নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যাযাবর। নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনে নিজেকে দেখে বুঝি এখনো আছে আমার অস্তিত্ব।

বলার নেই কিছু।

টুম্পা মনি

আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।

টুম্পা মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সন্ধ্যামালতি

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪



রাতের শুনশান নিরবতা। একটানা ঝি ঝি পোকার ঝিম ধরানো ডাক! সাজ্জাদের মনটা যেন আরো খিচরে ভেঙ্গে আসতে চায়! দু চোখ দিয়ে অবারিত অশ্রুক্ষরণ। সে সব সহ্য করতে পারে, কিন্তু ধোকা সহ্য করতে পারে না। সীমা অন্তত একবার তাকে বলত তার বিয়ের কথা! সে কি তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াত? মানুষ হিসেবে সে কখনোই এমন নয় যে অন্তত কারো মতের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে। আর সীমা তো স্বেচ্ছায় তার কাছে এসেছিল। নিজে থেকেই বলেছিল 'ভালোবাসি!'

সাজ্জাদও মনে মনে স্থির করে রেখেছিল চাকরীর প্রমোশন হতেই সে সীমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু সীমা তার জন্য অপেক্ষা করে নি। তার বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেছে। অথচ একটি বারের জন্যও সে সাজ্জাদকে জানায় নি তার বিয়ের কথা। বিয়ের দু দিন আগ পর্যন্তও সে সাজ্জাদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে গেছে নিখুঁতভাবে!



সাজ্জাদ হেটে হেটে পিচ ঢালা পথ পেরিয়ে ঘাট বাঁধানো একটি লেকের পাড়ে চলে আসে! হঠাৎ খেয়াল হয় সে হাটতে হাটতে তার বাড়ি থেকে বেশ দূরেই চলে এসেছে। এখানে যখন তখন ছিনতাইকারী, গাঁজাখোরদের হাতে হেনস্থা হবার ভয়। তবুও তার বাড়ি ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় না। কি হবে বাড়ি ফিরে গিয়ে ? একরাশ হীনমন্যতা এসে জাপটে ধরবে! তার চেয়ে বরং এই লেকের পাড়েই কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকা যাক।



সাজ্জাদ লেকের পাড়ের নরম ঘাসের উপর বসে পড়ে। হঠাৎ মেঘে ঢেকে যাওয়া চাঁদটা মেঘের আঁচল থেকে বেরিয়ে এসে জোছনা উপচানো মায়াবী সুধায় আচ্ছন্ন করে দেয় চারপাশ! চিকচিক করে উঠে লেকের পানি। সেই পানিতে স্পটভাবে দেখা যায় নিচে সাঁতার কাটা কিছু কার্ফু মাছ। সাজ্জাদ এক দৃষ্টি চেয়ে থাকে। কেমন যেন কান্না ভর করে বুকের ভেতর, বুক ভারী হয়ে আসে! চিৎকার করে কাঁদলে হয়ত মন কিছুটা শান্ত হত! সাজ্জাদ ঘাসের উপর শুয়ে চোখ বন্ধ করে অনেকক্ষণ পড়ে থাকে। তার চোখ থেকে অনবরত অশ্রু বয়ে যাচ্ছে।

হঠাৎ কে যেন কানের কাছে বলে ওঠে, ''পথিক, তুমি একদম শিশুদের মত কাঁদো!'' তারপর বাঁধ ভাঙ্গা হাসি।



সাজ্জাদ চমকে উঠে বসে। ওফ! এই মুহূর্তে পতিতাদের মুখোমুখি হবার মত মন তার একদম নেই। আর তাছাড়া সে পতিতা পছন্দ করে না। বহুজনের সাথে রাত্রী শেয়ার করা মেয়েদের সাথে কথা বলতেও তার রুচিতে বাঁধে। সে বিরক্তির সাথে পেছনে ফিরে তাকায়। তাকিয়েই যেন চোখ ঝলসে যেতে চায়! এত মায়াময় চেহারা সে খুব কমই দেখেছে। আমতা আমতা করে বলে ,''কে আপনি? আমার কাছে কি চান? আমাকে প্লিজ একা থাকতে দিন।''



মেয়েটির ঠোটের কোণ থেকে হাসি যেন সরছে না। সে আরো দু কদম এগিয়ে এসে বলে ,''এ দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি এক বুড়ো ধারী রাস্তার উপর বসে শিশুদের মত কাঁদছে! তাই দেখতে এলাম।''



সাজ্জাদ মেয়েটির রসিকতায় বিরক্ত হয়। সে কিছুটা কঠোরভাবে বলে ,''এত রাতে কোন ভালো মেয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে না।''



-''কেন? রাতে মেয়েরা ঘর থেকে বের হলে খারাপ হয়ে যায় বুঝি? এত কিসের ভয় বলতো পথিক? কিছু দুষ্কৃতিকারীর হাতে সম্ভ্রম হারানোর ভয়? এতে তুমি একটা নিরাপরাধ মেয়েকে পাপী কেন করছো বলতো? কিছু পাপীর জন্যে মেয়েরা কেন ঘর থেকে বের হবে না?''



সাজ্জাদ চুপ করে যায়। এই মেয়ে তো বেশ চটাং চটাং কথা বলে! অবশ্য অনেক পতিতার এমন স্বভাব থাকে। ওরা এমন ললিত কথা বলে ছেলেদের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা ওসুল করে নিতে চায়। কিন্তু এই মেয়েকে দেখে পতিতা মনে হয় না! এর চেহারায় সম্ভ্রান্তের ছাপ! চোখ দুটো আর হাসি অসম্ভব সুন্দর। রাতের বেলাতেও তার রুপ বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। সাজ্জাদ আবার বলে ,''আচ্ছা আপনাকে তো বেশ বুদ্ধিমতি বলেই মনে হচ্ছে তবে আমাকে ''তুমি'' করে কেন বলছেন? জানেন না অনুমতি ছাড়া কাউকে 'তুমি' ডাকাটা অভদ্রতা? ''



-''আমি তোমার থেকে বয়সে বড়ই হবো। তাই তুমি করে বলেছি।'' তারপর মেয়েটি হেসে গড়িয়ে পড়ে। যেন সাজ্জাদের প্রশ্নে খুব মজা পেয়েছে। সে সাজ্জাদের কিছুটা কাছে এসে বসে। তার দীঘল চুল ঘাসের উপর বিছিয়ে যায়।



সাজ্জাদ আরো তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় মেয়েটির দিকে! ''আপনার বয়স তো দেখে বাইশ তেইশের বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না! তবুও নিজেকে বুড়ি সাজাতে কেন চাইছেন? আমার বয়স কিন্তু ত্রিশের কোঠায়!''



-''পথিক শোনো! সব সময় চোখে যা দেখা যায়, তা সত্যি হয় না!''



- ''আচ্ছা! সত্যিটা তাহলে আপনিই বলুন! কে আপনি? এত রাতে না ঘুমিয়ে এই লেকের পাড়ে কেন এসেছেন?'' সাজ্জাদ এক মুহূর্তের জন্যও মেয়েটির থেকে দৃষ্টি সরায় না। যেন মেয়েটি মিথ্যে বলতে গেলে চট করে ধরে ফেলতে পারে।

মেয়েটির চোখের অদ্ভুত শীতলতায় সাজ্জাদের শিরদাঁড়া বেয়ে তীক্ষ্ণ শিহরণ নিচে নেমে যায়! মেয়েটি কি তাকে ভড়কে দিতে চাইছে! উদ্ভট কথা বলে কোন স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে? কি চাইছে এত রাতে মেয়েটি তার কাছে? ওর কি একদম ভয় করছে না এত রাতে একজন অপরিচিত যুবকের পাশে বসে নিশ্চিন্তে গল্প করতে?

সাজ্জাদ একবার ঘড়ির দিকে তাকায়, একবার চাঁদের দিকে। ভরা পূর্ণিমায় ঘড়ির কাটা দেখতে মোটেও সমস্যা হচ্ছে না। রাত তিন টা বেজে পাচ মিনিট। সময় যেন খুব দ্রুত গড়িয়ে চলছে।



মেয়েটি সাজ্জাদের দুশ্চিন্তা বুঝতে পেরেই যেন বলে ,''আমাকে ভয় পেও না পথিক! আমি ক্রিমিনাল নই, কোন পতিতাও নই। আমি সন্ধ্যামালতি, ঐ যে সামনে কিছু দূরেই আমার বাড়ি। রাতের বেলা এদিকে তেমন কেউ আসে না। এমন কি গুন্ডা বদমাশেরাও না। তাই একটু হাটতে বেরিয়েছিলাম। তোমাকে কাঁদতে দেখে ভাবলাম শুনে আসি কি হয়েছে!''



সাজ্জাদ কিছুটা আশ্বস্ত হয়। মেয়েটির প্রতি তার আগ্রহ বাড়ে। সে আবার জিজ্ঞাসা করে ,''আচ্ছা! আপনি তাহলে সন্ধ্যামালতি! খুব চমৎকার নাম! ''



-''হুম! আমি ছোটবেলায় দেখতে খুব কালো ছিলাম তো, তাই বাবা নাম শখ করে নাম রেখেছেন সন্ধ্যামালতি! সন্ধ্যায় ফোটা ফুল! ''



-''আপনি কালো ছিলেন! আপনার দুধে আলতা গায়ের রঙ দেখে তো তা মনে হচ্ছে না!''



-''আমি তোমাকে আগেই বলেছি পথিক সব সময় চোখে যা দেখা যায় তা সত্যি হয় না!'' হঠাৎ বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় সন্ধ্যামালতির মুখ। তার সাথে পাল্লা দিতে চাঁদও যেন মেঘে ঢেকে যায়। সন্ধ্যামালতি উঠে দাঁড়িয়ে বলে ,''আজ তাহলে আসি পথিক! ভালো থেকো!''



সাজ্জাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সে হনহন করে হেটে চলে যায়। সাজ্জাদও ক্লান্ত পায়ে বাড়ির দিকে হেটে চলে।



পরদিন অফিসে কিছুতেই সাজ্জাদের মন বসে না! গত রাতে সত্যিই কি তার অপরুপ সুন্দরী কোন মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল? নাকি সবই ছিল ভ্রমো! আজ রাতে সেখানে গেলে কি সন্ধ্যামালতির দেখা মিলবে? সে কি আসবে আজ রাতেও? সাজ্জাদের আর তর সয় না। কখন রাত হবে, কখন সে যাবে লেকে পাড়!

সন্ধ্যামালতির ভাবনা সাজ্জাদকে সীমার প্রতারণার কষ্টের স্রোত থেকে দূরে নিয়ে যায়। সাজ্জাদও স্বেচ্ছায় সেদিকে ভেসে চলে! ভালো হয় যত দ্রুত কষ্টগুলোকে কাটিয়ে ওঠা যায়! কোন প্রতারককে এভাবে মনে ধরে রাখার কোন মানে হয় না।



সন্ধ্যায় বিছানায় গা এলিয়ে সাজ্জাদ ভাবে, আচ্ছা সন্ধ্যামালতি কিডন্যাপার নয়ত? তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সাথে করে নিয়ে যাবে! তারপর তার চোখ,কিডনি,লিভার এ সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করে দেবে! নাহ! এই নিশ্চয়তাকেও একবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিছু দিন আগে তো পেপারে এমন এক ঘটনা প্রকাশিতও হয়েছিল। এক অসম্ভব রুপসী মেয়ে যুবকদের ভুলিয়ে অঙ্গ পাচার করে বিদেশী সংস্থার কাছে। আর ক্রিমিনাল সংঘের মেয়েরা বেশির ভাগ সময়ই অনেক রুপবতী হয়।



এই সব ভয়ানক ভাবনাগুলোও সাজ্জাদকে লেকের পাড়ে যাওয়া থেকে ফেরাতে পারে না। যেন মাদকের নেশা ভর করেছে! নারীর রুপের নেশা হয়ত এমনই। সাজ্জাদের মনে হতে থাকে এই মেয়ের আঁচলের নিচে মরণও অনেক ভালো! উহু একদিনের পরিচয়ে একটা মেয়েকে নিয়ে এত কিছু ভাবা ঠিক হচ্ছে না! এমনও তো হতে পারে মেয়েটা বিবাহিত!



সাতপাঁচ ভাবনায় সাজ্জাদ অস্থির হয়ে ওঠে। সে দ্রুত হেটে চলে লেকের ধারে! আচ্ছা সন্ধ্যামালতি আজ আসবে তো!যদি সে না আসে! গতকাল তো তাকে আসার কথা বলে দেয় নি। সাজ্জাদের উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়!

সে লেকের পাড়ে পৌছে দেখে সন্ধ্যামালতি তার আগেই এসে বসে আছে। সবুজ পাড় বাঁধানো লাল শাড়ি তার পরনে। অপরুপ লাগছে তাকে। সাজ্জাদের মনে হয় পৃথিবীর সব পোশাকেই হয়ত তাকে অপরুপ লাগবে। সাজ্জাদ কাছে যেতেই বলে উঠল ,''পথিক তুমি এত দেরি করলে কেন?''



সাজ্জাদ তার নিজের মাঝে ব্যাকুলতা আড়ালের জোড় চেষ্টা চালায়। ''আমার কি আপনার সাথে দেখা করতে আসার কথা ছিল নাকি? আমি আসলে ভাবতে পারি নি আজো এখানে আপনার সাথে আমার দেখা হয়ে যাবে!''



-''তুমি মিথ্যে বলছো কেন পথিক? তুমি আজ সারাদিন আমাকে নিয়েই ভেবেছো! বাঁধভাঙ্গা উৎকণ্ঠায় প্রতিক্ষা করেছো রাতের এই মুহূর্তটির জন্য!''



সাজ্জাদ থতমত খেয়ে যায়! দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, ''তুমি কি করে জানো!''



-''আমি সব জানি পথিক! তোমরা ছেলেরা রুপের পাগল! ময়দার মত সাদা চামড়া আর সুন্দর ফিগার পেলে তোমাদের আর কিছু লাগে না!''



সন্ধ্যামালতির কথায় সাজ্জাদের পৌরুষত্বে ঘা লাগে। ''সবাই এক রকম নয় সন্ধ্যামালতি! আমার প্রেমিকা খুব বেশি রুপবতী ছিল না। তবুও আমি তাকে ভালোবেসে ছিলাম! কিন্তু সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে! প্রতারণায় তোমরা মেয়েরাও কম যাও না!''



সন্ধ্যামালতি আচমকা হেসে ওঠে! তার হাসির শব্দে যেন থর থর করে লেকের পানি কেঁপে ওঠে! সন্ধ্যামালতি সাজ্জাদের আরো কাছে এসে বসে। ''ঐ তারাটার নাম জানো পথিক? ও হল কালপুরুষ! ঐ যে ঐ তারা টা। শুকতারা থেকে কিছুটা দূরে!'' সন্ধ্যামালতির হাতের সরলরেখা ধরে সাজ্জাদ আকাশের দিকে তাকায়। তার আকাশ দেখতে আগে থেকেই ভালো লাগে,কিন্তু এত খুটিয়ে খুটিয়ে কখনো দেখা হয় নি। আর আজকের মত আকাশটাকে এত অসম্ভব সুন্দরও কোন দিন মনে হয় নি! সন্ধ্যামালতি তাকে আকাশের তারা চেনায়।'' ঐ যে দেখছ ওটা লুব্ধক, শরতকালে এটা ঐ দিকে ওঠে! ওর পাশ দিয়ে প্রায়ই উল্কা হেটে যায় জানো! হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে খসে পড়ে! ঐ রাতে আমাদের এক সাথে তারা দেখার কথা ছিল জানো!''



-''কোন রাতে! কার সাথে তারা দেখার কথা ছিল?''



- আমার স্বামীর সাথে! যে রাতে ওরা আমাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল! আমার স্বামীও আকাশ দেখতে ভালোবাসতো জানো! আর আমি তাকে তারা চেনাতাম!!''



-''সন্ধ্যামালতি তুমি বিবাহিত! আগে কেন বলো নি? ''



-'' তোমার সাথে আমার পরিচয় তো দু দিন মাত্র! আরো আগে কি করে বলতাম বলো!'' সন্ধ্যামালতির কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু সাজ্জাদের ভালো লাগে না। সাজ্জাদের মনে হয় ইচ্ছে করেই তাকে আবিষ্ট করতে সন্ধ্যামালতি তার বিয়ের কথা লুকিয়েছে! সে আবার জিজ্ঞাসা করে ''কারা তোমাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল? ''



সন্ধ্যামালতি যেন ভয়ে শিউরে ওঠে। কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ,''আমার শাশুড়ি আর ননদ! আমি খুব কালো ছিলাম তো! তাই ওদের আমাকে ভালো লাগে নি! ওরা ওদের ছেলের জন্য খুব সুন্দরী বধু চেয়েছিল! শুধু আমার অঢেল সম্পত্তির জন্য আসিফের সাথে আমার বিয়ে দিয়েছিল!''



-সন্ধ্যামালতি তুমিও তো অপরুপ রুপবতী!



-হুম এখন হয়েছি! তখন ছিলাম না!



-আচ্ছা! তারপর?



-তারপর ওরা নিয়মিত আমাকে পেটাতো! তবে আমার স্বামী আমাকে খুব ভালোবাসতো!''



-তারপর?



-তারপর একদিন আমাদের ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যাবার কথা ছিল! আমি ওর উপহার দেয়া সাদা শাড়িটা পড়ে সেজেগুজে ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম!

জানো পথিক! কালো মেয়েদের মন কেউ বোঝে না! আমার গাড় লাল রঙ খুব পছন্দ ছিল! কিন্তু ও আমাকে সব সময় সাদা শাড়ি কিনে দিত! ওর ধারণা আমাকে লালে মানাবে না। দেখো তো পথিক আমাকে লালে মানিয়েছে কি না?'' সন্ধ্যামালতি উঠে গিয়ে তার আঁচল সামনে এনে সাজ্জাদের সামনে দাঁড়ায়।



ওহ এই কথা! তুমি তাহলে রুপের প্রশংসা শুনতে চাইছো! তারপর ধরা দেবে আমার কাছে? আমি বেশ বুঝি এই স্বামী, শাশুড়ি, ননদ সব তোমার কল্পকাহিনী। তুমি আমাকে ভড়কে দিতে চাইছো! কিন্তু রুপবতী এত সহজে ভড়কানোর লোক আমি নই। সাজ্জাদ অপসরা দেখছে এমন ভাব মুখে এনে বলে ,''অপরুপ লাগছে তোমাকে !''



-''জানো পথিক! ওদের বাড়িতে আমি কাউকে বিশ্বাস করতাম না! আমি জানতাম ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চায়! শুধু স্বামীর টানে ঐ মৃত্যুপুরীতে পড়েছিলাম! আর কেউ ভালো না বাসুক, স্বামী তো বাসে!''



-''তারপর? সেই কেন্ডেল লাইট ডিনারের কি হল?''



- তারপর ওর সাথে আমি ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের জন্য বের হলাম! পথেই পড়ে এই লেক। এখানে হঠাৎ এসে ও গাড়ি থামিয়ে দিল! আমি ভাবলাম গাড়িতে হয়ত কোন সমস্যা হয়েছে! তারপর দেখি চার পাঁচ জন লোক এসে আমাকে গাড়ি থেকে বের করে নিতে যাচ্ছে! সাথে আমার শাশুড়ি,ননদও আছে! আমি ওর দিকে ব্যাকুল হয়ে চেয়েছিলাম! দু চোখে বিস্ময়! আসলে কি ঘটছে আমার সাথে!''



-তারপর!



-''তারপর দেখলাম ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে! আমি অনুন্বয় করে বললাম আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছো? চল বাড়ি ফিরে যাই! ওর মুখে তখন পৈশাচিক হাসি! সুন্দর চোখ জোড়া হঠাৎ হয়ে উঠলো ভয়ংকর! যেন রক্ত পিপাসু ভ্যাম্পায়ার! ও চিবিয়ে চিবিয়ে বলল '' বাড়ি তো ফিরে যাবোই! কিন্তু তুই যাবি না।'' ও শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরল! আমি কাতর হয়ে বলি ,''ছেড়ে দাও ব্যাথা পাচ্ছি তো! প্লিজ ছেড়ে দাও।'' ও আবার হিসিয়ে ওঠে!'' তোকে ছেড়ে দেব! ছেড়ে দিলেই তো তুই সোজা পুলিশের কাছে যাবি। তার চেয়ে ভালো এখানেই পুড়ে লেকে পানিতে ডুবে থাক।'

আমার প্রেমময়ী স্বামী হঠাৎ যেন দানব হয়ে যায়! আমার কিছুতেই বিশ্বাস হতে চায় না এ সব কথা ও বলছে! ও সমানে আমার গায়ে কেরোসিন ছিটাতে থাকে আর ঘৃণায় ঠোট জোড়া বাকিয়ে ভৎসনার সুরে বলতে থাকে ,''তুই মরে যা। তোর মত কুৎসিতকে ভালোবাসি বলতে বলতে আমি হাপিয়ে উঠেছি!' আমি বিস্ময়ে,কষ্টে, ক্ষোভে ,দুঃখে যেন চৌচির হয়ে যেতে থাকি! এই কি সেই ঠোট যে ঠোটে ভালোবেসে আমি চুম্বন এঁকে দিয়েছি! এই কি সেই মুখ যেখানে ভালোবেসে আমি ভাত তুলে দিয়েছি! এই কি সেই হাত যেই হাত ধরে বাবার ঘর ছেড়ে নির্ভয়ে চলে এসেছি! হঠাৎ আমাকে ভয় চেপে ধরে! প্রচন্ড ভয়! পথিক তুমি কি জানো মৃত্যু ভয় কত তীব্র হয়? কি করে কেউ বুকভরা অনুন্বয় নিয়েও মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে পায় না এতটুকু অনুকম্পা?



সাজ্জাদের চোখ দিয়ে সন্ধ্যামালতির মত জল ঝরতে থাকে। অনেকক্ষণ কোন কথা কারো মুখ বের হয় না। নোনা জল যেন গভীর শুন্যতা নিয়ে জমাট বেঁধে কন্ঠ রোধ করে রাখে দু জনার! কিছুক্ষণ পর সাজ্জাদই নিরবতা ভাঙ্গে। অস্ফুট আওয়াজে বলে ,''তারপর কি হল সন্ধ্যামালতি?''



-তারপর আমার স্বামীই প্রথম ম্যাচের জলন্ত কাঠি আমার দিকে ছুড়ে দেয়! উহ কি যন্ত্রণা! আমি নিজের শরীর, আর চুল পোড়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম! কন্ঠের সব জোর দিয়ে চিৎকার করে বলেছিলাম বাঁচাও, বাঁচাও ! আমার আর্তনাদ বার বার প্রতিধ্বনিত্ব হয়ে আমার কানেই ফিরে আসছিল! এই নিরব লেকের ধারে কেউ শোনে নি আমার আকুতি! তারপর ওরা এই লেকেই আমাকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি জ্ঞান ফিরে পেয়ে আবার উঠে এসেছি! আচ্ছা পথিক ছোটবেলায় শখ করে কেনা খেলনাও তো কোন শিশু এত অযত্নে ভেঙে ফেলে না! সে আমাকে কি করে এভাবে পুড়িয়ে ফেলল বলতো! রুপই কি তোমাদের কাছে সব? তোমরা কি এর বাইরে চিন্তা করতে পারো না!



সাজ্জাদ মুখে কোন কথা আসে না। চাঁদের আবছা আলোয় সে সন্ধ্যামালতির দিকে চেয়ে থাকে! সন্ধ্যামালতির গল্প তার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়! কিন্তু লজিক তা সাপোর্ট করে না। কারণ কোন আগুণে পোড়া রোগী এত সহজে বাঁচে না! হতে পারে সন্ধ্যামালতি কম পুড়েছিল। তাই বেঁচে গেছে। কিন্তু গায়ের রঙ! সন্ধ্যামালতির পায়ের পাতাটা পর্যন্ত দুধের মত সাদা। কালো কুচকুচে একটা মানুষের গায়ের রঙ রাতারাতি পাল্টে যেতে পারে না। আবার সন্ধ্যামালতির বলার দৃঢ়তা দেখেও মনে হচ্ছে না সে মিথ্যে বলছে! একজন দক্ষ অভিনেত্রীও পারবে না এত নিখুঁতভাবে অভিনয় করতে ! তারমানে তার সব কথা সত্যি! আর সত্যি যদি হয় সন্ধ্যামালতি একজন মানসিক রোগী! সে হয়ত অন্যের কাছে শোনা গল্প তার নিজের মধ্যে ধারণ করেছে। সে ডিলিউশনে ভুগছে! আর এই রোগের জন্যই সে এত রাতে এখানে সেখানে ঘুরছে! সাজ্জাদ তার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। সন্ধ্যামালতি কোন ক্রিমিনাল বা পতিতা নয়, স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি মেয়ে। হঠাৎ তার প্রচন্ড মায়া হয় সন্ধ্যামালতির জন্য।



সন্ধ্যামালতি সাজ্জাদের ভাবনায় ছেদ করে বলে ,''তুমি আমার কথা বিশ্বাস করো নি তাই না? তুমি আমাকে পাগল ভাবছো?''



-''কে বলল আমি তোমাকে পাগল ভাবছি? দেখো আমি নিজের অজান্তেই তোমাকে ''তুমি''করে বলছি। তারমানে আমি তোমাকে বন্ধু ভাবছি। চলো সন্ধ্যামালতি তোমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসি। আর তুমি কুচকুচে কালো হলেও আমি তোমাকে ভালোবাসবো!''



-'' আমি কুচকুচে কালো হলেও ভালোবাসবে! পারবে তো পথিক? আমি জানি তুমি আমাকে পাগল ভেবে সান্ত্বনা দিচ্ছো! তুমি কি আমার শাড়ির নিচে পোড়া ক্ষতের দাগ দেখতে চাও?''



একটা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ মেয়ের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাকে বস্ত্রহীনভাবে দেখার মত বিবেকহীন সাজ্জাদ নয়। সে তাকে শান্ত করতে বলে ,''আমি তোমাকে বিশ্বাস করি সন্ধ্যামালতি! গভীরভাবে ভালোও বাসি। আমার ভালোবাসার এত নিষ্ঠুর পরীক্ষা নিও না প্লিজ। তুমি আমাকে লোভী পুরুষ হিসেবে প্রমাণ করো না!'' সন্ধ্যামালতি আবার অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে! সাজ্জাদ মাথা নিচু করে গভীর ভাবনায় মগ্ন হয়ে যায় কি করে এমন উম্মাদ একটা মেয়েকে সামাল দেয়া যায়! হঠাৎ তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক! ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চায় দু চোখ!

সন্ধ্যামালতির সাদা ধবধবে মুখ হঠাৎ খুব কালো হয়ে গেছে!

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশী বড়, পড়ার মতো শক্তি নাই চোখে।
আগামীকাল :) ||

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

টুম্পা মনি বলেছেন: ঠিকাছে। নো প্রব্লেম। অপেক্ষায় রইলাম। 8-|

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটায় একটার পর একটা টার্ন এসেছে। কখনও মনে হয়েছে লুতুপুতু প্রেমের গল্প, কখনও প্যারানরমাল, কখনও সাইকোলজিক্যাল সমস্যার, সামাজিক বার্তাও এসেছে। ফিনিশিংটা চমকপ্রদ। তবে সন্ধ্যামালতীর গৌরবর্ণ কালো হয়ে যাওয়াটুকুতেই গল্পটা শেষ হলে ভালো লাগতো। ধাক্কাটা বজায় থাকতো। লাস্টে সাজ্জাদের প্রেমময় রোমন্থন ভালো লাগে নাই।

প্লাস লোডিং... |-)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

টুম্পা মনি বলেছেন: কংরাচুলেশন্স! আপনি এত বড় গল্প পড়েছেন! আর প্রেমের গল্পকে লুতুপুতু ক্যান বলেন? X(( X( কত সুন্দার পেরেমের গল্প গুলা! আচ্ছা সন্ধ্যামালতির গোয়্র বর্ণের পরের অংশটা মুছে দিলেও গল্প স্বাধীন থাকবে। তারপরের অংশ যেহেতু ভালো লাগে নাই সাজ্জাদ্রে অজ্ঞান কইরা বাকিটুকু মুইছা দিলাম।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: প্রথমে গল্পে মাইনাস (গল্প পোস্ট করে কাটাকুটির জন্য। কেবলই মনে হচ্ছে ওইখানে কি ছিলো কি ছিলো। এইটা শুধু পুরুষদের নয়, সবারই স্বভাব।)

দ্বিতীয়ত অনেক অনেক প্লাস। কোথায়ও কোনো ছেদ পরেনি। না চিন্তার না গল্পের গতিময়তায়। কেবল আফসোস গল্পটা তৃতীয় দিনে কেন গড়ালো না। কথায় আছে না দানে দানে তিন দান। হাঃ হাঃ হাঃ

অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। সব সময়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা আসলে গল্পের ঐ অংশটুকু ছাড়াও গল্প স্বাধীন। আর বিগ হামা দক্ষ লেখক, ওনার যেহেতু মনে হল মেয়েটির কালো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত থাকলেই ঠিক আছে তাই অতটুকু মুছে দিয়েছি।

তবে আপনার জন্য মন্তব্যে দিলাম ,'' পর দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে জ্ঞান ফেরে। সাজ্জাদের অফিসের কলিগরা বেডের সামনে দাঁড়িয়ে। সবার এক প্রশ্ন ''কি করছিল সে এত রাতে লেকে পাড়ে?''
সাজ্জাদ চুপ করে থাকে। সন্ধ্যামালতির কাহিনী বললে হয়ত এই হাসপাতালের মেন্টালের ওয়ার্ডেই তাকে ভর্তি হতে হবে!

কিছু দিন পর একবিকেলে অফিসের গাড়িতে করে লেকে পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদের সন্ধ্যামালতির কথা মনে পড়ে। লেকে শান্ত জলের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে বলে ,''তুমি ভুল বুঝেছো সন্ধ্যামালতি! তুমি আরো বেশি কুৎসিত হলেও আমি তোমাকে ভালোবাসতাম। আমার ভালোবাসা ভোগের ললাটে আবদ্ধ নয়!'' ''

অজস্র শুভকামনা সজীব। শুভ সকাল।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

আম্মানসুরা বলেছেন: ধাক্কাময় গল্পে প্লাস।
গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাক্কা খেয়েছি!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভসকাল আম্মানসুরা,

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কিছু মনে যদি না করেন একটি সাজেশন গল্পে প্রচ্ছদ হিসেবে শুধু একটি ছবি দিলেই সুন্দর লাগে। অধিক ছবি দিলে কেমন কেমন যেন লাগে দেখতে ।

তবে লেখা এ ক্লাস।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

টুম্পা মনি বলেছেন: প্রিয় কান্ডারী আমি সাধারনত গল্পে এত ছবি দেই না। এইটায় দিয়েছি কারণ এটা অনেক বড় হয়ে গেছে। ব্লগের পাঠক সাধারণত এত বড় গল্প পড়তে ধৈর্য হারান। পাঠক যেন চাইলে খন্ড খন্ড করে কয়েকদিনেও পড়তে পারেন তাই ভাবলাম এভাবে দেই। যা হোক ''কেমন কেমন'' যেহেতু লাগছে নেক্সট টাইম এডিটের সময় নাও মুছে দেব।

শুভ সকাল।

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হরর গল্প পুরোটাই পড়লাম ভাল লেগেছে।রাত ২টার পর পড়লে আরো ভাল লাগতো। পোস্টে ভাল লাগা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভসকাল সেলিম ভাইয়া,

অসংখ্য ধন্যবাদ যে পুরোটা পড়েছেন। কারণ গল্পটা আসলেই অনেক বড় হয়ে গেছে। আর ২টার পর হয়ত গল্পময় পরিবেশ পাওয়া যেতো। তবুও এসব গল্পে সন্ধ্যামালতিদের বোঝার ব্যাপার গুলো দিনেও সম্ভব। আপনার ভালো লাগা উৎসাহিত করল।

অজস্র শুভকামনা।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

জুন বলেছেন: আমাদের এই উপমহাদেশে এই রঙ এর বৈষম্য আর কোন দেশে নেই, যার জন্য এখানে রঙ ফর্সা করার উপাদানের এত রমরমা ব্যাবসা। আমাদের নিজেদের রং যেমন ই থাকুক প্রথম চিন্তাই হলো লাল টুকটুকে দেখে একটা বৌ আনবো।
যাই হোক আপনার গল্পটি সেই বাস্তবতাকে সুন্দর করে তুলে এনেছে।
ভালোলেগেছে পড়তে তবে অনেক কষ্টকর ভালোলাগা টুম্পামনি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভসকাল জুন,

সন্ধ্যামালতিদের কষ্ট বোঝানোই ছিল আমার গল্পের মূল থিম। আপনি বুঝেছেন তাই অজস্র ভালো লাগা।

সামান্য গায়ের রঙের জন্য আমাদের সমাজে মানুষের মূল্য খুব সামান্য হয়ে যায়। এ ব্যাপারটা আমাকে খুবই ব্যাথিত করে যে এতখানি আধুনিক সমাজে দাঁড়িয়েও এই ব্যাপারটায় আমরা এখনো অনেক ব্যাকডেটেড রয়ে গেছি।

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার এখানে গভীর রাত। বিশাল বাড়িতে আমি একা।
পড়া শুরু করবো কিনা ভাবছি। আমি কিন্তু ভূত ডরাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

টুম্পা মনি বলেছেন: আমার এখানে শুভ সকাল , আপনার ওখানে তো মনে হচ্ছে শুভরাত! যা হোক আপনাকে দু টোরই শুভেচ্ছা।

আমার গল্পের ভূত সুইট ভূত। কারণ হরর গল্প লেখা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে কাহিনীর প্রয়োজনে হরর হয়েছে। তাই ভয় পাবেন না আশা করি।

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুম...টুম্পামনি তো ভালো গল্পই লেখেন!

আমিও সন্ধামালতীকে পেয়ে গল্পে আরও ডুবে যাই, সাজ্জাদের মতো ;)

''আমি সব জানি পথিক! তোমরা ছেলেরা রুপের পাগল! ময়দার মত সাদা চামড়া আর সুন্দর ফিগার পেলে তোমাদের আর কিছু লাগে না!'' সন্ধামালতীর অভিজ্ঞতায় এ কথা ঠিক। আবার সাজ্জাদের অভিজ্ঞতায় এটি অগ্রহণযোগ্য।

একই কথা উল্টো দিকেও সত্য হয়। আসলে অভিজ্ঞতাই চূড়ান্ত সত্য।

শুভেচ্ছা :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা

শুভ সকাল মইনুল ভাইয়া। সন্ধ্যামালতিদের মধ্যে মানুষ ডুবে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এক সময় আবার ভুলেও যাবে। আর তাই হয়ত সমাজ অনেক আধুনিক হলেও একটা বৈষম্য আমরা বহু বছর ধরে লালন করে আসছি। সব পাল্টায় শুধু এটা পাল্টায় না। বর্ণবৈষম্য!
আর সাজ্জাদ হল আমার কল্পনা। ভালো হত যদি সমাজে অনেক অনেক সাজ্জাদ থাকতো।

অজস্র শুভকামনা।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

শীলা শিপা বলেছেন: এখন কেন যে পড়লাম!! :( রাতে পড়লে হয়ত আরও ভাল লাগত। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা

অসুবিধা নেই আপু।

শুভদুপুর।

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দিন দিন দেখি আপনার লিখার হাত পাকা হতে আরও পাকা হচ্ছে ।
গল্পটি অনেক ভাল লেগেছে ।
অল্পতেই অনেক কিছু এনেছেন ।
ভাল থাকুন ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা

শুভেচ্ছা জানবেন মাহমুদ

শুভদুপুর!

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মুগ্ধ প্রিয় গল্পকার !

প্রচ্ছদ দেখে ভেবে নিয়েছিলাম হরর গল্প !

শুরুতে মনে হলো না প্রেমের গল্প , আমাদের বিকৃত মানসিকতার কারণে আজকাল যা প্রায়ই হচ্ছে ! গল্প সেখান থেকে সরে আসলো , ধীরে ধীরে কিছুটা ভৌতিক আবহ আসতে শুরু করলো !
সাথে মানব মনের চিরায়িত অস্থিরতা আর আহবান তো ছিলই !
খুব ভালো লেগেছে টুম্পাম্পনি !
প্লাস দেয়ার বৃথা চেষ্টা করতে ইচ্ছে করছেনা , মনে মনে তাই প্লাস দিলাম!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা অভি,

আমার ইন্টেনশন মোটেই হরর লেখার ছিল না। কিছুটা হরর হয়েছে বৈকে! তবে তা কাহিনীর প্রয়োজনে। সন্ধ্যামালতিকে বোঝানোর প্রয়োজনে।

অজস্র শুভকামনা,

শুভ দুপুর।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভাল লিখসেন :) ||

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকস মুন,

ভালো থাকবেন।

শুভ দুপুর।

১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

শায়মা বলেছেন: কি ভয়ানক!:(

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা শায়মা,

পড়ার জন্য ধন্যবাদ,

শুভরাত্রী।

১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। ঝরঝরের গতির এবং প্লটটা সুন্দর। মনে রাখার মত একটা গল্প। কিপ ইট আপ।

অটঃ আমার সন্তাপ গল্পে সন্ধ্যামালতির মত একটা ক্যারেক্টার ছিল।

সন্ধ্যামালতির সাদা ধবধবে মুখ হঠাৎ খুব কালো হয়ে গেছে!

----এই লাইনেই শেষ করলে ভাল হতো। শেষ পর্যন্ত একটা টুইস্ট থেকে যেত।


সাজ্জাদও মনে মনে ধীরস্থির করে রেখেছিল চাকরীর প্রমোশন হতেই সে সীমাকে বিয়ে করবে। ----বোল্ড শব্দটা স্থির হবে।

এক জায়গায় অঙ্গ পতঙ্গ লিখেছেন। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সায়েম মুন মনোযোগী পাঠের জন্য। গল্পটা বড় হয়ে যাওয়াতে কিছু ভুল বানান এড়িয়ে গেছে। এখন ঠিক করে দিলাম।

আর পরবর্তী এডিটিং এর সময় ওখানে শেষ করতে চেষ্টা করবো।

আপনার সন্তাপ পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। সময় করে আপনার ব্লগে গিয়ে পড়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।

অজস্র শুভেচ্ছা।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ধাপে ধাপে এগিয়েছে গল্প । একটার পর একটা পর্দা সরে যাওয়ায় আকর্ষণটা বাড়ছিল ক্রমশ । এক পর্যায়ে ভেবেছিলাম সীমা ই হয়ত এসেছে, মানসিক বিপর্যস্ত সাজ্জাদের সামনে ফ্যান্টাসি হয়ে ।

শেষটা অন্য রকম হল । আমাদের নিকৃষ্ট ফ্যামিলি ভালগারের গল্প ।

গল্পে ভাললাগা ++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া। এত বড় গল্প কষ্ট করে পড়েছেন।

অজস্র শুভকামনা।

শুভরাত্রি।

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

রোহান খান বলেছেন: ভুতদের কাজই এই। ভালোমত চেখে টেখে পরে মুহাহাহহাহহা.....।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

টুম্পা মনি বলেছেন: :D :D :D :D :D

আমার ভূত তো কিউট ভূত। মুহাহাহাহা করলেও অসুবিধা নাই।

B-)) B-)) B-))

শুভরাত্রী রোহান খান।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। আঁকাবাঁকা কাহিনি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা

অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর

আঁকাবাঁকা গল্পের মন্তব্যের জন্য একেবারে সোজাসাপ্টা শুভেচ্ছা।

শুভরাত্রি।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

সুমন কর বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর।

ভালো থাকা হয় যেন প্রতিনিয়ত।

শুভরাত্রী।

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অদৃশ্য বলেছেন:





টুম্পামনি

লিখাটি চমৎকার হয়েছে... হয়তো লিখাটি আরো অনেক চমৎকার হতে পারতো... বাস্তব পরাবাস্তবের মিশ্রনে ভাবনাটি চমৎকার ও তার প্রাকাশও চমৎকার হয়েছে...

সাজ্জাদের সন্ধ্যামালতির প্রতি এতো অল্প সময়েই গভীর ভালোবাসা হয় কি করে? সেটার শুরু হতে পারতো বা লেখিকা সেভাবে বলতে পারতেন...

শুভকামনা...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রিয় অদৃশ্য,

গল্পটা আসলেই অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই পাঠক মনোযোগ রাখতে পারছেন না হয়ত! যা হোক
সাজ্জাদের সন্ধ্যামালতির প্রতি এতো অল্প সময়েই গভীর ভালোবাসা হয় কি করে?
এটা এক জায়গায় কিছুটা ব্যাখ্যা করেছিলাম। সম্ভবত ভালোবাসা অথবা সৌন্দর্যের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ , তারপর সন্ধামালতির কষ্ট দেখে হুট করে আবেগী সিদ্ধান্ত, এটাই মূলত প্রতিফলিত হয়েছে।

মন্তব্য এবং পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য।

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

রাশেদ অনি বলেছেন: একটা মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে বস্রহিন না দেখার মত বিবেকওয়ালা মানুষ খুব দরকার।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা রাশেদ অনি,

এমন বিবেকওয়ালা মানুষদের প্রত্যাশাতেই নায়ককে এভাবে সাজানো।

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

অদৃশ্য বলেছেন:





''গল্পটা আসলেই অনেক বড় হয়ে গেছে। তাই পাঠক মনোযোগ রাখতে
পারছেন না হয়ত! যা হোক''

______ আপনার লিখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করা হয়েছে, নিজেরটা বললাম আরকি

হঠাৎই ভালোবাসা, প্রথম দর্শনেই ভালোবাসা, এমনি এমনি ভালোবাসা... এগুলো বললে ঠিক ছিলো, এগুলো সুত্রপাত... তবে গভীরভাবে ভালোবাসবার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা গল্পে নেই, শুধু মুখদিয়ে বললেই তা হয়ে যাবে না... তাই সেই পুরুষটির মুখনিসৃত বানীটিকে স্রেফ মেকি মনে হয় যা ওই মেয়েটির দুঃখের প্রতি সহানুভূতিশীল নয় বরং তার সৌন্দর্যের মোহে আকৃষ্ট হয়েই এমনটা বলে বলেই আমার মতো পাঠকের মনে হয়...

আপনি জানাবেন কি, গল্পটিতে মেয়েটির উপস্থিতিটা আসলে কি... বাস্তব, ছেলেটির কল্পনা নাকি ভৌতিক...

শুভকামনা...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য ,

আমি আসলে গল্পের এক জায়গায় মেয়েটির প্রতি তার অনুভূতি কেমন বোঝাতে চেষ্টা করেছি। সব তো লিখে দেয়া যায় না। কিছু বুঝে নেয়ার দ্বায়িত্ব হয়ত পাঠকেরও থাকে। যা হোক আমিই হয়ত পাঠক কে বুঝে নেয়ার মত মেসেজ পুরো পুরি দিতে পারি নি। তবুও মন্তব্যে দেখলাম গল্পের শেষে এসে যে ভৌতিক কিছু একটা ঘটেছে তা অনেকেই বুঝে নিয়েছেন।
''পরদিন অফিসে কিছুতেই সাজ্জাদের মন বসে না! গত রাতে সত্যিই কি তার অপরুপ সুন্দরী কোন মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিল? নাকি সবই ছিল ভ্রমো! আজ রাতে সেখানে গেলে কি সন্ধ্যামালতির দেখা মিলবে? সে কি আসবে আজ রাতেও? সাজ্জাদের আর তর সয় না। কখন রাত হবে, কখন সে যাবে লেকে পাড়!
সন্ধ্যামালতির ভাবনা সাজ্জাদকে সীমার প্রতারণার কষ্টের স্রোত থেকে দূরে নিয়ে যায়। সাজ্জাদও স্বেচ্ছায় সেদিকে ভেসে চলে! ভালো হয় যত দ্রুত কষ্টগুলোকে কাটিয়ে ওঠা যায়! কোন প্রতারককে এভাবে মনে ধরে রাখার কোন মানে হয় না।

সন্ধ্যায় বিছানায় গা এলিয়ে সাজ্জাদ ভাবে, আচ্ছা সন্ধ্যামালতি কিডন্যাপার নয়ত? তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সাথে করে নিয়ে যাবে! তারপর তার চোখ,কিডনি,লিভার এ সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করে দেবে! নাহ! এই নিশ্চয়তাকেও একবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিছু দিন আগে তো পেপারে এমন এক ঘটনা প্রকাশিতও হয়েছিল। এক অসম্ভব রুপসী মেয়ে যুবকদের ভুলিয়ে অঙ্গ পাচার করে বিদেশী সংস্থার কাছে। আর ক্রিমিনাল সংঘের মেয়েরা বেশির ভাগ সময়ই অনেক রুপবতী হয়।

এই সব ভয়ানক ভাবনাগুলোও সাজ্জাদকে লেকের পাড়ে যাওয়া থেকে ফেরাতে পারে না। যেন মাদকের নেশা ভর করেছে! নারীর রুপের নেশা হয়ত এমনই। সাজ্জাদের মনে হতে থাকে এই মেয়ের আঁচলের নিচে মরণও অনেক ভালো! উহু একদিনের পরিচয়ে একটা মেয়েকে নিয়ে এত কিছু ভাবা ঠিক হচ্ছে না! এমনও তো হতে পারে মেয়েটা বিবাহিত!''


যা হোক আমার ব্যর্থতা মাথা পেতে নিচ্ছি। ভালো থাকুন। সুখী হন।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়লাম।
আরো লিখুন। শুভ কামনা থাকলো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,

ভালো থাকুন।

২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সন্ধ্যামালতিকে সাজ্জাদ এক পর্যায়ে বলল ' গভিরভাবে তোমাকে ভালো ও বাসি " অথচ ওর মনেই তো সন্ধ্যামালতিকে নিয়া খারাপ চিন্তা ভাবনা চলছিল। দুই দিনের পরিচয়ে সীমার শোক ভুলে গেলো !

যাই হোক, গল্প পড়তে ভালো লেগেছে। লেখালেখির চর্চা বজায় থাকুক, আরও ভালো হবে ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা আপু,

আসলে ভুলে যাই নি। তবে যাবার চেষ্টা তো আছেই। ''সন্ধ্যামালতিকে সাজ্জাদ এক পর্যায়ে বলল ' গভিরভাবে তোমাকে ভালো ও বাসি '' একটা মানসিক রোগীকে মেনেজ করার জন্য সাজ্জাদের মন ভোলানো কথা ছিল এটা।

ভালো থাকুন। সুখী হন।

২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: একটা প্রেমে ব্যর্থতার গল্প, তারসাথে অনেক রকম ফ্লেভার। ভাল লাগল গল্পটা সব মিলে।
অফটপিকঃ এডিট করেছেনই যখন আরেকটু করলে মনে হয় আরো ভাল লাগতো। সায়েম মুন ওই অংশটুকু বলে দিয়েছে। :)

শুভকামনা টুম্পা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা সমুদ্র কন্যা,

আচ্ছা ঠিক আছে সেখান থেকে এডিট করে দেব।

নিরন্তর শুভকামনা।

২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

কিছু পাপীর জন্যে মেয়েরা কেন ঘর থেকে বের হবে না?''

ছেলেরা রুপের পাগল! ময়দার মত সাদা চামড়া আর সুন্দর ফিগার পেলে তোমাদের আর কিছু লাগে না!''

.........একেবারে উচিত কথা বলেছেন ।
এই জন্যে বিশেষভাবে প্লাস ।

আর সবটা মিলে কষ্টটা বেজেছে খুব :(

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা পনি আপু ,

কিছু জিনিস যেন আমাদের সমাজের রুলস হয়ে গেছে। যেগুলো একবিংশ শতাব্দীতে দাড়িয়েও সেই আদি কালের মত মেনে নিতে হয়! তার মধ্যে দু টি হল এই দু টো বিষয়। কিছুতেই মানুষের থিংকিং চেঞ্জ হয় না। :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.