিধর্মীকে হত্যা করা অপরাধ। খুব ভাল কথা। তো আগে তো খুজে বের করতে হবে কে রাজীবকে মেরেছে?? সেটা আগের বের হতে দিন। কেউ যদি কাউকে হত্যা করে, সে দ্বায়তো ইসলামের নয় ! অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনেও অপরাধ !!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আমাকে আনাড়ী ভাবার জন্য আরো ধন্যবাদ। তবে এই কথাটা কে বলেছে
তিনি যেহেতু আত্মস্বীকৃত নাস্তিক, তাই কোন মুসলমানের তার জানাযায় যাওয়া হারাম !
এখন দেখি কথা ঘুরাচ্ছেন। যা হোক এজন্য খুশী যে আপনি জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলার জন্য বিচার চেয়েছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করি নাই-- কিন্তু অন্যরা করে ফেলছে। দোষী সাব্যস্ত করা আইনের কাজ, আমরা বিচার চাইতেই পারি।ৎ
রাজীব মারা যাওয়ার পর তাকে নিয়ে এত বিতর্ক প্রমাণ করে তার হত্যাকারী কারা। এটা কেবল অনুমান নয়, অপরাধীদের আচরণগত চিহ্নও তাই বলে।
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগার দূর্যোধনকে চেনেন তো? তার সাম্প্রতিক ফেইসবুক স্ট্যাটাসটা আপনার জন্য তুলে দিচ্ছি, এটা পড়লে আপনার কিছু উপকার হতে পারে...
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের অনুষ্ঠানে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,''কোনো ধর্মের উপর কেউ কটূক্তি করতে পারবে না ।''
ব্লগে অনেকদিন ধরেই আছি । নাস্তিক্যবাদের প্রচারক কম দেখিনি । নাস্তিক, অর্থাৎ যারা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না - এদের মূলতঃ দুই ভাগে ভাগ করা যায় । এক দল এই অস্তিত্বের অনুপস্থিতির পক্ষে যুক্তি তথ্য নিয়ে নাস্তিক্যবাদের প্রচার বা ধর্মের অসারতা বা অপ্রয়োজনীয়তা প্রমান করতে সচেষ্ট থাকে । আরেকপক্ষ আছে,যারা যুক্তি তথ্যের ধার ধারেনা , দেখানোপনায় আগ্রহী এবং বিভিন্ন ধর্মের প্রচারক ও দেবতাদের অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করে নাস্তিক্যবাদের প্রচারনা করে বা ধর্মের অসারতা প্রমান করার চেষ্টা করে । দ্বিতীয় দলটাই অনলাইনে প্রথম দলের চেয়ে সংখ্যায় বড় এবং এরা মূলতঃ ধর্মান্ধ মোল্লাদের নাস্তিকরুপ । বলা যায় একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ । দ্বিতীয় দলটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এদের সাহস মোটামুটি মুরগীর ছানার সমতুল্য, বিপদ দেখলে এরা সবার আগে বলে 'আমি আসলে নাস্তিক না' , দুই দিন পর ধার্মিকদের উপর 'প্রগতি' চর্চা করতে গিয়ে 'ধর্ম কত খারাপ' ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লেজ বের করে দেয় । এরাই আন্দোলনে হুজুগেপনা করে আন্দোলনের শক্তি নষ্ট করে । যুক্তিতথ্যের অভাবের পাশাপাশি কটূক্তি আর গালিগালাজের জন্য এদের ঠিক নাস্তিক না বলে 'ধর্মবিদ্বেষী' বলা উচিত ।
শাহবাগের প্রথম মহাসমাবেশের আগের দিন নেতৃস্থানীয় এক অনলাইন এক্টিভিস্টকে বলেছিলাম , ''জামাত নিষিদ্ধের জন্য যুদ্ধাপরাধে জড়িত দলের নিষিদ্ধকরণ দাবী করেন , ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী তুইলেন না - শিবিরের হাতে অস্ত্র তুইলা দিয়েন না '' । কিন্তু মঞ্চে উঠলে নিজেকে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী মনে করাটাই স্বাভাবিক ,সুতরাং 'ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী উঠলো । ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে বলেছিলাম, অনেক ধর্মভিত্তিক দলই জামাত ঘৃনা করে - তাদের নিষিদ্ধ করা কেন ? সেইসময় আমার স্ট্যাটাসে অনেকেই ধর্মই অনেক অধর্মের মূল বলে গলাবাজি করেছিলেন,আজ তাদেরই দেখি গনজাগরন মঞ্চে কুরআন পাঠ,গীতাপাঠ,ত্রিপিটক পাঠের কথা সগর্বে উচ্চারন করে চলেছেন ! আজ দেখি ধর্মেরই আশ্রয় নিতে হয় শুক্রবার মসজিদে মসজিদে দোয়া কামনা করে ।গনজাগরন মঞ্চের বৈশিষ্ট্য বোঝাতে গিয়ে আজ ধর্মেরই আশ্রয় নিতে হয় , বলতে হয় - ' নামাজ/আজানের সময় স্লোগান বন্ধ রাখা হয় ' বলে !
যেই বিষয়টা হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা নাই , সেই সেন্সিটিভ ইস্যু 'ধর্মভিত্তিক রাজনীতি' নিয়ে মঞ্চ তোলপাড় করার আগে নিজের বিচির ক্ষমতা জেনে নেয়া উচিত ছিলো । হুজুগে ঘোষনা দিয়ে দিলেই,দাবী বানিয়ে নিলেই হয় না - গ্রাসরুট লেভেলে কোন পার্টীর কি অবস্থা অথবা জনগন কি নিয়ে সেন্সিটিভ , সেই জ্ঞানও থাকা লাগে । মঞ্চের নেতা অথবা অনলাইনে দ্বিতীয় দলটির ছানাদের সেই জ্ঞান কখনোই ছিলোনা , বিপদ দেখলে এরা আবার বলবে 'আমি নাস্তিক নই' ।
প্রসঙ্গক্রমেই বলতে হবে , রাজীব হত্যা হয়েছে - এটি সত্য । এবং রাজীব নাস্তিক ছিলেন - এটাও সত্য । কিন্তু নাস্তিক হবার জন্যই রাজীব খুন হয়েছেন,এইটা যদি কেউ বলেন,তাহলে প্রমান নিয়ে আসেন । নাস্তিকতার জন্য রাজীব খুন হইছে- বইলা আপনে আস্তিকের উপর চাপায়া দিয়া মজা নিবেন,তা তো হইতে দেয়া হইবো না ! নাস্তিক হইছেন , অস্বীকার করবেন কেন ? পাপ তো করেন নাই ,নাকি ? শাহবাগের ন্যায্য দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য যদি মিথ্যা কিছু মিশায়া দিতে হয় - তা সমর্থনযোগ্য না ।
দিন শেষে বুঝা গেলো - ধর্ম ব্যবসায়ী দুই রকম । একটা ধর্মান্ধ মোল্লা । আরেকটা ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক । দুইটাই ধর্ম ব্যবহার করে নিজের ফায়দা লুটতে ব্যস্ত । দুইটাই পরিত্যাজ্য ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: নাস্তিকতাই কারণ। তা না হলে মৃত্যুর আগে নয়, পরে এটা নিয়ে বিতর্ক হতো না। যারা খুন করেছে তারা আস্তিক হতে পারে না এটিও আমি মনে করি। আস্তিকের ছদ্মাবরণে কি খুনী থাকতে পারে না? কারণ যারা খুনী তারা কখনো আস্তিক নয়।
১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তিনি যেহেতু আত্মস্বীকৃত নাস্তিক, তাই কোন মুসলমানের তার জানাযায় যাওয়া হারাম !
ওকে, এটা জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
প্রসংগঃ নাস্তিক ব্যক্তির জানাযা...
দয়া করে এই পোস্ট পড়েও যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে, এলাকার মসজিদের ইমাম বা কোন আলেমের সরনাপন্ন হবে। ব্লগে প্যাচালে বুঝব আপনার মতলব খারাপ...
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার ঐ কথার বিরোধিতা করছি না। নাস্তিকের জানাযায় গেলাম না। নাস্তিক মারাও গেছেন। নাস্তিকতার প্রমান পাওয়া গেল মৃত্যু ও জানাযার পর। তাহলে এখন আন্দোলন কার বিরুদ্ধে করছি? মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে? যারা জানাযায় গেছে তাদের বিরুদ্ধে? নাকি সাধারণের বিরুদ্ধে?
আমরা যারা ধর্মে বিশ্বাস রাখি তারা তো জানি পাপিষ্ঠ ব্যক্তিরা দোষখে যাবে। তাহলে তো যে যাত্রা তো হয়ে গেছে- মৃত্যুর পর। তাহলে এখন এই বিষয়ে এত উত্তেজনা? এটাকি আসলে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে? নাকি আস্তিকতার আবরণে খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর চেষ্টায়। আসলে কার যে কি মতলব সেটা কিন্ত বোঝা খুব কঠিন নয়।
১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯
সিবাক বলেছেন: আপনি খুবই ভাল বলেছেন।
এই ব্যপারে যতগুলা লেখা পড়লাম, আপনিই সবচেয়ে ভাল বলেছেন।
১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৫
নয়ামুখ বলেছেন: আপনার কি এখনো সন্দেহ আছে রাজীব নাস্তিক ছিলো কি না। তার লেখাগুলো পড়ার পরও যদি সন্দেহ থেকে থাকে তবে আমার বলার কিছুই নাই।
আর ভালো বলেছেন। তার মৃত্যুর পর কেনো তাকে নাস্তিক বলা হচ্ছে।
আমার প্রশ্ন, শাহবাগে রাজীবের মতো এমন স্বঘোষিত নাস্তিকের জানাজা পড়ার কি খুবই দরকার ছিলো। যে কুলাঙ্গার সারাটা জীবন আল্লাহ আর মহানবী (সা: ) কে নিয়ে যে জঘন্য ভাষায় লেখা লেখি করেছে মৃত্যুর পর তাকেই কিনা আপনারা আল্লাহর নামে মাটি দিলেন।
কি দরকার ছিলো শাহবাগে তার জানাজা পড়ার। সে কি জানাজায় বিশ্বাস করতো। আপনারা শাহবাগে স্বঘোষিত নাস্তিক জানাজা পড়ে শুধু ইসলাম ধর্মকেই অপমান করেননি, আপনাদের সহযোদ্ধা রাজীবের চেতনার সাথেও বেইমানী করেছেন।
আপনার কাছেই জানতে চাই, আপনি, আমি সবাইতো পাকিস্তানীদের তাদের কৃতকর্মের জন্য ঘৃণা করি। আজ যদি আপনি মারা যান (এটা কখনো কামনা করিনা), আর আপনার সহযোদ্ধারা যদি আপনাকে পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে আপনার শেষকৃত্য করে তবে আপনার আত্মাকি তাদের ক্ষমা করতে পারবে। ঠিক তেমনি রাজীব যে আল্লাহ আর তার রাসুলকে সারা জীবন ঘৃণা করলো, আপনারা মৃত্যুর পর তাকে সেই আল্লাহ আর রাসুলের কাছে সমর্পন করলেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: যথাসময়ে কাজটি করা হয় নাই বলেই এতকথা। যখন প্রয়োজন ছিল তখন করলেই ভাল হতো। আজকে নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন সেদিন শাহবাগে গিয়ে জানাযা ঠেকাতো তাহলে এক কথা ছিল। আি কাউকে আস্তিক বা নাস্তিক করার প্রক্রিয়াতে নাই। কারণ এটা আমার কাজ নয়। তবে সবই হয়েছে একটি নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটার পর। এখানেই আপত্তি আমার।
১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
গৃহন্ডুলে বলেছেন: 'তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না। সূরা আল-বাকারাহ ৪২।' রাজিব নাস্তিক ছিল কি আস্তিক ছিল সেটা আর কেউ জানুক বা না জানুক (আল্লাহ বাদে), আমাদের নেতৃস্থানীয় ব্লগারেরা ঠিকই জানতেন, তারা প্রানপনে সত্যমিথ্যা মিশিয়ে রাজিবকে আস্তিক প্রমানের চেষ্টা (অন্তত নাস্তিক না) চালিয়েছেন। মহান প্রথম আলো সহ পচে যাওয়া মেইন্সট্রীম মিডিয়াও প্রানপনে প্রকৃত সত্য আড়াল করে তাকে শহীদ(!) হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। রাজিব নাস্তিক জেনেও তার জানাজায় যারা গিয়েছে তাঁদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, কিন্তু যারা ব্লগার/মিডিয়ার সত্য/মিথ্যা মেশানো খবরে বিশ্বাস করে জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের সাথে সরল বিশ্বাসের সাথে চরমতম প্রতারণা করা হয়েছে। দশটা সত্যের সাথে একটা মিথ্যা মিশিয়ে দিলে ধরা কঠিন। 'রাজিব হত্যার' চেয়ে এই প্রতারণা কোন অংশে কম নিষ্ঠুর ছিলনা। আর রাজীব কে শহীদ বললে, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদকে অপমান করা হয়, যেমন অপমান করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধকে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে তুলনা করে!
১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
বাংলার হাসান বলেছেন: এখানে বেশ কিছূ ফাঁক আছে যা পুরন করতে দেয়া হচ্ছে না। বা নিরপেক্ষ ব্লগারদের পিছনের কাতারে ঢেলে দেয়াকেই দায়ী করা যেতে পারে।
আমার "ধর্মকে হাতিয়ার করে যারা প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তাদের বলছি।" এই শরোনামের লেখাটি দেখতে পারেন।
১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
টাইলুং বলেছেন: অযথা কাউকে নাস্তিক বা কাফের বলাঝুঁকিপূর্ণ কাজ!
قال المستبان ماقالا فعلى البادى مالم يعتد المظلوم-رواه مسلم
... :[হযরত আবু যার(রা) থেকে বর্নিত] রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ ( যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে।
বুখারী ও মুসলিম , মিশকাতঃ৪৬০৬ অধ্যায়ঃজিহ্বার সংযম,গীবতগাল-মন ্দ প্রসঙ্গে।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি তার অপরকোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলেতা উভয়ের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যেমন বলেছে বাস্তবে তা’ই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে, নতুবা উক্ত বিষয়টি যে বলেছে তার দিকেই ফিরে আসবে।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৫, সহীহইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৫০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫০৩৫, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৪, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৩৭}
১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: কিছু কথা,
আপনি বললেন যে যদি তার মতবাদের বিরুদ্ধে আমি যাই তাহলে সবার সামনে আনি নি কেন?
উত্তর হচ্ছে আমি এনেছিলাম। অনেকেই এনেছে। অনেক পেজকে রিপোর্ট করা হয়েছে।
তখন আপনাদের মতো মুক্তমনারা চিল্লাইছেন, সবার নিজস্ব মতবাদ আছে। তাদেরকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেন।
আচ্ছা ভাই, আপনাকে আমি ছোট্ট একটা উদাহারণ দেই। ধরেন আপনার বাবা মা আপনাকে জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু আপনি এটা স্বীকার করেন না। আপনি বলেন যে আপনি এমনি এমনি হয়েছে, আপনার বাবা মাকে আপনি গালি দেন। এতে আমার বা আর কারও সমস্যা নাই। আপনার বাবা মাকে আপনি যা করেন সেতা আপনার ব্যাপার। কিন্তু আপনি যখন আমার বা অন্য কারও বাবা মা তুলে গালি দিবেন, তখন নিশ্চয়ই আপনার ভালো লাগবে না। রাজিব নাস্তিক হোক আর আস্তিক হোক, এটা তার ব্যাপার, কিন্তু সে অন্য ধর্মের নামে কটূক্তি ক্যান করবে? কে অধিকার দিয়েছে তাকে?
আর আপনারা তার সাফাই গাইছেন।
কোথায় গেছে বাংলাদেশ!!
আমি একটা ব্যাপারই বুঝলাম না। তার মতো নাস্তিকরে আপনারা আস্তিক বানানোর চেস্তা করছেন ক্যান?
সে আত্মস্বীকৃত নাস্তিক। এটার পরেও যদি আপনারা তাকে আস্তিক বানানোর চেস্তা করেন তাহলে অপর দল্কে তো মাথে নামতেই হবে তাকে নাস্তিক প্রমানের জন্য। হাজার হলেও এটা বাংলাদেশ, যে দেশে ইসলামের শত্রুকে শহিদ উপাধি দেয়া হয়।
অথচ শহিদ আরবি শব্দ, যার শাব্দিক অর্থ আল্লাহ্র রাস্তায় কিংবা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জীবনদান করা। তো আপনার মুক্তমনা রাজিব এর কোনটি করেছে?
ভাই, তার জানাজায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বলি, তো হিন্দুরা বাকি থাকবে কেন?
আপনারা একটা কাজ করেন, কুরআন শরীফকে পুরা পরিবর্তন করে আপনারা যোগ করেন, " শুধু মুসলমানদের জন্য না, জানাজা সকল ধর্মের মানুষের জন্য। "
সবকথার শেষ কথা,
" বুঝেও যে না বুঝে তাকে বুঝায় কে?
না বুঝে যে হু হু করে তাকে ভূতে ধরেছে। "
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আমি তাকে আস্তিক বানাতে চাইনি। বলেছি বিষয়টা এগ বললে ভাল হতো। আপনার উদ্যোগ ছিল সেটা ভাল কথা। কিন্তু মৃত্যুর পর এটা নিয়ে যতটা হয়েছে তার জন্য আমি মুসলমান হিসেবে লজ্জিত।
কোরআন শরীফের অপব্যাখ্যা কিন্তু সাধারণ মুসলমানরা দেয় না দেয় ধর্মব্যবসায়ীরা-- তাদেরকে আমরা জোর গলায় আস্তিক বলে থাকি। কারণ তারা ফতোয়া দেয় অমুক মার্কায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে, তারা রগকাটা খুন ধর্ষন জায়েজ বলে। এমনকি নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জায়নামাজে আগুন দেয়, জুমার নামাজে সুন্নত পড়তে বাধা দেয়, আরো কতো কি। এগুলো সম্পর্কে বলেন তো কিছু!
কেউ দলে দলে নেমে কাউকে নাস্তিক বা আস্তিক প্রমাণ করতে পারে না। ওটা আল্লাহ তায়ালা নিজেই জানেন।
আর দেশটাকে কেবল এক ধর্মের লোকের না ভেবে সবার জন্য ভাবুন। ইসলাম যত বড় মহান ধর্ম তার অনুসারীদের মনটা তো আরো বড় হতে হবে তাই না? তা না হলে উদারতার প্রমাণ হবে কিভাবে। ধৈর্যশীলদের আল্লাহ পছন্দ করেন। র্ধর্য্য ধরুন। আল্লাহ নিশ্চয় এর বিচার করবে। তাঁর উপর আস্তা রাখুন।
১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: আমার মন্তব্যের সাথে আপনার উত্তরের কোনো খেই খুঁজে পেলাম না।
কিন্তু আপনি বলছেন যে " কারণ তারা ফতোয়া দেয় অমুক মার্কায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে, তারা রগকাটা খুন ধর্ষন জায়েজ বলে। এমনকি নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জায়নামাজে আগুন দেয়, জুমার নামাজে সুন্নত পড়তে বাধা দেয়, আরো কতো কি। এগুলো সম্পর্কে বলেন তো কিছু! "
তো এটা সম্পর্কে বলি। আমি কিন্তু কখনও বলি নি যে জামাত ইসলামরা প্রকৃত ইসলামের অনুসারী। আপনি বোধহয় জানেন না কউমি মাদ্রাসার সাথে জামাতের কতটা বিদ্বেষ! সাইদিকে জুম্মাপাড়া মাদ্রাসায় জুতা নিক্ষেপ করা হয়ে হয়েছিল। কিন্তু ইসলামী দলগুলোর উদ্দেশ্য আপনাকে বুঝতে হবে। আর তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রথমে গুলি শুরু করে।
মিডিয়াতো আপনাদের দখলে। তাই তারা যেগুলো প্রচার করে মানুস তাই জানে। কিন্তু পেছনের সংবাদগুলো আপনার নজরে কখনও পরবে না।
ভালো থাকবেন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আসলে ইসলামপন্থী দলগুলোর মাঝে জামাত ঢুকে গিয়েছিল সেটা তারা বুঝতে পারে নাই। আমি এটাও জানি ৩/৪ জন নাস্তিক ব্লগারের জন্য পুরো শাহবাগ চত্বরকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলাটাও ঠিক ছিল না। কিন্তু উভয় পক্ষ পরস্পরের মনোভাব বুঝতে পারেনি। এটাই বিপত্তি। আমি নাস্তিকদের আস্তিক বানানো কোনো মিশন নেইনি। আমি নিজেও নাস্তিক নই। এটা আল্লাহ তায়ালা জানেন। আমি নিজে সেদিন বায়তুল মোকাররমে ছিলাম। নামায শেষ হতে না হতে যেভাবে শরু হয়ে গেল তাতে আমার মনে হয়েছে সেখানে কেউ কেউ নামাজ পড়তে যায় নি, গিয়েছিল মিছিল করতে।
যাহোক- আমার মত হলো ইসলাম পন্থী দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে এবং শাহবাগ চত্ব যদি ধর্ম বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে তাহলে তো সস্যা মিটেই যায়। জোর করে কাউকে নাস্তিক বা আস্তিক বানানোর চেষ্টা করা ঠিক না।
একজনের অন্তরের খবর আরেকজন কতটাই বা রাখতে পারে? আসল খবর তো আল্লাহ তায়ালার কাছে।
আমি ইসলামী দলগুলোর আবেগের প্রতি সম্মান রেখেই বলি- তারা যেন জামতের ফাদে পা না দেয়, কারণ এতে ইসলামের কতটা লাভ হবে তা জানিনা তবে জামাতের এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের লাভ হবে। আপনি নিশ্ছয়ই আমার সাথে একমত হবেন।
১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
ফারজানা শিরিন বলেছেন: সাবধান কিভাবে থাকে ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মদন বলেছেন: একজন লোক মুহম্মদ (সা.)রে ব্যাঙ্গ করে বলছে মোহাম্মক। তারপরেও তাকে সু্স্থ মস্তিস্কের আস্তিক বলে আপনার মনে হয়? এই সামহোয়্যারেই পোস্টে/মন্তব্যে তার একথাগুলি ছিলো। ২/৩দিন হলো সেগুলো মুছে ফেরা হয়েছে। গুগলে সার্চ দিলে হয়তো এখনও পাওয়া যাবে।
নাস্তিক হোক আর আস্তিক হোক, কেউ তাকে খুন করুক এটি কাম্য নয়, কিন্তু আমার বিশ্বাস/শ্রদ্ধা নিয়ে ব্যঙ্গ করার অধিকারও তাকে দেয়া হয়নি।