![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
আমি নীহারিকা। তবে আকাশের তারাগুলোর মত অগোছালো নই। বেশ পরিপাটী একটা মেয়ে। সব কিছুতেই আমার পারফেক্ট হওয়া চাই। এ জন্য বন্ধু মোহলে আমি ''মিস পারফেকশনিস্ট'' হিসেবে পরিচিত। সব সময় গুছিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। ''খাইসি,পাইসি, গেসি'' এভাবে কথা বলা আমার একদম পছন্দ না। তাই সবার ধারণা আমার লাইফ পার্টনার যে হবে তাকেও আমার মত পারফেকশনিস্ট হতে হবে। নয়ত আমার সাথে একদম মেচ করবে না। আমি নিজেও সেদিনের আগ পর্যন্ত তাই মনে করতাম!
এম বি এ ক্লাসের প্রথম দিন। ক্লাসে সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছি। আমি দাঁড়িয়ে সবার সামনে নিজের পরিচয় তুলে ধরলাম।'' আমি নীহারিকা। ভালো কবিতা লিখতে পারি। গানের কন্ঠও বন্ধুরা বলে খারাপ নয়। আশা করি আপনাদের সাথে এই এক বছর খুব সুন্দর কাটবে।''
হঠাৎ পেছন থেকে একটা ছেলে বলে উঠল,''নীহারিকা! এমন নাম উচ্চারণ করতেই সবাই দম ফুরিয়ে মারা যাবে। আমি এমন কঠিন নাম উচ্চারণ করতে পারবো না। আমি জাস্ট নীহু বলে ডাকবো। তোমার ভালো লাগলে লাগুক আর না লাগলে না লাগু্ক।''
ক্লাসের সবাই তার ফোঁড়ন কাটায় হি হি করে হেসে উঠলো। আমি রেগে উঠতে গিয়েও রাগলাম না! কিছুটা বদমেজাজী হলেও কেন যেন রাগ করতে পারলাম না! ওই ছেলেটার মাঝে কেমন যেন একটা মাদকতা আছে! ওর দিকে তাকালে মাথায় ঝিম ধরে। আমি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পারলাম না। নয়ত আমার নাম ছোট করে ডাকার অনুমতি আমি তাকে কখনোই দিতাম না। আমি আমার নাম খুব পছন্দ করি। এটাকে ছোট করে ডাকা আমার পছন্দ না।
তারপর ছেলেটি দাঁড়িয়ে তার পরিচয় দিল ,''আমার নাম রিসাত। নিশ্চিত থাকুন এই এক বছর আপনাদেরকে অনেক জ্বালাতন করব। ভাবছেন সৌজন্যতা দেখাচ্ছি? মোটেও না! কেউ বিরক্ত হলে হন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না!''
আমিও তার বেলায় ফোঁড়ন কেটে প্রতিশোধ নিলাম! ''আপনার নাম রিসাত বলে তো ডাকতে পারবো না। কেমন যেন ন্যাকা ন্যাকা শোনায়। আপনাকে আমরা 'রাসু' বলে ডাকবো। এর মাঝে একটা গুন্ডা গুন্ডা ভাব আছে।'' ক্লাসের সবাই আমার কথা শুনেও হেসে উঠলো এবং সম্মতি জানালো। আমি নিজে আমার নিজের বিহেভিয়ারে কিছুটা অবাক হলাম! কি আশ্চর্য আমি একটা ছেলের নাম বিকৃত করছি! এভাবে কারো নাম বিকৃত করা পারফেকশনিস্টদের মানায় না। অবশ্য তার নাম বিকৃত করলেও আমি তাকে রিসাত নামেই ডাকতাম।
যা হোক এই ধরণের মানুষদের আমি একদম পছন্দ করি না! এরা সব কিছুতেই ইম্পারফেক্ট। তবে মজার ব্যাপার হল এরা এটাকেই ক্রেডিট মনে করে। আসলে যে সবার সামনে জোকারে পরিণত হয়েছে সে খেয়াল এদের নেই! রিসাতের সাথে আমার দাঁ কুমড়ো সম্পর্ক শুরুতেই পাক্কা হয়ে গেলো। তবে তার মানে এই নয় আমি ওর সাথে ঝগড়া করব। আমি ঝগড়া কখনোই করি না। এটা পারফেকশনিস্টদের মানায় না। আমি জাস্ট ওকে এভয়েড করব। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই আমি এগোচ্ছিলাম।
এক মাস পরের কাহিনী। রিসাত ক্লাসের মাঝে কলমের নিব খুলে সবার শার্টে কালি মাখাচ্ছে। আর ছেলেগুলো এত ভীষণ মজা পাচ্ছে। কিছু মেয়ে গিয়েও ওদের সাথে যোগ দিয়েছে। কিন্তু আমি গেলাম না। আমি এ ধরণের ফান একদম পছন্দ করি না! হঠাৎ রিসাত নিপ খুলে কলমের কালি আমার সাদা জামায় ভরিয়ে দিল। আমি তো রেগে মেগে ফায়ার!
যেই কাজটা আমি কখনোই করি না আজ কেন যেন সেটাই করলাম! আমিও আমার কলমের নিব খুলে কালি বের করে রিসাতের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছি! রিসাত দৌড়ে ক্লাসের এই মাথা থেকে ঐ মাথা! আমিও তাই করছি! সবাই বেশ মজা পাচ্ছে আমাদের ছেলেমানুষীতে। কিন্তু সে খেয়াল আমার কই? আমি দৌড়াচ্ছি না, যেন উড়ছি! নিজেকে নীল আকাশের পাখি মনে হচ্ছে! মনে হচ্ছে ডানা মেলে আমি সহস্র শীতল মেঘ পুঞ্জ ছেড়ে রিসাতের পিছু পিছু উড়ে চলছি! পৃথিবীতে যেন আর কেউ নেই! শুধু আমি আর রিসাত!
রিসাতের কাছ থেকে ওর কিছু বদগুণ আয়ত্ব করতেও আমার সময় লাগল না। কিছুদিনের মাঝেই আমার ভাষা ,''খেয়েছি,পড়েছি, গিয়েছি'' থেকে ''খাইসি, পড়সি,গেসি'' তে পরিণত হল! কি আশ্চর্য! যেভাবে কথা বলা আমি ঘৃণা করতাম আজ সেভাবে কথা বলছি। কথায় কথায়,''তুই একটা চামার।'' ,''যা ভাগ শালা'' এই ধরণের কথাগুলো খুব সুন্দর করে বলা শুরু করলাম! ইম্পারফেক্ট জীবনে কখনো এত সুখ থাকতে পারে আমি কোন দিন ভাবি নি। সত্যি রিসাত তুমি সবই পারো! তুমি আমাকে ইম্পারফেক্ট লাইফ শিখিয়ে পারফেক্টলি হ্যাপি হতে শিখিয়েছো! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এখন আমি কেবল একটি কথাই বলি,''হাউ পারফেক্টলি হ্যাপি আই এম!!! আমি তোমাকে কত ভালোবাসি রিসাত! হাউ ক্যান আই সে হাউ মাচ আই লাভ ইউ!''
''নীহু তোমাকে ভালোবাসি! অনেক ভালোবাসি তোমাকে নীহু! নীহু আমি তোমাকে কোন দিন ভুলে যাবো না! কোন দিনও না!!!! অনেক ভালোবাসি নীহু তোমায়'' কথায় কথায় এসব ডায়ালগ ছাড়া রিসাতের নিত্য দিনকার অভ্যাস! ধীরে ধীরে এই অভ্যাস কিছুটা বেয়াদবিতে রুপ নিল! ওর সাহসের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলো! আমিও প্রশ্রয় দিয়ে যেতাম। রিসাতের মুখে নোংরা কথাগুলো শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকতাম! অথচ আমি মেয়ে হিসেবে বেশ ভালোই কনজারভেটিভ। খুব তীব্রভাবে ঘৃণা করি এধরণের নোংরামী। কিন্তু রিসাতের বেলায় কেন যেন কোন যুক্তিখাটে না! ও যখন একটা অশ্লীল গান গেয়ে বলে বাসর রাতে ঐ গানটা তোমাকে শোনাবো, আমি প্রতিবাদ করি না। আমি উৎসুক!! প্রচন্ড উৎসুক! তবে মুখে সব কথা বলার মত লজ্জা তখনো হারাইনি। আমার চিন্তা চেতনা কল্পনাতে তখন পুরোপুরি রিসাতের বাস! আমার চিন্তায় ওর সাথে সহবাস! ওকে ছাড়া এক মুহূর্ত ভাবা আমার জন্য মৃত্যুর মত ভয়ংকর! তাই কখনো ভার্সিটি ছুটি হলে ওকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠতাম! কি তীব্র এই দু চোখের তৃষ্ণা!
এ দিকে দেখতে দেখতে আমাদের এম বি এ ক্লাস শেষের দিকে চলে আসে। পরীক্ষা দিয়ে সবাই বাসায় চলে যায়। আমার রিসাতের সাথে কথা ছিল যে সে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতেই আমাদের বাসায় বিয়ের প্রপোজাল পাঠাবে। তারপর হবে আমাদের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাসর। যেই তৃষ্ণায় দুজনেই তৃষ্ণার্ত! যেই ভালোবাসার অপেক্ষায় দুটি প্রাণের এত ছটফটানো!
কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে রিসাতের ফোন অফ! তাকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এম বি এ তে আমরা দুজনেই ভালো ফলাফলে উত্তীর্ণ হলাম। তবু রিসাতের কোন খোঁজ খবর পাওয়া গেলো না! আমি রিসাতের বাসার এলাকায় চলে গেলাম ওকে খুঁজতে! গিয়ে জানলাম রিসাত তার এক কাজিনকে বিয়ে করেছে! আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো! আমি কি সত্য শুনছি! রিসাত আমাকে এভাবে ধোঁকা দিতে পারলো! আমার পৃথিবী যেন ভেঙে আসতে থাকলো! চোখের সামনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে থাকলো আমার অস্তিত্ব! যেদিকে তাকাই শুধু রিসাত আর রিসাত! কানের মাঝে সাইরেনের মত সব সময় বাজতে থাকে ''নীহু তোমাকে ভালোবাসি! অনেক ভালোবাসি! কোন দিন তোমাকে ভুলে যাবো না নীহু! কোন দিন না! অনেক ভালোবাসি নীহু তোমায়!'' আমি আর পারছিলাম না। রিসাত ছাড়া আমি কিচ্ছু নই! কিচ্ছু না! ওকে ছাড়া এক মুহূর্তও আমি বাঁচার কথা চিন্তা করতে পারি না!''
আমি হয়ত এক ধরণের ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। রিসাতের ঘোর! একদিনের ঘোরের ভেতরেই এক মুঠো ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেই ফেসবুকে রিসাতের তার স্ত্রীকে নিয়ে দেয়া স্ট্যাটাস পড়ে! নিজেকে আর সংবরণ করতে পারছিলাম না। রিসাত একটা কথা প্রায়ই বলতো,''জানো বিধাতা স্বামীর বুকের পাঁজরের হাড় দিয়ে তার স্ত্রীকে বানিয়েছেন। তুমি আমার বুকের পাঁজর নীহু!'' সেই রিসাত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে ''আমার বুকের পাঁজর স্ত্রীটাকে নিয়ে কক্সেসবাজারে হানিমুনে এসেছি। সবাই দোয়া করো!'' যেই আমি এতদিন ছিলাম তার বুকের পাঁজর আজকে হয়ে গেছে আরেকজন! আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না! তীব্র ঘৃণা আর কষ্ট বুকেতে চেপে বসেছিল! যে করেই হোক আমি তার থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলাম!
কিন্তু জীবন আমাকে মুক্তি দিল না। কয়েকদিন পর হাসপাতালের বেডে নিজেকে আবিস্কার করলাম। বাবা মা আমাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত! তারা এখন আমাকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করতে পারলেই বাঁচে! তাদের এত বুঝদার, সুচিন্তার অধিকারী মেয়েটা হঠাৎ করে হয়ে গেলাম গলগ্রহ!
মাস খানেক পরে শাহেদ নামক এক বিজনেস ম্যানের সাথে বিয়ে হয়ে যায় আমার! শাহেদ খুব পারফেক্ট একটা ছেলে। রিসাতের সাথে সম্পর্কের আগে আমি যেমন ছেলেকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাবার স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু একবার ইম্পারফেক্ট লাইফের নেশা রক্তে ঢুকে গেলে এই নেশা কি এত সহজে কাটে! আমি স্বামী হিসেবে শাহেদকে মেনে নিতে পারলাম না! আর এটার সাথে শাহেদও সহজেই মানিয়ে নিল। ঝগড়াঝাঁটি করে পাড়া প্রতিবেশীকে ঘরের কথা শোনার লোক শাহেদ নয়। পারফেকশনিস্টরা এ ধরণের অভিনয় খুব সহজেই করে পারে! দেখে কখনো বোঝা যাবে না ভেতরে কতটা যুদ্ধ চলছে!
এদিকে শাহেদের সাথে আমি ঠিকই দূরত্ব বজায় রেখেছি। দুজনের বেড এখনো আলাদা! তারপর একদিন ফেসবুকে রিসাতের স্ট্যাটাসে দেখলাম তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা! মোচড় দিয়ে উঠলো বুকের ভেতর! সাথে তীব্র ঘৃণা তো আছেই! হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলাম রিসাত যদি পারে আমিও পারবো!
শাহেদ বাড়ি ফেরার পর আজ স্বেচ্ছায় ওকে জড়িয়ে ধরলাম! কিন্তু ওর হাতের বাঁধন শক্ত হতেই আমার দম আটকে আসতে থাকল! আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম! তারপর আবার নিজেকে বোঝালাম,''তোকে পারতেই হবে নীহারিকা! রিসাত পেরেছে! তুই কেন পারবি না? আর শাহেদ তো কোন দোষ করে নি! তোর মত অন্যের প্রেমের অন্ধ হয়ে সুইসাইড করতে চাওয়া একটা মেয়েকে জেনে শুনে বিয়ে করেছে। বিয়ের পরেও তোর কোন রকম অমর্যাদা করে নি! তোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোকে জোর করে পেতে চায় নি। তবে কোন অপরাধে শাহেদ কষ্ট পাবে?'' আমি আবার শাহেদের কাছে ফিরে গেলাম। শাহেদের ঠোটে ঠোট রেখে ওকে ওর অনুযোগগুলো থামিয়ে দিতে চাইলাম! কিন্তু বুক ঠেলে বমি আসতে থাকল। আমি দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে দরজা লাগালাম। শাহেদের উদ্বিগ্ন কন্ঠ ,''তুমি কি অসুস্থ নীহারিকা? দরজা খোলো! আমাকে তোমাকে হেল্প করতে দাও!''
আমি তখন তীব্র কান্নায় ভেঙে পড়েছি। বুক ভাঙা কান্না! মনে হচ্ছে হৃদপিন্ড বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে। আমি তো অক্ষম নই। রিসাতের সাথে থাকলে জৈবতৃষ্ণায় পাগল হয়ে উঠতাম! কিন্তু সেই তৃষ্ণা মেটাবার মত সাধ্য তখন হয় নি। কিন্তু এখন আছে! রিসাতের সাথে নয়, অন্য কারো সাথে! কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমি অক্ষম। ''তুমি ভুল বলতে রিসাত! তোমার মনে হত ভালোবাসা মানে বেশির ভাগই কামনা! তাই যদি হবে তবে আজ কেন আমি এতটা অসহায়! তুমি ভুল ছিলে রিসাত! তুমি সম্পূর্ণ ভুল!''
আমার অসহায়ত্ব শাহেদ বুঝে নিয়েছিল। পারফেক্ট মানুষদের নিয়ে অনেক সুবিধা। ওরা সহজেই সব কিছু বুঝতে পারে। তবে ধীরে ধীরে শাহেদের সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আস্তে আস্তে শাহেদের স্পর্শকে খুব স্বাভাবিক মনে হতে লাগল। কষ্টের তীব্রতাও শাহেদের স্নেহময় স্পর্শে কমে এসেছিল। আমি আস্তে আস্তে সাংসারিক হচ্ছিলাম। আবার হচ্ছিলাম সেই আগের মত পারফেকশনিস্ট। জীবন গুছিয়ে আসছিল। এভাবে যদি জীবন চলে যায় তবে মন্দ হয় না। শাহেদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আমার চিন্তাতেও অনেক পরিবর্তন আসে। আমি ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকি। সময় গড়িয়ে যাবার সাথে সাথে শাহেদের উপর মায়া বাড়ে। আমি মায়া আর ভালোবাসার মধ্যে গুলিয়ে ফেলি। শাহেদকেই এখন মনে হয় ভালোবাসা। তাই তার খুব কাছাকাছি সময় কাটানোতেও কোন সমস্যা হয় না। এখন দিব্যি রাতের পর রাত শাহেদের বুকে মাথা রেখে পাড় করে দেই! এমন কি আমরা আমাদের পরিবার আরো বড় করার কথাও ভাবছি। পরিবারের নতুন শিশু অতিথির আগমন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি।
কিন্তু শাহেদ আর আমার সুখের সংসারে ঝড় উঠতে বেশি সময় লাগল না! একদিন মার্কেটে আমার রিসাতের সাথে দেখা! আমি দেখেও না দেখার ভান করে হেটে চলে আসছিলাম। রিসাতই পেছন থেকে ডাকলো ,''কেমন আছো নীহু?'' আমি শুনেও শুনলাম না। রিসাত তো সেদিন আমার কথা শোনে নি। আজ আমি কেন শুনবো? রিসাত আবারো ডাকল,''নীহু আমার সাথে কথা বলবে না?'' আমি এবার বললাম ,''কেন বলব না? কিন্তু আমি একটু ব্যস্ত। আমার স্বামী ঘরে অপেক্ষা করে আছে। আরেক দিন না হয় বলব!'' কিন্তু রিসাত আমার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। ''অনেক দিন পর তোমাকে দেখছি নীহু! একটু বসে যাও। এই যে সামনে রেস্টুরেন্ট। অন্তত আমার সাথে এক কাঁপ কফি খেয়ে যাও। তোমার খুব বেশি সময় নিব না।''
আমি অনিচ্ছাসত্ত্বেও গেলাম। রিসাতের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখের নিচে কালি পড়েছে। কয়েকদিন ঘুমায় নি বোধয়। রিসাত আমাকে ছেড়ে চলে যাবার পর একটা প্রশ্ন আমাকে খুব তাড়িয়ে বেড়াতো।''রিসাত আমাকে কেন ছেড়ে গেলো? আমার কি দোষ ছিল?'' বহুবার ভেবেছি ওকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করব। কিন্তু ঘৃণায় সে জিজ্ঞাসা আর করা হয়ে ওঠেনি। আজো করলাম না। কারণ আজ এ প্রশ্ন আমার কাছে অর্থহীন। আমার স্বামীটা এতই ভালো আর ওকে পেয়ে আমি এতটাই পারফেক্ট জীবন পেয়েছি যে আমার ইম্পারফেক্ট লাইফের সেই মাদকতা কেটে গেছে। আমি নিজে থেকেই জানতে চাইলাম,''কেমন আছো রিসাত? তোমার স্ত্রী কেমন আছে?''
রিসাত কিছুক্ষণ ঝাপ্সা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকলো। মনে হল যেন কিছুই শুনতে পায়নি। কিছুক্ষণ পর বলল ,''রেণু মারা গেছে নীহু! সাথে আমার সন্তানও মারা গেছে!'' রিসাতের কন্ঠ ভেঙে আসছিল! আমার বুঝতে অসুবিধা হল না রেণু রিসাতের স্ত্রী! রিসাতের কাছ থেকে জানতে পারলাম সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে তার স্ত্রী। সন্তানকে নিয়ে রিসাতের খুব স্বপ্ন ছিল। নামও ঠিক করে রেখেছিল। ঘর ভরে ফেলেছে খেলনা কিনে। কিন্তু খেলনা নিয়ে খেলার জন্য শিশুটি পৃথিবীতে আসে নি। তার মাকে নিয়ে চলে গেছে পরপারে! রিসাত অনেক কেঁদে কেঁদে বলেছে ,''রেণু আমার বাবুটিকে নিয়ে আমার কাছে ফিরে এসো!'' কিন্তু ওরা ফিরে আসেনি। চলে গেছে অভিমান করে।
রিসাতের কষ্টের কথাগুলো শুনে আমার মায়া হতে লাগল। ইচ্ছা করছিল রিসাতের টেবিলের উপর রাখা হাতের উপর হাত রেখে একটু সান্ত্বনার বাণী শোনাই। কিন্তু শাহেদের কথা মনে হতেই নিজেকে সংবরণ করলাম! এদিকে রিসাতও যেন আজ বাঁচাল হয়ে গেছে! অনর্গল বলে চলল ,''আমাকে ক্ষমা করে দিও নীহু! তোমার সাথে অন্যায়ের শোধ নিয়তি আমার উপর থেকে নিয়েছে। আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি, ভাগ্য আমাকে কষ্ট দিয়েছে! সব কষ্ট সুদে আসলে পুষিয়ে দিয়েছি নীহু!'' রিসাত আমার ডান হাত শক্ত করে চেপে ধরে। আমি ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,''এখন আর এসব বলে কি হবে? আমরা দুজনেই অনেক দূরে চলে এসেছি। ভালো থেকো রিসাত। আমি এখন আসি। আমার স্বামী অপেক্ষা করছে!''
আমি রিসাতকে ছেড়ে চলে আসি। কিন্তু আদৌও কি আসতে পেরেছি! ঘরে এসে দেখি শাহেদ সোফার উপর শুয়ে আছে। আমি আজ একটু বেশিই আহ্লাদ করি। ওর কপালে গিয়ে চুমু খাই। শাহেদ অবাক হয়ে বলে,''এই যে মহারানী আজ যে একটু বেশিই ভালোবাসা বেড়েছে! ব্যাপার কি?'' ওর জায়গায় রিসাত হলে নিশ্চয়ই বলত,''এই পেত্নী ,এত ভালোবাসা দেখাচ্ছ রহস্যটা কি?'' বেয়াদপ কোথাকার! এই যা আমি রিসাতের কথা ভাবছি! আমি জোর করে রিসাতকে আমার মন থেকে তাড়িয়ে শাহেদের দিকে মন দেই। ওর সাথে গল্পে মেতে উঠি। হঠাৎ গল্পের মাঝে বলে উঠি,'' শাহেদ তুমি একটা চামার! আমার কোন কথা শুনছো না!''
শাহেদ অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকায়!,''এ কি ভাষায় তুমি কথা বলছো নীহারিকা!''
তাই তো! আমি এ কোন ভাষায় কথা বলছি! আমাকে কি আবার সেই ইম্পারফেক্ট লাইফের রোগের ধরল নাকি? আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। দু হাত তুলে বিধাতা কাছে বলি,''আমাকে শক্তি দাও! আমি যেন কিছুতেই আমার স্বামীকে না ঠোকাই।''
ইদানিং ফেসবুকে রিসাতের সাথে আমার প্রায়ই ইনবক্সে যোগাযোগ হয়। কয়েকবার ভেবেছি ওর সাথে আর যোগাযোগ করব না। কিন্তু আবার মনে হয়েছে মাঝে মাঝে মেসেজ দিলে কি হয়? কতজনের সাথেই তো যোগাযোগ থাকে। ওর সাথেও না হয় থাকল।
একদিন রিসাত ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে আমাকে তার অফিসে কফি খেতে ইনভাইট করে। আমি শুরুতে ''না'' করে দেই। তারপর ওর জোরাজুরিতে রাজী হই। এক কাপ কফিই তো! এক সাথে খেলে কি এমন আসবে যাবে!
আমি রিসাতের অফিসে যাই। ও আমার জন্যই ওয়েট করছিল। আমাকে দেখেই হাসি মুখে ভেতরে আমন্ত্রণ জানালো। অনেক অগুছালো ওর অফিস! টেবিলের উপর ফাইলগুলো ছড়ানো ছিটানো। এমন হও্য়াটাই স্বাভাবিক! রিসাতের অফিস বলে কথা! কিন্তু আমার স্বামীর অফিস বেশ গুছানো। একদম পরিপাটি।
আমি ওর সামনের চেয়ারে গিয়ে বসি। একটু পর মেতে উঠি হাসি ঠাট্টায়। আজ খুব পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে! সেই ভার্সিটির ওলি গলি ধরে রিসাতের পিছু পিছু ছুটে বেড়ানোর দিন! ওর শার্টে কালি ভরানোর কথা উঠতেই রিসাত টেবিল থেকে কলম তুলে নিয়ে নিব খুলে হু হু করে হেসে বলল ,''আসো তোমার শাড়িতে কালি ভরিয়ে দেই!'' এই বলে সে তার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। আমিও উঠে দাঁড়ালাম ,''ভালো হবে না রিসাত। ভালো হবে না বলে দিচ্ছি!'' বলে টেবিলের চারিদিকে দৌড়ে পালাতে লাগলাম! কিন্তু রিসাত ধরে ফেলল! হঠাৎ যেন প্রচন্ড আবেগ নিজের মাঝে চেপে বসে। আমি রিসাতের বুকের মাথা রেখে কেঁদে উঠলাম। রিসাতের চোখ থেকেও ফোটায় ফোটায় অশ্রু এসে গড়িয়ে পড়ছে আমার গালের উপর! আমি আবারো সিক্ত হচ্ছি আমার পারফেক্টলি ইম্পারফেক্ট লাইফের শীতল বারিধারায়! হঠাৎ শাহেদের ভাবনা মাথায় এলো! কিন্তু সেই ভাবনা আমাকে পারলো রিসাতের বাহু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে। আমি শুধু নিশ্চুপে বললাম,''আমাকে ক্ষমা করে দিও শাহেদ! আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করছি! হয়ত নিয়তি আমাকে কোন দিন ক্ষমা করবে না! নিয়তি এত বড় অন্যায় ক্ষমা করে না। কিন্তু ভালোবাসা করে! রিসাতের প্রতারককেও নিমেষেই পারে ক্ষমা করে দিতে। পারে আমার মত পারফেকশনিস্টকে এক পলকেই প্রতারক বানাতে! আমরা যে সবাই ভালোবাসার কাঙাল! ভালোবাসার বৃত্তে বন্দী!''
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: মেয়েরা কি সবসময় যারা কষ্ট দেয় তাদেরকেই বেশি ভালবাসে ??জানি না তো। তবে ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট দেয়া অপরাধ! এই অপরাধ কখনো করতে নেই। আর আপনার বন্ধুটা কে শুনি? ভালোবাসার কেউ বুঝি! আপনাদের দুজনের জন্যই শুভেচ্ছা।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
সুমন কর বলেছেন: সাবলীন উপস্থাপন, পড়তে ভাল লেগেছে। শুভ কামনা রইল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সুমন কর,
ভালো থাকুন।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার অন্যান্য যে গল্পগুলো পড়েছি তার তুলনায় এটার প্লট বিন্যাস কিছুটা দূর্বল লেগেছে। গল্পের কিছু কিছু অংশের বর্ননা বা ডায়লগ প্রেজেন্টেশন হয়ত আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। তবে আপনার লেখার প্রাঞ্জলতা, এবং গল্পের উপস্থাপন অবশ্যই সেই দূর্বলতাকে বেশ অনেকখানিই কাটিয়ে তুলেছে।
বিশেষ করে শেষটা বেশ অপ্রত্যাশিত ছিলই বলা যায়। ভেবেছিলাম প্রেমিকের প্রতারনার স্বীকার হয়ে হয়ত স্বামীর সাথে আবারও নতুন করে প্রেমের গল্প শুরু হবে। তবে শেষটায় আবারও সেই পুরানো প্রেমিকের কাছেই ফিরে যাওয়া ব্যাপারটাকে মনে হয়েছে ভালোবাসার কাছে অসহায় ও অন্যায় আত্মসমর্পণ। মে বি এই ধরনের প্রেমকেই বলে নষ্ট প্রেম। হাহা!
যাই হোক, কিছু কিছু টাইপো আছে। সেইগুলো ঠিক করে ফেললে আরো ভালো হয়। সময় পেলে সেগুলোকে ঠিক করে ফেলবেন।অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা এমন একটা প্লট নিয়ে আমার বেশ কিছুদিন ধরে লেখার ইচ্ছা ছিল। তাই প্লট কত খানি শক্তিশালি হবে তা নিয়ে ভাবিনি। নিজের সেটিস্ফেকশনই মুখ্য ছিল।
আর স্বামীর সাথে নীহারিকার প্রেম তো হলেছিলই। হয়ত রিসাত আর ফিরে না আসলে সেই প্রেমই টিকে থাকত। আর ভালোবাসার কাছে তো কত রাজা বাদশাহও হার মেনেছে। এই দুই জন আর কি।
শুভেচ্ছা জানবেন, শুভরাত্রি।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
অথৈ শ্রাবণ বলেছেন: ভাল লাগলো গল্প টা পড়ে .
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন শ্রাবণ,
শুভরাত্রি।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কষ্ট দেওয়া অপরাধ তবুও দেয় তো ! বন্ধুটা হলো, হারিয়ে যাওয়া কেউ ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭
টুম্পা মনি বলেছেন: আমার ধারণা এই ধরণে অপরাধের প্রায়শ্চিত্য মানুষকে সহসাই করতে হয়! নিয়তি কারো মনে কষ্ট দেয়ার অপরাধ ক্ষমা করে না।
ভালো থাকুন,
শুভরাত্রি
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: গতানুগতিক চলমান সময়ের প্লট নিয়ে গল্প । এই ধারায় উৎরে যাওয়া কঠিন । এমনিতে কাহিনী বিন্যাসে চমৎকারিত্ব আছে, কিন্তু গল্পে কারেক্টার ডেভেলপমেন্ট তেমন একটা হয়নি । ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটে গেছে, পাঠকের ভাবনার কোন স্পেস নেই সেখানে ।
আপনার গল্প-কবিতা দুটোই খুব পছন্দ করি আপু । আর এজন্যই প্রত্যাশার মাত্রাটাও একটু বেশিই থাকে, আর এত দিন ধরে পেয়েও আসছি তা ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা তাই নাকি! তবে আমি চেষ্টার কোন কমতি রাখিনি। কোন রকম তাড়াহুড়ো করিনি। তাই গল্পটাও বড় হয়ে গেছে।
সতত শুভেচ্ছা জানুন,
সুন্দর থাকুন,
শুভরাত্রি
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা রইল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভবঘুরে,
সুন্দর থাকুন,
শুভরাত্রি
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর বরাবরই আপনি অনেক ভাল লিখেন। ভাল লাগা রইল।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা সুজন, গল্পটা নিয়ে আমি নিজে অনেক আশাবাদী। তবে পাঠকদের কতটকু হতাশ করব জানি না।
তার মন্তব্যে ভরসা পেলাম,
সুন্দর থাকুন,
সতত শুভেচ্ছা।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালোবাসার বৃত্তে বন্দী ! হুম , নিহারিকারা এমনি হয় বুঝি !
শাহেদরা থাকে চারপাশে , গল্প টা অসম্ভব বাস্তব ! সত্যী এমনি হয় !
চমৎকার গল্পে শুভেচ্ছা টুম্পা মনি !
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: নীহারিকা কি করবে বলেন!!! রিসাতের ভালোবাসার বৃত্ত ছেড়ে সে বের হতে পারেনি। আসলে বৃত্ত ভাঙ্গা বোধয় এত সহজ নয়! শুরুতেই যদি রিসাতের সাথে পরিচয় না হয়ে শাহেদের সাথে হত তবে হয়ত সে তার পারফেক্ট লাইফেই সুখী থাকতো!
অনুপ্রেরণার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,
শুভরাত্রি।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
বেঈমান আমি. বলেছেন: ভালো বাসার ভাড়া খুব বেশিরে বাপ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হেহেহেহেহে কথা কিন্তু সত্য
আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগল।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯
কস্কি বলেছেন: 'কলমের নিপে'র কথা প্রায় ভুইল্লাই গেছিলাম................
টেংখু ....... opt in করানের লাইগ্গা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: শব্দটায় কি কোন গলদ আছে? থাকলে শুদ্ধ করি কতি পারেন।
:-& :-& :-& :-&
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: সহজ-সরল ভাষায় একটা সুররিয়েলিস্টিক গল্প !
বেশ ভালো লাগল !
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অয়ন,
শুভরাত্রি।
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪
এস এম কায়েস বলেছেন: কিছু কথা যা কখনও ভোলা যায় না। ভাল লাগলো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা কায়েশ,
ভালো বলেছেন কিছু কথা যা কখনো ভোলা যায় না! আর কিছু কাজ ব্যাখ্যার অতীত!
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আহ্ এতো সুন্দর গল্প আপনি লিখতে পারেন! আমি তো শুধুই মুগ্ধ!
আমার কাছে কিন্তু রাসু-নিহু আর শাহেদ-নীহারিকতা উভয়ের প্রেমই ভালো লেগেছে। তবে রাসু-নিহুদের প্রেমগুলোই ‘প্রেমের’ বেশি কাছে! কী বলেন
শুভেচ্ছা আপনাকে টুম্পমনি।
আপনি আপনার নামের চেয়েও পরিপক্ক একজন গল্পকার!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: :!> :#> প্রেমের কাছে যে আসলে কখন কোন প্রেম বেশি হয় কেমতে বলি! পারসন টু পারসন ভিন্ন হয় মনে হয়! হৃদয়ের সংজ্ঞা জলে জলে ভিন্ন।
এই গল্পে বেশি পরিপক্কতা ফুটে উঠেছে কি? কে জানে! আসলে কিছুটা হাত ছেড়ে না লিখলে এই গল্পের আবেগগুলা প্রকাশ পেতো না। নয়ত ইরাম গপ্প আমি আর একটাও লিখি নাই।
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
অদৃশ্য বলেছেন:
রিসাতের ব্যক্তিত্বের কাছেই হেরে গ্যাছে নীহারিকা... পরবর্তীতে রিসাতের প্রতি তার ফিলিংসটা ছিলো প্রকৃত... তাই ভালোবাসাটাও ছিলো প্রকৃত... ওদিকে রিসাতের ব্যপারটা তার স্বাভাবিক কর্মকান্ড, টাইমপাস... ওর মাঝে অন্য কোন অনুভব ছিলোনা...
শেষটাতেও দেখা যাচ্ছে যে নীহারিকা আবারো রিসাতের কাছে হার মানার জন্য প্রস্তুত গ্যাছে... রিসাত কিন্ত এখন স্রেফ প্রয়োজন মেটাচ্ছে... নীহারিকার প্রতি রিসাতের প্রকৃত কোন ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যায়না...
তাহলে কি দাড়ালো... নীহারিকা কি ঠিক পথে আছে নাকি ভুল পথে ? প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারে এইসব ভুল শুদ্ধ কতোটা বিবেচ্য ? ভালোবাসা হয়ে হৃদয়ের গভীরে কেউ ডুব দিলে তাকে কি আর বের করা যায় ?
শুভকামনা...
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা অদৃশ্য ,
নীহারিকা কি ঠিক পথে আছে নাকি ভুল পথে ?
-ভুল পথে তো নিঃসন্দেহে। গল্পের শেষে নীহারিকা নিজেই বলেছে নিয়তি এত বড় অপরাধ ক্ষমা করে না। সে যে ভুল করছে সে জানে! হয়ত রিসাত সেকেন্ড টাইম তাকে ধোকা নাও দিতে পারে,কিন্তু ভাগ্য দ্বারা শাস্তি তার জন্য অবধারিত। এটা সে নিজেও বিলিভ করে।
প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারে এইসব ভুল শুদ্ধ কতোটা বিবেচ্য ?
-হাহাহাহা এই ক্ষেত্রে একটা পুরনো ডায়ালগ ,''ভালোবেসে ভুল করি, ভুল করে ভালোবাসি!''
ভালোবাসা হয়ে হৃদয়ের গভীরে কেউ ডুব দিলে তাকে কি আর বের করা যায় ?
-নজরুল বলেছেন ,''ভালোবাসা যতবার জীবনে আসে ততবার তা প্রথম প্রেম হয়ে আসে!'' তাহলে কি দাঁড়ায়? বোধয় মন থেকে বের করা যায়। নজরুলের মতে।
১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপটা বেশ সবলীল। পড়তে ভালই লেগেছে। কিন্তু গপে নতুন কিছু নাই। কমন প্লট। একদম শেষের অফিসের দৃশ্যটা কেমন বেমানান লাগলো।
গপ পড়ে একটা ইন্টারেস্টিং রিয়েলাইজেশনে আসলো - If You Want to be Perfect happy then Be imperfect
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা জানবেন মাসুম,
কমন প্লট ঠিকাছে। তবে এমন একটা কাহিনী নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। আর If You Want to be Perfect happy then Be imperfect এটা হয়ত নীহারিকার বেলাতে। সবার বেলাতে নাও হতে পারে।
১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম...... মিস পারফেকশনিস্ট!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা বর্ষণ
১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাস্তবতার নিরিখে প্রাণবন্ত ঝর ঝরে লেখায় শুভ কামনা রইল।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কান্ডারী,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গতানুগতিক টানাপোড়েনের গল্প। মোটামুটি লাগলো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহা থেংকিউ বিগ হামা,
সুন্দর থাকুন
২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
আমি ইহতিব বলেছেন: গল্প বলার ধরণটা সুন্দর, সাবলীল।
তবে শেষটা পড়ে খারাপ লাগলো। সব সম্পর্কেই বিশ্বস্থতা আস্থা বজায় রেখে চলা উচিত বলে আমি মনে করি। এটা শুধুই আমার অভিমত প্রকাশ। নেতিবাচক মন্তব্য মনে করবেন না যেন।
শুভ কামনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইহতিব,
মোটেও নেতিবাচক হিসেবে নেই নি। বরং খুশি হয়েছি আমার গল্প এতখানি অনুভুতি সৃষ্টি করতে পেরেছে দেখে।
আর আপনার প্রতিক্রিয়া হল এমন কাহিনীগুলো শুনে আমাদের নরমাল প্রতিক্রিয়া। আমি নিজেও হয়ত এমন প্রতিক্রিয়াই দেখাতাম।
''সব সম্পর্কেই বিশ্বস্থতা আস্থা বজায় রেখে চলা উচিত বলে আমি মনে করি।'' আমিও তাই মনে করি। হয়ত নীহুও তাই মনে করে! কিন্তু ভালোবাসার লালসা সে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সব লালসাই যে পাপ!
২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
এরিস বলেছেন: এমন ঘটনা ঘটতে প্রায়ই শুনি। যদিও গল্পের প্রয়োজনে নীহুকে রিসাতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, তবু আমার মনে হচ্ছে শেষে নীহুকে ভালবাসার দোহাইতে প্রতারক বানিয়ে সন্তুষ্ট করার চেয়ে বরং অনুতপ্ত করে রাখলে ভাল হত। ভুল সবসময়েই ভুল। একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে নতুন সম্পর্ক করলো যে, তাকে ভুলে থাকতে আরেকজন সৎ মানুষের নিরাপদের আশ্রয়ে যাওয়া, আবার তার সাথে প্রতারণা করে ফিরে যাওয়া ভুল অবস্থানে, খুব বেশি স্বার্থপরের মতো হয়ে গেল না? যেহেতু এগুলো গল্পটি গতানুগতিক ঘটনা নিয়ে লেখা, সেহেতু নৈতিকতার ব্যাপারটা মনে হয় একটু দেখা উচিত। গল্পটা কম বয়সী, বেশি বয়সী অনেকেই পড়বে, এমনও হতে পারে যে সেইম সিচুয়েশনে পড়ে আছে এমন কেউ সিদ্ধান্ত নিয়ে বসবে।
আমি হয়তো অতিকল্পনা করে মন্তব্য করছি। আসলে এই ব্যাপারগুলো আমাকেও অনেক ভাবায় তো! নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
পারফেক্ট থাকা নিয়ে নীহুর সাইকোলজি বেশ মজার লেগেছে।
শুভকামনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা এরিস,
মোটেও অতিকলপনা করেননি। আপনার ভাবনাগুলো স্বাভাবিক। গল্পের শেষে নীহু রিসাতের কাছে গেছে কারণ মেয়েরা হয়ত বেশির ভাগ সময় কেন যেন রিসাতদের দিকেই যায়! আর শাহেদরা কখনো কখনো অনেক ভালো হওয়ার পরও উপেক্ষনীয় থাকে! নীহু আপ্রাণ চেষ্টা করেছে শাহেদের সাথে তার বিশ্বস্ততা রক্ষা করতে। কিন্তু সে নিজে পরাজিত হয়েছে! হয়ত রিসাতদের মত সুন্দর করে মেয়ে ভোলানো কথা বলতে শাহেদরা জানে না। তাই মেয়েরাও রিসাতদের দিকে যায়।(কখনো কখনো)
তবে রিসাতদের ঘৃণা করা উচিত। এটা আমি মনে করি।
২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: কষ্টের আলাপনে ভালোলাগা রেখে গেলাম।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানুন ইসহাক ,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: সবাই সব রকম মন্তব্য করে ফেলেছে আমি কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা থাক একটা বিশেষ পদ্ধতিতে প্লাস দিয়ে আসি
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিথি,
তাই তো বলি এ লেখায় ৬টা প্লাস কি করে হল! ৩-৪টার বেশি হয় না!
২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: নীহারিকার শেষ আচরনে রাগ হচ্ছে খুব!! এটা কেমন হলো!!
জাদিদ ভাইয়ের সাথে একমত!
ভেবেছিলাম প্রেমিকের প্রতারনার স্বীকার হয়ে হয়ত স্বামীর সাথে আবারও নতুন করে প্রেমের গল্প শুরু হবে। তবে শেষটায় আবারও সেই পুরানো প্রেমিকের কাছেই ফিরে যাওয়া ব্যাপারটাকে মনে হয়েছে ভালোবাসার কাছে অসহায় ও অন্যায় আত্মসমর্পণ। মে বি এই ধরনের প্রেমকেই বলে নষ্ট প্রেম।
তবে গল্পে আকর্ষন ছিল!! ঃ)
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা শুভেচ্ছা বটবৃক্ষ ,
আমিও জাদিদ ভাইয়ার সাথে একমত। এটা আসলেই নষ্ট প্রেম! নয়ত শাহেদ কেন কষ্ট পাবে! তবে প্রেম নিয়ে একটা ডায়ালগ তো বহু পুরনো ,''যুদ্ধ আর প্রেমে অবৈধ বলে কিছু নেই।'' অবশ্য এই ডায়ালগ মানা উচিত নয় বলেই মনে করি।
২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
এক নিঃশ্বাসে গল্পটা পড়লাম। ভাল হয়েছে।
মেয়েরা নাকি যাকে একবার ভালবাসে শত কিছু হলেও তাকে ভুলতে পারে না। শেষে তার কাছেই ফিরে যায় বা যেতে চায়।
কিন্তু রাসু পল্টি নিছিলো ক্যান??
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
টুম্পা মনি বলেছেন:
শুভেচ্ছা শাহরিয়ার,
''মেয়েরা নাকি যাকে একবার ভালবাসে শত কিছু হলেও তাকে ভুলতে পারে না। শেষে তার কাছেই ফিরে যায় বা যেতে চায়।'' হয়ত বা তাই! আমি একবার কাহিনী দেখেছিলাম!
আর রাসু প্লটি ক্যান নিসিল বা রাসুরা সব সময় পল্টি ক্যান নেয় সে উত্তর অজ্ঞাত! রাসুরাই বলতে পারবে। হয়ত রাসুরা অনেক সেলফিস! তাই! রাসুদের পানিশমেন্ট হওয়া উচিত।
২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
'হয়ত রাসুরা অনেক সেলফিস! তাই! রাসুদের পানিশমেন্ট হওয়া উচিত'।
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। রাসুদের ফাঁসি চাই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: হু ''র''তে রাসু, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।
২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ভালোবাসা নিয়ে যেন কেউ কখনোই প্রতারণার স্বীকার না হয় ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
টুম্পা মনি বলেছেন: সেটাই প্রার্থনা!।
সতত শুভেচ্ছা অদ্ভুত_আমি।
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
২৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
ধূর্ত উঁই বলেছেন: চমৎকার লাগলো প্রেম মহান। এটাই সত্যি কথা।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম প্রেম মহান। ভালোবাসা মহান। জয় হোক সকল সুদ্ধ প্রেমের, শুদ্ধ ভালোবাসার।
সতত শুভেচ্ছা জানুন।
২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক গল্প!
আমি মুগ্ধ আপুনি!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,
এই গল্পটা লিখে আমি নিজে তৃপ্ত।
অন্যদের কেমন লেগেছে জানি না। আপনার ভাল লেগেছে জেনে শান্তি পেলুম।
সতত শুভেচ্ছা।
৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
অদৃশ্য বলেছেন:
আমিও বলি... প্রকৃত ভালোবাসা মন থেকে মুছে ফেলা যায়না, শুধুমাত্র স্মৃতি হারালে বা মরে গেলেই তা সম্ভব...
তবে কথা হলো... ভালোবাসা জন্য মনের ভেতরে এতোটাই জায়গা আছে যে তাতে অনেক ভালোবাসা জায়গা করে নিতে পারে... কোন অসুবিধে হয়না... বাস্তবটা মনে হয় এমনই...
সুন্দর জবাব দেবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে...
শুভকামনা...
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা অদৃশ্য ,
আমিও তাই মনে করি! মনের মাঝ থেকে অশুদ্ধ ভালোবাসা তাড়িয়ে শুদ্ধতা ভালোবাসাকে স্থান দেয়া উচিত। নয়ত ভালোবাসার উপর থেকে সবার আস্থা উঠে যাবে!
৩১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
জুন বলেছেন: নিয়তি এত বড় অন্যায় ক্ষমা করে না। কিন্তু ভালোবাসা করে! রিসাতের প্রতারককেও নিমেষেই পারে ক্ষমা করে দিতে। পারে আমার মত পারফেকশনিস্টকে এক পলকেই প্রতারক বানাতে!
গল্প নিয়ে সবাই বলেছে আমি শুধু এটুকুই বলি খুব সুন্দর সাবলীল লেখায় লাষ্টের লাইনগুলো মনে দাগ কাটার মত টুম্পা মনি
সহজ সরল লেখা আমার অনেক পছন্দের
অনেক ভালোলাগলো ।
+
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জুন আপু,
লেখাটা আসলে কেমন হয়েছে জানি না! তবে আমি নিজে লিখে তৃপ্তি পেয়েছি। আপনার কথায় আরো আশান্বিত হলুম।
সতত শুভকামনা।
৩২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
সায়েম মুন বলেছেন: শাহেদ অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকায়!,''এ কি ভাষায় তুমি কথা বলছো নীহারিকা!''
তাই তো! আমি এ কোন ভাষায় কথা বলছি! আমাকে কি আবার সেই ইম্পারফেক্ট লাইফের রোগের ধরল নাকি? আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি। দু হাত তুলে বিধাতা কাছে বলি,''আমাকে শক্তি দাও! আমি যেন কিছুতেই আমার স্বামীকে না ঠোকাই।''
------------গল্পটা এখানেই শেষ করা যেত!
স্টোরী টেলিং গল্প খুব ভাল লেগেছে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহ ওখানে শেষ হলে স্টোরী কমপ্লিট হত কি করে! তবে ওখানে হলে নীহারিকা ভালোবাসার কাছে পরাজিত হত না, বরং জয়ী হত।
যাই হোক, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।
সুন্দর থাকুন,
সতত শুভকামনা জানুন।
৩৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
আরজু পনি বলেছেন:
টুম্পামনি, সবাই খুব প্রশংসা করছে...
আপনি প্রশঙসা পাবার মতোই লিখেন...কিন্তু এমবিএ ক্লাসের স্টুডেন্ট হিসেবে কিছু পাঠ্য জুড়ে দিলে মন্দ হতো না বোধ করি ।
আর রিসাত যতোই আকর্ষণীয় চরিত্রের হোক না কেন, শেষটা আমার পছন্দ হয় নি ।
ভালোবাসায় অতৃপ্তি থাকলেই তাতে নিষ্পাপতা থাকতো...মনে হলো নিহু এক পাপবিদ্ধ ভালোবাসায় জড়িয়ে যাচ্ছে...
লেখার সময় একটু কি অস্থির ছিলেন ? আপনি এর চেয়ে অনেক গভীর করে লিখতে পারেন...
ওহ নিপ < নিব ঠিক করে নিতে পারেন ।
মাত্র ২/৩ দিন আগেও আপনার কথা ভাবছিলাম, রেজো্ওয়ানার পর সরাসরি যাকে বলতে ভালো লাগে সে আপনি 'টুম্পামনি' ।
অনেক প্রত্যাশা আপনার কাছ থেকে আমার ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল প্রিয় টুম্পামনির কাছ থেকে ।।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন:
শুভেচ্ছা পুনিয়াপু, আমিও মনে মনে আপনাকে খুজতেসিলাম। ভাবতেসিলাম পুনিয়াপু এখনো আমার গল্পে আসেন না কেনু?
যাই হোক এম বি এ ক্লাসের পাঠ্য বই জুড়ে দিতে আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু নলেজের স্বল্পতা অনুভব করলাম! :!> কি লিখতে গিয়ে না কি লিখে ফেলি!
আর নীহুকে নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া এটা আমিই চেয়েছিলাম। এত আবেগী মেয়েরা সাধারণত এমন ভুল করে! কারণ তাদের কাছে ভালোবাসার উপরে আর কিছু নেই! কথাটা এভাবে বলা যেতে পারে ,''সবার উপরে ভালোবাসা সত্য, তাহার উপরে নাই!''
বানানটার জন্য অসংখ্য থ্যাংকু। ঐটা নিয়ে আমিও ভাবতেসিলাম।
আর ''মাত্র ২/৩ দিন আগেও আপনার কথা ভাবছিলাম, রেজো্ওয়ানার পর সরাসরি যাকে বলতে ভালো লাগে সে আপনি 'টুম্পামনি' ।'' আর ইহার জন্য কৃতজ্ঞতা
''অনেক শুভেচ্ছা রইল প্রিয় টুম্পামনির কাছ থেকে ।।''
৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
আরজু পনি বলেছেন:
হে হে শুভেচ্ছা টুম্পামনির জন্যে ...
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
টুম্পা মনি বলেছেন: পুনিয়াপুর জন্যও টুম্পামনির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা
৩৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
মশিকুর বলেছেন:
নীহারিকা কনফিউজিং চরিত্র!!! রিসাত লম্পট এটা নিশ্চিত। বর্তমানে তাদের সম্পর্ক মোহ ছাড়া কিছুই না। ভালোবাসা তো কিছুতেই না।
''রিসাত আমাকে কেন ছেড়ে গেলো? আমার কি দোষ ছিল?'' -প্রশ্ন গুলোর গ্রহণযোগ্য উত্তর সাপেক্ষে সম্পর্ক এগুলে তখন ভালোবাসা বলা যেত।
শেষে এসে বুঝা যায় যে, সে আসলে রিসাতের লালসাকে ভালোবেসে ছিল। তাই মাঝের আত্নহত্যার বিষয়টি গ্রহনযোগ্য না।
শুভকামনা সবসময়ের জন্য।।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: ভালোবাসার সংজ্ঞা তো জনে জনে ভিন্ন হতে পারে তাই না! যদি কারো সাথে কারো সংজ্ঞা না মেলে খুব বেশি কিছু কি এসে যায় তাতে!
সতত শুভেচ্ছা জানুন।
৩৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
তাসজিদ বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা ভাল লেগেছে।
তবে শেষ তা ভাল লাগেনি। সে তার প্রেমিকের কাছে ফিরে যাবে কেন? সে কেন আত্মনিয়ন্ত্রণ হারাবে? ক্ষমা চেয়ে নিলেই কি সব শেষ।
আর রিসাত কেন তাকে ছেড়ে গিয়েছিল তার কোন ব্যাখ্যা নেই। সে যে কালকে তাকে আবার ছেড়ে যাবে না তার কি গ্যারান্টি?
নাকি তখন আবার ক্ষমা চেয়ে নিবে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩২
টুম্পা মনি বলেছেন: সত্যি ক্ষমা চেয়ে নিলে সব শেষ হয় না। কিছু পাপের জন্য শাস্তি প্রয়োজন। চেষ্টা করব এই গল্পের আরেক পার্ট করতে। সেটাতে না হয় রিসাতকে পানিশমেন্ট দেয়া যাবে।
আ[প্নার মনোযোগী পাঠ আমাকে আনন্দ দিল। অজস্র শুভকামনা জানবেন।
৩৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে , কিন্তু শেষে এসে অন্যরকম হবে ভেবেছিলাম। রিসাতের প্রতারনা এত সহজে ভুলে গেল নীহারিকা !
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহহা নীহারিকা হয়ত ভালোবাসার কাছে পরাজিত হয়েছে! যদিও এটা হওয়া উচিত হয় নি।
শুভেচ্ছা অদ্বিতীয়া আমি।
৩৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এটা কি করলেন আপু! শেষমেষ নীহারিকাকে রিসাতের কাছেই ফিরিয়ে দিলেন? ব্যাপারটা শুধুমাত্র শাহেদের নয়, নীহারিকার প্রতিও একধরনের গভীর অবিচার বলে মনে হয়েছে আমার। তাদের দুজনেরই তো সুখী হবার অধিকার ছিল জীবনে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: নীহারিকার সব স্পন্দন জুড়ে তার প্রথম ভালোবাসা ছিল। আর একটা মেয়ে জানে প্রথম ভালোবাসা কি!!!!!!! তবে নীহারিকা যা করে অন্যায় করেছে। যেই অন্যায় শুরুতে রিসাত করেছিল, শেষে সেটা নীহারিকা করল! সেদিক থেকে দুজনেই হয়ত এক রকম।
অজস্র শুভকামনা আপি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: মেয়েরা কি সবসময় যারা কষ্ট দেয় তাদেরকেই বেশি ভালবাসে ?? আমার একজন বন্ধুকে মনে করিয়ে দিলেন । গল্প ভালো লেগেছে । স্বচ্ছ আর স্বাভাবিক ছিল । কিছু জায়গা গতানুগতিক । তবে মোচড়গুলো সুন্দর । শেষটায় মন খারাপ হয়ে গেলো । শুভেচ্ছা জানবেন ।