![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাদিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পরেছিলাম ঠিকই, কিন্তু মনের কথাটা বলতে পারছিলাম না। অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম বলার জন্য, কিন্তু বলতে গিয়েও বলতে পারি নি। মনের মধ্যে ভয় ছিল, যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়! বলতে গেলে অবশেষে হার মানলাম। হুমম...প্রপোজ করার চিন্তাটা বাদ দিলাম। ভাবলাম, বন্ধুত্বটাই থাকুক। এটা নষ্ট করার দরকার নেই।
সামনে আমদের ইয়ারচেঞ্জ পরীক্ষা। মানে, আমার, আবার সাদিয়ারও। তাই বলে আমাদের মধ্যে কথা থেমে থাকে নি। তখন কথা, আড্ডা, দুষ্টামি, ঝগড়া বেশি হত। আর সবই ছিল স্টাডি রিলেটেড। সেই সময় দিনে কথা হত কম করে হলেও ৭/৮ বার। যা আগে হয় নি। আর হলেও বা কি! তখন মাথা থেকে ভালবাসা নামক ভুত টা নেমে গেছে। মাথায় একটা চিন্তাই ঘুরত, কিভাবে পরীক্ষায় ভাল মার্কস আনা যায়। পড়াশুনা আর বন্ধুদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। আর দিন শেষে সাদিয়ার সাথে আড্ডা। মুটামুটি এভাবেই কেটে গেল, আমার ফার্স্ট ইয়ার।
পরীক্ষা শেষ। হাতে এখন লম্বা ছুটি। ঘুরাঘুরি আর আড্ডা। এর মধ্যে সাদিয়াকে খুব একটা সময় দিতে পারতাম না। তবুও, রাতে ঘুমানোর আগে ম্যাসেজে কিছুটা কথা হত। সময়টা কিভাবে যে শেষ হয়ে গেল বুঝতেও পারলাম না। আবার সেই বেস্ততা, পড়াশুনা ব্লা ব্লা ব্লা। বোরিং!!!
পড়াশুনাও শুরু হল, সেই সাথে শুরু হল সাদিয়ার সাথে কথা। সকালে ঘুম থেকে ওঠে কথা, দুপুরে খাওয়ার আগে কথা পরে কথা, বিকেলে কথা, সন্ধ্যা, রাত... বলতে গেলে সবসময় কথা আর কথা। হ্যাঁ, আমি আরও দুর্বল হয়ে পরলাম সাদিয়ার ওপর। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম কথাটা। ওরা তো হেসেই বাচে না। আমার মত ছেলে কিনা প্রেমে পরছে!! অবশ্য ওইটা এখনও মনে পরলে আমার নিজেরও হাসি আসে। যাই হোক, ওরা আমাকে নানা রকম টিপস দিতে লাগল। কিন্তু আফসোস, কারও কোন টিপসই আমার পছন্দ হল না। আর আমারও প্রেমটা আগে বাড়তেছে না। অনেকটা দেবদাস হয়ে থাকার মত অবস্থা।
ফেসবুকিং করছিলাম। হটাত নজরে পরল মীমের আইডি। সাদিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর ওর সাথেও আমার ভাল সম্পর্ক হয়ে ওঠেছিল ততদিনে। মীমের সাথে সব কিছু শেয়ার করলাম। বাট, ওর কথা শুনে আমার জমানো ভালবাসা কর্পূরের মত ওরে গেল। ভাবলাম, আমাকে দিয়ে ভালবাসা হবে না। বলতে গেলে হাল ছেরেই দিলাম তখন। কারন আমার আগে আরও ৪৬ জন সাদিয়াকে প্রপোজ করেছে। তাহলে তো আমার কোন চান্সই নেই।
( চলবে... )
©somewhere in net ltd.