নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যাযাবর। নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনে নিজেকে দেখে বুঝি এখনো আছে আমার অস্তিত্ব।

বলার নেই কিছু।

টুম্পা মনি

আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।

টুম্পা মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ আলোর মিছিল (উৎসর্গ-আরজুপনি আপু)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯



প্রিয়তীর থমথমে মুখের ভাঁজে থেকে থেকে যেন বিদ্যুৎ চমকায়! উৎকণ্ঠা ,উদ্বেগ,দুশ্চিন্তা সব যাপটে ধরে বিবেকের দুয়ারে এসে জড়ো করে প্রশ্নের স্তূপ!এভাবে মেয়েটির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া উচিত হবে কি? কিন্তু সে কি বা করতে পারে? পুঁজিবাদী সমাজের বস্তুবাদী কঠিন নিয়মের কাছে মানুষ বড্ড অসহায়!

বামে মুখ ঘুরিয়ে সোফা বসা স্বামীর দিকে তাকায়। সাজ্জাদ গভীর মনোযোগ দিয়ে পেপারের মধ্যে ডুবে আছে। প্রিয়তীর তার সামনে এসে বসে।

-''সাজ্জাদ শোনো! চলো না এক বার গিয়ে মেয়েটিকে দেখে আসি!''



-''কোন মেয়েটির কথা বলছো? তোমার কলেজের ছাত্রী আলোর কথা?''



-''হুম! নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে জানো! আমারই চোখের সামনে দিয়ে ওরা আলোকে তুলে নিয়ে গেলো। আমি কিছু করতে পারলাম না! তারপর এক সপ্তাহ পর মুমূর্ষু অবস্থায় ফেরত! কিছুই কি করার নেই আমাদের?''



-'' এখানে ক্রিমিনাল প্রভাবশালী লোকের ছেলে! কত দূরই বা আমরা ওকে সাহায্য করতে পারবো! বরং নিজেরাই হয়ত কোন ঝামেলায় ফেঁসে যাবো।''



প্রিয়তী সাজ্জাদের হাটুর কাছে এসে বসে তার হাত থেকে পেপার নিয়ে সাজ্জাদের চোখের দিকে তাকায়। ''আচ্ছা ধরে নাও আলোর জায়গায় যদি আমাদের আপন কেউ এমন বিপদে পড়তো! তখনো কি আমরা এভাবে মুখ ফিরিয়ে থাকতাম?''



-''প্রিয়তী তুমি ঘটনাটা নিয়ে বড্ড বেশি ভাবছো! আলো তোমার ফেভারিট ছাত্রীদের একজন। তাই হয়ত তার এমন পরিস্থিতি তুমি মেনে নিতে পারছো না! কিন্তু তোমার অফিসের কলিগদের দেখো! ঠিকই সব জেনেও না জানার ভান করে আছে। এমন পরিস্থিতিতে এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।''



- তুমি আমাকে এমন কপট বুদ্ধিমান হতে বলো না সাজ্জাদ! আমি পারব না! তিলে তিলে বিবেকের কাছে আত্মার পরাজয় ঘটিয়ে আমি কিছুতেই শান্তিতে থাকতে পারবো না। আমি দমবন্ধ হয়ে মারা যাবো!



-আচ্ছা! তাহলে কি করতে চাও?



- চলো না অন্তত একবার হাসপাতালে গিয়ে আলোকে দেখে আসি! প্লিজ!



সাজ্জাদ প্রিয়তীর মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বুঝতে পারে সে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে যে কোন মূল্যেই হোক যাবে!



ঘন্টা দুয়েক পর তারা হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সামনে এসে পৌছায়। সেখানে ছোট বেঞ্চটিতে বসা আলোর মা আর বড় বোন। আলোর মা প্রিয়তীকে দেখে কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে অস্ফুট আওয়াজে ফোঁপানো কান্নায় বলে,'' আমার আলোকে বাঁচাও মা! আলোকে বাঁচাও!''



প্রিয়তীর আলোর মায়ের কাঁধে সান্ত্বনার হাত রেখে তাকে আবার বেঞ্চটিতে বসিয়ে দিয়ে কেবিনে ঢুকে দাঁড়ায় আলোর সামনে।

আলোকে দেখে সে চমকে ওঠে! কষ্ট, আতঙ্ক ,ভয় ,মমতার অতলস্পর্শী দহনে পুড়তে থাকে প্রিয়তীর আত্মা! এ কেমন অদৃষ্টের পরিহাস! এই মেয়েটিই কি তার কলেজের প্রথম বর্ষের সব থেকে সুন্দরী, চঞ্চলা কিশোরী আলো!



আলোর নাকে নল দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে! গলা থেকে কেমন যেন ঘর ঘর শব্দ বেরোচ্ছে! চোখ বোজা, নিথর দেহ ছোট্ট কেবিনের বেডের উপর সোজা হয়ে শুয়ে আছে। দুই হাতের ক্যানুলা দিয়ে সমানে ফ্লুইড শিরা ছেদ করে ফোটায় ফোটায় বডিতে প্রবেশ করছে! পাশে দাঁড়ানো ডাক্তার জানান আলোর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গরম আয়রন দিয়ে ছেকা দেয়া হয়েছে, সেখানে ইনফেকশন ডেভেলপ করেছে। এত বেশি পুড়ে যাওয়া রোগীদের সুস্থ করে তোলা কঠিন! কিছু দূরে দাঁড়ানো সাজ্জাদ দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে, ''আই উইস আই কুড কিল ডেট বাস্টার্ড!'' প্রিয়তীর মুখে কোন কথা আসে না। সে নিয়তির নিষ্ঠুরতা দেখে নির্বাক, নিশ্চুপ,হতবাক! কি করে কেউ তার ভালোবাসার মানুষকে এত নির্মমভাবে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিতে পারে! এমন ভালোবাসার প্রয়োজন আদৌ কি পৃথিবীতে আছে!



হিরু পাড়ার বোখাটে ছেলে। আলো কলেজের প্রথম বর্ষের অসম্ভব রুপবতী এবং মেধাবী ছাত্রী। বিধবা মায়ের চোখের মনি আলো আর হিরু ধনীর দুলাল।

হিরুর প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়া সে বন্ধু বান্ধব নিয়ে আলোকে কিডন্যাপ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চলে যায়। তারপর টানা সাত দিন তার উপর চালায় পৈশাচিক নির্যাতন। তার সারা শরীরে গরম আয়রন দিয়ে ছেকা দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি তার মনের বিষ, সে আলোর দগ্ধ শরীরের উপর লবন মরিচ ছিটিয়ে দিয়ে তার ব্যাথায় কাতর মুমূর্ষু চিৎকারের প্রতিধ্বনিত শব্দে নিয়েছে উৎপিপাসু রক্তচোষা পিশাচের রক্তসেবনের স্বাদ! প্রতিশোধের মোহে হিংস্র কুকুরের চেয়েও অধম হিসেবে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে!



প্রিয়তী বাড়ি ফিরেও বিমর্ষ হয়ে থাকে। কিছুতেই সে আলোর কথা ভুলতে পারে না! আলোর মুখ, হাত পায়ের গোল গোল নীলচে রঙের, লালচে রঙের ট্রোমার চিহ্ন তার চোখে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠতে থাকে! সাজ্জাদও আজ বেশ নিরব! প্রয়োজন ছাড়া কথা বলছে না। মানুষের পৈশাচিকতার এমন নগ্ন দৃষ্টান্ত দেখে দু জনেই হতবাক!



পরদিন সকালে মুষড়ে পড়া প্রিয়তীকে সান্ত্বনা দেয় সাজ্জাদ, '' সকালবেলা মন খারাপ করে থেকো না প্রিয়তী! থানায় ডায়েরী করা হয়েছে! কালপ্রিট নিশ্চয়ই ধরা পড়বে!''সাজ্জাদ নিজের কথায় নিজেই ভরসা রাখতে পারে না! সে জানে রেপ কেইসের বিচার এত সোজা কথা নয়! ভিক্টিম আদালতে বিচার চাইতে গেলে তাকে দ্বিতীয়বারের মত মানুষের উগ্র দুর্বিনীত কথার দ্বারা রেপড হতে হয়! তৃতীয়বার ডাক্তারদের কাছে শরীরের প্রাইভেট পার্টগুলো পরীক্ষার মাধ্যমে শ্লীলতাহানী হয়! এমনতেই মেন্টাল ট্রোমা! তার উপর বার বারে সমাজের রক্ত চক্ষুর শাসানী! এত ঝড় ঝাপ্টা সহ্য করার মত ধৈর্য, মানসিক শক্তি আমাদের সমাজের বেশির ভাগ মেয়েদেরই থাকে না! আর আলোর অবস্থা তো আরো শোচনীয়!



-''কত মেয়ে তো পর পুরুষকে ফাঁসাতে মিথ্যা রেপেরও অভিনয় করে! তাই না সাজ্জাদ?''



-''হুম তাদের জন্য রেপ কেইসগুলো আরো জটিল হয়! আসল ভিক্টিমরা হয় ভুক্ত ভোগী!''



নাস্তা শেষে প্রিয়তীকে তার কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে সাজ্জাদ চলে যায় তার অফিসে। প্রিয়তী কলেজে এসে বুঝতে পারে সব জায়গাতেই আলোকে নিয়ে নিরবে কানা ঘোষা চলছে! আলোচনার মত মুখরোচক টপিক্স পেয়েছে সবাই! এর মাঝে কেউ আবার আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে আলোকে নষ্টা সাজিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নিজেকে সতীপুণ্যময়ী প্রমাণের চেষ্টা!



আলোর সহপাঠী আফরোজা বলে ওঠে ,''কই আমাকে তো কখনো কোন ছেলে এভাবে বিরক্ত করে না। আলোকে করে কেন? আলোরও দোষ আছে!''

পাশ থেকে টিপ্পনী কেটে আরেকজন বলে ওঠে,''তোকে বিরক্ত করবে কেন রে? তুই তো পেত্নী, আলো সুন্দরী,ও পড়াশুনায় ভালো। তোর এত গুণ কই?''

আফরোজা তেলেবেগুণে জ্বলে ওঠে,''আলোকে নিয়ে বললে তোর এত লাগে কেন? তুইও তো আলোর মত ছেলেদের পিছনে ছোক ছোক করিস!''



প্রিয়তীকে সামনে দেখে ছাত্রীরা চুপ করে যায়। প্রিয়তী নিরবে টিচার'স রুমে গিয়ে বসে। টিচার'স রুমেও টিচারদের মাঝে আলোকে নিয়ে নানা রকম কথা হচ্ছে। প্রিয়তীকে দেখে একজন প্রবীন মেডাম বলে ওঠেন ,''আমাদের মেয়েটার পাশে দাঁড়ানো উচিত। হাজার হোক আমাদেরই তো মেয়ে। আমাদের হাতে বড় হওয়া!''

-আমিও তাই ভাবছি! রাব্বি ভাই কি বলেন?

রাব্বি সাহেব নিশ্চুপ। কিছু দূরে তার স্ত্রী আসমা বসা। তারা স্বামী স্ত্রী একই কলেজে চাকরী করেন। আসমা তার স্বামীকে নিয়ে আলোকে সন্দেহ করে। যদিও তার সন্দেহের বিশেষ কোন কারণ নেই। নিছক নারী মনের অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবনতা। তার ধারণা তার স্বামী মনে মনে আলোকে পছন্দ করে!

তার এই সন্দেহের সাথে ঈর্ষা যোগ হয়ে প্রতিহিংসায় রুপ নিয়েছে। সে চোখ পাকিয়ে বলে ওঠে,''ওটা রেপ ছিল, নাকি মিউচুয়াল সেক্স করতে গিয়ে মেয়ে বিপদে পড়েছে তাও খতিয়ে দেখা দরকার!''



রাব্বি সাহেব এবার ইন্টারনেট ঘেটে স্ত্রীকে রেপের সংজ্ঞা পড়ে শুনান ,''According to sec.375.BPC-A man is said to commit rape who has sexual intercourse with a woman under circumstance falling in any of six following descriptions-1.Against her will,2.Without her consent,3.With her consent,when her consent has been obtained by putting her or any person in whom she is interested,in fear of death or of hurt,4.with her consent,when the man knows that he is not husband, and her consent is given because she believes that he is another man to whom she is or believes herself to be lawfully married,5.With her consent,when,at the time of giving such consent,by reasonof unsoundness of mind or intoxication or the administration by him personally or through another,of any stupefying or unwholesome substance, she is unable to understand the nature and the consequences of that to which she gives consent,6.With or without her consent,when she is under 16 years of age.'' এই সংজ্ঞার ছয় নাম্বার পয়েন্ট অনুযায়ী এটা নিঃসন্দেহে রেপ, আলোর বয়স যেহেতু ১৬ বছরের নিচে।



আসমার চেহারা দেখে মনে হল সে এখনই কেঁদে দেবে! সে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়! প্রিয়তী দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে! আমাদের সমাজের মেয়েরা পুরুষদের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা যতটা না নির্যাতিত তারচেয়ে বেশি পরোক্ষভাবে নির্যাতিত হয় আসমা, আফরোজাদের মত হীনমন্যতায় ভোগা নারীদের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা! প্রতিহিংসায় ভুগতে ভুগতে এরা এক সময় নারীত্বের কোমনীয়তা ভুলে রুক্ষ পাষণ্ড জীবে পরিণত হয়! ধীরে ধীরে এতই নীচত্বে নেমে যায় যে কতখানি নিচে নেমে গেছে সে হিসেব হয়ত তাদের নিজেদের কাছেও থাকে না!



কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিক আসে। সবার কাছ থেকে আলাদা আলাদাভাবে আলোর বর্ণনা শোনে। প্রিয়তী যতদূর সম্ভব সব সত্য ঘটনা জানায়। কি করে দিনের পর দিন হিরু তাকে বিরক্ত করে গেছে! আর মেয়েটা মুখ বুজে সহ্য করেছে! অবশেষে একদিন রাস্তায় তার হাত চেয়ে ধরার প্রতিবাদে আলো তার গালে কষে এক চড় মেরেছে। তারপর সে প্রতিশোধ স্বরুপ আলোকে তুলে নিয়ে তার উপর সাত দিন ধরে চালিয়েছে নির্মম পাশবিক নির্যাতন!''



পর দিন বিভিন্ন পত্রিকায় আলোকে নিয়ে রিপোর্ট হয়। একটি পত্রিকার রিপোর্টের মাঝে এ কথাও বলা হয় ''আলোর চলাচল ছিল কিছুটা বেপোরোয়া! সে মাঝে মাঝে স্কারটও পড়তো'' এ নিউজ পড়ে প্রিয়তী রাগে জ্বলে ওঠে।

'' আমরা এমন কেন বলতো সাজ্জাদ! আমরা কেন এত নিচ! টাকা,ক্ষমতা, প্রতিপত্তিই কি আমাদের কাছে সব? নিষ্পাপ আলোরা কি এভাবেই নিভে যাবে? আলো কি মরে যাবে সাজ্জাদ!'' তার প্রশ্নের উত্তর দিতেই যেন আলোর বড় বোনের ফোন! ''আলো আজ খুব সকালে মারা গেছে, তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে!''



প্রিয়তী, সাজ্জাদ দু জনেই বাকরুদ্ধ! হঠাৎ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে প্রিয়তী । সাজ্জাদ মুখ নিচু করে বলে,''আমাকে ক্ষমা করে দিও প্রিয়তী! আমারই মত একজন পুরুষের জন্য আজ আলোর এত নিশংস পরিণতি! স্বাভাবিকভাবে বাঁচার অধিকারটুকু আমরা আলোদের দেই নি! আলোদের হেসে খেলে চলার স্বপ্ন দেখিয়ে পায়ে শেকল পরিয়েছি, গান গাইতে বলে গলাটিপে ধরেছি, আর প্রতিবাদ করতে বলে কন্ঠে পাড়া দিয়ে দাড়িয়েছি!নিজেকে আজ পুরুষ ভাবতে বড় লজ্জা হচ্ছে প্রিয়তী!''



-''তোমার কোন দোষ নেই সাজ্জাদ। বরং তোমার মত পুরুষেরা নারীদের রক্ষা বর্মণ! এক দলা থুতু সভ্যতার পক্ষ থেকে হিরুদের মত আদিম অসভ্যদের মুখে যারা আলোদের জীবন দুর্বিষহ করে রাখে! সেই সাথে থুতু ঐ আফরোজা, আসমাদের মত নারীদের মুখে যারা শুধু মাত্র প্রতিহিংসার কারণে তারই মত একটি মেয়ের চরিত্রের কলঙ্কের কালিমা লেপন করে!''



সাজ্জাদ,প্রিয়তী আলোদের বাড়ি যায় আলোকে শেষ বিদায় জানাতে!



আলোর মা কাঁদতে কাঁদতে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। অনেক লোক জড়ো হয়েছে আলোকে বিদায় জানাতে। কিন্তু আলোর কোন ভাবনা নেই! সে নিশ্চিন্তে শব রাখার খাটের উপর ঘুমোচ্ছে! এখন আরো বেশী সজীব লাগছে তাকে! মনে হচ্ছে 'আলো' বলে ডাকলেই সে উঠে বসবে! তারপর তার নেতৃত্বে এগিয়ে চলবে আলোর মিছিল!





বি দ্রঃ পনি আপুর নারী বিষয়ক কিছু লেখা এই গল্পের অনুপ্রেরণা।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

অদৃশ্য বলেছেন:





দারুন লিখাটি পড়া হলো... আর পড়বার পর বুঝতে পারছি যে এইসব এইসব গল্প অথবা সত্য শুনবার পর অধিকাংশ সময়ই কথা গুছিয়ে বলার ভাষা থাকে না...
কিছুদিন পরপরই এমন সব ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করি... ছিঃছিঃ করি, হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়... অথচ তেমন কোন সুরাহা হয় না...

লিখাটি সিম্পল... তবে খুবই ভালো লেগেছে


টুম্পামনির জন্য
শুভকামনা...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য ,

গল্পটায় চেয়েছি সিম্পুল কাহিনীর আলোকে আমাদের সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে। কতদুর পেরেছি জানি না! অনেকদিন ধরেই এমন একটা লেখার প্লান ছিল।

শুভেচ্ছা জানবেন নিরন্তর।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চমৎকার গল্প লিখেছেন। পুরো বিষয়টি গুছিয়ে লেখার জন্য চেস্টা করেছেন।

ধর্ষন করেছেন তো মরেছেন এই ধরনের কোন শ্লোগান তা নাইই আমাদের মাঝে উল্টা ধর্ষনকারি খুব সহজে রাজনৈতিক পরিচয়ে ছারা পেয়ে যাচ্ছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

টুম্পা মনি বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,

হুম! ক্ষমতাশীলদের প্রভাব তো আছেই, তার উপর এ সব ক্ষেত্রে আমরা নিষ্পাপদের পাপী সাজাই! ভিক্টীমকে কোন পাপ ছাড়াই কলঙ্কের কালিমা লাগিয়ে দেই যা তাদের স্বাভাবিকভাবে বাঁচাকে দুর্বিষহ করে তোলে।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: দারুন লাগলো গল্পটি

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন নেক্সাস,

আলোর মিছিলে স্বাগতম।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের সমাজে নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক সময় বুঝে। "আলোকে কেন রেপ করলো? আমকে তো করে না!"। যেন সতিস্বাধ্বী থাকাটাই জীবনের চরম চাওয়া, যেমনটা পুরুষেরা ঠিক করে দিয়েছে।

কিছু বলার নেই। দীর্ঘশ্বাস।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

টুম্পা মনি বলেছেন: "আলোকে কেন রেপ করলো? আমাকে তো করে না!", ''ঐ মেয়েকে কেন ছেলেরা বিরক্ত করে, আমাকে তো করে না'' এই জাতীয় প্রশ্ন করা দেরকে আমার সব থেকে অর্থব মনে হয়। এরা জাস্ট জেলাসী নিয়ে তারই মত আরেকটা মেয়েকে বিরক্ত করছে! অথচ যোগ্যতায়ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই জাতীয় মেয়েরা পিছিয়ে। সত্যিকারের যারা সফল ,তারা অনেক উদার হয়।

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল কথা মনে করেছেন।
আমি এ বিষয়টা খেয়াল করেছি। রেপ এর সংবাদ গুলোতে সংবাদ মাধ্যম গুলো মেয়েটির বিষয়ে এতো তোরজোর করে যে তার ব্যাপারে মানুষের সব কিছু মুখস্ত হয়ে যায়। অথচ এটা করে যে তারা মেয়েটির কি পরিমান ক্ষতি করল তার কোন চিন্তাই করে না। রেপিস্টের বেলায় তাদের এক লাইনেই কলমের কালি শেষ হয়ে যায়। কি আজব !!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

টুম্পা মনি বলেছেন: আমার মনে হয় রেপের শাস্তি মৃত্যু দন্ড রাখা উচিত। আর সমাজে মেয়েদের প্রতি পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে মায়েরা অনেক ভুমিকা পালন করতে পারেন। সব মা যদি তাদের ছেলে সন্তান বাড়ি থেকে বাহিরে যাবার সময় বাসে মেয়েদের দেখলে সিট ছেড়ে দেয়া, মেয়েদের সম্মান করা শেখান তাহলে এই সব ইন্সিডেন্স কিছুটায হলেও কমবে।

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এই পচন ধরা সমাজের প্রতি তীব্র ক্ষোভ আছে,
আছে আমার ব্যক্তিগত ক্ষমতার দীনতা...!

বাস টার্মিনাল কিংবা জনবিরল অন্ধকারে যে পিশাচ
শানায় তার লকলকে আদিম কামনার জিভ....।

ইশশ !!! আমরা কি পারিনা কিছুই বদলাতে....??

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: পারি! কিন্তু এ জন্য অনেক পদক্ষেপ প্রয়োজন। মানুষের মনের উদারতা প্রয়োজন! নয়ত আফোরোজা, আসমার মত মেয়েরাও অনেক ক্ষতি করে ছাড়ে।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

আম্মানসুরা বলেছেন: সব কিছুতে নারীর দোষ খুঁজে বের করতে পারলে তৃপ্তি পাওয়ার স্বভাব আমাদের মজ্জাগত। আপনার গল্পে এই স্বভাব টি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা আম্মানসুরা,

আসলে এটাই চেয়েছিলাম। আমরা নারীরাও নিজেদের দোষ খুঁজে বের করতে কম যাই না। এই জিনিসটা আমার খুব খারাপ লাগে। যখন আমার নিজেরই ফ্রেন্ডদের মাঝে দেখি আলোচনার টপিক্স শুধু অন্যদের দোষ কীর্তন। :(

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

ভিয়েনাস বলেছেন: আমাদের সমাজের একটা নির্মম বাস্তবতা উঠে এসেছে গল্প। মানুষ কিভাবে এমন নিষ্টুর কাজ করতে পারে ,তারা কি আদৌ কোন মানুষ ,নাকি মানুষ রুপী জানোয়ার।

সাবলীল গল্পে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা ভিয়েনাস,

আমরা মানুষেরা অনেক সময়ই বিবেক বিসর্জন দেই। অন্য পশুপাখিরাও আমাদের মত অনেক সময় হয় না। কাকেরা নিজেদের গোত্রীয় কেউ মরলে তার লাশের সামনে মিছিল করে। আর আমরা মানুষেরা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করি!

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

ইখতামিন বলেছেন:
কী আর বলবো... :|
দ্বিতীয় ভালো লাগা ++

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইখতামিন,

সুন্দর থাকুন।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালও লিখেছেন গো

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

টুম্পা মনি বলেছেন: :D :D

শুভেচ্ছা জানবেন গো।

১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

সুমন কর বলেছেন: অতি সুন্দর ভাবে সমাজের একটি নগ্ন রূপ তুলে ধরেছেন। বর্ণনার ধরণটাও বেশ।

ভালো লাগল।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর,

আমাদের সমাজ একদিন স্বপ্নের মত সুন্দর হবে এই প্রত্যাশা।

১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: বিষাদময় গল্প । নিচের কথাগুলো নির্মম বাস্তব,

রেপ কেইসের বিচার এত সোজা কথা নয়! ভিক্টিম আদালতে বিচার চাইতে গেলে তাকে দ্বিতীয়বারের মত মানুষের উগ্র দুর্বিনীত কথার দ্বারা রেপড হতে হয়! তৃতীয়বার ডাক্তারদের কাছে শরীরের প্রাইভেট পার্টগুলো পরীক্ষার মাধ্যমে শ্লীলতাহানী হয়!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা মামুন ভাইয়া,

এই অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাক। এর জন্য দরকার কঠোর আইন।

১৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: । অবস্থার পরিবর্তনের কথা কেবল শুনেই যাচ্ছি চিরকাল । হচ্ছে আর কই ?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

টুম্পা মনি বলেছেন: সেখানেই তো দুঃখ আগুন্তক,

:( :( :(

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: বিষয়টা মর্মস্পর্শী। তাই মন্তব্য করতে যেয়ে নিজেরই দ্বিধা হচ্ছে। আত্মকথনকে গল্পে রূপান্তরের চেষ্টা। সযত্নে ঘটনাবলী সাজিয়েছেন। মনের সমস্ত কথাকে উজার করে দিয়েছেন।

টুম্পামনি মন খারাপ করবেন না, শুধুমাত্র এই শর্তে বলছি, পুরোটা পড়ে আমার কিন্তু এটাকে সম্পূর্ণ গল্প মনে হয়নি। কিছু একটা বাকী আছে। অথবা এখনো শেষ হয়নি বলে মনে হয়েছে। আমার মনে হয় এই কথাটা কেউ বলেনি আর বলবে বলেও মনে হয়না। আলোর মৃত্যূর মধ্যে দিয়ে এই গল্পের শেষ হতে পারেনা।

আসলে গল্প ছোট হোক কি বড়, এর প্রকাশটা হতে হয় ঠিক ততখানি যতখানি প্রকাশ করার পরে পাঠকের মনে এর পরে কি ছিলো কি হবে কি হতে পারে এমন একটা রেশ থেকে যায় বা একটা করুণ পরিনতির জন্য কেবল চেয়ে দেখে নয়, আরো অন্য কিছু যা হয়তো আমরা করতে পারিনা, তাই গল্পে করে দেখানো যায় যাতে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়।

প্রিয়তী-সাজ্জাদ এই মানুষগুলো সমাজে সবচেয়ে বেশি বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই তাদের হাত ধরেই সমাজ পরিবর্তনের কিছু কি দেখানো যেতো না? যেমন আসমার স্বামী রাব্বি? ধরে নিচ্ছি এদের হাতে কিছু করার নেই। তবু মানব বন্ধন তো করতেই পারতেন। এমন কিছু দেখানো যেতোনা?

দুঃখিত বিষয়টির সাথে আমি এমনভাবে মিশে গেছি যে আমার কেবল মনে হয়েছে এখানে কিছু বাকী রয়ে গেছে অথবা ঠিক সেখানেই শেষ করা যেতো, যেখানে বলা হচ্ছে মেয়েটি মারা গেছে। এতে পাঠকের মনে একটা বেশ ধাক্কা লাগবে। সে ঘোরের মধ্যে থাকবে। কিন্তু এর পরের কথা গুলো না প্রিয়তীকে বড় করেছে না সাজ্জাদকে মহান করেছে। বরঞ্চ গল্পটিকে আত্মকথনে পরিনত করেছে।

আপনার চিন্তার গভীরতা বেশ। এই গভীরতাকে আপনি আরো অতল স্পর্শী করে তুলবেন বলেই আমার বিশ্বাস। ভালো থাকবেন। সব সময়।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সজীব আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য,

আসলে কাহিনী আলোর মৃত্যুতেই শেষ করেছি কারণ এর পরবর্তী কাহিনী আমার জানা নেই। আমি এমন প্রচুর কাহিনী শুনেছি কিন্তু কালপ্রিটদের কি পরিণতি হয়েছে তা আর জানা হয় নি! আমাদের মিডিয়ায় এই খবরগুলো আসে না।

আর একটা কথা কি জানেন? এই যে মানব বন্ধন, প্রতিবাদ সভা এসব যে সব মেয়েদের ক্ষেত্রে হয় আমার মনে হয় ওরা কিছুটা হলেও লাকি যে তাদের বিচার একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী চাইছে। কিন্তু এমন লাক সবার হয় না! এমন ঘটনাগুলো অনেক সময় লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। মানুষ এক তো কলঙ্কের ভয়ের বিচার চাইতে যায় না, আরেক যদি অপরাধী হয় প্রভাবশালী তাহলে ঘটনা চাপা যাওয়া খুব সহজ হয়।

আর আমাদের সমাজে অনেক সময় অনেক পুরুষ ফাসাতেও কিছু লোক বাজে মেয়ে লেলিয়ে দিয়ে রেপ কেইস সাজায়। আসলে সব কিছুই এখন বেশ জটিল। মানুষের নৈতিক অধঃপতন অনেক বেশি। তবুও আমি মনে করি সাজ্জাদ ,প্রিয়তীরা এখনো সরব আছে। তারা সরব থাকুক এই প্রার্থনা।

আবার ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। উৎসর্গ ভাল লেগেছে। :) আরজুপনি আপু কে শুভেচ্ছা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা এখন পনি আপুর ভালো লাগলেই হল।

শুভেচ্ছা জানবেন সেলিম ভাইয়া।

১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

তাসজিদ বলেছেন: আলো নেই, আলোর মিছিলও নেই। আছে শুধু অন্ধকারের রাহুগ্রাস।



আসলে একজন নারী রেপ হয় একবার রেপিস্ট দ্বারা। কিন্তু বার বার রেপ হয় সাংবাদিক, আইনজীবী ও প্রতিবেশীদের দ্বারা।


আর নারীর উপর হলেই তার চরিত্র নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয় পড়ে। যেন যে রেপ হয়েছে সব দুষ তার।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

টুম্পা মনি বলেছেন: ''আর নারীর উপর হলেই তার চরিত্র নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয় পড়ে। যেন যে রেপ হয়েছে সব দুষ তার।'' এখানেই দুঃখ! গুরু পাপ, লঘু পাপ অনেক কিছুর মধ্যে পার্থক্য আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই। এর জন্য স্বজনপ্রীতিও দায়ী।

ধন্যবাদ তাসজিদ।

১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আলোরা এভাবে সবসময় মরে যায় অথবা ধুঁকে ধুঁকে গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকে- যে অপরাধের দায় তার না,তারই বোঝা নিয়ে কলঙ্কিত জীবন কাটায়। অথচ ওকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া "মানুষটির" কোন বিচার হয় না।


সবচেয়ে ঘৃণা লাগে সেইসব "নারীর" প্রতি যারা পুরুষতন্ত্রের বাহক মাত্র , নিজে একজন নারী হয়েও নারীসত্তা তো বটেই , মানবিকসত্তাটাও বিসর্জন দিয়ে দেয়। পুরুষের কাছ থেকে সবঅধিকার আদায় করা বহু দুর অস্ত যদি এধরনের মানসিকতার নারীরা নিজেদের এ মানসিকতা ঝেড়ে না ফেলতে পারেন, যদি নির্যাতনের দায়ভার নির্যাতিতের কাঁধে তুলে দেবার প্রবণতা না শোধরাতে পারেন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা,

একেবারে আমার মনের কথা বলেছেন। বিশেষ করে নারীদের নিয়ে। একটা ব্যাপার আমি খুব খেয়াল করেছি ছেলেদের মধ্যে এই ধরণের প্রতিহিংসা খুব কম, কিন্তু নারীদের মাঝে বেশি। কখনো কখনো অনেক বেশি। ছেলেরা একজন আরেকজনের বিপদে যেভাবে এগিয়ে যায় ,অনেক সময় নারীরা যায় না। এমন কি কোন মেয়ে সপ্তাহে কতবার পার্লারে যায় , কে কত সুন্দরী, কে নতুন জামা কিনেছে, এসব নিয়ে পর্যন্ত নারীরা একজন আরেকজনকে হিংসা করে, আর পরচর্চা হল তাদের ফেভারিট গসিপিং। আমি নিজেও মেয়ে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো মন থেকে ঘৃণা করি।

১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের আশেপাশে কিংবা পরিচিত মেয়েটার কথাই ধরি না কেন , কোনও মেয়ে রেপড হয়েছে শুনলে আগে জিজ্ঞাসা আসে, মেয়েটা কেমন ছিল ? ভালো নাকি উড়নচণ্ডী ? ছেলেদের সাথে বেশি মিশত নাকি ইত্যাদি টাইপ প্রশ্ন।

অধিকাংশ আসামিই ছাড়া পেয়ে যায় টাকার জোর, ভিক্টিমের ফ্যামিলি মাঝ পথ থেকে কেস বন্ধ করে দেয় নানান কারণ !

এসব ঘটনা কষ্টই বাড়ায় শুধু ! এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ! বর্তমান শাস্তির ব্যবস্থা কি সেটা অবশ্য জানা নেই !

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সুন্দর জন্য। আপনার সাথে সহমত।
আমিও মনে করি রেপের একমাত্র শাস্তি মৃত্যু দন্ড হওয়া উচিত এবং এর ফলাও করে এর প্রচার হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজ এতটাই কুলসিত আমি শুনেছি সমাজে এমনও অনেক মেয়ে আছে যারা অন্য পুরুষ ফাঁসাতে রেপের অভিনয় করে। বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি আসলে সমস্যা জটিল করে।
আর আমার এই গল্পের কাহিনী অনেকটা একটা বাস্তব ঘটনা থেকে নিতে চেষ্টা করেছি। এই ঘটনায় মেয়েটির অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসক পর্যন্ত কেঁদেছেন পাশবিকতার ভয়াবহ রুপ দেখে!

১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নির্মম প্লট ! টুম্পা মনির লেখনীর গুনে বিমর্ষ হতে বাধ্য হয়েছি !
শুভকামনা টুম্পা মনি !

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অভি,

সুন্দর থাকুন।

২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঈশ্বরের কাছে কামনা করি, এরকম পরিস্থিতিতে যেন কাউকে কখনো না পড়তে হয়। কিন্তু তবু এরকম কাহিনি ঘটে যাবে এখানে ওখানে, আর আমরা চোখ বুজে থাকব বরাবরের মত।

বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছেন ভালো ভাবে।

শুভেচ্ছা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রফেসর শঙ্কু ,

আমার মনে হয় আইনের প্রয়োগ কঠোরভাবে হলে হয়ত অনেকখানিই কমত। আসলে প্রয়োজন নৈতিকতা।

২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: যারে উৎসর্গ করেছেন সেই আরজুপনি আপুর তো দেখা নাই। ফেবুতে ট্যাগ মাইরা আসব নাকি??

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হুম! পুনি আপু কইইইইইইইইই?????? পুনিইইইইইইইইইইইই পুউউউউউউউউউউউউউউউ কই আপ্নিইইইইইইই.।.।.।.।.।

২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অসাধারণ লেখা। মনে হচ্ছিল চোখের সামনেই কোন প্রামাণ্যচিত্র দেখছি। সমাজের এসব অসুস্থ মানুষদের বিরুদ্ধে আমাদের মত প্রগতিশীলদের অবস্থানটাও আসলে অনেকাংশে সাজ্জাদের মত। কিছু বলতেও পারি না, সইতেও পারি না। যতদিন না দৃপ্তকণ্ঠে সবাই মিলে একত্রে ঘাড় তুলে দাঁড়াতে পারব ততদিন সমাজ থেকে আলো নিভতেই থাকবে। জানি না আর কতদিন এই পুরুষ পরিচয় নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে হবে!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন হৃদয় রিয়াজ,

আপনার প্রশংসায় প্রীত হলাম। সুন্দর থাকুন।

২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আপনার উৎসর্গে ++++

গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে । আপনার অনেক কথার সাথে একমত নয় । বিস্তারিত বলতে গেলে ক্যাচাল লাগবে ।

পরে সময় পেলে আবার মন্তব্য করব । ভালো থাকুন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ,

মতের বিভিন্নতা থাকতেই পারে, তবে যুক্তি, প্রজ্ঞা সব সময় প্রশংসনীয় ,

আপনার মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: নির্মমতার কবে ঘটবে অবসান ?
গল্প ভাল লেগেছে , ভাল থাকুন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা মাহমুদ,

এই প্রশ্ন যে আমারও!

২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: দুঃখিত নই *** টাইপিং মিসটেক ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

টুম্পা মনি বলেছেন: :-0 :-0

২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: জ্বলন্ত বিষয় নিয়ে জ্বলন্ত বক্তব্য।
রেইপ কেইস যেমন জটিল, তেমনি রেইপ বা নির্যাতনের বিপক্ষে পর্যাপ্ত দৃষ্টান্ত ও যুক্তি দিয়ে লেখাও জটিল। প্রশংসনীয় চেষ্টা :)

দ্বিতীয় সংস্করণে আরও গোছানো একটি গল্প আমরা পেতে পারি।
বিষয়টি খুব দরকারি।

টুম্পা মনিকে অনেক শুভেচ্ছা!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা জ্বলন্ত ব্যক্তব্য দিতেই হবে এমন কোন কথা নেই। আমার সফট কথাই বেশি পছন্দ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সুন্দর থাকুন।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

সায়েম মুন বলেছেন:
অনেক মেয়ে ধর্ষণের পর বেঁচে থাকলে তার ব্যক্তিগত জীবন হয়ে যায় জটিল।
পুরুষ সমাজের ঠিক করে দেয়া রীতি হলো সতিত্ব। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা কি!


স্তমিত শব্দটা ঠিক করে নিয়েন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার মনোযোগী পাঠ আমাকে উৎসাহিত করে।

অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন সায়েম।

২৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

আরজু পনি বলেছেন:

ব্লগে ঢু দিয়েছিলাম ঢাবির সিনেট ইলেকশন নিয়ে কোন পোস্ট এলো কি না দেখতে ।

সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে নিজের নামটা দেখে লিঙ্ক ধরে এসে নিজের নাম দেখার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি, নারীদের সমস্যা নিয়ে লেখাগুলো কোন নারীকে অনুপ্রাণিত করে ব্লগ লিখিয়েছে...সত্যিই তৃপ্তি পাচ্ছি ।

টুম্পামনি, একটু দৌড়ের উপর ছিলাম, ব্যস্ত, ক্লান্ত সব মিলিয়ে...তাই ফেসবুকেও যাইনি কয়দিন ...পাশাপাশি ব্লগেও সময় দিতে পারছিলাম না মনমতো ।

রাতে আসতেছি ...বিস্তারিত কথা তখন হবে আশা করি ।
ততক্ষণ অনেক ভালো থাকুন ।।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

টুম্পা মনি বলেছেন: তাই তো বলি পনি আপু নাই কেন! আমি তো কাল থেকে খুজতেসি। 8-| সময় হলে পড়ে জানাবেন কেমন লাগল। আমি চেষ্টার কোন কমতি রাখি নাই। এখন কত দূর পচা হইসে কে জানে! :!>

বিস্তারিত শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

২৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

দ্য েস্লভ বলেছেন: ভাল লিখেছেন আপনি। আপনার অনেক জ্ঞান মনে হচ্ছে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

টুম্পা মনি বলেছেন: শরম দিলেন। আমি মোটেও জ্ঞানী না। আমি মূলত মূর্খ শিক্ষার্থী। কিছুটা পড়াশুনা করে, কিছুটা মানুষের জীবন অভিজ্ঞতা দেখে শিখতে চেষ্টা করি। তারপর টুকটাক ছাইপাস লিখি।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

শ্যামল জাহির বলেছেন: এক দলা থুতু সভ্যতার পক্ষ থেকে হিরুদের মত আদিম অসভ্যদের মুখে যারা আলোদের জীবন দুর্বিষহ করে রাখে! সেই সাথে থুতু ঐ আফরোজা, আসমাদের মত নারীদের মুখে যারা শুধু মাত্র প্রতিহিংসার কারণে তারই মত একটি মেয়ের চরিত্রের কলঙ্কের কালিমা লেপন করে!''

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত!

সহমত।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

টুম্পা মনি বলেছেন: আমিও সহমত,

এমনব সহিংসতা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

শুভদুপুর শ্যামল।

৩১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের একজনের কাছ থেকে এই ধরণেরই ভয়ঙ্কর কয়েকটা কেসের কথা শুনে আর আজ তা আপনার লেখায় দেখে ...

কী বলবো ?!

তবু্ও আজ কেউ প্রতিবাদী হচ্ছে...কেউ লিখছে সচেতন করতে ।
প্রাপ্তি আপাতত এটুকুই মানবো ।

রেপের দন্ডতে দূরদর্শীতার অভাব রয়েছে ।
এর আরো অনেক বেশিই দূরদর্শী আপডেট ভার্সনের প্রযোজন বোধ করি ।

মনে হলো কোন কেস স্টাডি পড়লাম টুম্পামনি ।
হ্যাঁ, আমি গল্প মানছি না...কারণ পড়ার সময় আমি ঘটনাটি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম যেন !

লেখার সার্থকতা এখানেই ।

এভাবেই চলুক আমাদের প্রতিবাদী কলম/কি-বোর্ড ।









আর বানানের ব্যাপারে কোন অযুহাত নয় (আমি নিজেও অযুহাত দেখাই !)... আরো যত্নবান হতে হবে ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

টুম্পা মনি বলেছেন: এমন ঘটনা আমি একবার কোন একটা স্কুল ছাত্রীর ক্ষেত্রে শুনেছিলাম, আরেকবার আমার কলেজের এক স্যারেরকাছে। তিনি সেই কেইন তদারকি করেছেন। দুই জায়গাতেই মেয়ে দুই জনই মেরে গেছে। ঘটনাগুলো খুব মনে দাগ কেটেছিল। ঐ দুই কাহিনী জোড়া দিয়ে গল্পটা লিখতে চেষ্টা করেছিলাম।

আর বানান ভুল! আমি অভ্রের কল্যাণে বাংলা লিখি। অভ্র অনেক সময়ই ঠিক বানান দেখায় না। সামনে থেকে আরো কেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। তবুও ভালো এখন একটু কম বানান ভুল করি। আগে তো এক লাইন লিখতে দশটা ভুল করতাম। :-B :!> :#> :P

সশুভদুপুর পনি আপু।

৩২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অনেক ভালো একটি লেখা।

শুভকামনা জানবেন। এরপর আপনার লেখা নিয়ে আসলে সমালোচনা করার কিছু থাকেনা। +++++++ রইল।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

টুম্পা মনি বলেছেন: প্রশংসায় উৎসাহিত হলুম,

অজস্র শুভেচ্ছা।

৩৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

রোহান খান বলেছেন: একটু অন্য বিষয়ে কথা বলি। একটা দেশ কখন মাথা উচু করে বিশ্ব সমাজে দারাতে পারেনা বলতে পারেন ?

এর কয়একটি কারন আছে - যেমন এক নম্বরেই হল নেশা বা নেশা করার মত দ্রব্য ও দ্রব্যের সহজ লভ্যতা, দুই হল অনিয়ন্ত্রিত অবেধ্য অস্ত্রর আধিক্য, তিন নাম্বারে হল মানুষের ভিতর অসৎ উপায়ে টাকা কামাই করার প্রবনতা।

এই তিনটা জিনিসেই সমাজে অপরাধ প্রবনতাকে জাগিয়ে তোলে। আর এর সাথে আপনার আলোচ্য বিষয় রেপ বা ধর্ষনের সাথেও এর একটা সুচিন্তক যোগাযোগ থেকে যায়। আপনার কথাতে একটা বিষয় পরিস্কারযে পাশবিক ধর্ষনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ধর্ষিতাকে যঠেস্ট রকমের শারিরিক আধাত করা হয়।

আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা - এই তো কিছু দিন আগেই আমাদের ঢাকাতেই কোন একটা হোটেলে প্রেমের অভিনয় করে একটা মেয়েকে নিয়ে এসে রেপ করা হয়। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবার ভয়ে বা যেভাবেই হোক তথাকথিতো প্রেমিক সেদিন রাতেই প্রেমিকাকে হত্যা করে।

পরে লাশ কিভাবে বাইরে নিবে তা ভেবে কুল না পেয়ে মেয়েটাকে ঘরের ভিতরেই চামরা ছিলে টুকরো টুকরো করে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়ে বিন্দাস্ত পরের দিন লাপাত্যা হয়ে যায়। এ কেমন পাশবিকতা?

এমন কি ভিডিওতে দেখা সুত্র অনুসারে মেয়েটির মাথাটিকেও চার খন্ড করা হয় যাতে মেয়েটার চেহারা চিন্তে না পারা যায়....কথা হল এসব কাজ কি জন্য করলো যে তাকে যেন পুলিশ ধরতে না পারে- এজন্য ?

তার মানে যখন ঘটনাটা ঘটিয়েছিল তখন অপরাধীর চিন্তা বা চেতনায় একটা জিনিসই কাজ করছিল যে খুন তো হয়েই গিয়েছে, তো যেভাবেই হোক ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে হবে বা পুলিশের হাত থেকে বাচতে হবে। কিন্তু সে কি পেরেছিল ? না সে পারেনি বরং তিনদিনের মধ্যেই পুলিশ তাকে খুজে বের করেছিল । এখন কথা হল অপরাধ করার পর সে যদি বাচতেই না পারে সেটা জানা থাকাকালে এমন নিসংশকাজ কিভাবে করতে পারলো সে?

এছাড়া একটা সুস্থ মস্তিস্কের মানুষের কাছে মানুষকে মেরে ফেলে তার চামরা-নারিভুরি ছিলে বের করে ফেলা প্রায় অসম্ভব। সেইজন্য চাই অসুস্থ্য মস্তিস্ক। তার মানে অপরাধি এমন একটা পর্যায়ে ছিল যে তার মনুষত্বের চিন্তাবলি বর্জিত করেই পশুতে পরিবর্তিত হয়েছে যেখানে মানবতা বলতে নিজের অপরাধ ঢাকাকেই প্রাধান্য দিয়েছে।

নিজে বাচার জন্য অথবা প্রতিশোধ বশে অপরাধি নিজের জেনুনিম কমান্ডের বাইরে গিয়ে অন্য একটা সতন্ত্র জেনুনিমের (জানোয়ার) মত আচরন করেছে।
সেই অপরাধীর অতীত গবেষনা করে দেখুন, এই লোকটি কিন্তু আর দশ-বারোটি লোকের মত সাধারন জীবন যাপন করে নাই।তার অতীত আপনি খুজলে কখনোই ভালকিছু পাবেন না।অবশ্যই লোকটি কোন না কোন নেশার দ্রব্য সেবনের সাথে জরিত ছিল যা কিনা ঐ অপরাধ সংগঠিত হবার সময় তার রক্তে জেনুনিম বিক্রিয়া করছিল।

তারি ফসল হল এই পশু সুলভ আচরন। তা না হলে কখনোই একজন ব্যাক্তি এভাবে মানুষকে ছিলে ফেলতে পারে না। তা না হলে কোন মানুষ এই ভাবে একজন মানুষকে বিনা অপরাধে শুধু মাত্র সেক্সের জন্য তার মাথা চার ভাগ করতে পারে না। সে নিজেই বুজতেই পারেনি যে সে কি করছে বা করে ফেলেছে। জাস্ট নেশার বসে হয়ে গেছে।

এটা একধরনের অসুস্থ্যতা যা নেশার অসক্তির ফসল।

এবার আসুন অবেধ্য অস্ত্রের কাছে। এখন ধরুন এই ব্যাক্তি এই কান্ড ঘটিয়েছে এবং ফলাও করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে তার কারন কি?

কারন তার কাছে আছে অবেধ্ অস্ত্র সাথে গুন্ডা পান্ডা যাদের একটা শিশ দিলেই যে কাউকে উরিয়ে দিবে। এমন দুচারটাকে উরিয়ে দিলেই বাকিরা ভয়ে চুপ করে থাকবে যেমন সাজ্জাত চুপ ছিল বা সাজ্জাতের অফিসের লোকেরা চুপ ছিল।

আবার ধরুন অসৎ উপায়ে টাকা উপার্যন। এবার মনে করুন সাজ্জাদ মুখ খুললো প্রতিবাদ করলো। দুএকটাকে ধরে নিয়ে পুলিশেও দিলো। কিন্তূ অসৎ কর্মকর্তাদের সহোযোগিতায় ঐ আসামি দুদিন পর বেরিয়ে আসলো। এরপর যে সাজ্জাতের যে কিছুই হবে না তা কে বলতে পারবে? bবলুন ?

এমনকি সাজ্জাতের সাথে সাথে সাজ্জাতের বউকেও যে ঝামেলায় পরতে হবেনা তারি বা কে গারান্টি দিতে পারবে....?

তার চেয়ে এই ভালো যে সাজ্জাতে চুপ থাকা। আর সাজ্জাতের সাথে সাথে পুরা জাতিকে চুপ করিয়ে রাখা।

সমস্যা বা সমস্যার কারবারি নিয়ে লোকে অনেক কিছুই করে আর তা সীমাবধ্য থাকে টিভিতে টকশো বা দু একটা রোডর‌্যালির ভিতর। কিন্তূ এর মুল উৎপাটন না করে চুলোয় আগুন দেবার মানে হল নিজের ঘরেই আগুন দেয়া। চুলো তো কাজ হয়ে গেলেই নিভে যাবে কিন্তু ঘরে আগুন লাগলে একঘর থেকে আরেক ঘরে লাগবে। একে একে গোটা এলাকা পরে গোটা জাতিতে ছরিয়ে পরবে।

মুল উৎপাটন করতে হলে আগে নিজেদেরি বদলাতে হবে। আমাদের সন্তান আজ যারা তারাই আগামীর তরুন। তাদের মানুষের মত মানুষ করতে হবে। কিন্তূ সেক্ষেত্রে পিতা বা মাতা যদি হয় নেশা গ্রস্ত্য তাহলে কিভাবে তার সন্তানকে আদর্শের গান শুনাবে। কয়েকদিন আগে একটা ব্লগে পড়েছিলাম যে ছেলেকে সরাসরি নেশা কিনে দেয়া বা নেশা বিক্রির টাকায় কিনে দেয়া কাটবেরী সমান কথা।

দেশের ভিতরে নেশা বিরোধী কাউন্সিলিং ও প্রচারনা বারাতে হবে। পুলিশ খাতকে ঘুষ বানিজ্য মুক্ত হতে হবে। সবার আগে নিজ আদর্সকে সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে। এটা কারউ একার বিষয় না। সবাই মিলে মিলিত প্রচেস্টাতেই সম্ভব এই দুর্বল জাতিকে সত্যের প্রত্যয় দেখানো। সেক্ষেত্রে নীতি আদর্শকেই আগে নিয়ে আসতে হবে।
বিদেশী সংস্কতিকে প্রাধান্য না দিয়ে তা শুধু নিজ সীমার ভিতরেই আবধ্য রেকে দেশী সংস্কতিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে সামনে আছে ভয়াবহ সময় যা ঐ আলোর মত আরো অনেক আলোকে ধর্ষিত করার জন্য ঘড়ি হাতে নিয়ে বসে আছে। সেই ঘড়িতে এলার্ম দেয়া আছে। যখনি এল্যার্ম বেজে উৎবে তখনই ঝাপিয়ে পরবে আলোদের উপর যারা আমার বা আপনারি মত কারউ বা কারউ মায়ের পেটের আপন বোন..।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক বড় মন্তব্য দিয়েছেন, পড়ে সন্ধ্যায় আবার এনসার করব,

শুভ দুপুর।

৩৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

রোহান খান বলেছেন: হাহাহহাা.... আসলে অফিসে বসে বসে বোর হচ্ছি। আজ শনিবার তাই ম্যানেজার ল্যাভেল লোকজনের এই দিনে উপস্থ্যিতি কম থাকে যার ফলাফল হল সদ্য ভুমিস্টো এই কমেন্ট। পোস্ট করার পর দেখলাম সাইজে তো পাকিস্তানি গরু হয়ে গেছে।
আর নতুন রিলিজ হওয়া "আরবোভাইরাসের" - "জালো আগুন জালো" গানটা এয়ার ফোনে শুনছিলাম রিপিটওয়াইজ যার ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। হিহিহি।

গানটার ইউটিউব লিংক দিয়ে দিলাম, আশা করি শুনবেন আর কেমন লাগলো জানাবেন - http://www.youtube.com/watch?v=7Rgfc0iKoao

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: দুঃখিত গতকাল এনসার দিতে পারি নি। আসলে আমি কিছুটা অসুস্থ। তাই লগ ইন করা হয়নি। আর আপনার মন্তব্য পাকিস্তানী গরু না অস্ট্রেলিয়ান গরু হয়েছে। মোটা তাজা, বড়। ভালো লাগল খুব।

আর গানটির আগুনের উত্তাপও ভালো লাগল। কারণ বৃষ্টি হয়ে এখন কিছুটা শীত শীতই লাগছে। B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) :D

৩৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

খাটাস বলেছেন: এক দলা থুতু সভ্যতার পক্ষ থেকে হিরুদের মত আদিম অসভ্যদের মুখে যারা আলোদের জীবন দুর্বিষহ করে রাখে! সেই সাথে থুতু ঐ আফরোজা, আসমাদের মত নারীদের মুখে যারা শুধু মাত্র প্রতিহিংসার কারণে তারই মত একটি মেয়ের চরিত্রের কলঙ্কের কালিমা লেপন করে!''
এখানেই শেষ নয়, এক দলা থু থু হিরুদের বাবার জন্য যারা দুর্নীতি করে কাল টাকা করে। এক দলা থু থু ঐ সব রাজনিতি বিদ দের যারা হিরুদের বাবা কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু ঐ সব আইন প্রশাসনের মানুষ দের যারা ঐ রাজনিতি বিদ দের টাকা খেয়ে তাদের অন্যায় কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু আমাদের নিজেদের বাবা ভাই মা বোন দের যারা ঠিক ভাবে ট্যাক্স দেয় না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হতে ভয় পায়, তবু ও কাজ না করেই উন্নয়ন চায়, যার কারনে অভাবী দেশ অভাবে থেকে অন্নের দয়ায় চলে, তাদের গোলাম হয়ে যায়।
শেষের দলা থু থু আমার নিজের ওপর যে সব সময় অন্যায় দেখে ও কখন ও স্বজন প্রিতি , বা কখন ও ভয়ে চুপ থাকে।

অনেক চমৎকার লেখা। আমরা শুধু লেখা পড়ে বাহ বাহ না দিয়ে লেখার মর্ম টা অন্তরে ধারন করলে ইন শা আল্লাহ আমার কোন বোন এর ঐ কুকুর গুলোর হাতে অপদস্ত হতে হবে না।

মানুষ বাঁচবে মানুষের মত, সেখানে তাঁর অধিকার খর্ব করার অধিকার কোন সাধারণ মানুষের নেই।
নারী আন্দোলন নামক ফালতু চর্চায় আমি বিশ্বাস করি না। সব মানুষ এর সমান অধিকার চাই, নারীর সমান অধিকার চাই বলে প্রথমেই নারীকে আলাদা করা হয় বলে আমি মনে করি।।

অনেক অনেক লিখুন টুম্পা মনি। আমি জানি এই লেখা গুলো ঐ জানোয়ার পর্যন্ত যাবে না। তবে আমরা যেন ঐ রকম জানোয়ার না হই, বরং প্রকৃত মানুষ হয়ে ঐ সব জানোয়ার দের গোঁড়া কেটে ফেলতে পারি- সে জন্যই লিখুন, অনেক লিখুন।

পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নাই। অসাধারণ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

টুম্পা মনি বলেছেন: এখানেই শেষ নয়, এক দলা থু থু হিরুদের বাবার জন্য যারা দুর্নীতি করে কাল টাকা করে। এক দলা থু থু ঐ সব রাজনিতি বিদ দের যারা হিরুদের বাবা কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু ঐ সব আইন প্রশাসনের মানুষ দের যারা ঐ রাজনিতি বিদ দের টাকা খেয়ে তাদের অন্যায় কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু আমাদের নিজেদের বাবা ভাই মা বোন দের যারা ঠিক ভাবে ট্যাক্স দেয় না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হতে ভয় পায়, তবু ও কাজ না করেই উন্নয়ন চায়, যার কারনে অভাবী দেশ অভাবে থেকে অন্নের দয়ায় চলে, তাদের গোলাম হয়ে যায়।
শেষের দলা থু থু আমার নিজের ওপর যে সব সময় অন্যায় দেখে ও কখন ও স্বজন প্রিতি , বা কখন ও ভয়ে চুপ থাকে। 'এখানেই শেষ নয়, এক দলা থু থু হিরুদের বাবার জন্য যারা দুর্নীতি করে কাল টাকা করে। এক দলা থু থু ঐ সব রাজনিতি বিদ দের যারা হিরুদের বাবা কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু ঐ সব আইন প্রশাসনের মানুষ দের যারা ঐ রাজনিতি বিদ দের টাকা খেয়ে তাদের অন্যায় কে সাপোর্ট করে। এক দলা থু থু আমাদের নিজেদের বাবা ভাই মা বোন দের যারা ঠিক ভাবে ট্যাক্স দেয় না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হতে ভয় পায়, তবু ও কাজ না করেই উন্নয়ন চায়, যার কারনে অভাবী দেশ অভাবে থেকে অন্নের দয়ায় চলে, তাদের গোলাম হয়ে যায়।
শেষের দলা থু থু আমার নিজের ওপর যে সব সময় অন্যায় দেখে ও কখন ও স্বজন প্রিতি , বা কখন ও ভয়ে চুপ থাকে। ''

হেট'স অফ। দারুণ বলেছেন। পুরোপুরি একমত। অন্যায়ের সাথে আপোস আমার পছন্দ না। সে যেই হোক না কেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কঠিন একটা বাস্তবকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখায়। এটাই সত্যি, কোন একটা ঘটনা ঘটলে মেয়েটারই দোষ খুঁজে বের করতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা উল্টোই ঘটে।

আপনার লেখা পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এল।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা সমুদ্র কন্যা,

সমাজের যারা বিবেকবান নাগরিক আছেন তারা নিশ্চয় এমন ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন না। কিন্তু এই সব মেয়েদের সমাজে পুনর্বাসনও কম কথা নয়! যেই মেয়ে সমাজে আজ রাজকন্যার মতন কাল এমন একটা ঘটনার পর কলঙ্কিতা হিসেবে পরিচিত হয়। মেন্টাল ট্রোমার জন্য অনেকের মাঝেই তাই সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি দেখা যায়। সমাজ সত্যিকার অর্থে উদার হতে পারতো তবে কিছু নিষ্পাপ বেঁচে যেতো।

শুভবিকেল।

৩৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

রাজসোহান বলেছেন: প্রায় একই শিরোনামে আমার একটি লিরিক আছে, তাই শিরোনাম দেখে গল্পটি পড়তে আসা, এরকম হবে ভাবিনি।

দারূণভাবে গল্পটি লিখেছেন! গল্পলেখকদের বাইডিফল্ট হিংসা জ্ঞাপন করি আমি! :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা লোজ্জা পেলুম।
সাথে উতসাহিত হলুম।
আপনার লিরিকটি অবশ্যই পড়ব।

আর হিংসিত হয়্বছি জেনে মজা পাচ্ছি।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ :||

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ফাহিমুল ইসলাম সময় করে আমার লেখাটি পড়ার জন্য,

শুভরাত্রী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.