![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক,
মানুষ প্রত্যেকে প্রতিটি স্থরে শুধু সফলতা আর সফলতাকেই খোজ করে আসছে। অপর পক্ষে ব্যার্থতাকে খোজার প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু কেন ? হয়তো এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন করণে বিভিন্ন মত উপাস্থাপন করার পিছনে অত্যান্ত দৃড় যুক্তি উপস্থাপন করলেও আমার কাছে এর একটাই উত্তর তা হচ্ছে নিজের ব্যার্থ হবার ভয়। আমার সাথে আপনাদের এই মতের মিল হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। আবার অনেকে প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হতে পারেন। এই আশ্চর্য হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না বরং স্বাভাবিক চিন্তা ধারার মতোই স্বচ্ছ চিন্তা মাত্র। কারণ প্রথম দিকে আমারও তাই মনে হয়েছিল। স্রতে ভাসতে ভাসেতে এখন আর অস্বাভাবিক মনে হয় না। প্রকৃত পক্ষে মানুষ সফলতা অর্জনের উদ্দেশ্যেই মগ্ন হলেও বাস্তবে সফল মানুষের সংখ্যা অতি নগণ্য। এই নগণ্য সংখ্যক মানুষেই অর্থাৎ যে মানুষেরা ভুল পথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে থেমে যাওয়ার ঠিক পূর্ব মহুর্তে সফলতা অর্জনের সঠিক পথের সন্ধান খুজে পেয়েছেন শুধু মাত্র সেই মানুষগণ আমার সাথে একমত প্রকাশ করতে পারেন। তবে ব্যাক্তি ভেদে চিন্তা ধারাও ভিন্ন হওয়া টা অস্বাভাবিক কিছু না।
দুই,
সফলতার জন্য পরিবার এবং সমাজে এই দুই এরেই অবদান অনেক বেশি। পরিবার এবং সমাজ এই দুইটি আমাদের সফলতার জন্য প্যারালাল ভাবে কাজ করে। জন্ম হতে মৃত্যু পর্যান্ত আমরা পরিবারের সদস্যগণের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। এরপর আমরা বড় হওয়ার সাথে সাথে পরিবারের পাশা পাশি আমাদের চার পাশে বসবাস রত মানুষের নিকট থেকে কম বেশি শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি। তাই আমাদের পরিবারে সদেস্যদের পাশাপাশি আমাদের চারপাশে বসবাস রত প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে যে, ধর্ম, রাজনীতি, গোত্র ভূলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে যতোদূর সম্ভব প্রতিটি বিষয় সত্য এবং সঠিক ধারনা দেওয়া। আমাদের পরবর্তী সমগ্র প্রজন্মকে সফলতার পথের সন্ধান দেখানর জন্য প্রথমে আমেদেরকেই সচেতন হতে হবে। পরবর্তন করতে হবে আমদের নিজেদের চিন্তা-চেতনা। আমরা যদি নিজেরাই নিজে থেকে পরবর্তন হতে না পারি, চিন্তা-চেতনাকে পরিবর্তন করতে না পারি, সত্য এবং মিথ্যা এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে না শিক্ষি, দিনে দিনে ধ্বংসের পথে সামাজিক অবস্থাকে ফেরাতে না পারি, সেক্ষেত্রে সমস্থ দ্বায় আমাদের নিজেদের। কারণ আমরা আমাদের পরবর্তী সমগ্র প্রজন্মের সফলতা অর্জনের সকল রাস্তা গুলি নিজেরাই বন্ধ করছি। এখনও সময় আছে, ব্যার্থতার দ্বায় শুধু মাত্র ব্যার্থ প্রজন্মের কাধে চাপিয়ে না দিয়ে তাদের সফলতার অর্জনের সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার চষ্টা করা। অন্যথায় আমদের নিজেদের ভূলের কারনে আমাদের আগন্তক পরবর্তী প্রজন্ম ভুল পথে হাটতে হাটতে আমাবর্ষার অন্ধকার রাতে ঠিকানা বিহীন কোন অজানা গলিতে নিজেদের অজান্তে হারিয়ে যাবে। আসুন আমরা প্রতিটি মানুষ নিজে থেকে নিজেকেই পরিবর্তন করি শুধু মাত্র আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মঙ্গেলে উদ্দেশ্যে।
তিন,
যে মানুষগুলি সফল হতে ব্যাকুল তাদের উদ্দেশ্যে লেখা, সকল মানুষ সফলতার পিছনে দৌড়তে দৌড়তে ক্লান্ত হয়ে থেমে যাচ্ছে। সফলতা তো দূরের কথা পূরো জীবন ভরে সফলতার মুখও দেখার সৌভাগ্য মিলছে না অনেকের। অপর দিকে ঐ মানুষগুলি মাঝ হতে অনেকে খুব অল্প সময় সফলতার বনে বিচরন করছেন। আর বাকি সকল মানুষ হুমরি খেয়ে সেই সফল মানুষটি কে মহা মানব ভাবতে থাকে এই ভেবে যে, সফলতা অর্জনকারী মানুষটি নিশ্চয় আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মালিক। মানুষ সর্বদাই ব্যার্থ না হয়ে সফলতা অর্জনের স্বপ্ন দেখে মাত্র। তবে কেন সফল হবেন? এবং কেন সফল হবেন না? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমাদের অনেকের অজানা। যদি আমাদের সফলতা অর্জন এবং ব্যার্থ হওয়ার সঠিক কারণ জানা না থাকে তবে পুরো জীবন ভর সফলতা অর্জনের স্বপ্ন দেখা উচিত হবে না। স্বপ্ন দেখলেও লক্ষে পৌছান সম্ভব হবে না।
চার
মানুষ কেন ব্যার্থ হয়? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদরে নিকট অতি সহজ । কারণ, আমরা মনে করি ব্যার্থতার দ্বায় এক মাত্র ব্যার্থ হওয়া ব্যাক্তির। হ্যা, অধিকাংশ সত্য। তবে ঐ ব্যার্থতার দ্বায় শুধু ব্যার্থ ব্যাক্তির না বরং ব্যার্থ ব্যাক্তির সাথে সাথে কিছুটা তার পারিপ্বাশিক সামাজিক অবস্থারও আছে। ব্যার্থ হওয়ার অধিকাংশ দ্বায় ব্যার্থ ব্যাক্তির কারণ, সমাজ বা চারপাশের পরিবেশ সব সময় নিজের অনুকুলে থাকবে না সেও অস্বাভাবিক না। পারিপাশ্বিক বিভিন্ন অবস্থার মোকবেলার মাধ্যমে লক্ষে পৌছানর নামই হচ্ছে সফলতা। যে মানুষ টি ব্যার্থ হয়েছেন আমরা যদি তাহাকে নিয়ে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে যে, সে শুধু রংঙ্গিন স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু সে তাহার নিজের স্বপ্ন পুরুনের জন্য শতভাগ মনোযোগ নিবেশ করেন নাই, সঠিক ভাবে পরিশ্রম করেন নাই, সময়ের কাজ সময়ে করতে পারেন নাই অথবা অন্যের দেখান স্বপ্নকে নিজে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন মাত্র। যার ফলে এক পর্যায় ব্যার্থতাকে মেনে নিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
তবে যে সকল মানুষ সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন এক মাত্র সেই মানুষ কে করো তালির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়ে আমাদের এই সমাজ মনে রাখে। অপর পক্ষে ব্যার্থ মানুষদের সমাজ বোঝা হিসাবে যুগের পর যুগ অনিচ্ছা স্বতেও বহন করছে। যদিও ব্যার্থতার জন্য সমাজের কম বেশী দ্বায় আছে আমাদের এই ভদ্র সমাজ বেমালু ভুলে যায়।
©somewhere in net ltd.