![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।
গোরস্থানের সুনসান নীরবতা। সামান্য পাতা ঝরার শব্দকেও এটম বোমার মত মনে হচ্ছে। বুকের ভিতর হৃদপিন্ড হাতুড়ির মত বাড়ি মারছে দমাদম। আমার দু চোখ দিয়ে সমানে ঝরছে অশ্রু। কিছুতেই শান্ত করতে পারছি না নিজেকে। কেন কাঁদছি ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে কেঁদে চলেছি অনর্গল। সূর্যটা আজ যেন স্থির। বড্ড দেরি করছে পশ্চিম কোণে হেলে পড়ে সাঁঝকে আমন্ত্রণ জানাতে। প্রতীক্ষার ক্ষণগুলো সব সময়ই দীর্ঘ হয় এমন।
থেকে থেকে একটা ছাল উঠা কুকুর এসে করুণ সুরে কাঁদছে। আমি ওটাকে হাতের বেলচা উঠিয়ে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেই। ও আবার একটু পর ফিরে আসে। আর এসেই শুরু করে মরা কান্না। গোরস্থানের কুকুরগুলো এমন ছিঁচকাঁদুনে হয় কেন আমার ঠিক বুঝে আসে না। তবে শুনেছি ওরা কবরের মৃতের কষ্টগুলো শুনতে পায়। শুনতে পায় শবের নীরব কান্না। এসব শুনে সে নিজেই দুঃখে কান্না জুড়ে দেয়। আমার সায়েমের কথা ভেবে বুক ভেঙে আসে। ওর কোন কষ্ট হচ্ছে না তো? বেচারা আজ প্রায় একমাস অন্ধকার ঘরটিতে একা একা থাকছে । কি জানি কেমন আছে ও ! আমাকে হঠাৎ ডেকে উঠে যেনো- সেঁজুতি, একটু আলো জ্বালাও না প্লিজ ! ঘরটা এতো অন্ধকার কেনো ?" আমি ওর ডাক শুনে চুপ হয়ে থাকি । এটাকেই বোধহয় টেলিপ্যাথী বলে।
ও চলে যাবার প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় প্রথম আমি ওর ডাক শুনতে পাই। ঘরে সব লাইট নিভিয়ে বসেছিলাম জানালার পাশে। চোখটা একটু বন্ধ করতেই যেনো কেউ ডাকলো,''সেঁজুতি!' চমকে উঠে আমি জানালার আশেপাশে দেখতে থাকি ।
নাহ ! কাউকেই তো দেখছিনা ! সম্ভবত মনের ভুল । এতদিন পাশে থেকে যে মানুষটা চলে যায় তার ভ্রম নিশ্চয়ই এতো তাড়াতাড়ি সয়ে যাবার নয় । " এই সেঁজুতি ! শুনতে পাচ্ছোনা ? "সায়েমের কণ্ঠ আমি ঠিকই চিনেছি । ও কি আমার উপর কোন ক্রোধ নিয়ে ফিরে এসেছে ? রাত আরো গভীর হতে থাকে। আমার জানালার ওপাশের জোছনা বিলানো চাঁদটা কখন যে মেঘে ঢেকে গেছে আমি একটুও টের পাইনি।
তারপর আবার শুনি সায়েমের কন্ঠ ,''সেঁজুতি শুনছো?'' আমি শুনতে পাচ্ছি! তারপর আবার সেই ডাক ,''সেঁজুতি শুনছো? সেঁজুতি?'' আমি দু হাতে কান চেপে ধরি। হ্যালুসিনেশন। আমি ভুল শুনছি। মৃত মানুষ আমাকে ডাকবে কেমন করে? আমার দু হাতের উপরই তো এক্সিডেন্ট করে দম ছেড়ে দিয়েছে সায়েম। কিন্তু তবুও আমি অনর্গল সায়েমের ডাক শুনে যাচ্ছি। আমার ভেতরেই কে যেন সায়েমের মত করে কথা বলে আমাকে ডাকছে! আমি তার কথা শুনতে চেষ্টা করি। ''সেঁজুতি আমি সায়েম! আমার কথা শুনতে পাচ্ছো? এই ঘরে আমি একদম একা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। তোমাকেও খুব মিস করছি। আমি জানি আমি অনেক দূরে চলে এসেছি। এখন আর আলো জ্বালানো ঘরে থাকা সম্ভব না। যদি পারো আমাকে কয়েকটা মোম দিয়ে যেও।'' সায়েমের হিমশীতল কন্ঠ আমার মধ্যে বেজে চলেছে। একবার নয়। ঐ রাতে বেশ কয়েকবার আমার সায়েমের সাথে কথা হয়। কথার এক ফাঁকে সে জানায় তার কবরে পাশে বড় বড় লাল পিঁপড়ের দল মাটি খুঁড়ে বাসা বেঁধেছে। তারা তাকে খুব বিরক্ত করছে। আমি যেন পিঁপড়া মারার কিছু ওষুধও কিনে নিয়ে যাই।
পরদিন ভোরেই আমি সায়েমের কাছে যাই । সত্যিই তো ! লাল পিপড়ের একটা লাইন
যেনো ওর মাথার পাশ দিয়েই যাচ্ছে । খুব ঘৃণা হচ্ছে পিপড়ে জাতিটার উপর । ওরা কি মৃতমানুষকেও ছাড়বেনা নাকি ! আমিও ছেড়ে দেবো না । তক্ষুনি বাজার থেকে ওষুধ এনে ছিটিয়ে দিলাম কবরের চারপাশে । কটা শিউলি ছড়িয়ে দিলাম ওর ঠিক বুুকের উপর । মানুষটাকে কেনো জানি খুব অসহায় মনে হচ্ছে আজ !
আমি বুঝতে পারি আমার আর সায়েমের মাঝে সত্যি টেলিপ্যাথি হচ্ছে। কাউকে খুব ভালোবাসলে হয়ত টেলিপ্যাথি হয়। সে মনে মনে আমাকে যা বলতে চাইছে আমি শুনতে পাচ্ছি। আমিও মনে মনে ওকে যা বলছি ও সব শুনতে পাচ্ছে। ওপাড়ের জগত থেকে ও কোনভাবে আমার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
সেদিন খুব তাড়াতাড়ি দুপুর গড়িয়ে গেলো । সূর্য হেলে পড়েছে বেশ খানিকটা । ও আমাকে বললো- পিপড়েগুলো আবার এসেছে । এবার ওরা নাকি কবরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে ! ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি গ্যারেজ থেকে বেলচা নিয়ে নেমে পড়ি ওকে পিঁপড়ার জ্বালাতন থেকে মুক্ত করব ভেবে । বেঁচে থাকতে যে মানুষটা আমার শরীরে সামান্য আঁচড় পর্যন্ত সহ্য করেনি, তাকেই কিনা আজ পিপড়ে খাবে ! কিছুটা খোঁড়ার পর পেছন থেকে একজন এসে আমার হাতের বেলচা কেড়ে নেয়। বুড়ো দারোয়ানটাকে আমি কখনোই অবজ্ঞা করিনি । কিন্তু সে আমাকে ভুল বুঝেছে । আমাকে নিবৃত্ত করার জন্য সে আরো লোক জড়ো করলো । আমি তাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করি সায়েমের কষ্টটুকু । ওকে পিঁপড়া কামড়াচ্ছ । ও কিছুই করতে পারছেনা অন্ধকারে । কিন্তু তারা আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আমি একসময় সম্পূর্ণ চুপ হয়ে গেলাম । যেনো আমিও একটা লাশ হয়ে গিয়েছি। হতাশারা ঘিরে ধরছিল চারিপাশ থেকে!
হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার এপিসোডগুলো আমার জানা আছে। কারণ এর আগেও আমার সাথে এমন হয়েছে। আমার মা মারা যাবার পর। বেশ কয়েক বছর আগে। প্রথমে সব ইচ্ছে মরে যাবে, তারপর কলমি গাছের মত নেতিয়ে আসবে শরীর যেন সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে। বাঁচার সব ইচ্ছেও শেষ হয়ে যাবে। একটা ঘোরের মধ্যে জীবন চলে যায়। যেখানে অবর্ণনীয় কষ্ট। আমি বুঝতে পারি বাবা কয়েকজনকে নিয়ে আমাকে এম্বুলেন্সে তুলছেন। মাঝে মাঝে বার বার সেঁজুতি সেঁজুতি বলে ডাকছেন। আমি সব শুনছি। কিন্তু সাড়া দেবার ইচ্ছে আমার নেই।
বাবা আমাকে নিয়ে সোজা মানসিক রোগের হাসপাতালে এলেন। এবার আর তিনি ভুল করলেন না। এর আগের বার মা মারা যাবার পরও আমার এমন অবস্থা হয়েছিল। তখন তিনি আমাকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু কোন ডাক্তারই দেহের কোন বড় রোগ খুঁজে পান নি। অবশেষে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কিছু এন্টি ডিপ্রেসেন্টে আমার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তারপর বাবা সায়েমকে আমার প্রাইভেট টিউটর করে রাখেন। সায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। পাশ করে চাকরী খুঁজছে আর টিউশন করছে। আর আমি ছিলাম হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এক সময় পড়াশুনায় খুব ভালো থাকলেও মা মারা যাবার পর বার বার ফেইল করেছি। তাই বাবা সায়েমকে রেখেছিলেন আমার প্রাইভেট টিউটর করে।
খুব সুদর্শন যুবক সায়েম। গরীব ঘরে বড়। তাই পোশাক আশাকে তেমন চাকচিক্য ছিল না। তবে ওর মোলায়েম হাসির নিচে ওর আর্থিক দৈন্যতা ঢাকা পড়ে যেত। শান্ত দৃঢ় কন্ঠ স্বরে ওর দুষ্টুমি গুলোও সত্যি মনে হত। একদিন সে খুব গম্ভির হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি ভাবলাম আমি বোধয় কিছু ভুল করেছি। আমি এমনিতেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। ভুলগুলো আমাকে আরো দমিয়ে দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই সে হো হো করে হেসে উঠে বলল ,''সেঁজুতি তুমি একটুতেই ভাবনায় ডুবে যাও কেন বলো তো? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছো কখনো? তুমি কত সুন্দর। এই পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর নারী তুমি।'' সায়েমের কন্ঠে আবেগ ঝোরে পড়ে।
ঐ দিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম জানলাম আমি সুন্দর। এর আগে জানতাম আমি কুৎসিত। আমাকে কোন ছেলে ভালোবাসবে না। কেউ বিয়ে করবে না আমাকে। তারপর থেকে সায়েমের প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতে লাগল। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। কিন্তু নিজের মাঝে দুমড়ানো কুঁচকানো মেয়ে আমি। মনে কথা বলার মত সাহস আমার তখনো হয়ে উঠেনি। সায়েম আস্তে আস্তে আমার মাঝের জড়তাগুলো কিভাবে যেন কেঁড়ে নিচ্ছিল। যেই আমি কারো সাথে কথা বলতে পর্যন্ত লজ্জা পেতাম, আড়ষ্ট হয়ে যেতাম সেই আমি হলাম কলেজের বিতর্ক প্রোগ্রামের শ্রেষ্ঠ বক্তা। আমি যেন রাতারাতি পাল্টে গেলাম। সবই সম্ভব ছিল সায়েমের জন্য।
একদিন সে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলল ,''আচ্ছা তুমি 'দ্যা ফিমেইল ব্রেইন' বইটা পড়েছো?'' আমি মাথা নাড়লাম। ও আবার বলল,'' তুমি জানো মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়লে কি করে?'' আমি আবারো মাথা নাড়লাম। ওর অদ্ভুত কথাগুলো আমাকে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছিল। খুব অসহায় লাগছিল নিজেকে ওর সামনে। ইচ্ছে হচ্ছিল ঝট করে মনে কথা বলে দেই। কিন্তু আবার থেমে গেলাম। ও যদি আমাকে ফিরিয়ে দেয়! ও নিজে থেকেই বলল,'' মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়লে অহেতুক তার সাথে কথা বলার বাহানা খোঁজে। যেমন খোঁজো তুমি।'' বলেই তার হো হো হাসি। একটা মেয়েকে অসহায় দেখে খুব মজ্জা পাচ্ছে। আর আমার বুক ভেঙ্গে কান্না আসছে। আমি ওর বুকে মুখ গুজে কাঁদলাম কিছুক্ষণ। জীবনে প্রথম এ ছিল আমার সুখের কান্না।
তার কিছু দিন পর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। খুব সুখে কাটছিল দুজনার জীবন। কিন্তু ভাগ্যে সুখ কখনোই সয় না। মাস দুয়েক পর রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় সায়েম। তারপর থেকেই তার সাথে টেলিপ্যাথিতে যোগাযোগ। আর মানুষজনের ভুল বোঝাবুঝিতে দ্বিতীয় বারের মত আমি হই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি।
একজন মাঝ বয়েসী ডাক্তার চিন্তিত ভঙ্গিত আমাকে বলেন ,'' তাহলে তোমার সাথে টেলিপ্যাথিতে তোমার স্বামীর কথা হচ্ছে?'' আমি সামনের দিকে মাথা ঝাকাই। এই সব ডাক্তারদের সাথে এ সব কথা বলা অর্থহীন। এরা সব কিছুকেই হ্যালুসিনেশন, ডিলিউশন বলে উড়িয়ে চায়। ডাক্তার আমার ইন্টেলিজেন্স পরীক্ষা করলেন। কিন্তু এ জাতীয় সব টেস্টেই আমি উতরে গেলাম। তবুও আমাকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করলেন ঠিক বুঝে আসল না।
এদিকে সায়েম খুব অস্থির। সে এখন আর আগের মত আমার সাথে কথা বলে না। খুব বিমর্ষ হয়ে থাকে। আমি তাকে নিত্য দিন বলি ,''তুমি মন খারাপ করো না। আমি খুব জলদি তোমার কাছে আসছি।''কিন্তু হাসপাতালে কড়া পাহাড়া। কিছুতেই আমি বের হতে পারি না। এভাবে কেটে যায় একমাস। তারপর একদিন দুপুরে হঠাৎ সায়েম আমাকে ডেকে বলে,''সেঁজুতি ওঠো! আজকে পেছনে দরজার দারোয়ানের কাজে আসতে দেরি হবে। ঐ যে টেবিলের উপর চাবি। তুমি দরজা খুলে বেরিয়ে এসো।'' আমি বেরিয়ে আসি। তারপর সোজা গোরস্থান। সন্ধ্যা নামতেই আমি কবর খুঁড়া শুরু করি। আজ আর আশে পাশে কেউ নেই। পরিস্থিতি সব দিক থেকে নিরাপদ করে ধীরে সুস্থে কাজ চালিয়ে যাই। কবর খুঁড়ে এক সাইড থেকে আমি ভিতরে প্রবেশ করি। সায়েম দেখি উঠে বসে আছে। তার বুকে মাথা রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। বহুদিন থেকে আমার নির্ঘুম দু চোখ!
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা তাই নাকি। পাঠের জন্য ধন্যবাদ। অজস্র শুভেচ্ছা।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনুভবের গল্প !
বেশ লেগেছে পড়তে টুম্পা মনি , আবার নিয়মিত হবেন আশা করি !
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অভি পাঠের জন্য,
দীর্ঘ অসুস্থ ছিলাম। এখন থেকে আবার নিয়মিত হতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। যেখানেই থাকি, যেমন থাকি ব্লগটাকে খুব মিস করি। এটাকে ভুলে থাকা সম্ভব না।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ ভাল লাগল
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন পরিবেশ বন্ধু,
সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। আরো ভালো হতে পারতো সেঁজুতির সায়েমের সাথে দেখা হবার আগে কী হয়েছিলো, কেন সে এত ভেঙে পড়েছিলো, কেন সে নিজেকে কুৎসিত ভাবতো এসব একটু বিশদ বর্ণনা করলে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিগ হামা,
হুম। আপনার আইডিয়া নাইস। অজস্র শুভেচ্ছা।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৯
ঘূণে পোকা বলেছেন: আমিতো মনে করেছিলাম আপনার নিজস্ব কাহিনী কিন্তু জাই হোক ভাল লিখেছেন
শুভ কামনা রইল
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১১
টুম্পা মনি বলেছেন: নিজেস্ব কাহিনী মনে করসেন ক্যানু?
উপ্রে দেখেন নাই ''গল্প'' লেইখা দিসি।
আপনার জন্যও শুভকামনা দিলুম।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৯
কাজী নাজমুল বলেছেন: সুন্দর লেখা। ভাল লাগলো।
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ কাজী সাহেব,
সুন্দর থাকুন।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: অদ্ভুত এক মায়াময় বিষাদের অন্ধকারে যেন ডুবে যাচ্ছি, গল্পের প্রথম অংশটা পড়ে এটাই মনে হলো । শেষটা আরো ভালো হওয়াই প্রত্যাশিত ছিল ।
শুভকামনা টুম্পা । ফিরে আসার শুভেচ্ছা ।
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৪
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া মনোযোগী পাঠের জন্য। ব্লগে এসে আমারও খুব ভালো কাগছে। নেশা বলে কথা।
সতত শুভচ্ছা রইল।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পের বিভিন্ন বিষয়াদি হয়তো বুঝিনা, কিন্তু পাঠক হিসেবে ভালো খারাপ অনুভূতিটা আসে। আপনার গল্প ভালো লাগলো।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
টুম্পা মনি বলেছেন: হু সবই বোঝেন। আবার বলেন বুঝি না। ন্যাকা তাই না!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৫২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো লাগলো। তবে সামান্য কিছু অসাঞ্জস্যতা চোখে লেগেছে আমার।
আমার দু চোখ দিয়ে সমানে ঝরছে অশ্রু। কিছুতেই শান্ত করতে পারছি না নিজেকে। কেন কাঁদছি ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে কেঁদে চলেছি অনর্গল।
গল্পের নায়িকার কান্নার কারণ গল্পে স্পষ্ট। প্রিয়জনের কবরের পাশে স্বাভাবিক কান্নাই চোখ দিয়ে গড়াবে। তাই কেন কাঁদছি ঠিক বুঝতে পারছি না। লাইনটা মানায় না বলেই মনে হল আমার।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা শুভেচ্ছা শ্রাবণ,
এমনটা হয়েছে কারণ আমার নায়িকা তার নায়ককে পেয়ে গেছে। মৃত্যু তাদের মাঝে ব্যবধান ছিল না। তাই তার কান্নারও কারণ ছিল না। নায়কের কাছে ফিরে আসা তার জন্য খুব সুখের ছিল। তবুও তার চোখে অশ্রু। আর সে হতাশা প্রবণ। সে সব কিছুতেই কনফিউশনে ভোগে। তাই অশ্রুও তার জন্য কনফিউশন।
ধন্যবাদ মনোযোগী পাঠের জন্য।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:২৬
খন্দকার মাসুম বিল্লাহ বলেছেন: ভালো লেগেছেে গল্পটি । পরাবাস্তবতার সঙ্গে হৃদয়ানুভূতির সম্মীলন ! চালিয়ে যান ।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাসুম বিল্লাহ পাঠের জন্য,
সুন্দর থাকুন।
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ পড়ে মোটামুটি লাগছে।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: হেহেহেহে তাই নাকি। সঠিক অনুভুতি বলার জন্য ধন্যবাদ। সুন্দর থাকুন।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গপ ভালো লেগেছে।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকু আলাদিন,
সুন্দর থাকুন।
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার লাগল। একটু ডিটেইলস এলে ভাল লাগত আরও।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রোফেসর। ডিটেইলস তো লিখতেই চাই। উপন্যাস লিখতে পারলে মজা পাওয়া যেতো।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো
। পড়ে অনেক ভালো লাগল। ভাল থাকবেন
২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হিমেল হাসান। আপনার নামটা খুব সুন্দর কাগজের খেয়া।
সুন্দর থাকুন সব সময়।
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা রইলো +++++++
ভালো থাকবেন সবসময়
২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৯
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অপূর্ণ। পূর্ণ হোক আপনার জীবন।
শুভকামনা।
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ ভালো। সাবলীল বর্ণনার সাথে সহজে ঘটনা এগিয়েছে। অনুভব এবং আবেগের প্রকাশ ঘটেছে।
শুভেচ্ছা সতত।
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৬
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মোঃ ইসহাক খান। সুন্দর থাকুন।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের আইডিয়াটা আনকোরা। চমৎকার।
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ,
সুন্দর থাকুন।
১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অলৌকিক লেখাগুলো আমাকে খুব টানে। আরও লিখুন।
২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১০
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহ কান্ডারী আপনার সাথে আমার অনেক মিল। সতত শুভেচ্ছা জানুন। সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যাই হোক সায়েম আর সেজুতি বা টুম্পা মনির মিল হলো । মিলনকাহন ভাল লেগেছে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা সেঁজুতি কিছুতেই টুম্পা মনি। টুম্পা মনি কখনোই তার গল্পের নায়িকা চরিত্রে নিজেকে কল্পনা করে না।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
সায়েমকে নিয়ে যে গল্পটা সেটা খানিকটা পড়লাম। ভালো লাগার কাছাকাছি। এর আগেও যখন আপনার লেখা পড়েছি তখন দেখেছি আপনার গল্পে বেশ টুইস্ট থাকে যা পাঠকের জন্য বেশ রুচিকর।
আরো লিখবেন অন্তত আমার মতো পাঠকের জন্য তো অবশ্যই।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
টুম্পা মনি বলেছেন: হেহেহেহে শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক সময় লাগলো পড়তে , তবে পুষিয়ে গেছে ।
লিখা ভাল লাগয় প্লাস ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর থাকুন প্রতিনিয়ত।
২২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫১
আলম দীপ্র বলেছেন: ভাল লাগল ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা আলম।
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪
রাগিব নিযাম বলেছেন: ওহ! অসাধারণ! ++++
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: অজস্র শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন প্রতিনিয়ত।
২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সায়েমকে তো চিনলাম সেজুতিকে চেনা হলো না।
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭
টুম্পা মনি বলেছেন: সায়েমকে কিভাবে চিনলেন!
আমি নিজেই তো তাকে চিনি না।
২৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ওটা আমার নাম।বাবা মার দেয়া । তাই আমি তাকে চিনি
০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
টুম্পা মনি বলেছেন: আই রিয়েলি ডোন্ট নো
গল্পের আপনাকে মেরে ফেলার জন্য দুঃখিত।
২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২
রোহান খান বলেছেন: Para Khailen To..
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০২
টুম্পা মনি বলেছেন: বুঝিনি কি বললেন।
২৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি গল্প লিখতে পারি না, তাই আপনাদেরটা পড়ে মন ভরাই।
ভাল লাগল।
+++++++++++++++=
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৪
টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ লেখোয়াড়,
সুন্দর থাকুন।
২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
এহসান সাবির বলেছেন: আচ্ছা এটা কি সত্যি? নাকি গল্প ?
অট- গল্পে ভালো লাগা রইল অনেক।
শুভ কামনা সব সময়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: এটা শুধুই গল্প। আচ্ছা আমি তো অনেকদিন পর ব্লগে এসে জবাব দিচ্ছি। খুব রাগ করেছেন তাই না? আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত দেরিতে জবাব দেবার জন্য।
২৯| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নির্লিপ্ত আমি বলেছেন: গল্পটি পড়ার সময় আমার হঠাৎ করে মৃত্যু ভয় পেয়ে বসেছিল। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: মৃত্যু ভয় সত্যিই ভয়াবহ। আমার কাছে নিজের চেয়ে প্রিয়জনদের হারানোর ভয়টাই বেশি চেপে ধরে।
ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২০
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল ! আপনার গল্পে অলৌকিক ভাবটা বেশী ফুঁটে উঠে। এক ধাঁচের হচ্ছে।