ক্ষেদ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

উৎসর্গ: রাজনীতির আগুনে হতাহতদের



যৌবনের ঊষায় কি হয়েছিলে প্রত্যাখ্যাত

কোন ষোড়শীর গভীর কালো চোখের তাড়ায় ডুবেছিল হিয়া;

কোন রঙ্গিন স্বপ্ন তোমায় রেখেছিল করে আপ্লুত?

স্বামী হারা মা’র নারী ছেড়া ধন এভাবে অভিমানে চলে যেতে হয়?

অজেয় শক্তি মনের কেন সহসাই হাল ছেড়ে দেয়?

বন্ধু পারিনি ফেরাতে তোমায়, সে ব্যর্থতা আজ কেবলই পোড়ায়।



জীবনের প্রান্তে হেনেছিলে কি কোন অভিযোগ?

সদা হাস্যজ্জ্বল মুখে জানি মানায় না অভিশাপ

বড়জোর হয়েছিলে ক্ষুব্ধ; কেন তবে এমন অভিশপ্ত মৃত্যু?

তোমার মহত্ব কেবলই করেছে ক্ষুদ্র মোদেরে।

তুমি ঘুমাও সুখে, আমরা থাকি পরে এই পিশাচের অন্তঃপুরে।

যাদের তরে অসময়ে এভাবে চলে যেতে হয়?

তাদেরে তুষ্টিতে যারা নিত্য খুনি হয় তুমি যেন করোনা ক্ষমা তাদেরে।

তোমার অভিশাপেই নির্বংশ হোক ভন্ড প্রতারকের দল

আরো ভয়ংকর মৃত্যু যেন নির্ধারিত রয়।



দুহাত পেতে যারা ভিক্ষা মাগে সামান্য স্বার্থ হানিতে তারাই হন্তারক সাজে।

হায় বিধাতা কতটা তৃষ্ণায় করেছ কাতর এদেরে!

এত অশ্রু, এত আর্তনাদ, এত ধ্বংস এত নিনাদ তবু কি হয় ক্ষান্ত!

স্বর্নপুরি শ্মশান করিতে রক্তের হলী খেলে।

কতজন পোড়ে, কত কাতরায় ছিন্ন ভিন্ন দেহ লয়ে।

তুমিও কি হলে পাষাণ আজ?

অনাহুত ঝরে অগুনতি প্রাণ,

জীবন্ত অঙ্গার প্রাণাধিক সন্তান অসহায় বাবার সম্মুখে।

রেহাই পায়না যখন গর্ভজাত শিশু।

তখনো কাপে না আরশ তোমার! নিশ্চুপ থাক কি করে ?



অবোধ শিশু ভয়ে চিৎকার করে প্রিয় বাবার বীভৎস মুখাবয়বে

প্রিয়ার চোখে নেই অশ্রু প্রার্থনা, অন্তত বেঁচে থাক প্রিয়তমেষু।

কাঁদতে ভুলেছে মা, প্রলাপ বকে সন্তানের শবদেহ বুকে চেপে।

এ কোন অভিশাপ, হে মহান তোমার? এবারে রেহাই দাও অভাজনে।

দু’এক মৃত্যুই যদি পারে সহস্র মৃত্যুর দায় শুধিতে, তবে তাই হোক।

ইসরাফিলেরে চাই না খোদা, হোক অবসান আজরাইলে।

***********************

১ টি +০/-০