![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
আমার একাকী কষ্টরা,কেন রাতের পর রাত তোমরা একলা জেগে রও?
ঘুমিয়ে পড়ে শুকতারাটি, ঘুমিয়ে পড়ে অষ্টমীর চাঁদ
তবু কেনো তোমরা জেগে রও?
নির্ঘুম চোখে ঝোরো ঝোরো বর্ষায়
শ্রাবণের জলের মত ঝরছো অনর্গল!
বিমুগ্ধ রজনী চলে যায়, চলে যায় সোনা ঝরা দিন
তবু কেন তোমরা ছেড়ে যাও না?
হৃদয় ভিটের জলচৌকিতে উঠোন পেতে বসে
করে যাও একাকী রাজত্ব!
কেন এত কাঁদো তোমরা, কেন এত উজার করে দিয়ে কাঁদো?
কোন ভাঙ্গনেতে ভেঙ্গেছে এই বুক?
কোন ভুলেতে অনুশোচনারা এভাবে তিলে তিলে করে ক্ষয়!
অনুশোচনার কান্নাতে কি এতই দুঃখ জেগে রয়!
মধ্যরাতে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ যখন মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলছিল তখন আনমনেই ডায়েরীর পাতায় আঁকিবুঁকি করছিল অনিন্দিতা! রাতের নীরবতা , আর টুপটুপ করে ঝরে পড়া বৃষ্টির ঝম ঝম শব্দ ছাপিয়ে ক্রমান্বয়েই তার মনে লিওনার্দোর ক্যানভাসের মত জ্যান্ত হয়ে উঠছিল কষ্টের শিহরণগুলো! উফ কি নিদারুন কষ্ট! মানুষকে কষ্ট দেবার মাঝেও যে এত কষ্ট তা কি কেউ ভেবেছে আগে! আর সেই সাথে যদি যুক্ত হয় অনুশোচনা তবে কষ্টের লেলিহান শিখা কত তীব্র উত্তাপে হৃদয় পুড়িয়ে করে ভস্ম তা হয়ত ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না। তবে রাত্রিগুলো বেশ ভালো লাগে অনিন্দিতার! কেননা রাত্রির ভরাট কালো অন্ধকারে দুঃখগুলো নিমিষেই টুপ করে ডুবে যায়। এতে কারো করুণা বা দয়া ভিক্ষার প্রার্থী হতে হয় না!
বছর তিনেক আগের কথা! যখন মেডিকেলের বিশাল হল রুমে অনিন্দিতার প্রথম দেখা হয় ইমনের সাথে।ইমন তখন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আর অনিন্দিতা মাত্র প্রথম বর্ষে ভর্তি হল। এখান থেকেই গল্পের সূচনা!
প্রথম মেডিকেলে ভর্তি হয়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারে না অনিন্দিতা। তাছাড়া এত বড় মেডিকেল কলেজ! কোন দিকে লেকচার গ্যালারি, কোথায় ক্যাফেটেরিয়া, অথবা কোথায় ক্লাস সব কিছু যেন গোলক ধাঁধার মত ঘুরপাক খেতে থাকে অনিন্দিতার মস্তিষ্কে! এ দিকে ভর্তি হতে না হতেই শুরু হয় পড়াশুনার বুল্ড্রজার। যেন টিচাররা অপেক্ষায় থাকেন কখন নতুন বর্ষে স্টুডেন্ট আসবে আর তারা তাদের কান ধরে ঢুকিয়ে দিবেন এনাটমি ডিসেকশন রুমে এবং কোন মুর্দার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলবেন ''নে বাবা ডাক্তার হবার সাধ মেটা! সুপিরিয়র ভেনাক্যাভা কোথায় গিয়ে ড্রেইন করে মুখস্থ বল!' এতটুকু সময় নেই। আজ আইটেম, কাল কার্ড ফাইনাল এ রকম হাজারটা পরীক্ষার সিডিউল কাঁধে চেপে বসে অনিন্দিতার। এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে যখন সে হাবুডুবু খেয়ে বিষমী তুলছিল তখন তার দিকে সহায়তার কোমল হাত বাড়িয়ে দেয় ইমন!
ইমন প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যায় অনিন্দিতার। কিন্তু লজ্জা আর প্রত্যাখ্যান হবার ভয়- এ সব সাত পাঁচ ভেবে আর তার ভালোবাসা ''ভালোবাসি'' পর্যন্ত গড়ায় না। তবে অনিন্দিতা ঠিকই বুঝতে পারতো তার জন্য ইমনের অনুভূতি। ছেলেদের চোখে ভালোবাসা আর কামনা- এ দু টো চিনে নিতে পৃথিবীর কোন মেয়েরই সমস্যা হয় না।
অবশেষে অনিন্দিতাই প্রথম এগিয়ে আসে এই দ্বিধা আর জড়তা কাটিয়ে মনের অবিমিশ্র লাজুক অনুভূতিকে একটা নতুন নাম দিতে। লাজুকতার ক্রমশ সংকোচিত অনুভূতিগুলোর কলিকে প্রস্ফুটিত করে সদ্য ফোটা অবারিত ভালোবাসাকে উজ্জ্বল আকাশে করে দিতে বর্ণিল রংধনু। সেই ইমনকে জিজ্ঞাসা করে ,'' তুমি কি আমায় ভালোবাসো?''
কিছুটা কেঁপে ওঠে ইমন! যেন গাঢ় ঘুমে ঘুমিয়ে পড়া অনুভুতি হঠাৎ কোন উচ্ছল কিশোরীর ভুবন কাঁপানো চিৎকারে গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠেছে! চোখ দুটো তার ছল ছল করে উঠে !
অনিন্দিতা গভীর বিস্ময়ে ভাবে ''এই ছেলেটা কি আমাকে এতই ভালোবাসে!''
ইমনের মৌনতা ভাঙিয়ে তার কথাগুলো শুনে নেয় অনিন্দিতা! আবেগ যেন টপটপ করে ঝরে পড়ছিল ইমনের কন্ঠ থেকে! ''আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি অনিন্দিতা! খুব খুব খুব ভালোবাসি।''
অনিন্দিতা আস্তে করে ইমনের হাত দু টো তুলে ধরে নিজের গাল আলতো করে ছুঁয়ে দিয়ে ছোট্ট করে বলে ,''আমিও''
আর সেই সাথে শুরু হয় তাদের ভালোবাসাবাসি জীবনের নতুন অধ্যায়। তারা রোজ রোজ একটু একটু করে ভালোবাসার পলি হৃদয়ে জমা করে উর্বর করে তোলে ভালোবাসার কোমল ভুমি।
এভাবেই অনুপম সুখের প্রেমানুভুতির রঙিন ঘুড়ি নীল আকাশে উড়িয়ে আগামীর স্বপ্ন বুণে কেটে যায় ২টি মাস।
কিন্তু প্রকৃতির মর্জি হয়ত অন্য কিছুই ছিল! হঠাৎ মেডিকেলে মাইগ্রেশন লেটার আসে অনিন্দিতার। তাকে চলে যেতে হয় এই মেডিকেল কলেজ ছেড়ে অন্য মেডিকেল কলেজে।
তার বাসার কাছে একটা মেডিকেল কলেজে নতুন করে ভর্তি হয় সে। দু 'জনের মাঝে তৈরী হয় কমিউনিকেশন গেপ। তাও তারা সে গেপ কাটিয়ে উঠেছিল। ছুটির দিনগুলোতে ইমন চলে আসতো অনিন্দিতার কলেজে তার সাথে দেখা করতে। এভাবেই হেসে খেলে কাঠবিড়ালির মত তাকধিন তাকধিন করে টই টই করে ঘুরে বেড়িয়ে পাড় হয়ে যাচ্ছিল তাদের দিন।
ইমনের ভালোবাসার কোন কমতি ছিল না অনিন্দিতার জন্য। সে রোজ সকালে অনিন্দিতার সেল ফোনে ফোন দিয়ে শিস দেয়ার মত করে বলত ''ওঠো সম্রাজ্ঞী সকাল হয়েছে। আর কত ঘুমাবে?'' আর সেই সাথে তার দু চোখ হয়ে উঠতো সেই স্বপ্নে বিভোর যখন সে নিজে অনিন্দিতার কাঁধে নাড়া দিয়ে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে আর তার সাথে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দেখবে খুব সকালে সবার আগে জেগে ওঠা নীলকন্ঠি পাখিটি।
অনিন্দিতার ঘুম জড়ান কন্ঠ সেই স্বপ্ন করে তোলে আরো তীব্র থেকে তীব্রতর।
ইমন একটা কথা প্রায়ই বলত অনিন্দিতাকে '' অনিন্দিতা! আমার খুব ইচ্ছে করে তোমাকে বুকের গভীরে কোথাও লুকিয়ে রাখি! কেউ যেন দেখতে না পায় আমার প্রিয় মানসীটিকে! তাকে যে আমি বড্ড বেশি ভালোবাসি! কিন্তু মাঝে মাঝে খুব ভয় হয় জানো তো! কেউ যদি তোমাকে কেঁড়ে নিয়ে যায় আমার থেকে!''
অনিন্দিতা হাত নেড়ে ভয়গুলোকে উড়িয়ে দিতে চায়। সে মুখ তির্যক করে বলে ,''দূর বোকা! কে কেড়ে নেবে আবার আমায়!'' সে ইমনকে আশ্বস্ত করে। তবুও ইমন বলে যায় এক ঘোরে বলে যায় কিছু শুন্যতা মেশানো ভয়ের কথা।
অনিন্দিতাও গুরুভক্ত ছাত্রীর মত গভীর মনোযোগে শুনে কথাগুলো। মাঝে মাঝে অবশ্য কিছুটা ন্যাকামো মনে হয় তার কাছে, তবুও শুনে যায় ইমনের খুশির কথা ভেবে।
কিন্তু তাদের এই ভালোবাসার খুনসুটিগুলো যেন প্রকৃতির কাছে অসহ্য হয়ে উঠে ছিল! নিয়তি নেয় অন্য দিকে ইউটার্ন! একদিন অনিন্দিতার ফেসবুকে এড রিকোয়েস্ট পাঠায় এক টিভি তারকা-একজন মডেল ! অনিন্দিতার চোখে লেগে যায় সোনালী রঙের ঘোর। সেই ঘোরের কাছে ইমনকে মনে হয় একদম সাদাসিধে এক মানব! সেই টিভি তারকার সাথে প্রগাড় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে অনিন্দিতার। একজন আরেকজনকে ফেসবুকে করে যায় ইনবক্সের পর ইনবক্স। একদিন সেই লোকটি জানায় সে ভালোবাসে অনিন্দিতাকে! অনিন্দিতাও ভালোবাসা আর মোহের মাঝে পার্থক্য ভুলে যায়! ভুলে যায় জগতের হিতাহিত নিয়তিগুলো! ভুলে যায় কারো মনে কষ্ট দিয়ে সুখী হওয়া যায় না। প্রকৃতি যে সব কিছুরই ইকুইলিব্রিয়াম করে! এক সময় পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে মানুষকে সেই জায়গায় এনে দাঁড় করায় যেখানে সে অন্যকে ছেড়ে গিয়েছিল!
হুম ইমনকে ছেড়ে দিয়েছিল অনিন্দিতা! ইমনের কান্নাগুলো তখন তার কানে কম্পন তৈরী করে নি, সে তখন রকস মিউজিকের রমরমে কান ঝাঁঝালো সুরের তালে মগ্ন!
ইমন কেঁদে কেঁদে বলেছিল ,''তোমাকে ছাড়া বাঁচতে খুব কষ্ট হবে!'' তবু পিছু ফিরে তাকায় নি অনিন্দিতা! সামনে যে তখন বসা ছিল তার স্বপ্ন পুরুষ! পিছু ফিরে তাকাবার সময় কই!
স্বপ্নের রাজপুত্র তখন ঘোড়ায় চড়ে মনের সবগুলো রাস্তা ধরে টগবগিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতা কখনোই এক হয় না। বাস্তবের নায়ক নায়িকারা অনেক সময় দৈহিক সৌন্দর্যে স্বপ্নের নায়ক নায়িকাদের মত সুন্দর মোহনীয় নাও হতে পারে, কিন্তু স্বভাবগত দিক থেকে তারা স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যায়।
ইমন দেখতে হয়ত ততটা হ্যান্ডসাম ছিল না, কিন্তু তার ছিল আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। শুধু অনিন্দিতাকে প্রচন্ড ভালোবাসতো তাই সে দিয়েছিল তার মোহনীয় ব্যক্তিত্বের বিসর্জন। নিজের মাঝের সব অহমিকা অনিন্দিতার পায়ের কাছে ঢেলে দিয়ে বলেছিল ,''খুব ভালোবাসি আমি তোমায়! প্লিজ একটি বার আমার কথা শোনো! আমাকে ছেড়ে যেও না!''
কিন্তু অনিন্দিতার এখন নানান বাহানা। আজ এই ক্লাস, কাল সেই ক্লাস, উফ আমি এখন ওয়ার্ডে, ব্যস্ত আছি, ফোন ধরতে পারবো না। ''এত বার কেন ফোন করো বলো তো?''
মাঝে মাঝে একদম অকারণেই খুব তীব্রভাবে ইমনকে অপমান করতো অনিন্দিতা। কিন্তু ইমনও সব মুখবুজে সহ্য করে যেতো ভালোবাসার খাতিরে। একদিন সারা রাত জেগে সে ফোন দেয় অনিন্দিতাকে। কিন্তু অনিন্দিতা ফোন রিসিভ করে না একটি বার। সকালে ইমন ভারাকান্ত কন্ঠে বলে ,''তোমাকে আমি তোমার জন্য ফোন দেই না। দেই আমার জন্য! ঢের বুঝতে পারি তুমি এখন আর আমায় ভালোবাসো না। তবুও কেন যেন তোমায় ভুলতে পারি না!''
কিন্তু অনিন্দিতা পাথর! তার সব অনুভূতি জুড়ে তখন সেই টিভি তারকার বাস। টিভি তারকার সামান্য অবহেলায় দুঃখের আগুনের পুড়িয়ে ছাড়খাড় করতো তার বুকের পাটাতন। আর সেই রাগ ঝারতো সে ইমনের উপর!
একদিন অপমানের সব থেকে তীব্র সীমা পাড় করে গেলো অনিন্দিতা! ইমন অঝোরে কেঁদে উঠলো। তবুও একটিবার জন্যও অন্তত স্বান্তনা দেবার জন্যও পিছু ফিরে তাকায় নি সে! ফোন নাম্বার চেঞ্জ করে সম্পূর্ণ দূরে সরে আসল সে ইমনের কাছ থেকে!
এদিকে ইমনের থেকে মুক্ত হয়ে খুব জমে ওঠে অনিন্দিতা আর টিভি তারকার প্রেম। শেষ পর্যন্ত সেই প্রেমকে বিয়ের নাম দিতে চায় অনিন্দিতা। টিভি তারকাও ব্যাপারটি মেনে নেয় এবং তার পরিবারে জানায়। কিন্তু টিভি তারকার মা কিছুতেই তাদের এ প্রেম মেনে নিতে চায় না। তিনি যে ছেলের জন্য অন্য মেয়ে দেখে রেখেছেন আর তাদের বংশে এ পর্যন্ত কেউ প্রেম করে বিয়ে করে নি। হাজার হোক বংশের ঐতিহ্য তো আর নষ্ট করা যায় না।! আর ছেলেও প্রচন্ড মা ভক্ত। মায়ের বকুনিতে সে ভুলে যায় তার ''কোন দিন ভুলে যাব না'' বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রেম এবং বিয়ে করে তার মায়ের পছন্দের মেয়েকে।
অনিন্দিতা হয়ে পড়ে একা! ভীষণ একা! একদম নিঃসঙ্গ একা!
প্রতারণা আর স্মৃতি ভুলতে চাওয়ার অনুভূতির তপ্ত শিখায় দগদ্গ করতে থাকে বুকের কষ্টগুলো। প্রিয় মানুষ হারানোর ব্যথা যে কতটা তীব্র হতে পারে শিরায় শিরায় বুঝতে পারে সে! অঝোরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে অনুশোচনার অনুতাপে! কিন্তু সেই দিন কি আর ফিরিয়ে আনা যাবে! তার আজ ইমনের কথা বড্ড মনে পড়ে! ''আচ্ছা সেও কি এভাবে কেঁদে ছিল যখন সে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল!'' হুম সে একবার ফেসবুকে টেক্সট করেছিল তার নাকি খুব কষ্ট হচ্ছে!
ইমনের ভাবনাগুলো কষ্ট আরো বাড়িয়ে দেয় অনিন্দিতার। আচ্ছা একটা বার কি তাকে 'সরি' বলা যায় না? অন্তত মন থেকে একটি বার তার কাছে ক্ষমা চাওয়া? সে ক্ষমা করুক আর না করুক অন্তত সে তো কিছুটা স্বস্তি পাবে!
বহুদিন পর ইমনকে ফোন দেয় অনিন্দিতা! তার ভয়েজ শুনে চমকে ওঠে ইমন! কিন্তু পরক্ষনেই আবার নিজেকে সামলে নেয় । ইমনের এই গুণটি খুব ভালো লাগে অনিন্দিতার। সে খুব সহজে মানিয়ে নিতে জানে!
অবাক হয়ে লক্ষ্য করল অনিন্দিতা, ইমনের সব কিছুকেই কেন যেন আজ তার অসম্ভব ভালো লাগছে! শুধু একটা ব্যাপার লাগছে বেখাপ্পা-ইমনের কন্ঠের সেই আগের আবেগগুলো আর নেই! আগে অনিন্দিতার সাথে কথা বলতে গেলেই কেমন যেন পাল্টে যেতো ইমনের কন্ঠ। খুব আদুরে নরম হয়ে উঠতো। কিন্তু আজ একদম স্বাভাবিক!
কথায় কথায় জানলো ইমন জানালো দু দিন আগে বিয়ে করেছে সে!
ইমন তাকে তার স্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। খুব ফ্রেন্ডলি ইমনের স্ত্রী। একদম ইমনের মত। সে অনিন্দিতার সাথে এমনভাবে কথা বলছে যেন কত দিনের চেনা! ইমন তাকে তার কথা বলেছে হয়তবা। সে আপ্লুত কন্ঠে জানালো,' নিজের থেকেও বেশি সে ভালোবাসে ইমনকে।' কথার এক ফাঁকে বলল ,'সামনে থেকে যাকে ভালোবাসবেন তার মন দেখে ভালোবাসবেন, দৈহিক সৌন্দর্য দেখে নয়। তাহলে কোন দিন ঠোকতে হবে না। আমি ইমনকে মন দেখে ভালোবেসেছি তাই ঠকিনি আর আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে আপনি তাকে ছেড়ে দিয়েছেন আর এ জন্যই আমি এত ভালো একটা মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি।''
'' আসলে জীবনে তৃপ্তি পেতে স্বদেচ্ছাটা খুব জরুরী। আমি মোহের কাছে হেরে গিয়ে ইমনকে পাওয়ার ইচ্ছেটাকে বিসর্জন দেইনি, তাই আমি আজ সুখী, একজন পূর্ণ মানবী। কিন্তু আপনি আপনার ইচ্ছেগুলোকে অসৎ করে ফেলেছিলেন তাই এতটা কষ্ট পেয়েছেন।'' খুব স্বাভাবিক কন্ঠে এ সব বলে শুভেচ্ছা জানিয়ে লাইন কেটে দেয় ইমনের স্ত্রী।
স্তব্ধ হয়ে পড়ে রয় অনিন্দিতা! হুম ইমনের স্ত্রী যা বলেছে ঠিকই বলেছে। আজ যদি সে মানুষের সৌন্দর্য না দেখে মন দেখতো তবে হয়ত তার জীবনে এত কষ্টের দিন কোন দিনই আসতো না।
সে তার পবিত্র ইচ্ছেগুলোর সাথে অসততাকে গুলিয়ে ফেলেছিল যেমনি ভালোবাসার সাথে গুলিয়ে ফেলেছিল মোহকে! সব দোষ সে যান্ত্রিক সভ্যতার উপর চাপিয়ে খুঁজে চলে কষ্ট থেকে পরিত্রাণ!
''হুম সব দোষ এই নষ্ট সভ্যতার! এই সভ্যতাই হাজারো সম্ভাবনার পথ উন্মোচন করে দিন দিন আমাদের লোভী করে তুলছে! তাই আমরা কিছুতেই পাচ্ছি না তৃপ্তি! চাই আরো চাই! আমাদের চাওয়ার ইচ্ছেটা দিনকে দিন বাড়তেই থাকে! চারিদিকে শুরু হয় চাওয়ার প্রতিযোগিতা! অথচ আমরা যদি সামান্যতেই সুখী হতে পারতাম তবে হয়ত কোন দিনই এই নিঃস্বতায় আমাদের ভুগতে হত না।''
একাকীই এ সব হাজারো ভাবনায় দগ্ধ হয় অনিন্দিতা! আর প্রভুর কাছে দু হাত তুলে দোয়া চায় ইমনের জন্য। ''প্রভু তুমি তাকে সারা জীবন সুখে রেখো।'' বিঃদ্রঃ আমার এই গল্পের কাহিনী স্বপ্নবাজ অভির একটি গল্পের সাথে অনেকটা মিলে যায়। তাই এটা তাকেই উৎসর্গ করা হল।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব।
ভালো থাকুন।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৪
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: এত বড় লেখা দেখে পালালাম আর পড়া হলো না!
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন:
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়লাম । কবিতা আর ছবি অনেক সুন্দর । গল্পটাও ভালো লেগেছে ।
এই মাসে টুম্পামনি'র গল্প লেখার পারফরমেন্স খুবই ভালো । কিপ ইট আপ..
++
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১১
টুম্পা মনি বলেছেন: এই মাস তো আরেকটু পর শেষ।
যা হোক আপনাদের উৎসাহতেই এত দূর আসা।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০০
পেন্সিল চোর বলেছেন: হতাশা আর হতাশা
টুম্পা মনি আপনে কেমনে ভাবতে পারলেন যে আমি আপনাকে দেখে ভেঙ্গাই !!!
খুব কষ্ট পেল পেন্সিল চোর
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: আহারে!!!
এই যে আপনি সব সময় কানে আঙুল দিয়ে মুখ ভেঙচি দিয়ে থাকেন, এই জন্যই তো মিস আনডারস্টেনডিং হইসে।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++++
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঘূণপোকা
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৫
পেন্সিল চোর বলেছেন: আইচ্ছা প্রো পিক চেঞ্জ করতে কইতাছেন না !!
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৩
টুম্পা মনি বলেছেন:
অসাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এখন আসল পেন্সিল চোর হয়েছেন।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪২
চতুষ্কোণ বলেছেন: শিরোনাম দেখেই ঢুকে পড়েছিলাম। খুব প্রিয় একটা গান।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৫
টুম্পা মনি বলেছেন: আমারও।
শুভেচ্ছা রইল।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছবিতে বিশেষ ভাবে ভালোলাগা! ব্লগের সার্ভার সমস্যা খুব ভুগাচ্ছে! লেখনী নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই! ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেতে চাও যাও, দেখে আসো তোমার পৃথিবী, ফিরে এসে আমাকে পাবার প্রার্থনা টাও করতে থাকো! গল্প শেষে ও একই কথা!
উতসর্গ তে বিশেষ কৃতজ্ঞতা!
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে যেতে চাও যাও, দেখে আসো তোমার পৃথিবী, ফিরে এসে আমাকে পাবার প্রার্থনা টাও করতে থাকো!
সুন্দর বলেছেন।
আর উতসর্গ যেহেতু আপনাকে আপনার ভালো লাগাতেই লেখিকার সাথকতা।
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চতুর্থ প্লাস।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন প্রোফেসর।
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৪
একজন আরমান বলেছেন:
মনে হল কম্বো প্যাক ! কবিতা আর গল্প একসাথে।
প্লট পরিচিত হলেও লেখা দারুন লেগেছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪১
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম একই দেবদাস বার বার!!!!!
শুভেচ্ছা আরমান।
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৭
দি সুফি বলেছেন: আজকে হাতে বেশ সময় ছিল। তাই পুরোটা পড়েই ফেললাম! ভালো লিখেছেন। চাওয়াকে কন্ট্রোল করতে না পারলে জীবনে সুখী হওয়া সম্ভব নয়।
++++++
"বেলা শেষে ফিরে এসে পাই নি তোমায়!
কৃষ্ণচূড়ার রঙে একেছি তোমায়!" -- এবির জোশ একটা গান!
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৩
টুম্পা মনি বলেছেন: ভাগ্যিস হাতে সময় ছিল!
শুভেচ্ছা সুফি।
গানটা আমারও খুব প্রিয়।
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
দি সুফি বলেছেন: হুম, আজকে হাতে অনেক সময় ছিল! আরো দুয়েক দিন থাকবে।
আপনার পোষ্টটা পড়ে আরেকটা লাভ হয়েছে, অনেকদিন পরে গানটা আবার শুনলাম!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: সামনে তো ঈদ আশা করি অনেক সময় পাবেন। আর বেশি বেশি সবার লেখা পড়বেন। শুভকামনা।
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুম সব দোষ এই নষ্ট সভ্যতার! এই সভ্যতাই হাজারো সম্ভাবনার পথ উন্মোচন করে দিন দিন আমাদের লোভী করে তুলছে! তাই আমরা কিছুতেই পাচ্ছি না তৃপ্তি! চাই আরো চাই! আমাদের চাওয়ার ইচ্ছেটা দিনকে দিন বাড়তেই থাকে! চারিদিকে শুরু হয় চাওয়ার প্রতিযোগিতা! অথচ আমরা যদি সামান্যতেই সুখী হতে পারতাম তবে হয়ত কোন দিনই এই নিঃস্বতায় আমাদের ভুগতে হত না
সত্যিই তাই। সহমত।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
সায়েম মুন বলেছেন: মনের সৌন্দর্য সব সময় দূর থেকে বুঝা যায় না। গল্পটা বেশ লাগলো। চমৎকার লিখেছেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
টুম্পা মনি বলেছেন: সবাই বলতেসে পচা লিক্সি। আপনি সুন্দর বললেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!!!!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প ভালো লাগে নাই। আপনার কাছে প্রত্যাশা আরো বেশি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: আসলে এটা অনেক আগের লেখা। অভির লেখা দেখে এটার কথা মনে পড়ল তাই ব্লগে দিয়েছিলুম।
আর হতে পারে আমার লেখাই পচা।
১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১১
আরজু পনি বলেছেন:
ছেলেদের চোখে ভালোবাসা আর কামনা- এ দু টো চিনে নিতে পৃথিবীর কোন মেয়েরই সমস্যা হয় না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন: সুযোগ বুঝে পন্ডিতি করেছি।
শুভেচ্ছা আপি।
১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
দ্য েস্লভ বলেছেন: ঘটনাটা বাস্তব কিনা জানিনা। তবে আবেগ নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে দূর্ঘূটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশী থাকে। লোভ খুব মারাত্মক ব্যাপার। কেউ এটার থেকে মুক্ত নয়,তবে ধরন আলাদা।
অনেক সময় দেখা গেছে মেয়েটি পূর্বের প্রেমিকের সুখ সহ্য করতে পারছে না। তখন তারসাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং উদ্দেশ্য তার দাম্পত্ত জীবন নড়বড়ে করে দেওয়া। তাকে অতৃপ্ত দেখাতেই তার আনন্দ। অথবা সে এখনও আমাকে মনে রেখেছে কিনা তা পরিক্ষা করতেও দেখা যায়। এসবের পরিনতী উভয়ের জন্যেই খারাপ। তাই তার পূর্বের লোকটির সাথে দেখা করা উচিৎ নয় এবং যোগাযোগ বন্ধ করা উচিত।
সে যদি তার জীবনে খুবই উত্তম একজনকে পেয়ে যায় তাহলে সেটি তার জীবনের মোড়,চিন্তাধারা সব বদলে দিতে পারে। এবং সে সুখী হতে পারে। মনে রাখতে হবে হতাশার পরিনতী কোনো কালেই ভাল নয়। পবিত্র জীবন যাপনের মধ্যে আসল সুখ রয়েছে।
এমন ধরনের গল্প আমি শুনেছি এবং সম্ভবত এমন অনেক নাটক সিনেমা রয়েছে। কিন্তু এই গল্পটা সত্য মনে হয়েছে। জানিনা সত্য কিনা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
টুম্পা মনি বলেছেন: গভীর আলোচনা করলেন।
ভালো লাগল।
থ্যাংকস।
২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
অদৃশ্য বলেছেন:
লিখাটি পড়তে পারিনি... দু'একদিনেই পড়ে নিচ্ছি...
তবে হাসান ভাইয়ের মন্তব্যে মনে হচ্ছে আপনার জন্য কিছু আছে... ভেবে দেখবেন... পরে কথা হবে
শুভকামনা...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন:
২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
তুহিন সরকার বলেছেন: প্রতীক্ষা একটু ভালবাসার....................
সভ্যতার কোন দোষ নেই ম্যাডাম..আমরাই অসভ্য কারণ আমাদের নৈতিক শিক্ষা সীমিত..............
ভাল লাগল টুম্পা মনি, শুভেচ্ছা, শুভকামনা সতত।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
তুষার কাব্য বলেছেন: কবিতা ও গল্পের যুগলবন্দি...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস।
২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: Apni eto tarahura kore lekhen keno ? Mathay jodi onk plot aste thake no prob. Just summary ta likhe rakhben. Bt jeta complete korben somoy niye valovabe korben. Apni jodi evabe ojotner sathe lekhen apnar somporke onnorokom dharona hobe. Ki bujhlento?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
টুম্পা মনি বলেছেন: বুছছি।
২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
অদৃশ্য বলেছেন:
আপনার লিখাটি পড়লাম... গল্পের মূল বিষয়বস্তু খুবই কমন টাইপের... যা কিনা আমরা প্রতিনিয়তই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি... লিখাটি আসলেই আপনি খুবই দায়সারা ভাবে শেষ করেছেন... কেন? সময়ের অভাব ছিলো? পড়াশোনার চাপ ছিলো? তাহলে আরেকটু সময় নিয়ে দিতেন পোষ্টটি...
আপনার এই লিখাতে যা কিছু আছে... আমার বিশ্বাস আপনি কিছুটা সময় নিয়ে একটু ভেবে এই সিম্পল গল্পটিকে অনন্য সুন্দর রুপে দাড় করাতে পারতেন... কিন্তু আপনি খুবই দ্রুততার সাথে লিখাটি শেষ করলেন... অনেক শব্দের ব্যবহার হলো কিন্তু শব্দগুলো বা কথাগুলো সুন্দর গল্প হতে হতেও কিছুটা গ্যাপ রেখে গেলো...
এভাবে কাউকে বললে সে মন খারাপ করে ফেলে... আমার ধারনা আপনারও কিছুটা মন খারাপ হবে... তবে এই কথাগুলো পাঠকের কথা, ক্ষেত্র বিশেষে শুনলে ভালো আবার না শুনলেও কোন অসুবিধে নেই...
এটা যদি আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরীর রাফ হয় তবে সেটা আপনার ইচ্ছামতোই হবে... আর আমরাও সেভাবেই দেখবো...
সামনে আরও সুন্দর গল্প বা কবিতার প্রত্যাশা রইলো...
শুভকামনা...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
টুম্পা মনি বলেছেন: এটা অনেক আগের লেখা।
আর হতে পারে আমার লেখাই পচা।
ধন্যবাদ।
২৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
অদৃশ্য বলেছেন:
আচ্ছা অনেক আগের লিখাটি ফাঁকে পোষ্ট করলেন... সমস্যা ছিলোনা, যদি একটু উল্লেখ করে দিতেন নীচের অংশে তাহলে আলোচনা বা সমালোনাটা ভিন্নভাবে হতে পারতো...
দেখুন সমালোচনা সবাই সহ্য করতে পারেনা... এটা সহ্য করবার জন্য কঠিন হতে হয় কিছুটা, তা সবাই পারেনা... সমালোচনা করলে আবার অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়... অনেক সময় বন্ধু হারাতে হয়... অনেক সময় প্রিয়জন...
আপনি যে ভালো লেখেন তার প্রমান আপনি ইতোমধ্যেই রেখেছেন... কেউ ভালো লিখা শুরু করলে তার কাছ থেকেতো তার নিয়মিত পাঠকরা ভালো এবং আরও ভালোটাই প্রত্যাশা করবে এমনইতো নাকি... ঠিক সেরকম আমিও বা হসান ভাইও...
আগের মন্তব্যে কতটা রাগ হয়েছে জানালে খুশি হবো...
শুভকামনা...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
টুম্পা মনি বলেছেন: আসলে পচা লিখসি তার চেয়ে বেশি মন খারাপ হইসে কারণ লেখাটা আমি একজনকে উৎসর্গ করসি। ভালো করতাম আরো পড়ে ব্লগে দিলে। না জানি তিনি মন খারাপ করেছেন কিনা!
যাই হোক আমি মনে করি সমালোচনায় লেখার মান ভালো হয়। আর এক ঘেয়ে মন্তব্য আমারও ভালো লাগে না।
আর আলোচনা হোক বা সমালোচনা হোক অদৃশ্য, বিগ হামা আমার কাছে সমান প্রিয় থাকবে।
২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
অদৃশ্য বলেছেন:
এটা খুশি কথা... এটা ভালোলাগার কথা...
শুভকামনা...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: এটা খুশি কথা... এটা ভালোলাগার কথা...
হুমম
২৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
জুন বলেছেন: সামনে যে তখন বসা ছিল তার স্বপ্ন পুরুষ! পিছু ফিরে তাকাবার সময় কই!
বড় কঠোর সত্যি লাইনটি। মোহগ্রস্ত হয়ে কত ছেলে মেয়ে যে অনিন্দীতার মত ভুল করে শেষে পস্তায়। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে খুবই স্বাভাবিক এখন।
ভালোলাগলো ঝরঝরে বর্ননায় আপনার লেখা একটানে পড়ার মত টুম্পামনি।
+
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন।
ভালো থাকুন।
২৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
রোহান খান বলেছেন: জীবনের সব প্রেমময় অধ্যয় বা তার শেষসীমা ও সাথে রেললাইন ! কিছু কিছু মানুষের বেলায় এ প্রস্খাফলন কি করে ফিরে আসে? আসলে যখন কোন ভালবাসার মাঝে রেললাইন চলে আসে তখণ সেই কপোতিরদের জীবন ধারাও বয়ে চলে রেললাইনটির মত সমান দুরত্বে। পাশাপাশিই আছে দুজন সেই সাথে চলছেও তাদের জীবন ধারা তবুও একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব তাদের কখনো এক হতে দেয় না। আজ অনেকদিন পর নিজচোখে পানির অস্তিস্ত্ব দেখতে পেলাম আপনার লেখাটা পরে। লেখা বললে ভুল হবে, বলবো বাংলাবর্ন দিয়ে সুসজ্জিত আপনার আকানো ছবিটা দেখে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার লেখালেখি আশা জাগালো। অসংখ্য ধন্যবাদ রোহান।
২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
দ্য েস্লভ বলেছেন: এটা একটা দারুন গল্প। এরকম দুটি নাটক বোধহয় আমি অনেক আগে দেখেছি।পরে মনে পড়েছে। নাটকটি ভাল লেগেছিল। তবে হতাশাজনক। এটা খুব কম মাত্রায়ই ঘটে থাকে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: এটা খুব কম মাত্রায়ই ঘটে থাকে।
হুমম! বোধয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: There are plenty of other fishes in the sea ...You just need to know how to catch them
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৩
টুম্পা মনি বলেছেন:
৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভারী কমেন্ট করলাম না ! অতো কিছু আসলে জানিও না ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: আমিও জানি না।
৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
অদৃশ্য বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো...
শুভকামনা...
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য,
ঈদ জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ,
আপনার জন্যও ঈদের শুভেচ্ছা।
৩৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮
ফালতু বালক বলেছেন: সেই ইমনকে জিজ্ঞাসা করে ,'' তুমি কি আমায় ভালোবাসো?''
বেয়াদপ মাইয়া সিনিয়র কে তুমি কইরা বলে
ভালো লাগলো খুব, কাব্য ও গল্প।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
টুম্পা মনি বলেছেন: বেয়াদপ মাইয়া সিনিয়র কে তুমি কইরা বলে
আমারও ভালো লাগল।
ঈদ মোবারাক।
৩৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমার একটা কাজিন আছে , নাম ইমপা । ওকে সবাই ইমপা মনি ডাকে। ওর ছোট বোন নেই । ইভেজ আমাদের ফ্যামিলির মধ্যে ইম্পার ছোট কেউ নেই । ইমপার যদি কোন ছোট বোন থাকত তাহলে অবশ্যই তার নাম নাম টুম্পামনি হত
একজনের মুখে আপনার অনেক প্রশাংসা শুনেছি ফেবুতে
ঈদ মোবারক টুম্পামনি । টুম্পামনিকে অনুসরন করলাম
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: ইমপার যদি কোন ছোট বোন থাকত তাহলে অবশ্যই তার নাম নাম টুম্পামনি হত
আমার টুম্পা মনি নাম টা আমার চাচাদের শখ করে রাখা। পর আস্তে আস্তে সবার কাছে এই নামেই পরিচিত হয়ে গেছি। আবার সবাইও এই নামে ডাকে।
একজনের মুখে আপনার অনেক প্রশাংসা শুনেছি ফেবুতে
আমার প্রশংসা!!! খুবই অবাক হলেম। কে তিনি প্লিজ জানাবেন।
আমিও আপনাকে অনুসরণ করলাম।
ঈদের শুভেচ্ছা।
৩৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০১
সপ্নীল আমি বলেছেন: ভাল লাগল। সোজা প্রিয়তে এবং ঈদ মোবারক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: আমার এই পচা লেখা প্রিয়তে রাখার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন সপ্নীল।
৩৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
রোহান খান বলেছেন: হাসি আনন্দ আর কান্নাদের সাথে অনেকটা ব্যাস্ত সময় কাটিয়েছি, তাই সামুতে আশা হয়নি। দেরি করে হলেও আজ জানালাম -
মানুষের জীবনে কিছু কিছু সময় বদলে যায়, কিছু কিছু মানুষও বদলে যায়, ঠিক তেমনি আপনি আপনার জীবনের ব্যার্থতা গুলোকে সাজিয়ে যেন তা সফলতা তে আলোকিত করতে পারেন এই কামনায় - ঈদ মোবারক ভাইয়া। জীবনে
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
কয়েস সামী বলেছেন: বাপস্! অত্তোগুলা কমেন্ট!গল।প এবং কমেন্ট পড়তে বেশ লাগল। +++
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: ভালো লাগলো। আসলে মানুষ খাই খাই স্বভাবের জন্যেই এত কষ্ট পায়। যা আছে তা Appreciate করতে জানলে এত জটিল হত না জীবন। +++
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: আসলে মানুষ খাই খাই স্বভাবের জন্যেই এত কষ্ট পায়।
ভালো লাগল আপনার মন্তব্য। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে পরলাম ,সব কমেন্ট সহ ।
ঈদ মোবারক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: :!> :#>
ব্যাপুক বিনোদন নিসেন। তাও ফ্রিতে।
তবুও ঈদের শুভেচ্ছা
৪০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কবিতা খুব ভালো লাগছিলো।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২১
টুম্পা মনি বলেছেন:
থ্যাংকস।
৪১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
সিয়ন খান বলেছেন: দারুন লিখেছেন। +++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সিয়ন,
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
মাহবু১৫৪ বলেছেন: এক টানে পড়ে ফেললাম
খুব ভাল লাগলো
++++++++