![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
নিশির মৃত্যুর প্রায় দুই মাসের মাথায় আবার বিয়ে করেছে ওসমান। বধু নিশির ছোট বোন নিলু। মিশুকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শওকত তাকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে গেছে! ওসমান অবশ্য তাকে খুঁজে বের করতে চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি। পুলিশ কেইস করেছে। পেপারে নিয়মিত নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশ করেছে। কিন্তু কোন লাভ হয় নি। পুলিশের ধারণা সেই রাতে তাদের বাসায় কোন ডাকাত দল ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তারা সুযোগ না পেয়ে চলে গেছে। সাথে মিশুকে নিয়ে গেছে মুক্তিপণের আশায়। যদিও কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও মুক্তিপণ চেয়ে কোন আগুন্তকের ফোন আসে নি।
এ দিকে ওসমান শওকতের কথাটা প্রায় সবার থেকে আড়াল করে গেছে। কিছু সত্যি জগতের কাউকে জানতে দিতে নেই। জানলে তারা পাগল ভেবে উপহাস করে। যদিও ঘটনা হয় সত্যি! তবে সে ঘটনাটা নিলুকে খুলে বলেছে। কারণ সে এখন তার সংসারেরই অংশ। তাছাড়া এত বড় ঘটনা! আবার যে ঘটবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি! আর আগে থেকে জানা থাকলে মানসিকভাবে প্রস্তুতিও নেয়া যায়। কিন্তু নিলু তার কথা বিশ্বাস করেছে কিনা কে জানে! অতিরিক্ত শিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে এই এক সমস্যা! ওরা অনেক সত্যি ঘটনাকেও ভ্রান্তি বলে উড়িয়ে দিতে চায়! সেদিক থেকে নিশি ভালো ছিল। সে যা বলতো সবই বিশ্বাস করতো। অনেক স্বামী ভক্ত মেয়ে ছিল। আর নিলু! সব কিছুতেই তার সন্দেহ! সে পুরো নিশির বিপরীত! অবশ্য তার জায়গায় সে নিজে হলেও হয়ত এমনই করত! কে বিশ্বাস করবে একটা মৃত লোক ফিরে এসেছিল! তাকে দেখে ভয় পেয়ে তার স্ত্রী এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে! নিশির কথা ভাবতেই ওসমানের মনে পড়ে যায় হারিয়ে যাওয়া ছেলে মিশুর কথা। বুকের গভীর থেকে উঠে আসে দীর্ঘশ্বাস।
কিছু দূরে মিলি পুতুল খেলছে। আজ তার পুতুল কন্যার বিয়ে হবার কথা। তাই নিলুও তাকে সাহায্য করছে। নিলু সুযোগ পেলেই মিলিকে জিজ্ঞাসা করে সেই রাতের কথা। মিলি শুধু এতটুকু বলে ''মামনি পলে গেছিল। তালপল রত্ত '' এর বেশি কিছু সে মনে করতে পারে না। নিলুও তাকে জোর করে না। ছোট মানুষ। কি লাভ তাকে সেই বীভৎস স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে? এমনিতেই মাকে হারিয়ে মেয়েটা অনেক ভয় পেয়েছে। আস্তে আস্তে সে সেই শোক কাটিয়ে উঠছে। তাই নিলু আর মিলিকে বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করে না। কিন্তু নিজেও মনে মনে শান্তি পায় না। কেমন যেন অস্বস্তি থেকেই যায়! আচ্ছা সত্যিই কি শওকত এসেছিল? তাকে দেখে ভয় পেয়ে তার বোন মারা গেছে? একটা মৃত মানুষ কি করে ফিরে আসে! যদি সত্যিই সে ফিরে এসে থাকে সে কি আবার আসবে? সে কেন মিশুকে নিয়ে গেলো সাথে? এতে তার কি লাভ? নিলু বুঝতে পারে বড় কোন রহস্যে আবৃত তার চারিপাশ! এই রহস্য উদ্ঘাটনের উপর হয়ত নির্ভর করছে তাদের পরবর্তী জীবন!!এমনও তো হতে পারে কোন রাতে আবার শওকত ফিরে এলো! এসে আবার ভয়াবহ কোন ঘটনা ঘটিয়ে চলে গেলো! তখন কি হবে?
একদিন না পারতে নিলু ওসমানকে জিজ্ঞাসা করেই বসে ,''আচ্ছা ওসমান তুমি সেই রাতে মিশুকে শওকতের কাছে একা ফেলে কেন গেলে? কেন মিলির মত তুমি মিশুকেও সাথে নিয়ে গেলে না?'' ওসমানের মুখ আঁধার হয়ে আসে।
- ''নিলু সেই রাতে আমার মাথা কাজ করছিল না! নিশির চিৎকার শুনে ছুটে গেলাম। কয়েক সেকেন্ডে এমন কিছু হয়ে যাবে বুঝিনি! যদি বুঝতাম তবে আজ হয়ত মিশু আমাদের সাথে থাকতো!'' ওসমানের গলা ধরে আসে। চোখ দিয়ে টপটপ করে জল ঝরতে থাকে। নিলু আর তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে না। এত বড় ঘটনা! নিশ্চয়ই ওসমানের উপরও চাপ কম না। হাজার হোক সে সন্তান হারিয়েছে!
কিছুদিন পর নিলু বুঝতে পারে সে সন্তান সম্ভবা। নতুন অতিথির আগমনি পয়গামে ওসমানের খুশির অন্তত নেই। সেই প্রস্তাব দেয় তাদের অনাগত সন্তানের নাম হবে ''মিশু''। নিলুও মেনে নেয়। তারা আস্তে আস্তে পিছনের সব ভয়ের স্মৃতিগুলো ভুলতে থাকে। মিলিও এখন আগের মত তার মাকে মনে করে না। নিলুকেই ''মা'' বলে ডাকে। সব মিলিয়ে তারা পুরনোকে ভুলে সব কিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলো নতুন করে। আর এতে নিলুরই খাপখাওয়াত হচ্ছে বেশি!
হঠাৎ বোনের অকাল মৃত্যুতে হতভম্ব হয়ে পড়েছিল সে। তারপর বোনের পরিবারেই বউ হয়ে এসেছে। তার বাবার ভয় ছিল অজানা পরিবারের কোন মেয়ে মিলির সৎ মা হলে সে তার প্রাপ্য আদর যত্ন থেকে বঞ্ছিত হবে। তাই নিলু মিলির মুখের দিকে চেয়ে তার সব স্বপ্নগুলোকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুলাভাইকে বিয়ে করেছে।
বিয়ের আগে তার ভার্সিটির এক ছেলের সাথে তার ছিল হৃদয়ের রদবদল। কিন্তু হঠাৎ বোনের মৃত্যুতে বোনের দিশাহীন পরিবারের হাল ধরেছে সে। আর সব কিছু যেন খুব জলদিই ঘটে গেছে! কি থেকে কি হল বুঝে উঠার আগেই সে নিজেকে আবিস্কার করেছে একজনের স্ত্রী এবং একটি কন্যা শিশুর মা!
নিলুর এখনো মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না তার বড় বোন বেঁচে নেই। সব কিছুকে স্বপ্ন মনে হয়। মনে হয় সে ঘুমিয়ে আছে। গভীরে ঘুমে নিমগ্ন। ঘুম ভাঙলেই বুঝবে সব ছিল দুঃস্বপ্ন! তার বড় বোন নিশি বেঁচে আছে! সে তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছে! নিলু তাদের সাথে তার স্বপ্ন পুরুষ আসিফের পরিচয় করে দিচ্ছে। আসিফের সাথে তার বিয়ে হচ্ছে আরো কত কি! কিন্তু সব কিছু তার কল্পনাতেই শোভা পায়! কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেখে যেই আসিফের সাথে তার তিন বছরের প্রেম ছিল তাকে ছেড়ে সে এখন তার দুলাভাইয়ের স্ত্রী। এক সন্তানের মা, আরেক অনাগত সন্তান তার পেটে পৃথিবী দেখার অপেক্ষায়।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে সত্যি চোখ লেগে আসে নিলুর। ঘুমের মাঝে স্বপ্নে দেখে শওকত এসেছে! এসে মাথার খুলি খুলে তার সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বলছে ''দেখো নিলু আমার মাথায় মগজ নেই! দেখো!'' বলে শওকত জোরে জোরে চেঁচাতে থাকে। নিলু দুই হাতে কান চেপে ধরে। তবুও সেই স্বরকে সে রোধ করতে পারে না। যেন বুকের পাঁজর ভেঙ্গে হৃদপিন্ডে গিয়ে আঘাত হানে। ঘুম ভেঙ্গে যায় নিলুর।
শোনে বাহিরে মিলি চিৎকার করছে ,'' মামনি মামনি! ভুত! ভুত এছেছে! কামল দিবে'' । ছুটে যায় নিলু। পাশের বাড়ির ছেলেটা মিলিকে মুখোশ পরে ভয় দেখাচ্ছে। আর মিলি ভয়ে কাঁদছে। নিলু গিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে আসে। দুপুর হল ওসমানের বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে।
ওসমানের বাড়ি ফেরার কথা ভাবতেই নিলুর বিষণ্ণ মুখে হাসি ফুটে। ইদানিং ওসমানকে তার ভালো ই লাগে। অবশ্য সে ভালো লাগার মতনই লোক। নম্র, ভদ্র, সুদর্শন। স্ত্রী সন্তানদের প্রতি যত্নশীল। পরোপকারী। নিলু যত দেখে মুগ্ধ হয়। আর স্বামী হিসেবে তো সে অসাধারণ! বাড়ি ফেরার পথে নিয়মিত গুণে গুণে পাঁচটা গোলাপ নিয়ে বাড়ি ফিরবে। এনে চার দিবে নিলুর হাতে আর একটা মিলির। নিলু তার ফুলগুলো ফুলদানীতে রাখবে আর মিলি পাপড়ি ছিড়ে ছিঁড়ে তার ছোট ছোট পাতিলের নিয়ে মিছেমিছি ফুল রান্না করবে। আর রোজ বাড়ি ফিরে জমিয়ে গল্প করবে মিলি আর নিলুর সঙ্গে। মিলি তার শিশু মনে অনেক কিছু না বুঝে হুটহাট প্রশ্ন করে বসবে। আর সবাই হেসে গড়িয়ে পড়বে। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে উঠে আসে নিশি আর মিশুর গল্প! সেই বীভৎস রাতের কথা! ক্ষনিকেই মন খারাপ হয়ে যাবে সবার। তারপর ওসমানই আবার প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে সবাইকে ভুলিয়ে দিবে।
নিলু ভাবে তার অতীতের সব কথা ওসমানকে বলে দেবে। তাদের নতুন জীবনের এই দীর্ঘ পথ চলায় সানন্দে হেটে চলতে চাই সম্পর্কে চাই স্বচ্ছতা। আর ওসমান উদার প্রকৃতির। সে নিশ্চয়ই ব্যাপারটাকে স্বাভাবিকভাবে নেবে।
তার ধারণাই সত্যি হয়! ওসমান ব্যাপারটা নিয়ে কোন মাথা ঘামায় না। তার উপর নিলুর ভক্তি আরো বেড়ে যায়। এখন থেকে আরো তাদের দাম্পত্য জীবন আরো সুন্দর হবে। ভাবে নিলু।
কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ে না! পরদিন থেকে একটা অদ্ভুত সমস্যা দেখা দেয়। রাতে টেবিলে সবাই এক সাথে খেতে বসে শোনে ছাদের উপর কে যেন হাঁটছে! থপ! থপ! ওসমান কান খাড়া করে শুনে বলে ''কে?'' কোন উত্তর আসে না। কিন্তু আবার সেই থপ থপ! ওরা পাত্তা দেয় না। কিন্তু দিনের পর দিন একই সমস্যা! রাত বাড়লে ছাঁদের উপর কে যেন জোরে হাটাহাটি করে! দিন হাটাহাটির শব্দ যেন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে! নিলু, মিলি ভয় পেতে শুরু করেছে।
তবে ওসমানের ছাদের উপর দেখতে যায় না কে এসেছে। যদি শওকত এসে থাকে! তবে দেখতে যাওয়াটা বিপদজনক হবে! একরাতে শব্দ প্রচন্ড বেড়ে যায়। সারা রাত মিলিকে কোলে নিয়ে পাশাপাশি বসে রাত পার করে দেয় ওসমান আর নিলু।
নিলুর কিছুই বুঝে আসে না! কে হাঁটে রাতে ছাদের উপর? রাতে উঠে দেখতে যাবার মত ঝুঁকিও তারা নিতে চায় না। কারণ সত্যিই কোন অশুভ শক্তি হলে তার কাছে যাওয়া মোটেই ঠিক হবে না!
পরদিন সকালে কাজে একটু দেরিতেই আসে কাজের মেয়ে রহিমা। নিলুর পেটে বাচ্চা আসার পর তাকে নতুন কাজে রেখেছে তারা। সে রোজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়ির যাবতীয় কাজ করে দিয়ে যায়। নিলু তাকে নিয়ে ফুল গাছ দেখার বাহানা করে ছাঁদে উঠে। কিন্তু উঠেই চমকে ওঠে। গাছগুলোতে একটা পাতাও নেই! রাতারাতি সব পাতা গায়েব। এমন কি ছাঁদে কোন পাতা পড়ে নেই। যেন কেউ সুন্দর করে সব পাতা ছিড়ে রেখে চলে গেছে!
''খালাম্মা কোন দুষ্টু পোলাপাইন ছাঁদে উঠছিল মনে হয়! আইসা সব পাতা ছিইড়া নিয়া গেছে।'' বলে রহিমা।
আপাতত ওর যুক্তিকেই যুক্তিযুক্ত মনে হয় নিলুর কাছে। রাতের বেলা যেই ব্যাপারটাকে অধিক ভুতুড়ে মনে হয় দিনের আলোতে তার মাত্রা একেবারেই থাকে না। নিলু সব ভয় কাটিয়ে পুরো ব্যাপার টাকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে চেষ্টা করে।
নিচে এসে ওসমানকে অফিসে বিদায় দিয়ে সে লেগে যায় ঘরের কাজে। মিলি বসে যায় খেলতে। খেলতে খেলতে হঠাৎ মিলি বাহিরে থেকে চিৎকার করে বলে ,''মামনি এছে দেখে যাও ছব ঘাছ মরে গেছে!'' নিলু কোন পাত্তা দেয় না। ছোট মানুষ কি না কি বলছে। পরে মিলির জোরাজুরিতে গিয়ে দেখে আসলেই তাই! তাদের উঠোনে যত ঘাস ছিল সব এমন ভাবে নির্জীব হয়ে গেছে যেন বহু দিন তারা আলো বাতাশ অক্সিজেন কিছুই পায়নি! হঠাৎ নিলুর কাছে সব কিছু অপরিচিত মনে হয়। মনে হয় প্রতিটা গাছে আড়ালে কেউ আছে! তারা সবাই তাদের দেখে উপহাস করছে! নীরবে দাঁত মুখ খিঁচরে হাসছে! কিন্তু তারা শুনতে পাচ্ছে না! নিলু মিলিকে কোলে নিয়ে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার হাত পা সমানে কাঁপছে! কান গরম হয়ে উত্তপ্ত হাওয়া মাথার তালু স্পর্শ করে যেন নিচের দিকে নামছে। এভাবে চলতে থাকলে স্বাভাবিক ব্যাপারকেও অস্বাভাবিক মনে হয়। নিলু জোর চেষ্টা চালায় নিজেকে শান্ত করার। কিছুক্ষণ মিলিকে চেপে ধরে বসে থাকে। তারপর নিজেকে বোঝায় ''এসব কিছু না। গরমে গাছগুলো ওমন হয়েছে! এতে কোন অতিপ্রাকৃতিক শক্তি হাত নেই! '' কিন্তু নিজের কাছেই যেন বেখাপ্পা শোনায়!
মিলিকে কোলে নিয়ে কতক্ষণ বসে ছিল মনে নেই নিলুর। বোধয় ঘুমিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে জেগে উঠে! কেউ এসেছে দরজায়! কিন্তু দু পা এগিয়ে দরজার কাছে গিয়ে দরজা খোলার সাহস হয় না তার।এ দিকে মিলিও কলিংবেলের শব্দে জেগে উঠেছে। সে নিলুর হাত নেড়ে বলে ''মামনি দলজা খুলছো না কেন? আমি গিয়ে খুলে দিয়ে আছি? মামনি ,ও মামনি'' । নিলু নিজেকে ধমক লাগায় তার এই অহেতুক ভয়ের জন্য। অতঃপর বাহিরে থেকে আগুন্তক নিজেই আওয়াজ দেয় ,''মিলি, নিলু দরজা খোলো! আমি ওসমান''
নিলু গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে আসে। ওসমানকে দেখে স্বস্তি পায়। এই একটা মানুষের উপর তার পরম নির্ভরশীলতা! ওসমান ফ্রেস হতেই হড়বড় করে তাকে খুলে সব। শুনে ওসমানের মুখে চিন্তার ছাপ! শওকত বোধয় সত্যিই এসেছিল গত রাতে। ওসমানও বাহিরে গিয়ে সব গাছ দেখে আসে। সত্যি অবিশ্বাস্য!
রাতের বেলা হাজার গল্পের ভীড়ে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। ভুতুড়ে আমেজ কেটে যায়। মিলিকে ঘুম পাড়িয়ে নিজেও শুয়ে পড়ে নিলু। ওসমান কিছুক্ষণ জেগে থেকে অপেক্ষা করে ছাঁদের শব্দ শোনার। কোন কিছু টের না পেয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু মধ্যরাতে শুরু হয় বিপত্তি! কে যেন দরজার কড়া নাড়ছে! ঘুম ভেঙ্গে যায় সবার।
ওসমান ''কে'' বলে ডাকতে গিয়ে বুঝতে পারে তার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ফেসফেস আওয়াজ বেরোচ্ছে। কিন্তু দরজার ওপাশ থেকে কে যেন কড়া নাড়ছে অবিরত! ক্রমান্বয়ে দরজার উপর চাপ বাড়ছে! নিলু জিজ্ঞাসা করে ''কে?'' নিলুর ডাক শুনতেই ওপাশের আগুন্তক যেন নড়ে চড়ে উঠে। যেন তার জন্যই অপেক্ষা করছিল। আগুন্তক কথা বলে উঠে '' নিলু আমি তোর বোন নিশি! দরজা খোল নিলু!''
নিলু কেঁপে উঠে। পাশে বসা ওসমানের দিকে তাকায়! কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট চলে গেছে! মরার উপর যেন খাড়া ঘা! নিলু মিলিকে কোলে নিয়ে ওসমানকে জড়িয়ে ধরে। ওসমান হাতের কাছে টর্চ বা কোন মোমবাতি খুঁজতে থাকে। টেবিলের উপর থেকে মোম তুলে নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। তারপর স্ত্রী কন্যাকে ধরে বিছানায় বসে থাকে। বুঝতে পারে নিলু আর মিলি অনবরত কাঁপছে। ওসমান তাদের অভয় দেয় ,''কিচ্ছু হবে না! ভয়ের কিছু নেই। দরজা বন্ধ থাকলে ওরা আসতে পারবে না!''
ওসমানের কথার জবাব দিতেই যেন দরজার উপর এবার কিলের শব্দ। ধুপ ধুপ ধুপ! কিছুক্ষণ পর মনে হয় কিল নয়, কেউ বল ছুঁড়ে মারছে! কেউ দরজায় বল ছুঁড়ে দিয়ে খেলছে! নিলু ওসমানের বুকে মুখ চেপে ধরে। শক্ত করে দু হাতে কান চেপে ধরে এই শব্দ বন্ধ করতে চায়! কিন্তু শব্দ থামে না। দরজার ওপাশের আগুন্তক যেন নাছোড়বান্দা! অবশেষে শব্দ আর সইতে না পেরে চেচিয়ে উঠে ওসমান ''কে ? কে দরজার ওপাশে?''
একটা শিশু কন্ঠ আওয়াজ দেয় ,''বাবা আমি মিশু! ফুটবল খেলি!'' চমকে উঠে ওসমান! তার ছেলে মিশু ফিরে এসেছে। সে উঠে যায় দরজা খুলতে! কিন্তু নিলু তার হাত ঝাপ্টে ধরে! ''কি করছ ওসমান! মিশু এত রাতে আসবে কি করে! অন্য কেউ এসেছে! ও মিশু নয়!''
কিন্তু দরজার ওপাশ থেকে আগুন্তক আরো জোরে চেঁচিয়ে উঠে ,''বাবা দরজা খোলো! আমি মিশু! কে যেন আমাকে পানিতে ফেলে দিয়েছিল বাবা! খুব শীত করছে! দরজা খোলো!''
ওসমান আবার পা বাড়ায়। কিন্তু নিলু পথ আগলে দাঁড়ায়। ''ওসমান বাঁচতে হলে আমাদের ঐ কন্ঠকে অগ্রাহ্য করতেই হবে! ও মিশু নয়! অন্য কেউ!'' ওসমান নিরুপায় হয়ে নিলুর দিকে তাকায়। তার চোখ থেকে অঝোরে জল ঝোরছে! সে নিলু আর মিলিকে নিয়ে বসেই সারা রাত পার করে দেয়।
পরদিন সকালের ঝলমলে রোদে কেটে যায় রাতের বিভীষিকা। রহিমা এসে নাস্তা বানিয়ে টেবিলে রেডি করে দেয়। নিলু মিলিকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। কিন্তু রুচি হয় না তার এবং ওসমানের মুখে। কোন রকমে নাকে মুখে গুঁজে দিয়ে দু জনেই উঠে পড়ে।
সকালে ওসমান বাড়ির আনাচে কানাচে খুঁজে দেখেছে মিশু আছে কিনা। নেই! তারমানে সত্যিই কাল রাতে অন্য কেউ ছিল!
এদিকে নিলু ভীষণ মুষড়ে পড়েছে! এভাবে ভুতুড়ে পরিবেশে আর কত! তার দম বন্ধ হয়ে আসে! মনে হয় এই পরিবেশে আর কিছুক্ষণ থাকলে সে মারা পড়বে! কিন্তু ওসমানকে কিছু বলে না। আজ সে খুব বিষণ্ণ! অফিসেও যায়নি! তার মিশুর কথা মনে পড়ছে! একটা পুরনো এ্যালবাম বের করে সকাল থেকে মিশুর ছবি বের করে দেখছে। থেকে থেকে ছেলেমানুষের মত করে কাঁদছে! ছেলেকে খুব ভালোবাসতো ওসমান।
দুপুর গড়িয়ে আবার সন্ধ্যা নামে। ওসমান তবুও বিষণ্ণ! সে নিলুকে বলে,''নিলু গতরাতে দরজা খুলে দেখলেই হত! যদি সত্যি মিশু কোনভাবে এসে থাকে! হয়ত ও বেঁচে আছে! মরেনি!''
-''তুমি পাগল হয়েছো ওসমান! মিশু কেন এত রাতে আসবে? কেন সে দিনে আসে না! আর কেন ভুলে যাচ্ছো! গতরাতে আপুও এসেছিল! আপুকে তো তুমি নিজের হাতে কবর দিয়েছো!''
ওসমানের অস্বস্তি কাটে না! বার বার মনে হয় গতরাতে দরজা খুললে হয়ত ফেরি পেতো তার হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে!
-' আচ্ছা নিলু আজ রাতে মিশু এলে আমাকে বের করে দিয়ে তুমি দরজা লাগিয়ে নিও! আমি উদ্ধার করে নিয়ে আসবো আমার ছেলেকে!''
নিলু ওসমানকে বোঝাতে চায়! কিন্তু সে অবুঝ! কাল রাতে মিশুর কন্ঠ শোনার পর থেকে সে যেন কেমন হয়ে গেছে!
চিন্তায় নিলুর চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে! কিন্তু কাঁদতে পারে না! কি হতে চলেছে আজ রাতে! ওসমান বাড়ি থেকে বেরোলে ঐ পিশাচ যদি তাকেও মেরে ফেলে! ওসমান তো কিছুই বুঝতে চাইছে না!
রাত দশটা বাজতেই ওসমান দরজা খুলে বাহিরে বের হয়ে নিলুকে বলে ভিতর থেকে লাগিয়ে নাও। নিলু অনিচ্ছা শর্তেও লাগায়! তার চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরছে। অনেকক্ষণ কেঁদে তার মনে হয় সে এখন স্পষ্ট চিন্তা করতে পারছে। দিনের মত অনুভূতিগুলো আর এক জায়গায় জমাট বেঁধে নেই! সে গতরাতে কাহিনী নিয়ে নতুন করে ভাবতে চেষ্টা করে।
একটা ব্যাপার তার কাছে স্পষ্ট! মিশু বেঁচে নেই! সে মারা গেছে! তাই গতরাতে সে বলেছিল ,''কেউ তাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে!'' তারমানে তাকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে! নিলু বুঝে তার সামনেও ভীষণ বিপদ! তাকে বুঝতেই হবে কি ঘটে চলেছে তার চারপাশে! নয়ত এই বিপদ থেকে পরিত্রাণের কোন পথ খোলা নেই!
তবে আরেকটা ব্যাপারও তার কাছে পরিষ্কার হয়! দরজা বন্ধ থাকলে ওপাশের আগুন্তক তাদের ঘরে প্রবেশ করতে পারে না! তারমানে ঐ পিশাচের একটা দেহ আছে! কিন্তু ভুতের কোন দেহ থাকে না! ভুত সব জায়গায় যেতে পারে। বন্ধ দরজা দিয়েও ঢুকতে পারে। তারমানে এই পিশাচ ভুত নয়!
এদিকে মিলি তার বাবার ছবির এ্যালবাম নিয়ে খেলছে! সে একটা একটা করে ছবি বের করে এনে দেখায় নিলুকে
-''মামনি মামনি দেক, এইতা আমি! আর এইতা মিছু!'' আজ মিলিরও তার ভাইকে খুব মনে পড়ছে। নিলু এলবামের দিকে তাকায়। ছোট্ট নিষ্পাপ মিশুর চেহারা দেখে তার বুক ভেঙ্গে আসে। তারপর পুরনো পাতা উল্টে দেখে কিছু আগেকার ছবি। এই এ্যালবাম সে আগে দেখেনি! এই বাড়িতে এতদিন আছে অথচ এটা তার চোখে পড়েনি! তারমানে এটা ওসমান সরিয়ে রেখেছিল!
একটা ছবিতে ওসমানের সাথে হাসি খুশি সুদর্শন এক যুবকের ছবি। ছবিটা দেখে চমকে উঠে নিলু! সে মিলিকে দেখিয়ে বলে ,''বলতো মা! এটা কার ছবি?''
মিলি একবার দেখেই বলে দেয়,''ছওকত আনকেল!'' এই ছবি সে আগে বহুবার দেখেছে!
নিলুর বিস্ময় যেন কাটে না! কিছুতেই সে ছবি থেকে চোখ ফেরাতে পারে না! সে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে বলে ,''ওসমান ভিতরে এসো!'' নিলুর সব ভয় কেটে গেছে!
ওসমান ভিতরে আসে। কিন্তু তার চোখে মুখে ভয় স্পষ্ট!
নিলু কঠিন গলায় ,''ওসমান মিশু কি তোমার সন্তান ছিল?'' ওসমান চুপ করে থাকে!
নিলু আরো জোরে চিৎকার করে উঠে- '' কথা বলো ওসমান! মিশু কি তোমার সন্তান?''
ওসমান বলে ,''না!''
-মিশু শওকতের সন্তান তাই না?
ওসমান মাথা নিচু করে বলে ,''হ্যা'' তার চোখের বিস্ময় জোর করে সে আড়াল করতে চাইছে!
-'' আর তাই তুমি তাকে খুন করেছো তাই না? সাথে খুন করেছো আমার বোনকে! ''
-এ সব তুমি কি বলছো! আমি খুন করেছি নিশি মিশু কে? তুমি জানো তাদের আমি কত ভালোবাসতাম!''
- '' তুমিই ওদের মেরেছো ওসমান! তুমি কোন দিন মন থেকে মিশুকে মেনে নিতে পারো নি! তোমার মনে তাকে নিয়ে ঘৃণা থেকেই গিয়েছিল! তাই তুমি তাকে নদীতে ফেলে দিয়ে এসেছো!' চিৎকার করে উঠে নিলু। তার আর এই অনাচার সইছে না!
-,'' তুমি নিজের কানে শুনেছো নিলু গতরাতে নিশি আর মিশু এসেছিল! এভাবে শওকতও এসেছিল নিলু! ঐ হয়ত মিশুকে নদীতে ফেলে দিয়েছে!''
-''শওকত কেন মিলিকে কিছু করল না ওসমান? কেন সে মিশুকেই ফেলে দিল? আর সেই রাতে মিশু আর মিলি কেন শওকতকে দেখে ভয় পাইনি? কারণ তুমিই শওকত সেজে তাদের সামনে এসেছিলে ওসমান! ওরা ভেবেছিল ওদের বাবা ওদের সাথে খেলছে!''
ওসমানের চোখে শুন্য দৃষ্টি! যেন কোন প্রশ্নের উত্তর তার জানা নেই। নিলু যা বলছে তাই ঠিক। নিলুও অনর্গল বলে চলে ,''ওসমান শিশুরা সহজে সম্মোহিত হয় না যতটা দ্রুত আমরা বড়রা হই! যেমন এই কয়দিন সম্মোহিত আমি হয়েছিলাম! ঠিক তেমনি হয়েছিল আমার বোন। তাই তুমি যখন বলেছিলে শওকত এসেছে সে ঠিক শওকতকে দেখেছে! আমার বোনও তোমার সাথে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছিল ওসমান!''
-''তুমি প্রলাপ বকছো নিলু! তুমি নিজেই গতকাল দেখেছো উঠোনের গাছগুলো কিভাবে মরে গেছে! এটা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয় নিলু!''
-''কিন্তু তোমার মত স্কিজোফ্রেনিকদের পক্ষে সম্ভব ওসমান! টিকিয়ে রাখার স্বার্থে প্রভু কখনো কখনো তোমার মত রোগীদের অনেক অকল্পনীয় ক্ষমতা দিয়ে পাঠান! আমার ধারণা তুমিও এমন ক্ষমতার অধিকারী! এই সব শব্দ, হ্যালুসিনেশান, গাছের শুঁকিয়ে যাওয়া সব তুমিই করেছো!''
তাদের কথা বলার মাঝে হঠাৎ ঘরের সব লাইট একে একে টপ টপ করে নিভে যায়। নিলু গিয়ে ওসমানের হাত চেপে ধরে। ওসমান মিশুর কন্ঠে বলে ,'' এত জোরে আমার হাত ধরেছো কেন খালামনি? ছেড়ে দাও!''
নিলু তাকে ঝাঁকি দিয়ে বলে -''বাস্তবে ফিরে এসো ওসমান! তুমি মিশু নও! তুমি ওসমান! প্লিজ ফিরে এসো!''
ওসমান কেঁপে উঠে। গলার স্বর নিচু করে বলে ,''আমাকে ঐ রুমে তালা দিয়ে রেখে দাও! তারপর কাল সকালে তোমরা চলে যেও! আমি রাতে হাজার ডাকলেও দরজা খুলো না!''
ওসমানের নিজেই পাশের রুমে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। নিলু বাহির থেকে লাগিয়ে মিলিকে নিয়ে শুয়ে পড়ে।
মাঝরাতে ওসমানের রুম থেকে ভেসে আসে অপরিচিত এক পুরুষ কন্ঠ ''নিলু দরজা খোলো! আমি শওকত! চিনতে পেরেছো?''
নিলু পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: এই যাহ! মিসির আলী চলে এসেছেন!
তিনি আসবেন জানলে তো রহস্য তাকেই সল্ভ করতে দিতাম।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন:
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৫
যুবায়ের বলেছেন: চিন্হ দিয়ে রাখলাম।
সময় নিয়ে পড়তে হবে সাথে
আগের পর্বগুলিও।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছো্। আমি যেখানে থাকি তার কাছে নাকি ভূতের বাড়ী আছে। এখানকার মানুষ নাকী ভূত বিশ্বাস করে।রাত আড়াইটায় ভুতের গল্প পড়ে ভাল লেগেছে।যদিও এটা সাইন্সফিকশন।
ভাল টুইস্ট আছে গল্পে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। দুই একটা ভুত ধরে বন্দী করে আমাকে জানাবেন। আমি ভুত কখনো দেখিনি।
শুভকামনা।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে !
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
টুম্পা মনি বলেছেন:
ধন্যবাদ অভি পাঠের জন্য। ভালো থাকুন।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২০
বভেট বলেছেন: ভয় ভয় করছে। শেষ অংশটাও ভাল লাগলো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ বভেট
সুন্দর থাকুন।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আগের পর্ব গুলোও পড়েছি শেষ পর্বে মন্তব্য করলাম । গল্প বেশ লেগেছে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নিশাত তাসনিম,
ভালো থাকুন।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
আম্মানসুরা বলেছেন: আগের পর্বের সাথে মিলাতে পারলাম না অনেক কিছুই। কিছু প্রশ্ন এসেই যায় যার উত্তর ওসমান কে দিয়ে পাওয়া যায় না।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
টুম্পা মনি বলেছেন: তাই নাকি! আমি তো ভেবেছিলাম সব প্রশ্নের উত্তরই এনেছি। এই ধরণের এক পেসেন্টের কথা আমার এক বিদেশী সাইকিয়াট্রিস্ট ভাইয়ের কাছে শুনেছিলাম। আমি জাস্ট ঐ গল্পটাই লিখতে চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি জানি না। ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ এবার ভালো লাগল মানে এই পর্ব ভালো লাগছে।
চমৎকার! +
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা তাই নাকি! অসংখ্য ধন্যবাদ। আর শুভনববর্ষ।
১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
গোর্কি বলেছেন:
রোমাঞ্চকর, শিহরিত গল্প ভাল লেগেছে। আগের পর্বগুলো সময় করে পড়ে নিতে হবে। বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য বৈশাখী মেঘের এক রাশ শুভেচ্ছা। সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখা ও গল্পের কাহিনী সব মিলিয়ে অসাধারন +++++
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠের জন্য। নববৈশাখের বৈশাখী হাওয়ার শুভেচ্ছা। সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগের প্রায় সব প্রশ্নগুলোরই মোটামুটি উত্তর পেলাম। শেষটা শুরুর চেয়ে পরিষ্কার।
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা তাই নাকি প্রোফেসর! অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠের জন্য। বৈশাখের শুভেচ্ছা। ভালো লাগা গৃহীত হল।
১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: আগের পর্ব থেকে এ পর্বটি অনেক ভাল লাগল ৷ বর্ণনা ভাল ৷
কিন্তু গল্পের নামে যতটা ভয় পাওয়ার কথা ততটা পাই নাই ৷
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: হেহেহেহে তাই নাকি! আসলে ভুতের গল্প লেখার ইচ্ছা ছিল না। তাই বোধয়। শুভেচ্ছা জানবেন বাদশাহ জাহাঙ্গীর। শুভনববর্ষ
১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
অদৃশ্য বলেছেন:
মজা পেয়েছি...
শুভকামনা...
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা অনেক ধন্যবাদ! আপনি তো সব সময় বড় বড় মন্তব্য করেন! আজ সময় কম বোধয়!
বৈশাখের শুভেচ্ছা রইল।
১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
অদৃশ্য বলেছেন:
হয়তো সবসময় কথা বলতে ভালো লাগে না... মাঝেমাঝে মনে হয় আজ কম কথা বলি আবার মাঝে মাঝে অনেক কথা বলতে ইচ্ছা জাগে... বোঝেন নিশ্চয়, নিজের ইচ্ছাকেও মাঝে মাঝে প্রাধান্য দি্তে হয়... আর অন্যের ইচ্ছাকে অধিকাংশ সময়েই...
আপনার লিখাটার শেষে এসে মনে পড়ে গেলো ভারতের দক্ষিনের সেই ''অপরিচিত্'' মুভিটার কথা... দেখেছেন কি? না দেখলে দেখে নিয়েন ছবিটা ... আমারতো দারুন লেগেছে... মেডিকেলের ভাষায় কি বলে যেন, '' মাল্টি পার্সোনালিটি ডিজর্ডার'' এমনই সম্ভবত... ভুল হলে ঠিক করে দিয়েন...
জানেন নিশ্চয়, মাঝে মাঝে অনেক বেশি কথা বলে ফেলি বলে অনেকেই আমাকে ফালতু বাচাল মনে করে থাকেন... তার পরেও বলি... কে কি বললো কি যায় আসে তাতে হাঁ... বানিয়ে বললাম কিন্তু... হাহ হাহ হাহ...
টুম্পামনির জন্য
শুভকামনা...
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা অদৃশ্য ,
হাসলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। ''বাঁচাল'' আপনাকে বলে!!!! তাহলে আমি কি? বাচালত্ব নিক্তিতে পরিমাপ করলে আমিই জয়ী হবো কথা দিচ্ছি।
আর ''অপরিচিত'' মুভিটা দেখিনি। তবে শুনে মনে হচ্ছে ইন্টাররেস্টিং। দেখব সময় করে।
১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চরম লাগলো গল্পটা। ফিনিশিংয়ে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেলো। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। যেমন,
১। রাতের বেলায় ছাদে কে হাঁটতো?
২। মিশুর গলা করে ওসমান কথা বলতো, বুঝলাম, কিন্তু দরজা ধাক্কাতো কে?
৩। গত পর্বে শওকতের বেশধারী ওসমানের মগজ খুলে দেখানোর বিবরণ দিয়েছিলেন। সেটা কিভাবে সম্ভব হলো?
৪। শওকতের সাথে ওসমানের একটা ছবি দেখেই কিভাবে নিলু সব রহস্য বুঝতে পারলো?
৫। সিজোফ্রেনিয়াকদের অকল্পনীয় ক্ষমতা দিয়ে পাঠান স্রষ্টা, সেটা কি আসলেই সম্ভব?
শুভেচ্ছা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অসংখ্য ধন্যবাদ প্রশ্নগুলোর জন্য। তবে ৫নং প্রশ্নের উওরের মাঝেই আছে সবগুলোর উত্তর। এমনটা আমি একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছেই শুনেছি। তিনি নিজেই এমন ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই এই যে রাতে ছাঁদে হাটাহাটি, দরজা ধাক্কানোর শব্দ সব ওসমানের কাজ। এমন কি ঘরের এই কারেন্ট চলে যাওয়াও।
আগের পর্বে যে মাথা খুলে দেখিয়ে ছিল এটা শিশুদের সাথে ওসমানই মুখোশ পরে করেছে। তাই শিশুরা ভয় পাই নি। কারণ ওরা ভেবেছিল ওদের বাবা ওদের সাথে খেলা করছে। ওসমান মাল্টি পারশন ডিসঅর্ডারে ভোগা রোগী। সে নিজেকে পারফেক্ট করে সাজাতে মুহূর্তেই অনেক কিছু করতে পারে। ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কোণ থেকে ভুতুড়েই বৈকি! তবে এ ক্ষেত্রে বড়রা যত সহজে ভ্রান্তিতে পড়েছে, শিশুরা পড়েনি।
আর নিলু একটা ছবি দেখেই বুঝে গেছে কারণ সে আগে থেকেই সন্দেহ প্রবণ ছিল। সে শওকতের চেহারা আর মিশুর চেহারা মাঝে সে অনেক মিল খুজে পেয়েছে। আর তার মাঝে কোন অপরাধবোধ ছিল না। সে তার স্বামীকে খুব কাছ থেকে দেখেছে। নিশিও ব্যাপারটা ধরতে পারত। সে পারে নি কারণ তার মাঝে অপরাধবোধ ছিল। এতেই সে আরো বেশি শওকতের জালে জড়িয়ে গেছে। আর এই গল্পে স্ত্রীর প্রতারণা ওসমানের অসুখকে আরো ফ্লেয়ার আপ করেছে। নিশির প্রথম সন্তান ওসমানের নয়, শওকতের। তাই সে শওকতে কনভার্ট হয়ে ছিল।
আর শেষে অঝোরে কান্না নিলুকে সাহায্য করেছে ভ্রান্তির মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে। অন্যদিকে ওসমানও নিজেকে সন্দেহ করা শুরু করেছিল। তাই সে তার থেকে নিলু ,মিলি কে রক্ষা করতে রাতে সে মিশুকে খোঁজার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে নিলুই তাকে আবার ডেকে নিয়েছে।
এমন রোগীরা অনেক সময় দরজার তালাও খুলে ফেলতে পারে। আমার গল্পে তালা খুলাইনি কারণ আমি নিলু আর মিলিকে জিন্দা রাখতে চেয়েছি।
বৈশাখের শুভেচ্ছা।
১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
রোহান খান বলেছেন: ওসমান চরিত্রটিকে ভালো লেগেছে। মানষিক ভারসম্যহীন মানব রুপী পিচাস। শেষতক ঘটনাটিকে এভাবে ঘুড়ানোর কারনে বেশী ভালো লেগেছে। কিন্তু এখন একটা মাত্র প্রশ্ন আমার, মানুষ কি জন্মগত ভাবেই সিজোফ্রেনিয়াক হয় নাকি তাকে আশপাশের পরিবেশ, আপন মানুষের আচরন তাকে বানায়?
আগের পর্বের ল্যাকনেস গুলো এ পর্বে ধুয়ে মুছে গেলেও আরেকটা পর্ব দিয়ে গল্পটা শেষ করলে ভালো হত। ১৬ নাম্বার কমেন্টের হাসান ভাইও এমন কিছু একটা নির্দেশ করেছেন। কারন গল্পটা পড়ে শেষ করার পর গল্পেরী একটা অতীত আছে বলে গন্য হয়। সেটা না জানানোর কারনে কিছু প্রশ্ন এসে খাপছাড়া মনে হয়। এর পরে আর একটা পর্ব লিখবেন বলেই দাবী রাখলাম। যেটাতে ওসমানের অতীতকে নির্দেশ করবে। দয়া করে আমাকে আশাহত করবেন না। কারন এই গল্পটাতে মিশে আছে আমার কাছের একজন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তের কস্ট গুলো। পরের পর্বের ওপেক্ষায় থাকলাম।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৪
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা রোহান খান,
যেহেতু আপনার আত্মীয়ের কথা বললেন তাই বলছি। সব রোগী এক রকম হয় না। তাই প্লিজ গল্পের সাথে আপনার আত্মীয়কে মেলাবেন না। আর স্কিজোফ্রেনিয়ার সাথে বংশ পরম্পরার সম্পর্ক রয়েছে। হেলুসিনেশন, ডিলিউশন এই রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারনত কমন। আর আমার গল্পের চরিত্র হল রেয়ার কেস। আমি আকর্ষণীয় কাহিনীর জন্য রেয়ার দিয়ে গল্প সাজিয়েছি।
ওষুধ দিয়ে এই রোগ কন্ট্রোলে রাখা যায়। তবে কোন দিন ভালো হয় না। বাংলাদেশে এমন দুই মেয়ে ছিল একজন ডাক্তার এবং আরেক জন সম্ভবত ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাদের সাথে এমন অনেক ভৌতিক কাহিনী জড়িয়ে আছে। যার উত্তর মেলে না। তাদের নিয়ে পেপারের এক সময় বেশ ভালোই লেখা হয়েছিল।
আর আমার গল্পের ইতি আমি যে এখানে টেনেছিলাম! যাই হোক দেখি আর সিরিয়াল করা যায় কিনা।
বৈশাখের শুভেচ্ছা রোহান।
১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
হাসান ভাইয়ের প্রশ্নগুলো দেখবেন।
গল্প আরো দূর্দান্ত হবার সুযোগ এগুলো।
আমি নিজে অবশ্য এসব প্রশ্ন না দেখলে সামান্য ত্রুটিও ধরতে পারতাম না।
এমনিতে ভালো লেগেছে খুব।
পরে একটা হাসিখুশি গল্প চাই
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ দুর্জয়। আমার গল্পের টপিক্স একটা রেয়ার কেইস। এমন ঘটনা শুনলেও শেষে মানুষের মাঝে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। যার উত্তর অনেক সময় কোনদিন মেলে না। বহু রহস্যে ঘেরা আমাদের চারপাশ।
মনোজগতের অনেক ক্ষমতা এখনো অনেক বড় রহস্য! যেমন স্বপ্ন সত্যি হয় কেন? সন্তানের বিপদে মা বহু দূর থেকেও কিভাবে বুঝতে পারে? কি আছে এ সবের পেছনে? উত্তর একটাই আমাদের অসীম ক্ষমতাধারী মনোজগত!
বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৮
রোহান খান বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম, তবে তারাতারি দিবেন। সময় খুবি অল্প বাকি আছে আমার।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
টুম্পা মনি বলেছেন: কেন ভাই? এত ব্যস্ততা কিসের?! কোথায় যাবেন? আমি চেষ্টা করব। ধন্যবাদ জানবেন।
২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
রোহান খান বলেছেন: না ফেরার দেশে - মজা করলাম...।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
টুম্পা মনি বলেছেন:
২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে, গল্পকে বেড়ে উঠতে দিয়েছেন। চমৎকার। শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা ইসহাক খান। আজকাল গল্পগুলো কেন যেন বড় হয়ে যায়! ভাবনাগুলো বোধয় উপন্যাসের দিকে গড়াচ্ছে। আপনার অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৩
ঘাষফুল বলেছেন: Chovhomotkar golpo
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ ঘাসফুল। স্নিগ্ধ থাকুন।
২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩২
মরদেহ বলেছেন: গল্পটি বেশ আকর্ষনীয়ভাবে বেড়ে উঠে শেষ হয়েছে। ভালো লিখেছেন।
কিন্তু সম্পুর্ন পর্বগুলো পড়ার পরে মনে হলো গল্পটা যেভাবে শেষ করবেন ভেবে শুরু করেছিলেন, শেষটা সেভাবে করেননি। এজন্য অনেকগুলো সুতোর মাথা খোলা রয়ে গিয়েছে।
গল্পে সবকিছুর ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই, গল্পকে সবসময়ে সত্যের কাছেও আনার প্রয়োজন নেই। পাঠকদের কল্পনার উপরে কিছুটা ছেড়ে দেয়া যেতে পারে।
এই গল্পের ঘটনাগুলোর কারন ও শেষপর্যন্ত রহস্যের ব্যাখ্যা অতিপ্রাকৃত ক্ষমতাসম্পন্ন একজন মানুষের রহস্যময় ক্ষমতা/আচরন হিসেবে অথবা একজন ভদ্রবেশী উন্মাদ অপরাধীর আচরন হিসেবে দিলেই ভালো হতো। কিন্তু শেষে এসে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর অবতারনা অহেতুক মনে হয়েছে। এতে সিজোফ্রেনিয়া রোগ সম্বন্ধে পাঠকদের মনে অহেতুক ধারনার সৃষ্টি হবে।
সাধারনভাবে এদের সম্বন্ধে যেটা বলা যায়, সিজোফ্রেনিয়া রোগীর ক্ষেত্রে যা ঘটে, সেগুলো শুধুমাত্র তার মনোজগতে ঘটে যেখানে দর্শক ও শ্রোতা একমাত্র সে-ই থাকে, এবং সাধারনত সে সেগুলোকে বিশ্বাসও করে থাকে। আশেপাশের মানুষ তার প্রতিক্রিয়া দেখতে পারে শুধু। তাদের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার বিষয়টি প্রচলিত মিথ, বাস্তব নয়। আর মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার কিন্তু সিজোফ্রেনিয়া থেকে আলাদা। তাদের লক্ষন ভিন্ন, তবে তাদের মাঝে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মতো কিছু কিছু লক্ষন দেখা যেতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের আচরন সাধারন মানুষকে ভড়কে দিতে পারে, কিন্তু এদেরও কোনরকম অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা নেই।
আরো চমৎকার সব লেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা মরদেহ। আসলে স্কিজোফ্রেনিয়া এই কারণে এনেছি কারণ আমি ওদের ব্যাপারেই এমন সেইম সিম্পটমের একটা কাহিনী শুনেছিলাম। আর আমার গল্পের নিলুও কোন রকম পাঠ্যপস্তুকের আলোকে কোন সত্যতা প্রমাণ করেনি। আর সাধারণত সে সব স্কিজোফ্রেনিক রোগী আমাদের সমাজে দেখা যায় পাঠক সমাজ আমার মনে হয় না তাদের সাথে গুলাবেন। কেননা স্কিজোফ্রেনিক রোগীরা সাধারণত দা বটি নিয়ে দৌড়ানি দেয়া টাইপের হয়ে থাকেন।
আর আমি এটা জানি স্কিজোফ্রেনিয়া এবং মাল্টি পারসোন ডিসঅর্ডার আলাদা রোগ। শুধু কাহিনীর প্রয়োজনে দুটোকে এক সাথে আনা। আর যেটা অনেক সময় অতিপ্রাকৃত মনে হয় তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানা গেলে হয়ত তা খুব সাধারণ হয়ে যায়। কিন্তু যতক্ষণ জানা যায় না ততক্ষণ মানুষের কাছে বিস্ময় হয়েই থাকে। আর সেই বিস্ময়ই টাই আমার গল্পের উপজীব্য।
মনোযোগী পাঠের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০১
আরজু পনি বলেছেন:
ব্লগে নিয়মিত হ্ওয়ার মহড়া দিচ্ছি...পড়ে এসে অনটপিকে মন্তব্য করে যাবো টুম্পামনি ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: ওকে। অপেক্ষায় রইলাম
২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
অনিক মাহফুজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্য,
শুভরাত্রি
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৯
এহসান সাবির বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির,
সুন্দর থাকুন।
২৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের রেশ ধরার জন্য আগের পর্বটা আবার পড়লাম । সব মিলিয়ে ভাল হয়েছে ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া। নেটে খুব প্রব্লেম ছিল। তাই এন্সার করতে দেরি হল। সরি ফর দেট। শুভবিকাল
২৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো,সব গুলা পড়লাম
০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ শ্রাবণ,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১২
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: খাইছে, এই পিশাচ গল্প তো আগে চোখে পড়েনাই,
খারান সব একলগে দেইখা আহি