![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঠে তাজা বাতাস, হাতে সিগারেট...ভালই লাগছে৷
নাহ, সবই আগের মতই আছে৷ কিছুদিন আগে সাদিয়ার সাথে দেখা করে আসলাম৷ মেয়েটা অনেক ভাল৷ মিশুক৷
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ওর অনেক পরিবর্তন দেখছি৷ এটা আমার ভাল লাগে নি৷ সাদিয়ার সাথে আবার দেখা
করতে হবে৷
কিন্তু......
সাদিয়াকে কে যেন খুন করেছে৷ ইসস..কি নির্মম৷
সাদিয়ার সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল ওর চোখ৷ সব ছেলে ওর চোখের প্রেমে পরত৷ আমিও পরেছিলাম৷
ওর ডান চোখে সুই দিয়ে অনেক্ষন খোচানো হয়েছিল৷ রক্ত পরছিল, কিন্তু খোচানো বন্ধ হয় নি৷ খুচিয়ে খুচিয়ে ডান
চোখটা বের করে ফেলল৷ চোখটা ঝুলে রইল৷ চোখটার এমন অবস্থা হয়েছিল, কেউ বলতে পারবে না, এটা কোন
এক ললনার চোখ৷ এরপর বাম চোখের দিকে হাত বাড়ালো৷ সাদিয়া তখন অনেক চিৎকার করছিল৷ কি যেন মনে
হল, চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিল৷
সাদিয়া অবশ্য পরে বুঝেছিল, পরে কি হবে সেটা দেখানোর জন্য ওর বাম চোখটা কিছু করেনি৷ সাদিয়ার
চিৎকারটা কেন যেন অসহ্য লাগছিল৷ খুনি পকেট থেকে জং ধরা একটা ব্লেড বের করল৷ জিব টান দিয়ে বের
করল৷ জিব বের করতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল৷ জিব বের করে ব্লেড দিয়ে কাটল৷ এই ব্লেড দিয়ে কাটা যাচ্ছিল না৷
সাদিয়া অনেক কষ্ট পাচ্ছিল৷ আর খুনিটাও অনেক নির্মমভাবে জিব কাটছিল৷ যেন আরও বেশি কষ্ট পায়৷
খুনিটার মখে এক চিলতে নির্মম হাসি৷
সাদিয়া উ..উ..উ ছাড়া কোন শব্দ করতে পারছে না৷
খুনিটা...সেই কখন থেকে খুনি খুনি করছি৷ খুনি শব্দটা কেমন যেন৷ খুনিরও তো একটা নাম আছে৷ নামটা যেন
কি....
ওহ, মনে পরেছে৷ অরণ্য।
অরণ্যের কাছে সাদিয়ার হাসিটা অনেক ভাল লাগত৷ মনে হয় মুক্ত ঝরছে৷ ব্যাগ থেকে নতুন কেনা প্লাস বের করল৷
প্লাস দিয়ে একটা একটা দাত তোলা শুরু করল৷ একটু পরেই সাদিয়া নিশ্চুপ হয়ে গেল৷ কোন শব্দ করছে না,
নিথর হয়ে পরে আছে৷ অজ্ঞান হয়ে গেছে৷ পানির ছিটা দিয়ে জ্ঞান ফিরাল৷ সাদিয়া সব কিছু ঝাপসা দেখছে৷
চোখ, মুখ অনেক ব্যাথা করছে৷ চোখ দিয়ে এখন রক্ত পরছে না৷ অরণ্য ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে৷ সাদিয়া কিছু বলার
চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছু বলতে পারছে না৷ অরণ্য কাছে আসল৷ হাতে সেই জং ধরা ব্লেড৷ সাদিয়ার সামনে হাটু গেড়ে
বসে পরল৷ হাতটা শক্ত করে ধরল৷ ব্লেড দিয়ে হাতের নখ গুলো কাটা শুরু করল৷ একটু কেটে আস্তে আস্তে টান
দিয়ে তুলে ফেলে৷ একে একে সব গুলো নখ তুলে ফেলল৷ অঝোরে রক্ত ঝরছে৷ হঠাৎ কানের দিকে নজর পড়ল৷
হীরের দুল৷ চিক চিক করছে৷ এটা ওখানে মানায় না৷ দুল ধরে টান দিল৷ দুল হাতে এসে পরল৷ এবার প্লাস দিয়ে
কান টেনে টেনে ছিড়ল৷ অনেক ছটফট করছে৷ দেখে মনে হচ্ছে অনেক চিৎকার করছে৷ বাম চোখ দিয়ে পানি
পড়ছে৷ অরণ্যের সহ্য হচ্ছে না৷ চোখের ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে বাম চোখটাও বের করে ফেলল৷ সাদিয়ার মধ্যমা
আঙ্গুলে আংটি ছিল৷ বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করল৷ শক্ত হয়ে লেগে আছে৷ এবার আঙ্গুল কাটা শুরু করল৷
একটা আঙ্গুল কাটার পর মনে হল বেমানান লাগছে৷ সব গুলা কাটা দরকার৷ হাতে পায়ে একটা আঙ্গুল রাখল না৷
কি মনে করে যেন চোখ, আঙ্গুল, কান আর জিব একটা কাচের বাক্সে আলাদা করে রেখে দিল৷
সাদিয়া ধীরে ধীরে নিস্তেজ হচ্ছে৷ অরণ্য ওঠে দাড়াল৷ মুখে কয়েকটা ঘুষি৷ বলতে লাগল, " প্লিজ সাদিয়া, ঘুমাবা না
তুমি৷ এখনো তোমাকে অনেক কিছু দেখানোর বাকি
এরপর মুখের উপর আরও কয়েকটা ঘুষি৷
নাহ, কিছুই হল না৷ অরণ্য এবার রেগে গেল৷ ব্যাগ থেকে ছুড়ি বের করল৷ চালিয়ে দিল সাদিয়ার গলায়৷ দুইবার নড়ে
ওঠল৷ এরপর আবার নিস্তেজ৷ শ্বাস চলছে না৷ তার মানে মরে গেছে!!! কিন্তু ওকে তো মারতে চায় নি৷ সবাই জেনে
গেলে কেলেংকারি হয়ে যাবে৷ লাশটা কে গুম করতে হবে৷
লাশটা কে পিছ পিছ করা শুরু করল৷ এখন আর কেউ বুঝতে পারবে না৷ এটা কে! লাশটা পিছ পিছ করা হলে
একটা ব্যাগে ভরে রেখে চলে যায়৷
ছেলেটা আসলেই একটা সাইকো৷
সাদিয়া নেই তো কি হয়েছে৷ রেহান তো আছে৷ ওর সাথে কথা বলে আসি৷ রেহান সেই ভাগ্যবান ছেলে, যার বন্ধুত্ব
আমার সাথে৷ আর আমিই রেহানের সাথে সাদিয়ার রিলেশন করিয়ে দিয়েছিলাম৷
আর এটা ছাড়া কি করব৷
সাদিয়াকে প্রথম আমি প্রপোজ করছিলাম৷ অনেকদিন ঘুড়িয়েছিল আমাকে৷ তারপর রিজেক্ট করে দিল৷
এরপর শুনি রেহান সাদিয়াকে পছন্দ করে৷ অনেক রাগ হয়েছিল ওর কথা শুনে৷ ওর কথা ফেলতে পারি নি৷
হাজার হলেও বন্ধু আমার৷
রুমে গিয়ে দেখি রেহান ঘুমাচ্ছে৷ ওকে আর জাগালাম না৷ ওর সামনে একটা কালো রঙের ব্যাগ, আর একটা
কাচের বাক্স রাখলাম৷
এখন রেহানের পালা.......
২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবা ভয়াবহ।