![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
আমি ঈপ্সিতা! এক সময় খুব চঞ্চল মেয়ে থাকলেও কি করে যেন একাকীত্বের সমুদ্রে ডুবে গেছি। যেই আমি এক সময় কোলাহল ছাড়া থাকতেই পারতাম না সেই আমি একাকী নৈঃশব্দে আসক্ত হয়ে গেছি! নিজেকে একাকীত্বের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়ে আমার একাকীত্বের জগতে মদির হয়ে থাকি!
এ জগতটা একান্তই আমার। এখানে আমি কাউকে আসতে দেইনি। এমন কি আমার স্বামী রিহানকেও না! একদিন MIND VIEWER যন্ত্রটি নিয়ে খেলার ছলে ও আমার মনের জগতে ঢুকে পড়েছিল। এসে কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর শুরু করল তার মান্ধাত্বী আমলের সেই রেডিও বাজানো। অনবরত বক বক করে বলল,'' জান, বলো, তুমি আমাকে ভালোবাসো! বলো ভালোবাসো। বলো না! প্লিজ বলো। বলবা না?'' একেবারে শিশুদের খেলনা কিনে দেবার মত বায়না!
রিহানের এই স্বভাবটা আমি একদম পছন্দ করি না। ভালোবাসা কি এভাবে মুখের বলায় হয়ে যায়? ভালোবাসা হল বুঝে নেবার ব্যাপার। একজনের আরেকজনের হৃদয় পড়ে তাতে অবগাহনের ব্যাপার।
কিন্তু কে বোঝাবে রিহানকে এই কথা? তার কাছে সকাল সন্ধ্যা ভালোবাসি, ভালোবাসি বলে চিৎকার করা মানেই ভালোবাসা! বেশি ভাবতে রিহান পছন্দ করে না। ও বিজ্ঞানী ধরণের মানুষ। অংকের খাতায় একশোতে একশো হলেও হৃদয়ের খাতায় ওর মার্ক্স জিরো! ওর মত সহজ সরল মানুষ হয়ত খুব কমই হয়। তাই আমার মত মেয়েকে সে বুঝতে পারেনি। আর এতে আমি খুশি। আমার ভালো লাগে না কেউ
আমাকে বুঝুক। আমার হৃদয় পড়ুক! এতে আমার নৈঃশব্দ নষ্ট হয়। আর তাছাড়া আমার হৃদয় পড়লে রিহান কষ্ট পাবে! কারণ আমি তাকে ভালোবাসি না!
ওহ বলছিলাম MIND VIEWER এর কথা। এটা রিহানের আবিস্কার! এটি TEAM VIEWER এর মত একটি সফটওয়্যার। TEAM VIEWER দিয়ে একজন আরেকজনের কম্পিউটার প্রবেশ করতে পারে। আর MIND VIEWER দিয়ে পারে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে! প্রসেস একই। শুধু একটা সফটওয়্যার
থাকতে হবে। তারপর TEAM VIEWERদিয়ে যেমন অন্যের মনিটরে ওঠা পাসওয়ার্ড নিয়ে তার কম্পিউটারে প্রবেশ করা যায় MIND VIEWER দিয়েও তাই। অন্যের মনের মাঝে যে পাসওয়ার্ড দেখাবে সেটা সে বললেই কেবল তার মনে প্রবেশ করা যাবে। সে পাসওয়ার্ড না জানালে কিছুতেই প্রবেশ করা যাবে না!
বিজ্ঞানরা এখনো জোর করে মানুষের মন পঠনের মত কোন যন্ত্র আবিস্কার
করতে পারেনি। কোন দিন পারবেও না বলে আমার ধারণা। এটা দিয়ে মাঝে মাঝেই আমি রিহানের মনে প্রবেশ করি। অবশ্য স্বেচ্ছায় নয়! কারো মনে ঢোকা আমার
ভালো লাগে না। কারণ বিনিময়ে যদি সে আমার মনে ঢুকতে চায়! আমি রিহানকে খুশি করতেই আমার ওর মনে প্রবেশ করি। রিহান আমাকে দেখাতে চায় কি করে ওর মস্তিষ্ক জুড়ে আমি স্থান করে নিয়েছি! সে আমাকে কত ভালোবাসে তা প্রুভ করতে চায়।
আমি MIND VIEWER দিয়ে রিহানের মনের সাথে কানেক্ট করলাম। প্রসেসটা খুব সহজ। দুজন দুটি ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকবো। তারপর হেডফোনের সাহায্যে একজন আরেকজনের মনে তলিয়ে যাবো। মন দেখার জন্য একটা বিশেষ ধরণের চশমাও আছে। ওটা চোখে পড়লে বাহিরে জগত অন্ধকার হয়ে যায়। শুধু দৃশ্যমান হয় মনের জগত! বিশেষ হেডফোন দিয়ে শোনা যায় হৃদয়ের সব অব্যক্ত কথাগুলো! আমি রিহানের কাছ থেকে ওর পাসওয়ার্ড জেনেনিলাম। ওর পাসওয়ার্ড হল ''ISHU'', আমার নাম ঈপ্সিতাকে ও সংক্ষেপে ঈসু করে নিয়েছে। এই নামেই সব সময় ডাকে।
আমি ওর central nervous system এ প্রবেশ করলাম। তারপর গেলাম BRAIN এ। তারপর সোজা গেলাম রিহানের Limbic system এর দিকে। মস্তিষ্কের এই অংশই আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এটিই হল আমাদের সব আবেগের কেন্দ্রবিন্দু! এত ভালোবাসা, এত হৃদয়ের টানা পোড়েন সবই এর খেয়াল! এটি হল আমাদের "emotional brain। এটি thalamus, hypothalamus, amygdala এবং hippocampus নিয়ে গঠিত। প্রথমেই আমি রিহানের amygdala তে আসি। এখানে অজস্র ভয় বিদ্যমান! সব আমাকে হারানোর ভয়!
এক জায়গায় বড় বড় অক্ষরে লেখা ''আমি ঈসুকে প্রচন্ড ভালোবাসি! কিন্তু কিছুতেই ওর মন বুঝতে পারি না! ও কি আদৌ আমায় ভালোবাসে! মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয় বাসে না'! ঈসু আমাকে ভালোবাসে না! ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে! আমি কি করে বাঁচবো ওকে ছাড়া!'' কথাগুলো পড়ে আমি কিছুটা থমকে দাঁড়ালাম! এত কেন আমাকে ভালোবাসো রিহান? এত ভালো কাউকে বাসতে নেই! প্লিজ আমাকে এত ভালো বেসো না!
ওর hippocampusও আমাকে নিয়ে মেমোরি সেভ! আমাদের বিয়ে ডেট, কবে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল, আমার প্রিয় রঙ কি, প্রিয় খাবার কি, আমি কি করতে ভালোবাসি সব! এখানে এসে নিজেকে অকৃতজ্ঞ মনে হল! আমি আজ পর্যন্ত জানলাম না রিহানের প্রিয় খাবার কি? ওর প্রিয় রঙ কি? ও কি করতে ভালোবাসে? স্ত্রী হিসেবে স্বামীর প্রতি কোন দায়িত্বই আমি পালন করিনি।
অবশ্য রিহানও কোন দিন জোর করেনি। ওর শুধু একটাই দাবি।''ঈসু তুমি শুধু আমাকে ভালোবেসো। খুব গভীর ভাবে ভালোবেসো! আর কিছু আমি চাই না!''
আমিও ওর ভালো মানুষীর সুযোগ নিয়ে নিজের মাঝে ডুবে থেকেছি! ওর hypothalamusএ এসে শংকিত হলাম! ভালোবাসার ব্যাপারে ওর নিজের উপর একদমই কন্ট্রোল নেই! অন্তত আমাকে ভালোবাসার ব্যাপারে তো নেই ই! চিন্তা করা যায় না ওর মত বড় বিজ্ঞানী এমন করে কাউকে ভালোবাসতে পারে! thalamus এ কিছু দুঃখ পেলাম! সব আমাকে নিয়ে লেখা। ওর চাইল্ডিশ আচরণ! ''ঈসু আজ সকালে আমাকে ভালোবাসি বলেনি!'' আমি কিছুক্ষণ পর ওর BRAIN থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার চোখ থেকে অঝোরে জল ঝরছিল!
''তুমি আমাকে এত ভালোবাসো রিহান! এত ভালো কাউকে বাসতে নেই! প্লিজ আমাকে এত ভালোবেসো না!'' আমার আবেগী কথায় রিহানের আহ্লাদ শুরু হল। সে আমার কোলের উপর মাথা রেখে নেকী সুরে বলল ,''ঈসু তোমাকে ভালোবাসিইইইই!''
তারপর থেকে আমিও সংসারে মনোযোগী হলাম। রিহানের ব্যাপারে যত্নশীল হলাম। ওর ভালো লাগা,খারাপ লাগাগুলো জানতে চেষ্টা করছিলাম। সকাল সন্ধ্যা রিহানের কানের কাছে গিয়ে বলি,''রিহান তোমাকে ভালোবাসি! অনেক অনেক ভালোবাসি!'' কিছু দিনেই মধ্য রিহান তার স্বপ্নের বধু পেলো। যেমন সে চেয়েছিল! কিন্তু আমি কতটুকু পেলাম! আমার মাঝে কেমন যেন একটা একাকীত্ব!
বার বার প্রতিটা স্পন্দন বলে ,''আমি তোমাকে ভালোবাসি না রিহান! তোমার প্রতি আমার অনুভূতি হল জাস্ট মায়া! আমি এভাবে ভালোবাসায় অভ্যস্থ নই। কবিতার জগতে আমার বাস। আর তোমার জীবন যান্ত্রিক! আমাদের মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব! আমাদের ভালোবাসার মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব! আমি কোন দিন তোমাকে মন থেকে ভালোবাসতে পারবো না। তবে স্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ঠিকই পালন করব।
তুমি কোন দিনও বুঝতে পারবে না আমি তোমাকে ভালোবাসি না!''
এদিকে রিহানের ধারণা তার মত আমারও অস্তিত্ব জুড়ে শুধু ওর বাস! এটা সে MIND VIEWER যন্ত্রটি দিয়ে মাঝে মাঝেই দেখার জেদ ধরে। কিন্তু আমি কখনো দেই না! কারণ আমি জানি এত বড় আঘাত ও সহ্য করতে পারবে না! তাই আমি সব সময় আমার লেপটপ নিজের মত করে পাসওয়ার্ড দিয়ে সেভ রাখি।
যদি কোন দিন এর থেকে রিহান কিছু জেনে ফেলে! এখানে আমার অনেক ডকুমেন্ট সেভ। এমনও হতে পারে সে আমার মস্তিষ্কের পাসওয়ার্ড কোনভাবে বের করে নিল! ও ব্রিলিয়ান্ট মানুষ! ওকে দিয়ে সবই সম্ভব!
এদিকে আমার আর বহুদিন নির্জনে আমার মনের ঘরে যাওয়া হয় না। জানটা খুব হাসফাস করছিল। আমি হাপিয়ে উঠেছিলাম। তাই একদিন সময় করে চলেই গেলাম। কিছুক্ষণ নিজের মাঝে ডুবে থাকলাম। সেদিন খুব প্রশান্তির ঘুম হল! ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি লেপটপ বন্ধ করিনি! কিছু দূরে গম্ভীর হয়ে রিহান বসা! রিহান কি আমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করেছিল! ও কি জেনে গেছে সব! রিহানের মুখ দেখে কিছুই বোঝা গেলো না! কিন্তু তার পর দিন থেকে রিহান যেন কেমন হয়ে যেতে লাগল! আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না! আগের সেই উচ্ছ্বাস আর নেই। আগের মত আমার মুখে,''ভালোবাসি'' শোনার জন্য জেদ ধরে না। এখন ওর বিহেভিয়ার অনেক মেচিওরড। আমি খুশিই হলাম! যত তাড়াতাড়ি ও ছেলেমানুষি স্বভাবগুলো কাটিয়ে ওঠে ততই ভালো। কিন্তু আমার খুশি কিছু দিনের মধ্যেই শংকায় রুপ নিল! রিহান কেন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে! এক মাসে ওর ওজন দশ কেজি কমে গেছে! চোয়ালের হাড়টা স্পস্টহয়ে উঠেছে! আগের সেই নাদুস নুদুস রিহানটি আর নেই!
সে আমাকেও কিছু বলে না। নিজের মত করে কি যেন ভাবে! আমাকে এখন আর ওর মনে ঢুকতে দেয় না। নিজেও মুখ ফুটে কিছু বলে না! রিহান যেন তার সব জীবনী শক্তি হারিয়ে ফেলেছে! ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে! আমি ওর কাছে গিয়ে ওর মন ভালো করতে চেষ্টা করি। ওর কাছে গিয়ে গান ধরি,''মেনেছি গো হার মেনেছি! তব পরাজয়ে মোর পরাজয় বারে বারে তা জেনেছি!'' কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হয় না! একদিন আমার সব আশংকা , সব ভয় সত্যি করে দিয়ে রিহান অসুস্থ হয়ে পড়ে!কিছুদিনের মধ্যে কোমাতে চলে যায়। হসপিটালের ইন্টেনশিভ কেয়ার ইউনিটে ওকে রাখা হয়েছে।
এদিকে রিহানের পরিচর্যা করতে করতে আমার যেন কি হয়েছে! আমার স্পন্দনগুলো আর আগের মত বিদ্রোহ করে না। চিৎকার করে বলে না,''রিহান তোমাকে ভালোবাসি না!'' বরং সব ''না''কে এখন হ্যা মনে হয়! মনে হয় আমার চারদিকে শুধু রিহান! আমার অস্তিত্ব জুড়ে শুধুই সে! আমার এখন একটাই ধ্যান যে করেই হোক রিহানকে সুস্থ করে তুলতে হবে! কিন্তু রিহানের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে! ডাক্তার ওর আশা ছেড়ে দিয়েছেন! ওর মাঝে নাকি বেঁচে ওঠার কোন ইচ্ছেই নেই! আমি ওর কানের কাছে গিয়ে বলি ,''কি হয়েছে তোমার রিহান? তুমি মরে গেলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচব? প্লিজ এমন করো না! তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো! আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি রিহান! অনেক বেশি ভালোবাসি!'' রিহান আমার কথা শুনেছে কিনা বোঝা যায় না।
শুধু যখন বলি ,''তোমাকে ভালোবাসি'' ওর চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে জল পড়ে! না জানি সে কি ভাবছে! কেন সে কাঁদছে কিছুই বুঝতে পারি না! তবুও আমি ওর
সাথে কথা বলে যাই। একদিন ডাক্তার জানান দিল-রিহান শেষ নিঃশ্বাসের প্রহর গুনছে! আর কোন দিন সে উঠে দাঁড়াবে না। তার ব্রেইন ডেথ কিছুক্ষণেরই মধ্যেই ঘটবে!
আমার পৃথিবী যেন ভেঙ্গে চুড়ে আসতে চায়! তছনছ হয়ে যেতে থাকে চোখের সামনে সব! বুকের ভেতর ধ্বসে একটা বিশাল শুন্যতা তৈরী হয়! বেশ বুঝতে পারি এই শুন্যতা রিহান না থাকলে কোন দিন কাটবে না! আমি যে রিহান ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচবো না সেটা ঢের বুঝতে পারি! আমি চারিদিকে শুন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম একটু আশার আলো দেখার আশায়। হঠাৎ চোখ গিয়ে পড়ল MIND VIEWER এর উপর! আমাদের ল্যাপটপ দু টো এনে রিহানের সাথে কানেক্ট করে দিলাম! আজ
আমি জানবোই কি হয়েছে রিহানের? কেন সে এভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে?
কিন্তু রিহান কোন রেসপন্স করছে না! তার মস্তিষ্কের পাসওয়ার্ড চাইলে সে বার বারই আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে! কিন্তু আমিও হার মানার নই। ''আমি তোমাকে এভাবে মরে যেতে দেব না রিহান!'' এক মুহূর্তের জন্য রিহানের সেই শিশুসুলভ কথাগুলো আমার মনে পড়ল ,''ঈসু তোমাকে ভালোবাসি! I LOVE U ISHU''। আমি ''I LOVE U ISHU'' পাসওয়ার্ডের ঘরে বসিয়ে ''ENTER'' চাপলাম। তাজ্জব হয়ে দেখলাম রিহানের মন খুলে গেছে! জীবনের শেষ মুহূর্তেও পর্যন্ত সে আমাকে ভালোবাসছে! আরেকবার কষ্টে পৃথিবী কালো হয়ে এলো।
আমি রিহানের মনের মাঝে এলাম! এসে জানলাম সেই রাতে সে আমার মনে এসেছিল! এসে বুঝেছে 'আমি তাকে ভালোবাসি না! আমার ভালোবাসার ঘরে বসত করে আছে অন্য কেউ! আমার প্রথম প্রেম। শুধু বাবা মায়ের ইচ্ছের কারণেই আমার রিহানের সাথে বিয়ে। তাই ভালোবেসে রিহানকে আমি কোন দিন দেখিনি। তার দুঃখগুলো যেন ডানা মেলে দিচ্ছিল! তার এতদিনের সাজানো বিশ্বাস ভেঙ্গে যাচ্ছিল! ভেঙ্গে যাচ্ছিল সব আস্থা! হঠাৎ আমাকে ঘিরে তার যে পৃথিবী ছিল সেটা নিঃস হয়ে গেলো!'
কাউকে উজার করে ভালোবাসলে যা হয়! অবশেষে নিজের জন্য কিছুই থাকে না! আর রিহান হল এতিম ছেলে। পৃথিবীতে তার কেউ নেই। বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে চেয়েছিল একটা নতুন পৃথিবী গড়তে। আর সেই পৃথিবীতে ধোকা সে সহ্য করতে পারে নি।
আমি এখন বুঝতে পারছি রিহানের কানের কাছে গিয়ে ''তোমাকে ভালোবাসি'' বললে কেন তার চোখ থেকে পানি ঝরতো! সে ধরে নিয়েছিল এটা আমার মনের কথা নয়। আমি শুধু মাত্র তাকে খুশি করতে ''ভালোবাসি'' বলছি! আমার এই প্রতারণায় রিহান কতটা ভেঙ্গে যাচ্ছিল ভাবতেই বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল!
নিজেকে আজ বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। একটা উচ্ছ্বল ছেলেকে আমি মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিলাম! তাও আবার এমন একজনকে যে পৃথিবীতে আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবেসেছে! কিন্তু আমিও যে অপারগ ছিলাম।
পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা দেখে আমার ভালোবাসার মন মরে গিয়েছিল। আমি যাকে সব থেকে বেশি ভালোবেসেছিলাম সেই আমাকে ধোঁকা দিয়েছে! তাই নৈঃশব্দের
মাঝে একাকীত্বে ডুবে গিয়েছিলাম! কিন্তু আজ সেই মন ভালোবাসতে জানে! রিহান
তাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে।
আমি রিহানের কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললাম,''তোমাকে ভালোবাসি রিহান! খুব খুব ভালোবাসি!'' আজ আমার মনের কথা আর মুখের কথা এক! রিহানও তাই বুঝতে পারছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সে জেগে উঠল! মেডিক্যাল সাইন্সে এ হল এক বিস্ময়কর ঘটনা! সত্যি ভালোবাসার অনেক ক্ষমতা!
বিঃ দ্র ঃ কোন এক ভেলেন্টাইন ডে উপলক্ষে লিখেছিলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪২
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন,
শুভরাত্রি।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
একলা ফড়িং বলেছেন: একদমই অন্যরকম! অনেক ভালো লাগলো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ একলা ফড়িং,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৪
সংবিধান বলেছেন: বুঝিনা প্রেম করেন কখন আর সাহিত্য লেখেন কখন... দুইটা একসাথে ঠিকমত চলার কথা না.....।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
টুম্পা মনি বলেছেন:
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম প্রেম কি এভাবে পুরো অস্থিত্বকে দখল করে রাখে??
সায়েন্টিফিক লাভ ইস্টোরি ভালো লাগছে
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
টুম্পা মনি বলেছেন: প্রথম প্রেম কি এভাবে পুরো অস্থিত্বকে দখল করে রাখে??
রাখে মনে হয়। নয়ত এমন হল কেন!
সতত শুভেচ্ছা।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
বেঈমান আমি. বলেছেন: নিজেকে আজ বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। একটা উচ্ছ্বল ছেলেকে আমি মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিলাম! তাও আবার এমন একজনকে যে পৃথিবীতে আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবেসেছে! কিন্তু আমিও যে অপারগ ছিলাম।
হায় রিহান হায় রিহান
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হায় রিহান হায় রিহান
সতত শুভেচ্ছা।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনের লিখা ভাল না বলে উপায় আছে! অনেক ভাল লাগল।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুজন,
সুন্দর থাকুন। কেমন!
৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ভাইয়া
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: ্পড়ার জন্য ধন্যবাদ নিয়ামুল ভাইয়া,
সুন্দর থাকুন। আচ্ছা।
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথমদিকে তত্ত্বীয় কিছু কথাবার্তা অতিরিক্ত মনে হচ্ছিল- পঠনে অন্যমনস্কতা এনে দিয়েছিল, কিন্তু গল্প অভিনব লেগেছে।
সুন্দর।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা তাই না! আপনার মত লেখকের মনোযোগী পাঠ সব সময় আনন্দ দেয়। গল্পের খুটি নাটি সমস্যা গুলো সব আপনি বলতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রফেসর,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার গল্প । ভাল লেগেছে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০০
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানুন উদাস কিশোর,
শুভ সকাল।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৫
নিরন্তের নিভৃতি বলেছেন: ভাল লাগছে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর থাকুন। কেমন।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৭
দুঃখিত বলেছেন: মাথা ঘুরতেছে কেন ? :-& :-&
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
টুম্পা মনি বলেছেন: সিগারেটের ধোঁয়াতে বোধয়।
অজস্র শুভ কামনা। আমার বলা কারণ টা ঠিক হল কিনা জানাতে ভুলবেন না যেন।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩২
সামাইশি বলেছেন: যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়
সে হারালো কোথায়
কোন দূর অজানায়,
সেই চেনা মুখ কতদিন দেখিনি
তার চোখে চেয়ে "দীঘিতে" ডুবিনি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
টুম্পা মনি বলেছেন: উম্মে আইমান দীঘি ছিল আমার আম্মাজানের রাখা নাম।
যাহা হউক দীঘি হারায়নি। আবার যাবে ইনশাআল্লাহ তার সেই পুরনো মানুষগুলোর সাথে দেখা করতে। মানুষজন তাকে এত পছন্দ করে এ ব্যাপারে তার কোন ধারণা ছিল না! এতদিন পরেও তাকে মনে রেখেছে! সত্যি যত দিন যাচ্ছে এই সুন্দর সুন্দর মানুষগুলো ফ্যান হয়ে যাচ্ছি।
অজস্র শুভকামনা সামাইশি।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
জুন বলেছেন: ভালোবাসা বোঝার জন্য কম্পিউটারের দরকার আছে কি টুম্পা মনি ? তারপরো অনেক ভালোলাগলো আজ আমাদের জীবনের গল্পে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা কম্পিউটারের প্রবেশে । চমৎকার।
+
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জুন আপু ,
ভালোবাসা বোঝার জন্য কম্পিউটারের দরকার আছে কি টুম্পা মনি ?
- না নেই। মাইন্ড ভিউয়ার জাস্ট কল্পনা। তবে মানুষের মস্তিষ্ক পাঠের জন্য যন্ত্র অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আবিষ্কার হবে। ব্রেইনের ওয়েভগুলো দেখে মস্তিষ্ক পাঠ করা যাবে। আমার এক টিচারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তিনিও তাই মনে করেন। এই যন্ত্র দিয়ে ক্রিমিনালদের হয়ত আইডেন্টিফাই করা যাবে। সেদিনের আলোচনা থেকেই আমার মাঝে মাইন্ড ভিউয়ার যন্ত্রের আইডিয়াটা এসেছে।
আর একটা রোমান্টিক সাইন্সফিকশন লেখার ইচ্ছে ছিল। সেখান থেকেই এই গল্পের উৎপত্তি।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভালো, ইন্টারেস্টিং !
নেকী সুরে এভাবে বলে- ঈঁসুঁ তোঁমাঁকেঁ ভাঁলোঁবাঁসিঁইঁইঁইঁইঁ!'
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন:
শুভ সকাল মুন।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ভালোবাসাই জীবন... অন্যদিকে ভালোবাসাহীনতা সকল দুর্দশার কারণ...
জোর করে ভালোবাসা যায় না...
নারীর মন শত রহস্যে ঘেরা... ইত্যাদি বিষয় ওঠে এসেছে গল্পে।
সুন্দর একটি গল্প। মাইন্ডভিউয়ার বিষয়টি বেশ মজার
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানুন মইনুল ভাইয়া,
এই আইডিয়াটা আমার। দেখবেন একদিন আবিস্কার হবে ইনশাআল্লাহ্। তখন টুম্পা মনির কথা মনে পড়বে।
১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ কয়দিন পরে টুম্পামনির গল্প!!
রিহানের প্রতি শ্রদ্ধা আছে ভালোলাগা আছে কিন্তু ভালোবাসা নেই! ঠিক মেনে নিতে পারিনি, যুক্তিহীন লাগছিল, ভুল ভেঙ্গেছে শেষে এসে আগের কেউ এখনো দখল নিয়ে বসে আছে! রিহানকে মৃত্যুর দুয়ারে দেখার আগ পর্যন্ত তার সিস্টেম কেন বলেনি রিহানকে ভালোবাসে, সেতো ভিতরে গিয়ে দেখে এসেছে সব! MIND VIEWER ধারণা টা পড়ে মজা পেয়েছি, আর সাইন্স ফিকশান হলেও মস্তিষ্কের জায়গা গুলোর নাম গল্পের জন্য দরকারি ছিলনা মনে হয়!
ভালোবাসার গল্প ভালো লেগেছে!
আর হ্যা অফটপিকঃ মন বুঝতে কিংবা বুঝাতে এমন যন্ত্র লাগেনা, মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত কাজ, কথা দেখলেই ধারণা পাওয়া যায় কি আছে কি হতে পারে! মনের যন্ত্রায়ণ মানিনা :p
শুভেচ্ছা টুম্পামনি, বই কিনবো কিন্তু
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা অভি,
অনেক দিন পর ব্লগে গল্প দিতে পেরে আমিও মজা পেয়েছি। আসলে মাইন্ড ভিউয়ার এখনো আমার কল্পনা। তবে এটা বাস্তবায়ন অচিরেই হবে। আমরা চাই বা না চাই। মজার কথা কি জানেন এখনো বিশ্বের বড় বড় হাসপাতালগুলোতে মস্তিষ্কের ওয়েভ দেখে রোগীর কোমার স্টেজ বোঝা হয়। আর মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা এ জন্য এঁকেছি যে মাইন্ড ভিউয়ার আবিষ্কার মস্তিষ্কের কোথাকার চিন্তা কেমন হতে পারে সে ধারণা আঁকার জন্য।
আর মনের যন্ত্র আমিও মানি না। মন মানুষে পইড়া ফেললে কি যে হবে চিন্তাই করা যায় না।
১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
জেরিফ বলেছেন: শুধু যখন বলি ,''তোমাকে ভালোবাসি'' ওর চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে জল পড়ে! না জানি সে কি ভাবছে! কেন সে কাঁদছে কিছুই বুঝতে পারি না! তবুও আমি ওর
সাথে কথা বলে যাই।
গল্পে _+++++++
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য শুভেচ্ছা জেরিফ,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: তাই নাকি? আচ্ছা মনে রাখবো!
মেশিনটা বাজারে আসলে মনে করে আমাকে জানাবেন কিন্তু
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
টুম্পা মনি বলেছেন: মশকরা করলেন! দুক্ক পাইলুম।
১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
একজন আরমান বলেছেন:
মাঝখানে গুলিয়ে যাচ্ছিল আমার। তবে পুরোটা পড়ে ভালো লাগলো। ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করার পক্ষে আমি নই।
দিলকি সুনো !
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
টুম্পা মনি বলেছেন: দিলের কথা কি আর কেউ স্বেচ্ছায় শোনে! দিল জোর করে ধরে বেঁধে শোনায়। বদমাশ দিল।
আর দিলের শুনতে গিয়েই আরমান বাল্য বয়সে বিয়ে করে বসে থাকে।
২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালো লাগলো
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লেখেন আপনি, ভাল লাগল।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানুন প্রতিবেশী ,
সুন্দর থাকুন।
২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
রোহান খান বলেছেন: রসায়ন আর কম্পুটারের অসাধ্যমিশ্রনে লেখাটি অসম্ভব ভালো লাগলো। আর ভালোলাগা রইলো রিহানের জণ্য।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রোহান খান,
শুভ দুপুর।
২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
শীলা শিপা বলেছেন: শুরু করেই একটু পর ভেবেছিলাম সবটা পড়ব না... তবুও পড়লাম... এখন মনে হচ্ছে ভালই করেছি... নয়তো এত সুন্দর গল্প টা পড়াই হত না আর...
ভাল লাগল গল্পটা...
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা শীলাশিপা,
প্রথম দিকে কিছুটা হয়ত এক ঘেয়ে হয়ে গেছে। দেখি আবার এডিট করে কিছুটা কমানো যায় কিনা। পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: আইডিয়াটা অসাধারন ছিল । ব্লগে এসেই চমৎকার একটা সায়েন্সফিকশান পড়লাম
ভাল থাকুন । শুভকামনা !
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অয়ন,
আপনার পাঠ অনেক আনন্দ দিল।
শুভদুপুর।
২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
কয়েস সামী বলেছেন: চমত্কার লাগলো!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কয়েস সামী পাঠের জন্য,
শুভ হোক প্রতিটি প্রহর।
২৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়লাম বেশ আগ্রহ নিয়েই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিগ হামা,
সুন্দর থাকুন প্রতিটি ক্ষণ।
২৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১
সকাল রয় বলেছেন:
মান্দাতা নাকি মান্দত্বি আসলে যে কোন শব্দটা বুঝতে পারছি না। পড়তে ভালোলাগছিল তাই শেষ করলাম। বেশ লিখেছেন। কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে গল্প পড়লে চোখ বুলিয়ে চলে যেতে হয়; যিনি লিখলেন কেমন লিখলেন সেটা বোঝা যায়না। নিমগ্ন ছিলাম পাঠে। আরো কতকখানি পড়লে পরে বলতে পেতাম।
অনেক শুভকামনা
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা সকাল,
আসলে ওটা ''মান্দাতা'' নাকি ''মান্দাতি'' আমি নিজেও শিওর নই। শিওর হয়ে জানাবো কেমন। আর আপনার মনোযোগী পাঠ অনেক আনন্দ দিল। সতত সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
২৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৫
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা খুব ভাল লেগেছে। MIND VIEWER সফটওয়ারটা দারুন কার্যকরী একটা সফটওয়ার।
সিস্টেম এর বর্ণনা অংশটুকু সংক্ষেপ করলে বোধয় ভাল হতো। অন্যান্য অংশ ভাল লেগেছে। প্রিয়তে রাখলাম গল্পটা।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা প্রিয় সায়েম মুন আমার এই পচা গল্পকে প্রিয়তে রাখার জন্য।
সিস্টেমের বর্ণনা ছোট করার আইডিয়াটা মাথায় থাকল। আপনার মনোযোগী পাঠ অনেক আনন্দ দিল।
সতত শুভেচ্ছা জানুন।
২৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২
ইখতামিন বলেছেন:
একদিন মাইন্ড ভিউয়ার ও আবিষ্কৃ হবে।
গল্পটা অনেক ভালো লাগলো। অনেক। অনেক।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইখতামিন সুন্দর মন্তব্যের জন্য,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৩০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সাই ফাই লাভ স্টোরি বাহ! দারুণ লাগল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারী ভাইয়া,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৩১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
আরজু পনি বলেছেন:
মনের হাজারো কুঠুরিতে কতো কথাই থাকে লুকানো...
যে এতো সুন্দর গল্প লিখে তার গল্পের বইও প্রকাশ করা উচিত ।
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৪, ১৩ মাঘ ১৪২০, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাণ প্রিয় পুনি আপু,
আসলে এই বছর পরীক্ষার জন্য আমি নিজে খুব একটা ইনভল্ভ হতে পারিনি।
তাই আমার ভাই বলল কবিতার বই বের করে দেই। তাই বের করা। নেক্সট বছর গল্পের বই বের করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ।
৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
অপরাজিতা নীল বলেছেন: +++++++++++
অনেক ভাল লাগলো।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অপরাজিতা নীল পাঠের জন্য,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
রায়হান চৌঃ বলেছেন: হেই টুম্পা আপু .........
অনেক দিন পর, অনেক দিন পর কিছু একটা লিখলেন, তার পর ও লিখাটা অনেক ভালো হয়েছে যদিও কিছু ভুল ছিল, কারন আমার নাম টা...... , আর সত্যি কি MIND VIEWER পেয়েছেন.. ? আমি অনেক দিন ধরে খুঁজে খুঁজে রায়হান থেকে হয়রান হয়ে গেলাম.........
ভালো থাকবেন.......
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অসংখ্য ধন্যবাদ জানুন রায়হান চৌঃ
মাইন্ড ভিউয়ার তো আমি এখনো পাইনি। অদূর ভবিষ্যতে হয়ত পাওয়া যাবে। পেলে জানাবো।
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৩৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২০
যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন....
তবে কনফিউশানে পড়লাম!.
শুধুই কি গল্প নাকি বাস্তবতা...
বুজতারছিনা...
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা যুবায়ের,
এটা নিছক গল্প। কেননা মাইন্ড ভিউয়ার বলে কিছুই এখনো আবিষ্কৃত হয়নি নিশ্চিত থাকুন।
সতত শুভেচ্ছা।
৩৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময় করে গল্প পড়বো।
আপনার বই কিনতে ভুল করবো না। তারপর বইয়ের রিভিউ লিখবো।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম ভাইয়া,
আপনার থেকে রিভিউ পেলে সত্যি খুব খুশি হব। অপেক্ষায় থাকলাম।
৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চিন্তা-ভাবনা-অনুভূতির প্রকাশের মিশেলে চমৎকার।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
টুম্পা মনি বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা ইসহাক ভাইয়া,
সুন্দর থাকুন সব সময়।
৩৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
বিষের বাঁশী বলেছেন: ভালোবাসার যান্ত্রিক যোগাযোগের গল্প -- রোমান্টিক সায়েন্সফিকশন হিসেবে গল্পটা ভাল লাগলো!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বিষের বাঁশি ,
সুন্দর থাকুন সব সময়।
৩৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অসাধারন সুন্দর গল্প
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পাতা,
শুভকামনা সব সময়।
৩৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বিজ্ঞানরা এখনো জোর করে মানুষের মন পঠনের মত কোন যন্ত্র আবিস্কার
করতে পারেনি।
আমি রিহানকে খুশি করতেই আমার ওর মনে প্রবেশ করি।
বাক্যগুলা ঠিক করে নেবেন ।
প্লট অভিনব , মাইন্ড ভিউয়ার এ খুব মজা পেয়েছি ।
এমন একটা থাকলে মন্দ হয় না !
গল্প পড়ে অদ্ভুত একটা ভাল লাগা কাজ করছে ।
ভাল থাকুন
শুভেচ্ছা ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন মনোযোগী পাঠকই তো চাই। অজস্র শুভকামনা।
৪০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৮
রাসেলহাসান বলেছেন: ভালো লাগছে।।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,
ভালো থাকুন।
৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার +
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠের জন্য,
সুন্দর থাকুন সব সময়।
৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ দুর্জয়,
শুভদুপুর।
৪৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
অদৃশ্য বলেছেন:
চমৎকার লাগলো লিখাটি... আশাকরছি সামনে আপনার নতুন একটি কবিতাও আমরা পেয়ে যাব...
টুম্পামনির জন্য
শুভকামনা...
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য পাঠের জন্য। বহু দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি এত দিন অনেক ভালো ছিলেন।
সতত শুভকামনা জানুন।
৪৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ভাল লাগল গল্পটা
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ অদ্ভুত
ভালো থাকুন।
৪৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪
প্রকাশক পপি চৌধুরী বলেছেন: একটি ব্যতিক্রমধর্মী গল্প। ভালো লেগেছে, আরো লিখবেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৮
টুম্পা মনি বলেছেন: এই যা একজন প্রকাশক আপুকে পাওয়া গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পাঠের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: ভালো লাগলো