![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইতো গেল সোমবার। জিয়া উদ্যানে গিয়েছি, গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে। তখন সন্ধ্যা সন্ধ্যা ভাব। ঘাসের উপর বসে বাদাম খাচ্ছিলাম। পরিবেশটাও বেশ রোমান্টিক।
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন বলে উঠল, ভাইয়া দুইডা টাকা দিবেন? কিছু কিনা খামু। ভাবলাম, এইসব ছেলেমেয়ে ভাব ধরে, কিন্তু আসলে কিছুই না। পিছের দিকে না তাকিয়ে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিলাম। কি মনে করে পিছের দিকে তাকালাম।
ছেলেটার পরনে ছেড়া একটা হাফ পেন্ট। আর কিছু নেই। ওর চেহারা দেখে মনে হল, না খেয়ে আছে। ওকে ডাক দিতে যাব, ততক্ষনে চলে গেছে। ডাক দেয়ার সুযোগটাও পেলাম না। কেন যেন মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভাল লাগছিল না কিছু। গার্লফ্রেন্ডকে বিদায় দিয়ে খুজতে লাগলাম ছেলেটাকে। অনেকক্ষণ খুজার পর ছেলেটাকে খুঁজে পেলাম। দেখি ও চুপচাপ বসে আছে। দশ টাকার ঝালমুড়ি কিনে ছেলেটার কাছে গিয়ে বসলাম। আমাকে দেখে কিছু বলল না। ওর সামনেই মুড়ি খাচ্ছি, তবুও কিছু বলছে না। ওর নিরবতা দেখে আমিই কথা বলা শুরু করলাম।
- কিরে নাম কি তোর?
ঃ- সমির
- থাকিস কই?
ঃ- ফার্মগেটে
- কি করিস?
ঃ- ভিক্ষা করি
- কেন?
ঃ- তা ছারা কি করমু? খাওন ঠিকমত পাই না।
- বাসায় কে কে আছে?
ঃ- কেউ নাই
- মুড়ি খাবি?
ঃ- হ, খামু
সমিরকে মুড়ির প্যাকেটটা ধরিয়ে দিলাম। ওর খাওয়া দেখছিলাম। ওর খাওয়া শেষ হলে বললাম, " কিরে আরও কিছু খাবি?" কিছু বলল না। শুধু মাথা নাড়ল। মুড়ি কিনে দিয়ে চলে আসলাম। আশার সময়, সমিরের হাতে ৫০ টাকা দিয়ে আসলাম। দেখলাম ওর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। সমিরের মুখের হাসি দেখে মনে হল, হাজার দিনের লুকায়িত কোন এক ব্যাথা দূর হয়ে গেল। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না।
©somewhere in net ltd.