নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যাযাবর। নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনে নিজেকে দেখে বুঝি এখনো আছে আমার অস্তিত্ব।

বলার নেই কিছু।

টুম্পা মনি

আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।

টুম্পা মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃএমনই এক সকালের শুভ্রতায় আমি নারী হবো।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬





মসৃণ রেসমের মত কাপড়ের পাড় জুড়ে তারার মত স্বর্ণখচিত কারুকাজ। আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে গোল গোল ফুলের মাঝে দামি স্টোন বসানো!..... কত হতে পারে এই শাড়িটির দাম?.........দুই লাখ, তিন লাখ, হয়ত আরো বেশি!

এই শাড়ির চকচকা এতই প্রকট যে কিছুটা অচকচকে মেয়েকেও এতে পরীর মতন দেখাবে। অনেকটা রাতের সাথে মিল আছে এর। রাতের অন্ধকারে যেমন সব মেয়েই সমান সুন্দরী! এই শাড়ি অঙ্গে জড়ালেও তাই!



এই যা কি আবল তাবল ভাবছি! চার দেয়ালের ভেতর থাকতে থাকতে হয়ত মাথার স্ক্রুর মাঝে কিছুটা ময়লা জমেছে। ডার্টি ডার্টি ময়লা! লাল ডার্টি, নীল ডার্টি, কালো ডার্টি, হলুদ ডার্টি! আরো কত রকমের ডার্টি। এই শাড়িটা ইয়োলো কালারের ডার্টি!

ইসস!! তাহেরের এত শখ করে কেনা শাড়িকে ডার্টি বলছি! সে জানলে না জানি কি ভাববে?

ঘোড়ার ডিম! সে কিছুই ভাববে না। সে ভাবতে জানে না! সে শুধু জানে হাসতে, কাঁদতে, আর রাগ করতে। গলা টিপে ধরে অস্ফুট গোঙ্গানিতে 'ভালোবাসি' শুনে সে ভাবে মেয়েটি আমায় কত ভালোবাসে!



আমার নাম তন্দ্রা। তাহের আমার স্বামী! বছর খানেক হবে আমাদের বিয়ে হয়েছে! ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। অনেক অনেক! এত ভালো হয়ত কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বাসে না!

তাই আমি কখনো তাকে 'ভালোবাসি না' বললে সে রাগ করে। সে বেশ ভালোভাবে 'রাগ' নামক অনুভূতিটা ধারণ করতে পারে! তার চোখের পিউপিলের চারিদিকে কনজাংটিভা রক্তের মত লাল হয়ে যায়! মনে হয় কেউ যেন এক ব্যাগ রক্ত বা লাল রঙ এনে ঢেলে দিয়েছে সেখানে! এটা হল লাল ডার্টি!



আজ আমাদের বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি! এই উপলক্ষ্যে শাড়িটা তাহের আমাকে উপহার দিয়েছে! এক সময় ভাবতাম এমন দুস্পাপ্য পুঁজিবাদীতার উপঢৌকনেই হয়ত সুখের পরশ পাথরটি লুকিয়ে আছে! কিন্তু হৃদয়ের খুব গভীরে আমি পড়ে দেখেছি- অমসৃণ জরজেট গায়ে জড়িয়েও যদি সেটিস্ফেকশানের ঢেকুর তোলা যায় তবে তার চেয়ে বেশি তৃপ্তির আর কিছু নেই। কানের ভাঁজে কয়েকটি গোলাপ ক্লিপ দিয়ে সেটে দিয়েও সুখী হওয়া যায়! কিন্তু আমার বাবা মা ভাবতো অন্যরকম! তারা ভাবতো অর্থের মাঝেই হয়ত জীবনের সুনীল আকাশ মেলা। তাই তারা আমার জন্য এক টুকুরো স্বচ্ছ অনুভুতি না খুঁজে এক বাক্স অর্থ খুঁজেছে! সেই অর্থের সাথেই আমার বিয়ে, এক বছরের সংসার! আর আমার আকাশটি চুপটি করে হারিয়ে গেছে এই ইট পাথরের অনুভূতিহীন শক্ত দেয়ালের পাষণ্ড নির্দয় ছাদের সাদা ক্যানভাসের উপরে!



আমি বহুদিন আকাশ দেখি না! এখনো আকাশের কোণায় শুকতারাটা আগের মত করে ওঠে কিনা জানি না। তাহের আমার আকাশ দেখা পছন্দ করে না! তার ধারণা আকাশের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠবে আর আমি তাকে ভুলে যাবো। তাকে আর ভালোবাসবো না। আকাশের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তুলবো! তাই সে আমাকে বন্দি করে রেখেছে তার চার দেয়ালের নিজেস্ব কারাগারে! অবশ্য চার দেয়ালও না। আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো দেয়াল! অনেকগুলো রুম। দু তলা বিশাল ভবন নিয়ে আমরা থাকি। শুধু আমি ,তাহের আর দু জন কাজের লোক। একজন কাজ করে দিয়ে দিন থাকতেই চলে যায়। আরেক জন থাকে সার্বক্ষণিক পাহাড়ায় আমি যেন জানালার সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়েও আকাশ দেখতে না পারি!



মাঝে মাঝে তাহের আমাকে জিজ্ঞাসা করে ''আচ্ছা তন্দ্রা তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো? পঞ্চাশ পারসেন্ট, আশি পারসেন্ট, একশ পারসেন্ট? আমি দুই হাত একশ আশি ডিগ্রী এঙ্গেলে সোজা করে বলি একশ পারসেন্ট। সে খুশিতে ভ্রু নাচিয়ে বলে ,'দেখেছো তোমার ভালোবাসা আমি জয় করে নিয়েছি! বিয়ের আগে খুব তো বলেছিলে তুমি আমাকে কোন দিন ভালোবাসবে না। আমাকে ছেড়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলে তোমার এক ক্লাসমেটকে। দেখেছো সে দিন তোমাকে জোড় করে তুলে এনে কত ভালো করেছি?''



তার এ সব কথায় আমার পুরনো স্মৃতিগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে! সেই কলেজের দিন! আমার গল্প কবিতার বন্ধু বান্ধবেরা! উচ্ছ্বল আড্ডা, একসাথে কাব্যের আকাশে মনের ঘুড়ি উড়িয়ে দেয়া, স্বাধীন পাখি হবার স্বপ্নে বিভোর বিকেল! সেই দিনগুলোই ছিল আলাদা! অথবা ওরা মানুষই ছিল অন্যরকম। সংকীর্ণ চেতনার অনেক ঊর্ধ্বে! সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তাদের সাথে কি করে সকাল পার হয়ে বিকালে গড়াত আমি টেরই পেতাম না! একটা সুন্দর ক্যারিয়ার, তারপরে সুন্দর মানবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গোল টেবিলে তপ্ত ডিসকাশন, তারপর বইয়ের পাতায় মুখগুজে মধ্যরাত, হঠাৎ ঘড়ি দেখে আঁতকে ওঠা ,'ওহ কাল তো খুব সকালে আমার পরীক্ষা!'' এভাবেই পার হত আমাদের দিন। কখনো ভাবি নি এত বড় ঝড় এসে লন্ড ভন্ড করে দিবে সাজানো সব স্বপ্ন! তাহের জোর করে আমাকে বিয়ে করে বন্দি করে নেবে পরাধীনতার খাঁচায়। এতটুকু মূল্য দেবে না আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার! বোবাপুতুলের মত আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো আমার সব স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষার আহত হয়ে নিশ্চুপে রক্তক্ষরণ! অতপর মৃত্যু!



মাথা ধরে আসে আমার! আমার মাঝে ঘুমিয়ে পড়া তন্দ্রাচ্ছন্ন মেয়েটি হঠাৎ জেগে ওঠে! আমি দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলি, 'জানোয়ার আমি তোকে কোন দিন ভালোবাসিনি। কোন দিন না! কোন দিন বাসবোও না, কোন দিন বাসব না!''তাহেরের মুখ বিকৃত হয়ে আসে। ভয়াবহ কোন জীব যেন মানুষের অবয়ব কেটে বের হয়! ''তুই আমাকে কোন দিন ভালোবাসবি না? একটা সন্তান হয়ে যাক তারপর দেখবো ভালো না বেসে কোথায় যাস।''





তাহের জোর করে পেতে চায় তার অধরার ভালোবাসা! তন্দ্রার শরীর ভেঙে যেন চুরমার হয়ে যেতে চায়। তাহের শক্ত করে বুকে চেপে ধরে তন্দ্রাকে। অসহায় নিথর দেহ থেকে টুপ টুপ করে ঝোরে পড়ে গোঙানি। গাল বেয়ে নেমে আসে অশ্রু! সে অশ্রু আবদ্ধ ছাঁদের দিকে তাকিয়ে বিধাতাকে খুঁজে ফেরে! কিন্তু কোথাও দেখা যায় না এতটুকু আশার আলো!



তাহেরের নিশ্বাসের সাথে ফুলে ওঠা বুকের দিকে তাকিয়ে তন্দ্রা ভাবে যদি ছুরি দিয়ে এই বুক চিড়ে একটা দরজা বানাতে পারতাম! তবে সেই দরজা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে আমি মুক্ত আকাশে ওড়াতাম আমার স্বাধীনতার কপোত! কিন্তু সে স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যায়। আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ে তার নিস্তেজ দেহ।



সকালে উঠে তন্দ্রা তাহেরকে বোঝায় -''শোনো আমি তোমাকে ভালোবাসি! অনেক অনেক! যদি আমাদের ঘরে শিশু আসে তবে তোমার ভালোবাসা সে ভাগ করে নেবে। তাই কি হয়? বলো!''তাহের কিছুক্ষণ ভেবে বলে ,'তাই তো! নাহ থাক! সন্তানের দরকার নেই! কিন্তু তুমি আবার আমার সাথে বিট্রে করবা না তো? আবার বলবা না তো আমাকে ভালোবাসো না?'তন্দ্রা তাহেরের মাথার দিব্যি কেটে বলে,'' কোন দিন না! ওটা তো রাগের রাগের মাথায় বলেছি! আমি তোমাকে কত্ত ভালোবাসি!''তাহের আহ্লাদ করে বলে ,''আচ্ছা ঠিক আছে! তাহলে আজ রাতে আমাকে ওই শাড়িটা পরে দেখাবা। আর খুব সুন্দর করে সাজবা।'' তন্দ্রা মাথা ঝাঁকিয়ে তাহেরের সব কথা মেনে নেয়। ছলনাটুকু ধরার মত ভাবনা তাহেরের মাঝে আসে না। কারণ সে ভাবতে জানে না! সে শুধু জানে জোর করে ভোগ!





তাহেরের ফোন বেজে ওঠে। তার বন্ধু নিলয় ফোন দিয়েছে! তাহেরের এই বন্ধুটি মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসে। আমি ঢের বুঝতে পারি ছেলেটা আমাকে পছন্দ করে! আচ্ছা আমি কি ছেলেকে ঢাল হিসেবে ইউজ করতে পারি না? আজকাল তো প্রয়োজনে মানুষ কত অনাচারই করে। আমিও না হয় একটু করলাম। ক্ষতি কি?

প্রথমে তাকে ভালোবাসার ছলনায় ভোলাবো। তারপর পালিয়ে যাব ওর হাত ধরে এই নিস্তব্ধ শ্মশান থেকে!

তখন পত্রিকাগুলো নিশ্চয়ই খুব মজার একটা নিউজ পাবে কাটতি বাড়ানোর জন্য। তারা ফলাও করে প্রচার করবে ,''নারী যখন প্রতারক! স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পলায়ন!'' অথবা ,''আরেকটি পরকিয়ার বলি-সুন্দর সাজানো সংসার!'' কেউ খতিয়ে দেখবে না প্রতিটা ছলনার গভীরে কত কষ্ট লুকিয়ে থাকে! বাহ্যিকতা দেখার মত চোখ জগতের আছে, কিন্তু অন্তর অতল গহ্বরে বহমান মহা সমুদ্র দেখার মত চোখ জগতের নেই! এ জগত হাতির বিশালত্ব দেখে। তার অন্তঃসার শুন্য ভাবনার জমিন দেখে না!



সন্ধ্যায় তাহের আসে! কিন্তু একা না! তাকে ধরে নিয়ে আসে এলাকার লোকজন! বাড়ি ফেরার পথে তার গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে! রক্তে তার জামা কাপড় ভিজে উঠেছে! তাকে বেড রুমে শুইয়ে দিয়ে তার নিথর শরীর আমার হাতে সঁপে দিয়ে সবাই চলে যায়! আমি তাহেরের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বলি,''দেখেছো তাহের! মানুষ কত অসহায়! কত তুচ্ছ তার জীবন! কি পেয়েছো তুমি বলো আমার জীবন নষ্ট করে? ......অর্থ ক্ষমতার দাপটে তুমি মানুষ কিনে নাও! পেরেছো কি একটা মন কিনতে যে তোমাকে সব উজার করে দিয়ে ভালোবাসবে? তোমার এই অসহায় মুহূর্তে একটু সেবা করবে? পারো নি! বরং কোমল হৃদয় হত্যা করে জন্ম দিয়েছো আমার মত কালনাগিনীর! যে এখন নারী হবার স্বপ্নে বিভোর!''





আমি খুব সুন্দর করে সাজি। আজ সাঁজতে আমার খুব ভালো লাগছে! হলুদ শাড়ি গায়ে জড়িয়ে কপালেতে বড় করে দেই লাল টিপ! যদি আজকেই হয় সেই মহেন্দ্রক্ষণ! যেই ক্ষণে আমি নারী হবো! তবে আমিও ভালোবাসবো শিশুকে, ফুলকে ,পাখিকে! জগতের সব সুন্দরকে! যদি আজ রাতে তাহের মারা যায়? তবে আমিও হবো একজন মানবী, একজন পরিপূর্ণ নারী!

আমি সাঁজগোজ করে এগিয়ে যাই দরজার দিকে। এমন সময় তাহেরের গোঙানি। ব্যথায় কাতরানো আর্তনাদ! ''আচ্ছা এভাবে একজন অসুস্থ মানুষকে ফেলে যাওয়া উচিত হবে কি? এটা ঠিক এই ঘরের চৌকাঠে আমি নারী নই। আমি কষ্টে জমাট বাঁধা বরফ খন্ড! তবুও! মনুষ্যত্ব বলেও তো কথা আছে নাকি! অতঃপর বাধ্য হয়ে পিছু হঠলাম! এই রাতটুকুই তো! না হয় একটু সেবা শুশ্রূষা দিয়ে তাকে ভালো করে তুলি। সকালে হয়ত সে নিজেই আমায় মুক্ত করে দেবে। আমাকে চলে যেতে দেবে আমার মত!



সকালের দিকে তাহেরের রক্তরক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। তার জ্ঞান ফিরে আসে। আমি তাকে বলি ,''তাহের এবার আমি যাই। আমি সেবা করে তোমাকে সুস্থ করে তুলেছি! বিনিময়ে তুমি আমাকে মুক্ত করে আমাকে একটু শ্বাস নিতে দাও?''

আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস তাহের আমার মহত্বে খুশি হয়ে আমাকে ছেড়ে দেবে! কিন্তু না! তাহের মুখ চোখ বাঁকিয়ে বলে ,'' কি তুমি চলে যাবে আমাকে ছেড়ে! আমি তবে কি নিয়ে বাঁচবো!'' তাহের তার দুর্বল শরীর নিয়ে কেঁপে কেঁপে উঠে গিয়ে কম্পমান হাত দিয়ে বাড়ির সামনের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। তারপর সেখানে অবশ হয়ে শুয়ে পড়ে। সে জানে বাড়ির সামনের দিকেই আছে অদূরে পালিয়ে যাবার রাস্তা!



তবে এবার আমি কিছুতেই থামব না। আজ আমি যে করেই হোক পালিয়ে যাবোই! যে করেই হোক আমি আজ নারী হবো! আমি বাড়ির পেছনের দরজার দিকে ছুটে যাই! জানি এ দিকে দিয়ে কোন রাস্তা নেই! আছে শুধু সমুদ্র! হয়তবা তলিয়ে যাবো! তবুও আমি ছুটি!...... ছুটতেই থাকি। আস্তে আস্তে পানি বাড়তে থাকে! চলে আসে গলা পর্যন্ত! তবুও মনে আশা কোন নাবিক নিশ্চয়ই জাহাজ নিয়ে এসে আমাকে তার জাহাজে তুলে নেবে! তারপর সেই শুভ্র সকালে পাখিদের কিচির মিচিরে আমি নারী হবো! পরিপূর্ণ নারী!

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ছবির মেয়েটা সুন্দর খুব :) ||

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

টুম্পা মনি বলেছেন: এই ছবি না দিলেই হয়ত ভালো করতাম! তবে কিছু মনোযোগী পাঠক হয়ত পাওয়া যেতো! মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর আন্তরিকতা।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো লেখাটা

চালিয়ে যান

ভাল লাগা

+++++++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাইয়া। মন্তব্য এবং মনোযোগী পাঠের জন্য। আন্তরিকতা।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ছবি আর কথা
উভয়েই ভাল

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

টুম্পা মনি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর আন্তরিকতা।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ছবির মেয়েটা সুন্দর খুব :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

টুম্পা মনি বলেছেন: :( :( :( :(( :(( :(( :((

গল্প পড়েন নাই! আড়ি। X(( X((

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

দ্য েস্লভ বলেছেন: জটিল এবং কঠিন কাহিনী। যদিও বাস্তবতার সাথে মিল আছে কিন্তু বেশ জটিল লাগল গল্পটা। আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করেও বোদহয় এমন গল্প লিখতে পারব না। সহজ জিনিস ভাল লাগে। তবে আপনি অনেক বেশী জ্ঞানী। আপনি অনেক গভীর চিন্তা করতে পারেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২১

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্যে। যতখানি ভালো লিখি নি তার চেয়েও বেশি প্রাপ্তি এই মন্তব্য। আর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এ পথে দিয়ে কখনো গেলে আমার ব্লগ বাড়ি বেড়াতে ভুলবেন না যেন।

ভালো থাকুন প্রতিটিক্ষণ। এই প্রত্যাশা।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

ওবায়দুর সজল বলেছেন: বেশ ভাল লেখা। চালিয়ে যান । ফ্রন্টের ছবিটা খুব সুন্দর ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২২

টুম্পা মনি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর আন্তরিকতা।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ছবির মেয়েটা সুন্দর খুব

নাহ রোজার দিনেও ছেলেগুলো মানুষ হলনা ;)


গল্প ভাল লেগেছে। +++

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

টুম্পা মনি বলেছেন: :( :( :( :(( :(( :((

উপরে একজনের সাথে আড়ি নিসি। আপনার সাথেও নিতাম কিনা ভাবতেসি। অবশ্য রোজা আছি। তাই একটু ছাড় দেয়া যায়। :| :| :| :( :(

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার বলার ভঙ্গিটা নজর কেড়েছে ।

জটিল ও কঠিন ভাবনার গল্প ।

দারুণ লিখেন আপনি । অনুসারিত ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা মাহমুদ। আপনার মন্তব্য অনেক উৎসাহিত করল। গল্প লিখলে মনোযোগী পাঠক খুব আশা করি। মনে হয় লেখা সার্থক হয়েছে। শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর হয়েছে গল্পটা। এটা গল্প হলেও এধরনের কত ঘটনা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে যেগুলোর চরিত্ররা গল্পের মেয়েটির চেয়েও ভয়াবহ অবস্হায় আছে। আপনার লেখার বিষয়টাও তাই ভালো লাগলো খুব।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১

টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো হত যদি সমাজ থেকে নারী নির্যাতন শব্দটা চিরতরে মুছে দেয়া যেতো! কিন্তু মোছা তো যায়ই না, বরং দিন দিন আরো অভিনভ কৌশল আবিস্কার হয়।

অনেক ধন্যবাদ আপনার আপি আপনার অভিমতের জন্য।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ++++++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫২

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপূর্ণ।

পূর্ণতায় ভরে উঠুক আপনার জীবন। :D :D :D :D

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০১

আরজু পনি বলেছেন:

কি অদ্ভুত কষ্ট লাগা গল্প !

কেউ খতিয়ে দেখবে না প্রতিটা ছলনার গভীরে কত কষ্ট লুকিয়ে থাকে!...এটা একটা ভাবনার বিষয় !

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: হুম ভাবনার বিষয়! কিন্তু কেউ ভাবে না। সমাজে শুধু জানে মেয়েদের ট্যাগ দিতে। কিন্তু সেই ট্যাগ আলা মেয়েদের সে ধারণ করতে জানে না। তার বেঁচে থাকা অসহনীয় করে তোলে!

অসংখ্য ধন্যবাদ আপি মন্তব্যের জন্য।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: তন্দ্রা'র মনের ভিতরে ভয়ে চলা কষ্ট আর হতাশার দারুন ছবি এঁকেছেন গল্পে । সব কিছুর পরেও তন্দ্রা হারতে চায়না, বিজয়ী হয়েই সে বেড়িয়ে আসতে চায় তার বন্দী জীবন থেকে ।


সুন্দর গল্পে ভালোলাগা ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

টুম্পা মনি বলেছেন: হারলে কি হবে! আমি এই ধরণের মানুষদের বিরুদ্ধে আমার গল্পের নায়িকাদের জেতাতে চাই। B-) B-)

আপনার ভালো লাগা গৃহীত হল। :D

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: তবুও মনে আশা কোন নাবিক নিশ্চয়ই জাহাজ নিয়ে এসে আমাকে তার জাহাজে তুলে নেবে! তারপর সেই শুভ্র সকালে পাখিদের কিচির মিচিরে আমি নারী হবো! পরিপূর্ণ নারী!
অনেক ভালো লাগলো আপু। ++++++++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রহস্যময়ী কন্যা।

ভালো থাকুন। কেমন।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: "এমনই এক সকালের শুভ্রতায় আমি নারী হবো"- গল্পের শিরোনাম অসম্ভব সুন্দর হয়েছে :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

টুম্পা মনি বলেছেন: থাংকু :D :D

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হপেনা , আমি আড়ি দিবো ! কে বলছে গল্প পড়ি নাই !
আপনি ভুল বুঝছেন এই জন্য দেখেন আমার চোখের পিউপিলের চারিদিকে কনজাংটিভা রক্তের মত লাল হয়ে গেছে ! যদি ও আমি মানুষ টা গল্পের তাহেরের মত অসুস্থ নই ! তাহেররা ভালোবাসা চায় না , বুঝেই না জিনিস টা কি , চাইবে কি করে ! গল্প পড়তে পড়তে একটা সময় নষ্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম । এমন অসুস্থ পুরুষ মানুষ বাস্তবেও যে আছে , বলতে পারেন আমি কোন বাস্তব গল্পের নীরব দর্শক ! আগের নিক থেকে রুপকভাবে সেটা নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলামঃ
পাখিদের স্নিগ্ধ কন্যা

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫

টুম্পা মনি বলেছেন: 'আপনি ভুল বুঝছেন এই জন্য দেখেন আমার চোখের পিউপিলের চারিদিকে কনজাংটিভা রক্তের মত লাল হয়ে গেছে !''
=p~ =p~ =p~ ভালো হইসে। খুশি হইসি।

যাক পড়েছেন শুনে ভালো লাগল। আমি তো ভাবছিলাম শুধু ছবিটিই দেখেছেন। আর মনে মনে ভেবেছেন-''মেয়েটা টিপ কেন আরেকটু উপরে দিল না। চুল ক্যান এক হাত দিয়া ধরল। আমি থাকলে কত্ত সুন্দর করে চুল বেঁধে দিতাম!'' :P =p~

হাহাহা অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন। আপনার গল্পটিও পড়লাম। খুবই চমৎকার লিখেছেন।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের শুরুতে তেমন কিছু ছিলো না। দুর্ঘটনার পর থেকে যে মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন, সেটা বেশ ভালো লেগেছে। তবে গল্পের অন্যান্য অংশে যেমন মনোযোগ দেয়া হয়েছে সেই অংশটায় তেমন পাইনি।

ভালো লাগলো সব মিলিয়ে। +

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: শুরুর দিক থেকে আসলে ভাবছিলাম কাহিনী কিভাবে সাজাবো। যদিও এই গল্পের প্লট অনেক দিন ধরে মাথায় ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে লেখা হয়ে উঠছিল না। তাই লেখা শেষ হওয়াতে হুড়মুড় করে ব্লগে দিয়েদিসি। :D :#) এজন্য কিছু গ্যাপ থাকতেই পারে।

অনেক ধন্যবাদ বিগ হামা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। আরো বেশি ধন্যবাদ যে খালি ছবি দেখেন নাই। B-))

শুভরাত্রি।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম।

অনেকগুলো+

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১১

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী আপি।

ভালো থাকুন। কেমন।

১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ''মেয়েটা টিপ কেন আরেকটু উপরে দিল না। চুল ক্যান এক হাত দিয়া ধরল। আমি থাকলে কত্ত সুন্দর করে চুল বেঁধে দিতাম!'' :P =p~
আমি মোটেই এমন টা চিন্তা করিনি ! আমি বরং ভেবেছি , টিপ টা খুব মানিয়েছে , আমার জন্যই টিপ পড়েছে , আমাকে ছবিতে দেখা যাচ্ছেনা কেন , ওহহহহ আমি ই তো ছবিটা উঠিয়েছিলাম ! ;) ;)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

টুম্পা মনি বলেছেন: এই জন্যই তো বলি খালি ছবি নিয়া মন্তব্য ক্যান! X(( X(( X((

রোজার দিন। তাই বেশি কিছু কলাম না। :-0

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

অদৃশ্য বলেছেন:





গল্পটা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে... পুরোগল্পটিতে একটি নারীর মুক্তি প্রার্থনায় থাকবার দৃশ্যই দেখলাম...

এখন প্রশ্ন হলো... তাহের কি তন্দ্রাকে সবসময়ই বন্দী করে রাখতো নাকি তন্দ্রা সবসময়ই নিজেকে বন্দী মনে করতো?

এই প্রশ্নের কারন হলো, তন্দ্রা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলো যে সে তাহেরকে কখনোই ভালোবাসবেনা, যা তাহের জানতো... এরকম একটি ঘটনার পর একটি সম্পর্ক খুব সুন্দরভাবে এগুতে পারে না... যার ফলস্রুতিতে তাহেরের অমন আচরন যা কিনা তন্দ্রার চোখে বা মনে বাস্তবের তুলানায় অনেকবেশি দূর্ভাবনা তৈরী করতো...


শুভকামনা...

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: এখন প্রশ্ন হলো... তাহের কি তন্দ্রাকে সবসময়ই বন্দী করে রাখতো নাকি তন্দ্রা সবসময়ই নিজেকে বন্দী মনে করতো?

গল্পে আসলে তাহের বন্দি রাখতো। সে সাইকো প্রকৃতির অতি সন্দেহ প্রবণ লোক। আর সংকীর্ণ চেতনার তো বটেই! সে জন্যই তন্দ্রা কোন দিন তাকে ভালোবাসে নি। শুধু মন ভোলাতে ভালোবাসি বলে গেছে। তন্দ্রা হল ভাবুক শ্রেনীর আর তাহের ভাবতেই জানে না। তাই তাদের মনস্তাত্ত্বিক মিল কখনোই হয় নি। কিন্তু তাদের তা কোন দিন অনুভব করে নি। তার কাছে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই বড় কথা। যা তাকে হিংস্র রুপ দান করেছে।

যা হোক গল্পে আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ যে মনে করে এসেছেন। শুভেচ্ছা রইল অদৃশ্য।

২০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

রোহান খান বলেছেন: কিভাবে গল্পের সাথে বাস্তবতা মিলে যায়, তা জানা নেই আমার, তবে আমি চিনি, হুম তাকে আমি ভাল করে চিনি, হুম খুবি কাছ থেকে আমি তাকে চিনি। নামটা তার হোক না তন্দ্রা। নামে কি আসে যায়। আমি উপলব্ধী করতে পারছি একে বারে বাস্তবরুপে তন্দ্রাকে। আমি অনুভব করতে পারছি, তার না পাওয়ার কস্টকে।

আমি তাহের কেও চিনি। তাহের জানে তন্দ্রার মত মেয়ের যোগ্য সে নহে। তাহের এও জানে এ চার দেয়ালের বাইরে আছে হায়েনারা। যারা তন্দ্রার মত মেয়েদের দিকে লোলুপতায় তাকিয়ে থাকে। তাহের জানে যে তন্দ্রা এখন তন্দ্রাছন্নতায় আবদ্ধ। তাই সে তাকে পাহাড়া দিয়ে রাখে যাতে হায়েনারা ছুতে না পারে। তাহের তন্দ্রার জন্য নিজের জানও দিতে পারে। খুব ভালবাসে তন্দ্রাকে।

একদিন তন্দ্রা চলে যায় । আর সে ফিরে আসে না। খুজে পায় তাদের বাবার বাসায়। তাহের কিছুই বুজতে পারে না। শুধু বলে, কেন ? কেন? তন্দ্রা কথা বলতে চায় না।
তাহেরের মনে পরে যায় তন্দ্রা মাঝে মাঝেই বলত " এমন একদিন আসবে আমাকে কোথাও খুজে পাবে না তুমি!" তাহের ভাবতো তাকি কখনো হবে কারন তন্দ্রা তো তাহের কে ভালবাসে, তন্দ্রা কখনই পারবেনা তাহের কে ছাড়া একা থাকতে। কিন্তু আজ শত চেস্টা করেও তো সে তার বিয়ে করা বউ কে দেখতে পারছেনা। তাহের জানে সে কোথায় থাকে তারপরেও সে পারছেনা তার সাথে যোগাযোগ করতে। কারন তন্দ্রা তাহের এর সাথে আর ঘর করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাহের ও কিছু বলতে পারে না। চোখ দিয়ে শুধু ফোটা ফোটা জল পরে। কথা বেরুয় না। তাহের চলে যায়। এভাবে চলে যায় আরও কিছু সময়। না, তাদের ডিভোর্স হয়না, কিন্তু বছরের পর বছর তারা একে অপরের সাথে দেখা করেনা, কথা বলেনা। একদিন তন্দ্রার চিঠি আসে তাহেরের কাছে। তাহের খুলে দেখে, ওটা ডিভোর্স লেটার। তাহের কোন কথা বলে না। সোজা তন্দ্রার বাসায় চলে যায়। না, তন্দ্রার কাছে না। তন্দ্রার বাবার কাছে। সে জানতে চায় তাহের আর তন্দ্রার ছেলেটার কথা। জানতে পারে সে আছে আর আদালতে নির্দেশে সপ্তাহে একদিন সে দেখা করতে পারবে তার ছেলের সাথে কিন্তু তন্দ্রার সাথে তার দেখা শেষ। আর কোন দিন তন্দ্রা দেখাদিবেনা তাহের কে। আর ৭ বছর বয়স হলে ছেলেকে নিয়ে যাবে তাহের। কোন কথা বের হয় না তাহেরর। সে উঠে চলে যায়।

১ মাস পর
একটা চিঠি আসে চন্দ্রার ঠিকানায় -

" তুমি পাখি হতে চাইতে। মুখ ফুটে বলতে আমাকে। আমি কোন আবদারটা বাকি রেখেছিলাম তোমার বল? শুধু মাত্র তোমাকে ভালবাসি বলে আমি কি তোমাকে পাখি হতে দিতে পারতাম না? তোমার ভাললাগাই তো আমার ভাললাগা। তুমি তো মাত্র ২০ বছরের মানুষ ছিলে, যখন তোমার ২২ বা ২৫ হত আমি নিজেই তোমাকে পাখি করে দিতাম।
বাইরের হায়েনাদের সাথে লড়াই করে তোমাকে উড়তে হবে নাহলে তুমি হোচৎ খেতে। সেটা শিখতে তোমাকে আমার স্কুলে রেখেছিলাম আর কিনা তুমি মনে করলে ওটা আমার সন্দেহতা। ভুল করেছিলে। অন্তত আমায় একবার খুলে বলতে তুমি। তুমি যা চাইতে আমি তোমাকে তা দিয়ে দিতাম। এমন কি তুমি যদি ঐ বন্ধুটিকেও ভালবেসে বিয়ে করতে চাইতে আমি তা নিজে তোমার পাশে দাড়িয়ে তোমার হাতে তুলে দিতাম। তন্দ্রা তোমায় আমি বড্ড ভালবাসি গো। তাই তোমার সুখের জন্য কি এতটুকু করতে পারতাম না?
অবশ্যই পারতাম। আমার ভালবাসা ১০০% ছিল। আমি অবশ্যই পারতাম। কিন্তূ তুমি তো আমাকে চাইতে না। মিথ্যে বলতে। আজ আমি চলে গেছি তোমার থেকে অনেক দুরে।
তুমি ভাল থাকো। নিজের মত করে গড়ে নাও তোমাকে। আমি তো ছিলাম তোমার চার দেয়াল। আজ থেকে ভেঙে দিলাম সেই চার দোয়াল। দেখ তুমি এখন মুক্ত। তোমার কোন বাধা নেই। তোমার হাসির জন্য আমি সব করতে পারি। ভালথেক আর আমার সন্তানকে তোমার ছায়াতলে রেখ" এটা আমার শেষ চাওয়া। না, ভালবাসা চাইছিনা। চাইছি আমার সত্তাটাকে তোমার ছায়াতলে রাখার অধিকারটুকু মাত্র। কি দেবেনা আমায় তুমি ?"

--------------------------------

ইতি
তাহের

(জানা যায় শেষ কটা দিন পানি পান করা বন্ধ করে দেয় তাহের। যে কয়দিন বেচে ছিল সে একটা ফোটাও পানি পান করেনি। তাহের শুধু বলত তন্দ্রা যদি একটাবার কথা বলে তাহলে তাহের পানি পান করবে, না হলে না।)



১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহা আমার গল্পের ইতি টেনেছেন দেখছি! আচ্ছা ইতিটা এমন হতে পারতো না যে তাহের তন্দ্রা চলে যাবার পর পরই আবার বিয়ে করেছে! এ ছাড়াও রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল? তবে এবার সে আরো উদ্ধত! এবার সে নতুন স্ত্রীকে বিভিন্ন রকম টর্চারও করে। আর তন্দ্রা আর সন্তানকে রেখে গেছে তাহেরের মায়ের কাছে। কারণ তাহেরের সন্তান অবিকল দেখতে তাহরের মত! তন্দ্রা এই চেহারা দেখে হয় নস্টালজিক। বার বার তার মনে পড়ে সেই সব বীভৎস দিনের কথা। তাই তন্দ্রা তার নাড়ি ছেড়া ধনকে দেখেও আতঙ্কে আঁতকে উঠে। তারপর বহুবছর পর তন্দ্রার দেখা হয় সেই কলেজের ছেলেটির সাথে। ছেলে্টি আজো তন্দ্রার অপেক্ষায় অপেক্ষিমান! তারপর থেকে শুরু হয় নতুন কাহিনী। তন্দ্রার পাথর থেকে নারী হবার কাহিনী। :D :D :D

২১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

রোহান খান বলেছেন: এত্তগুলা প্লাস।++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++এত্তগুলা প্লাস।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

টুম্পা মনি বলেছেন: লেখায় প্লাস দেন আর না দেন মৌখিন যে প্লাসের স্বীকৃতি দিয়েছেন আমি এতেই খুশি। :#)

২২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

রোহান খান বলেছেন: গল্পতো অনেক রকম হতে পারে...।
আমি যা লিখেছি তার শুরুটা বোধহয় ঠিকমত পড়েননি আপনি। আমি একটা শব্দ ব্যাবহার করেছিলাম 'বাস্তবতা'। শব্দটার অর্থ দ্বাড়ায় বাস্তব জীবনের কোন কিছু, আশাকরি আমার কথাটা আপনি বুজতে পেরেছেন। ভাল থাকবেন। অনেক সুন্দর লেখেন আপনি।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

টুম্পা মনি বলেছেন: বুঝতে পারলাম! বাস্তব সব গল্পের এন্ড গুলো সুন্দর হোক। দুঃখরা কেবল থাকুক গল্পের পাতায় বন্দি।

শুভেচ্ছা রোহান।

২৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

ইলেভেন্থ আওয়ার বলেছেন: আপনার কথা রাখতেই আপনার ব্লগকে অনুসরনে নিলাম।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহা সেদিনের দুষ্টুমী দেখি মনে রেখেছেন! অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মত নগণ্য ব্লগারকে অনুসরণ করার জন্য।

২৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

ইলেভেন্থ আওয়ার বলেছেন: বলে দেয়া ভাল। আপনার লেখা অফলাইনে দেখেছি। ভালো লিখেন আপনি।
শুভেচ্ছা নিবেন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অসংখ্য ভালো লাগা রইল এই আন্তরিকতায়।

২৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩১

রাজু মাষ্টার বলেছেন: পিকডা ব্যাপক ভাল্লাগসে =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


লেখা ? কিছু প্রশংসা থাকুক তোলা
শুভকামনা

২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

টুম্পা মনি বলেছেন: পিক তো ভালা লাগবই। X( X((

কিছু ধন্যবাদও তোলা থাকুক। :#) :#)

শুভসকাল।

২৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


গল্পটা ঠিক গোছানো মনে হয়নি তবে আপনার বর্ণনা ও বিষয়বস্তু নির্বাচন দুর্দান্ত। চমৎকার ভাবে বাস্তবচিত্রটা ফুটিয়ে তুলেছে।

গল্পে এত্তগুলা ভালো লাগা।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১০

টুম্পা মনি বলেছেন: এত্তগুলা থাংকু B-) B-)

২৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রেমে পইড়া গেলাম রে......................................................



এই মডেলের নাম কি??????????????

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: জানি না। :( :( :(

২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

না পারভীন বলেছেন: গল্প পড়েছি ,এত ভাল লাগল যে কমেন্টস গুলো ও পড়ে ফেললাম । গল্পে প্লাস ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি। আমি নিজে আমার এই লেখাটা খুব লাইক করি। যদিও যেমনভাবে চেয়েছিলাম পুরোপুরি হয়ত সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি নি।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... অন্যরকম একটি গল্প... ভাল লাগা রইল... (সামুতে প্লাস বাটন কাজ করছে না)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন।

৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আগে ও পড়েছিলাম কমেন্ট করা হয়নি ...
চাপা কস্টের গল্প.........।।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এটাতেও সেই একই কথা মনে হলো । এই গল্পের ক্যানভাসও অনেক বিশাল । এটাকে ছোট গল্প করা মানে মানে বনসাই করে রাখা । +

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা ভালো বলেছেন।

পাঠের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ,

অজস্র শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.