নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যাযাবর। নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনে নিজেকে দেখে বুঝি এখনো আছে আমার অস্তিত্ব।

বলার নেই কিছু।

টুম্পা মনি

আমি যাযাবর। আমার নিজের কোন ঠিকানা নেই। শুধু কিছু মানুষের মনবে নিজেকে দেখে বুঝি আমি হয়ত আছি। হয়ত আছে আমার অস্তিত্ব।

টুম্পা মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অনুভূতির গুঞ্জরন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৫



মাঝে মাঝে মনে হয় এ জগতে আমিই কেবল একমাত্র পরাজিত, আর সারা জগত জয়ী। এই ইট পাথরের শহরটা জয়ী, আশে পাশের মানুষগুলো জয়ী, জয়ী এই জনবহুল শহরের মাঝের এই একতলা বাড়িটা যেখানে আমি লজিং থাকি। সবাই যেন আঙুল তুলে আমাকে দেখায় ”ভি” চিহ্ন। আর আমি বোকার মত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি। তাদের উপহাসে মাথা নিচু করে বেঁকে যাওয়া বাঁশের মত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এছাড়া আর কি বা আমার করার আছে? আমি তো আসলেই বোকা। নয়ত এভাবে কেউ ঠোকে আসে? দশহাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম একটা সেকেন্ডহেন্ড স্মার্ট ফোন কিনতে। আমার ভার্সিটির এক বন্ধুর দূরসম্পর্কের কাজিন বলেছে মেনেজ করে দিবে। ছেলেটার সাথে আমার আজই প্রথম পরিচয়। কথায় কথায় জানালো একটা ফোন বিক্রি করবে সে। এর বাজার দর ষাট হাজার টাকা। মাত্র ২ মাস হয়েছে কিনেছে। কিন্তু এখন জরুরী টাকার দরকার হওয়াতে অল্প দামে বেঁচে দিবে। আমি সুযোগটি লুফে নিলাম। এত ভালো ফোন কোন দিন আমার কেনার যোগ্যতা হবে না। ফোনটা ওজনে বেশ ভারী। দামি জিনিস, একটু ভারী তো হবেই। আমি টাকাটা ওর হাতে বুঝিয়ে দিয়ে ফোনটা পকেটে ভরে সোজা বাড়ির দিকে হাঁটা দিলাম। বলা যায় না পথে না আবার ছিনতাইকারী ধরে। সামান্য একটা ফোনের জন্য আজকাল রাস্তাঘাটে মানুষ খুন পর্যন্ত হয়।



বার বার পকেটে হাত দিয়ে ফোনটাকে ছুঁয়ে দেখছিলাম। আমার বহু শখের ফোন। কিন্তু বাড়িতে এসে ফোনে সিম লাগানো নিয়ে হল বিপত্তি। কিছুতেই ফোনের সিম লাগানোর অংশ খুলতে পারছিলাম না। ফোনটা নিয়ে গিলাম রওশন চাচার কাছে। ওনার বাড়িতেই আমি লজিং থাকি। তিনি ফোনটা দেখে খুশি হয়ে বললেন ,”বাবা শোভন ফোনটা খুব সুন্দর হয়েছে। টিউশনের টাকা দিয়ে কিনেছো বুঝি?” আমি মাথা ঝাঁকালাম। নতুন ফোন দেখে চাচী সালেহা বেগম আর শাওন এসে দাড়িয়েছে পাশে। অনেক কায়দা কসরতের পর চাচা ফোনের সিম লাগানো অংশ টেনে তুলে আনলেন। কিন্তু ফোনের ভিতরটা দেখে আমাদের সবার চোখ ছানাবড়া! ফোনের বাহিরের মোড়কটা চকচকে হলেও ভেতরে কেবল এক দলা মাটি। ফোনের মালিক আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। দামি ফোনের মোড়কের ভেতর মাটি ভরে নতুন ফোন বলে চালিয়ে দিয়েছে।



দুঃখে আমার হাত পা কাঁপছিল। কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। চাচা আমার কাঁধে হাত রেখে মৃদু সান্ত্বনা দিয়ে চলে গেলেন। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। দুঃখগুলো কেন যেন আমার বিশ্বাস হতে চায় না। জীবনে এত দুঃখ পেয়েছি তবুও না। অনেক সময় লাগে দুঃখকে মেনে নিতে। ছোটবেলায় বাবা যখন মারা গেলো তখনো বিশ্বাস হচ্ছিল না। চোখের সামনে বাবার লাশ দেখছিলাম তবুও মনে হচ্ছিল আমার বাবা মরেনি। বেঁচে আছে।একদিন বাবা ঠিক ফিরে আসবে। আমি আমার সব কল্পনা, স্বপ্ন, ভাবনা সব কিছুতেই দেখতাম বাবা ফিরে এসেছে। কিন্তু বার বার হতাশ হয়েছি।



পরে যখন মায়ের স্নেহ ভালোবাসায় বাবাকে ভুলে যেতে থাকলাম, মেনে নিলাম বাবা আর কোন দিন আসবেন না, এখন এই মা ই আমার সব ঠিক তখন মা অন্যলোকের বধু নানা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন। আমার বয়স তখন মাত্র দশ বছর। আমি প্রায় রাতে স্বপ্নে দেখতাম মা এসেছে। এই মা কেবল আমারই মা। কোন অচেনা লোকের বধু নয়। আবারো বহুদিন চলল আমার মনকে বোঝানোর চেষ্টা। আমার মায়ের এখন অন্যখানে বিয়ে হয়েছে। সেখানে তার সন্তান হয়েছে। খুব সুখে শান্তিতেই আছে মা। তার আর এখন আমার কথা মনে পড়ে না। আমাকে আর তার প্রয়োজন নেই।



মাঝে মাঝে মা তার নতুন ছেলেকে নিয়ে আসতেন নানাবাড়িতে। আমি তখন দৌড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতাম। আমার স্মৃতিতে কেবল আমার আগের মা ই বেঁচে থাকুক যে আমার বাবার স্ত্রী। প্রতিবার মা যাবার আগে নানার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতেন শোভনকে কিছু কিনে দিও এই টাকা দিয়ে। আমি তো ওকে মায়ের স্নেহ দিতে পারলাম না।



আমি যখন ইন্টারে পড়ি তখন আমার নানা মারা যায়। এক দূরসম্পর্কে মামা আমাকে রওশন চাচার বাড়িতে আমাকে লজিং ঠিক করে দেন। তারা আমাকে থাকতে দিবে ,তিন বেলা খাওয়াবে আর মাসে একশত টাকা করে হাত খরচ দিবে। বিনিময়ে আমি তার দুই ছেলে-মেয়ে হিয়া এবং শাওনকে পড়াবো। হিয়া তখন ছিল ক্লাস এইটে আর শাওন ক্লাস ফোরে। তারপর থেকে পাঁচ বছর আমি ঐ বাড়িতে আছি। হিয়া আর শাওনকে পড়াচ্ছি আর সাথে নিজেরও পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভার্সিটিতে ভর্তির খরচ রওশন চাচাই আমাকে দিয়েছেন। শর্ত ছিল প্রতিমাসের বেতন থেকে খরচটা কেটে রাখবেন। কিন্তু চাচা আমার ভার্সিটিতে যাতায়াতের খরচের কথা ভেবে আর টাকাটার আমার কাছ থেকে কাটেন নি। আমি তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। যখন আপন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে তখন পর আপন হয়েছে। রওশন চাচার মধ্যবিত্ত পরিবার। তবুও তিনি আমার ভরণপোষণ করেছেন।



আমিও যত্নের সাথে তার দুই সন্তানকে পড়িয়েছি। ব্যস এতটুকুই ছিল পাঁচ বছর ওই বাড়িতে আমার কাজ। তারপর চাচী অবশ্য আমার কাজ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। হিয়া বড় হয়েছে বলে আমাকে হিয়াকে পড়াতে বারণ করে দিয়েছেন। জুয়ান মাস্টার দিয়ে আর তার মেয়েকে পড়াতে চান না। হিয়াকেও আমার সামনে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বাড়ির ড্রয়িং রুমে আমার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। ওখানে বসে হিয়া সহ বাড়ির লোকজন টিভি দেখে। আমি মাথা নিচু করে সাইড দিয়ে শাওনের রুমের চলে আসি।



শাওনের ছোট রুমটায় দু টো খাট পাতা। একটাতে আমি আর একটাতে শাওন ঘুমায়। এই ঘরেই কেটেছে আমার পাঁচটি বছর। কিন্তু এখনো মনে হয় সেদিন যেন এসেছি। সেদিনের হিয়া কবে কৈশোর পেরিয়ে যুবতি হয়ে উঠেছে বুঝতেই পারিনি। তবে কেন যেন মেয়েটাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার সব স্বপ্নে আজকাল ও আসে। দুপুরে খেতে বসলে খনিকের কল্পনায় চোখ মদির হয়ে উঠে। আমি কল্পনায় দেখি হিয়া আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে। এসে বলছে ,”মাছের টুকরোগুলো বিড়াল খেয়ে গেছে। তোমার জন্য লেজটুকুই আছে। তুমি মন খারাপ করো না যেন।” চাচীর কথার আওয়াজে বাস্তবে ফিরে আসি ,”আজ শুধু শুঁটকি মাছ আর ডাল দিয়েই খেতে হবে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার। খাওয়ার পেছনে বিলাসিতা আমাদের মানায় না।” বলে চাচী ভেতরের ঘরের চলে যান। সেখান থেকে হিয়ার কন্ঠ ভেসে আসে,”মা বিরিয়ামী রান্না করেছিলে শোভন ভাইকে দিয়েছো?” চাচী ধমকের স্বরে বলেন ,”আস্তে বলো। বিরিয়ানী শুধু তোমাদের দুই ভাই বোনের জন্য রেঁধেছি। এত জনকে দিয়ে আমাদের পোষায় না।” চাচীর ধমকে হিয়া চুপ করে যায়। আর কথা বাড়ায় না। আমার মন এক অজানা ভালো লাগায় ভরে ওঠে। হিয়া আমাকে নিয়ে কত ভাবে!



হিয়ার সাথে কথা বলার জন্য একটা মোবাইল কিনব বলে টিউশনের টাকাগুলো পাই পাই করে জমিয়েছিলাম এক বছর ধরে। রোজ এক ঘন্টার পথ পায়ে হেটে গিয়েছি এক হাজার টাকা মাসিক বেতনের টিউশনের জন্যে। এক হাজার টাকা বিত্তবানদের কাছে হাতের ময়লা হলেও আমার মত পরের আশ্রয়ে বাঁচা যুবকের কাছে ছিল বিশাল অংক। কত স্বপ্ন বুনেছি এই মোবাইলকে ঘিরে। মোবাইল কিনে প্রথম ফোন দিবো হিয়াকে। নাহ ফোন দেয়াটা ঠিক হবে না। একটা মেসেজ পাঠাবো। কিন্তু কি লিখবো এই মেসেজে? ”হিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি।” না এটা লেখা ঠিক হবে না। কেমন যেন একটা ন্যাকামি ন্যাকামি ভাব আসে এতে। আমার হতদরিদ্রকে ন্যাকামিতে মানায় না। কি লিখবো এই ভেবে ভেবে আমার কেটে গেছে রাতের পর রাত। কিন্তু অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়। ফোনের ভেতর মাটি ঢুকিয়ে নকল ফোন বানিয়ে আমাকে গছিয়ে দিয়েছে!



কি তাজ্জব! এখন ঘুমের ঘোরে আমি স্বপ্নে দেখি ফোন বিক্রেতা ছেলেটা আবার ফিরে এসেছে। সে আমাকে একটা দামী ফোন দিয়েছে। আমি ওটা দিয়ে হিয়াকে ফোন করতে চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই তার নাম্বার মেলাতে পারছি না। আমি ঘুমের ঘোরে হ্যালো হ্যালো বলে হিয়ার নেটওয়ার্ক পেতে চেষ্টা করি। শাওনের ডাকে ঘুম ভাঙে। ইদানিং নাকি আমি ঘুমের ঘোরে আবল তাবল কথা বলি। এতে শাওনের ঘুমে ডিস্টার্ব হয়।



সপ্তাহখানেক পর চাচী আসেন আমার রুমে। পিরিচে গোটা দুয়েক রসগোল্লা। তিনি ওটা আমার দিকে বারিয়ে দিতে দিতে বলেন ,” তোমাকে একটা সুসংবাদ দিতে এসেছি গো বাবা। হিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, আমেরিকা থাকে। বিয়ের পর মেয়েকে ওখানে নিয়ে যাবে। ওখানে ওদের নিজেদের একটা বিশাল বাংলো আছে। মেয়েটা আমার পাঁচ আঙুলের কপাল নিয়ে জন্মেছে বাবা।” চাচী গাল ভরে হাসছেন।



হিয়ার বিয়ের দিন খুব সকালে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। হিয়াকে কিছুতেই আমি অন্যের বধু বেশে দেখতে চাই না। আমার চোখে সাজানো থাক সেই কৈশোরের হিয়া। শহর থেকে কিছুটা দূরে সবুজ মাঠে শুয়ে পার করে দেই সারাটা বিকেল। মধ্যরাতে হিয়ার বিয়ের পাঠ চুকিয়ে গেলে বাড়ি ফিরে আসি। শাওনের কাছে শুনি হিয়া বিয়ে আগে খুব কেঁদেছিল। শুনে আমার চোখও ভিজে উঠে। হিয়া কি আমার জন্য কেঁদেছিল? দূর বোকা হিয়া আমার জন্য কেন কাঁদবে! এত বছর বাবা মায়ের কাছে বড় হয়েছে তাদের জন্য কেঁদেছে। আমি শাওনের থেকে অশ্রুগুলোকে আড়াল করতে লাইট নিভিয়ে বিছানায় শুয়ে চোখ মুদি। কল্পনায় ভেসে উঠে হিয়া আমার জন্য কাঁদছে।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অসাধারণ দুঃখ দুঃখ গল্প । জীবনের স্রোতে রওশন চাচার মতো খড়কুটো যেমন আশ্রয় দেয় , হিয়ারা যেমন স্বপ্ন দেখায় , বাস্তবতার ঘূর্ণিপাকে তা সব এলোমেলো হয়ে যায় । ++++++++

ভালো থাকবেন সবসময় :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: বাস্তবতায় সব কিছু অপূর্ণই থাকে। :( :( :( :( :( :( :(( :(( :(( :(( :(( :((

সেই দিক থেকে আপনার নাম সার্থক। B:-)

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

গাধা মানব বলেছেন: দুঃখের গল্প অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।

শুভকামনা আপনার জন্য। :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

টুম্পা মনি বলেছেন: উৎসাহ ব্যঞ্জক কমপ্লিমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভরাত্রী।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল । অনেক দিন পর এলেন । ভাল আছেন ?

ভাল থাকবেন ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

টুম্পা মনি বলেছেন: এই তো আছি। মনে রাখার জন্য এবং পাঠের জন্য শুকরিয়া।

শুভরাত্রি

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: বিষাদের গল্প, সব হারানো একজনের বারবার হারার গল্প । তবু স্বপ্নটুকু বেঁচে থাকে ।

গল্প ভালো লেগেছে । তবে টুম্পা মনি'র কাছে আমাদের প্রত্যাশা আরো অনেক বেশি ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব প্রত্যাশা পুরণের।

শুভরাত্রি

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

লীন প্রহেলিকা বলেছেন: গল্পটি বেশ সুন্দর। গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার কাছ থেকে আরো গল্প চাই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

টুম্পা মনি বলেছেন: অবশ্যই লীন প্রহেলিকা। গল্প লেখা আমার হবি। আপনাদের উৎসাহ লেখার সাহস যোগায়।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। কিন্তু মোবাইলে মাটি.... হজম হয়নি.... কেন জানি.... :P

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা এমনটা আমাদের এক কর্মচারীর ক্ষেত্রে দেখেছিলাম। তার জীবনী থেকে এই অংশটুকু মেরে দিয়েছি। এমন ফোন হাতে পেলে আপনি নিজেও কনফিউজড হয়ে যাবেন। বাহির থেকে দেখতে খুব সুন্দর। ভিতরে আবর্জনা।

শুভেচ্ছা জানবেন বোকা মানব।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার একটি গল্প...
সুখ-দুঃখ নিয়েইতো জীবন।
জীবনে যেমনি সুখের পরস থাকে তেমনি দুঃখ, কষ্ট বেদনাও কমনা...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

টুম্পা মনি বলেছেন: ঠিক তাই। সুখ আর দুঃখ জীবনের শর্ত , হেসে খেলে গেয়ে যাই জীবনের গল্প।

শুভরাত্রি।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

নীল কথন বলেছেন: লেখাটা সাবলীল। ভালো লাগলো।
মোবাইল কিনতে গিয়ে মাটি ভরা ফোন। গল্পের কথকের সাথে মেলে না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা নীল কথন,

৬নং মন্তব্যের জবাবটি পড়বেন। আশা করি মিলে যাবে। আমাদের বুদ্ধি সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গীর সাথে সহজ সরল মানুষদের জীবনাচারণের পার্থক্য থাকবেই। সেটাই স্বাভাবিক।

শুভরাত্রি।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আর ও গল্পের অপেক্ষায় রইলাম । রোমান্টিক গল্প :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার,

সুন্দর থাকুন।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৪

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ১ম মন্তব্য অপূর্ণ রায়হান-এর সাথে সহমত।
আর বোকা মানুষ বলতে চায়-এর সাথে (অ)সহমত না।
২০০৪ সালে Dallas, Texas-এ এ কালা আমেরিকান ও তার GF আমার কাছ থেকে ১২০০ ডলার প্রতারনা করে নিয়েছিল।Sony- Vaio Computer বিক্রি করে। বাসায় এনে দেখি ভিতরে শুধু কাগজ ভরা। আমি সাধারনত লোভ করি না কিন্তু আমি সেদিন অল্প পয়শায় বেশী খেতে চাহিয়াছিলাম।
আরেকটি ঘটনার কথা মনে পরেছ- ১৯৯৪ সালে আমার দূর সম্পরকের এক আত্মীয়ের সাথে আমার অজানা একটি ছেলে বাসায় আসল (ঢাকায়)। এসে পরিচিত হয়ার পরে আমাকে জানালো তার বন্ধু কিছু ডলার হাতিয়েছে ঢাকার এক মারোয়ারীর বাসা থেকে। এগুলো ভাঙ্গাতে তার ও তার বন্ধুর খুব সমস্যা হচ্ছে আমি যদি তাদের হয়ে ভাংগিয়ে দেই তা হলে তারা খুব উপকৃত হয়। আমি বললাম ঠিক আছে আপনি নিয়ে আসেন। সে বলে আমি যদি দয়া করে একটু গুলশানে যেয়ে ডলারগুলো নিয়ে আসি। আমি পরের দিন গেলাম তার সাথে। যেয়ে ঠিকই গুলশানে এক রাস্তায় সেই লোকটির সাথে দেখা হল। দেখা হওয়ার সাথে সাথে ধাপ ধাপ করে দু'টি পঞ্চাশ ডলারের নোট আমার হাতে ধরিয়ে দিল এবং বলে আমি যেন ভাংগায়ে মিস্টি কিনে খাই। আমি নিতে চাই সে জোর করিয়ে দিল। আমি ভাংগালাম নোট দুটি এবং বাংলাদেশী টাকা পেলাম। দুদিন পরে সেই ছেলেটি আবার এসে বলে আমি যদি আজকে যেয়ে তার ডলারের পোটলাটা নিয়ে আসি, আমি আবারও গেলাম সেখানে- এখন তারা আমাকে বলে- আমি যদি তাদের ডলারের পোটলাটি নিয়ে লাম-সাম কিছু টাকা দেই তাতেই তারা সন্তুষ্ট আমি বললাম-না-না। আমি লোভ করি না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ রেজাউল করিম,

আপনি আমেরিকাতে বসে এমন কম্পিউটার কাগজে ভরা কম্পিউটার কিনেছেন আর বাংলাদেশের একজন হতদরিদ্র যুবক শোভন। তার কি অবস্থা হবে ভাবুন।

আর ডলারের প্রতারণা ঢাকাতে এখনো ঘটে। মাস খানেক আগেই একটা নিউজে পড়লাম এক সুন্দরী মহিলা এক বাসায় ঢুকে জানিয়েছে সে বিদেশ থেকে এসেছে। এখন ইমেডিয়েটলি কিছু টাকা দরকার। কিন্তু ডলার ভাঙাতে পারে নাই। তারপর মহিলার রুপ দেখে বাড়ির মালিক তাকে আসলেই প্রবাসী ভেবে টাকা দিয়ে দিয়েছে। পরে জানল ওগুলা ছিল জাল নোট।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। ১০ নম্বর মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ। ওটার জবাব দেয়া হয়েছে। আশা করি পড়ে দেখবেন।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মনে একটু কষ্ট ভর করলো --- তারপরও অনেক অনেক সুন্দর লিখেছো আপু

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

টুম্পা মনি বলেছেন: উৎসাহমুলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,

শুভদুপুর।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: মন খরাপ করা গপ! ভালো লাগছে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

টুম্পা মনি বলেছেন: থ্যাংকিউ,

শুভদুপুর।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

ডি মুন বলেছেন: ফোনের মালিক আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। দামি ফোনের মোড়কের ভেতর মাটি ভরে নতুন ফোন বলে চালিয়ে দিয়েছে। ------

---- এ যায়গাটা অন্যরকম হতে পারতো। কারণ মোবাইল কেনার সময় একটু নেড়েচেড়ে দেখে তারপর সবাই কেনে । সুতরাং মোবাইলে মাটি ভরা থাকলে তো তা চালুই হবে না। আর চালু না হলে, ফাংশন না দেখলে সে মোবাইল কোনো লেখাপড়া জানা মানুষের কেনার কথা না।
তাই এক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে, মোবাইলটা কিনে আনার পর তার ফাংশন গড়বড় হলো, এবং একপর্যায়ে নষ্ট হয়ে অফ হয়ে গেল। আর কিছুতেই ঠিক হলো না।

--- ভেবে দেখবেন আশাকরি।


"এখন এই মা ই আমার সব ঠিক তখন মা অন্যলোকের বধু নানা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন। " --- এই লাইনটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। এটা এমন হলে সহজ হতো-

'যখন মা ই আমার সব, ঠিক তখন মা অন্যলোকের বধু হয়ে নানাবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন। '

এছাড়া বাকী গল্পটা বেশ সুন্দর হয়েছে। বিষাদমাখা ভালোলাগায় পাঠক আচ্ছন্ন হবেনই।

সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এবং নিয়মিত লিখুন। শুভেচ্ছা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন,

আপনার নিজের সাথে শোভনকে গুলিয়ে ফেললে কিভাবে হবে বলুন? আমার একটা আড়াই বছর বয়সের ভাগ্নি আছে। সে ছোট বেলা থেকে টাচ ফোন দেখে বড় হয়েছে। তার ধারণা জগতের সব ফোনই টাচ ফোন।

এখন আরেকটা ঘটনা বলি এটা সত্যি ঘটনা। এক ছেলে বিদেশ থেকে তার মায়ের জন্য আই ফোন পাঠিয়েছে। এখন মা গ্রামের সহজ সরল মহিলা। মা ঐ ফোন চালু করতে পারেন নাই। দেখেন ঐ ফোনে কোন বোতাম নাই, আলো জ্বলে না। এইটা আবার কেমন ফোন! সে মন খারাপ করে আছে ছেলে তারে বিদেশ থেকে নষ্ট ফোন দিয়েছে। তারপর গ্রামেরই এক ছেলের সাথে শেয়ার করেছে দুঃখের কথা। ওই ছেলে বলেছে তুমি আমারে তাইলে তোমার নষ্ট ফোনটা দাও, আমি তোমারে ভালো একটা ফোন আইনা দেই। তারপর তাকে বোতাম আলা, সামনে টর্চ আছে এমন একটা ফোন এনে দিলেন। বুড়ি তো বেজায় খুশি ভালো ফোন পাইসে।

এখন নেড়েচেড়ে দেখার কথা অনেক সহজ সরল মানুষের মনে নাও আসতে পারে। আর শোভনের মত ছেলেরা বিশ্বাস প্রবন। তারাভাবে তাদের মত ভালো মানুষ পৃথিবীর সব খানে। আর তাই তারা প্রতি পদে পদে ধোঁকা খেয়ে হতাশায় ভোগে।

আর যে লাইনটার কথা বলেছেন ওটা ওখান থেকে শুরু না। এখান থেকে শুরু ,''পরে যখন মায়ের স্নেহ ভালোবাসায় বাবাকে ভুলে যেতে থাকলাম, মেনে নিলাম বাবা আর কোন দিন আসবেন না, এখন এই মা ই আমার সব ঠিক তখন মা অন্যলোকের বধু নানা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন।''

মনোযোগী পাঠের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

ডি মুন বলেছেন: আসলে আমি একান্তই ব্যক্তিচিন্তাপ্রসূত মন্তব্য করেছি। গল্পের যে কোনো ব্যাপারে লেখকই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

রুঢ় মন্তব্যের জন্য বিনীত ক্ষমাপ্রার্থী।
ভালো লিখে চলুন সবসময়। শুভেচ্ছা রইলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

টুম্পা মনি বলেছেন: হায় হায় কি বলে! কি বলে! আপনার মন্তব্য আমার কাছে একদম রুঢ় মনে হইনি। আমি বরং খুশি হয়েছি। খুশি এই কারণে হয়েছি যে আমার গল্পের চরিত্রকে পাঠক তার সমান্তরালে ভাবতে চেষ্টা করছে। এখানেই লেখক/লেখিকাদের সার্থকতা।

সুন্দর থাকুন।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: আপনি চমৎকার গল্প লিখেনতো! খুব ভালো লেগেছে লিখাটি। মাটি ভরানি নিয়ে অনেক সত্য গল্প বা ঘটনা বিভিন্ন মন্তব্যে এসেছে। পাঠে কিছুটা অস্বস্তি হলেও ব্যাপারটা ঠিকই আছে, অনেক চালাক মানুষও এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। আর আমি নিলেও রিয়াল ভাঙ্গানোর ঘটনাতে জড়িয়ে পড়েছিলাম। ১ম এবং ২য় বার ওরা আমাকে আসল রিয়ালই দিয়েছিলো ৩য় বার যখন ওরা আমাকে ওদের কাছে যেতে বললো তখন বুঝতে পারলাম এটা আসলে একটা ফাঁদ। রাবের ভয় দেখিয়ে দেয়েছিলাম। ব্যাস, আর যোগাযোগ করেনি। হাহ হাহ হাহ। শিক্ষা পেয়েছি। এখন অন্যকেও সাবধান করতে পারি। শুভেচ্ছা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

টুম্পা মনি বলেছেন: :-P :-P :-P

লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা যমুনার চোরাবালি,

আমরা আসলে অহরহই ঠোকি। আমি নিজে দুদিন আগে আমার আই ফোনের জন্য ব্যাটারী কিনতে গিয়ে ঠোকে এসেছি। :( :( :( :(
ব্যাটারী একদিনও চলে নাই। পরে ফেরত দিতে গেলে পুরা অস্বীকার খাইসে। বলসে ওদের থেকে কিনি নাই। X(

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম গল্পে ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

টুম্পা মনি বলেছেন: ভালো লাগা গৃহীত হইল,

ভালো থাকুন।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বৃত্তবন্দী জীবন !~
সুন্দর গল্প !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি,

অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। ইদানিং ব্লগে কম আসেন বোধয়।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার গল্প । চমৎকার লেখনী । পড়ে অনেক ভাল লাগল ।

সাদামাটা একজন সর্বহারার স্বপ্ন নিয়ে গল্পটি অসাধারনভাবে সাজিয়েছেন । পরনতিটা অনেক ভাল লেগেছে নাটকীয়তা দেন নি বলে । :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩

টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার কলমের কালি শেষ। তবুও কত কিছু লিখলেন। অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মন খারাপের গল্প। নানা রকম মন খারাপের উপাদানের গল্প।

ভালো লেগেছে, সহজাত বর্ণন ভঙ্গি।


আর ভালো লেগেছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে পাঠকের জিগ্যাসায় লেখকের ব্যক্তিক অবস্থান।

শুভকামনা ডাক্তার।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫

টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠকের অভিব্যক্তির জন্যই তো ব্লগে লেখা। নানা জনের মনের ভাষা বোঝা যায়।

শুভেচ্ছা দুজ্জয়।

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা শোভনরা সারা জীবন কষ্টই পেয়ে গেল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

টুম্পা মনি বলেছেন: কিছু মানুষ পৃথিবীতে কেবল দুঃখ পেতেই আসে!

শুভেচ্ছা বিদ্রোহী।

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: চমৎকার লেখা!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২০

টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক,

সুন্দর থাকুন।

২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২০

অপ্রতীয়মান বলেছেন: গল্পের চরিত্রটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। ভাগ্য বারবার তাকে পরিহাস করেছে। জানিনা সামনে কি হবে, তবুও আফসোস থেকে যাচ্ছে ছেলেটার জন্যে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রতীমান,

আমাদের সমাজ শোভনদের হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ করলেও তার রক্ত ক্ষরণ কখনোই দেখে না। :(

২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আমাদের সমাজের শোভন'রা এভাবেই হয়ত নিয়তির কাছে হেরে যায়। কষ্ট হচ্ছিল লেখাটি পড়ে।
খুব সুন্দর লিখেন আপনি । গল্পের হাত বেশ ভাল। অনুসরনে আছেন। মিস করবোনা আপনার লেখা।

ভাল থাকবেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আমিও ব্লগে আসলে প্রিয় ব্লগারদের লেখাগুলো খুঁজে খুঁজে পড়ি। আপনার কবিতাগুলোও মিস হবে না ইনশাআল্লাহ।

২৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

সুমন কর বলেছেন: আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। ছোট গল্পে পরিপূর্ণ বর্ণনা। কিছু বর্ণনা মন ছুঁয়ে গেল।

গল্পে প্লাস।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর,

সুন্দর থাকুন।

২৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

টুম্পা সাড়া বলেছেন: মাটি ভরা েফান .এ কাজটা বেশিরভাগ গুলিস্থানে হয়ে থাকে. পেপারে পড়েছিলাম। ভালো হয়েছে মিতা :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিতা। সত্যি আমাদের সমাজে অনেক প্রতারণা। এত প্রতারণার ভীড়ে কমল হৃদয়গুলো বলি হওয়া ঘটনাগুলো অহরহই লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়।

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

জলমেঘ বলেছেন: ভালো লাগলো। গল্প রিয়েলিটির সাথে না মিলিয়ে লিখলে আরো মজা হত। যেমন, মোবাইল থেকে মাটি বের না হয়ে যদি ড্রাগন বের হত :) একটু মজা করলাম। সিরিয়াসলি নিবেন না আশা করি। থাকুক না সবটুকুই কল্পনা। গল্প হোক গল্পের মত। সাবলীল লেখনী ভালো লেগেছে। কাঠখোট্টা গল্প ভালো লাগেনা। সহজ সুন্দর গল্প বেশি মজার।

ভালো থাকবেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২০

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা দারুণ বলেছেন তো। এখন মনে হচ্ছে মোবাইলটা থেকে ড্রাগন বের করলে আমিও বেশ মজা পেতাম। আজকাল এন্ড্রোয়েড গেইমের মারফতে দিনের অনেকটা সময় ড্রাগ, পেক্কা, জায়ান্ট, গলেম এসবের সাথে থাকি। অনেক ভালো কেটে যায় সময়। গল্পেও তারা উঠে আসলে মন্দ হয় না।

শুভরাত্রি।

২৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

একলা ফড়িং বলেছেন: মন খারাপের গল্প :( :(


কিছু কিছু মানুষের জীবন হয়তো এভাবে হারাতে হারাতে আর হারতে হারতেই পার হয়ে যায়! :| :|



এবার একটা আনন্দের গল্প দিয়ে মনা ভালো করে দাও আবার টুম্পুউউউ :)


৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

টুম্পা মনি বলেছেন: কিছু কিছু মানুষের জীবন হয়তো এভাবে হারাতে হারাতে আর হারতে হারতেই পার হয়ে যায়!

সত্যি তাই গো একলা ফড়িং। জীবন কখনো কখনো আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। অনেক বেশি ভয়ংকর।

আনন্দের গল্প লিখব। দেখি মাথায় আসে কিনা।

শুভেচ্ছা জেনো।

২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভালো লিখেছেন :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠের জন্য,

সুন্দর থাকুন।

৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :(

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

টুম্পা মনি বলেছেন: B-) B-)

৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অনুভূতির গুঞ্জরনে সাদাসিধে কোলাহল। আশাকরি শোভনদের গল্প এখানেই শেষ হয়ে যাবে না; নতুন সুরে গুঞ্জরিত হবে আবার। শুভ কামনা, টুম্পা মনি।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

টুম্পা মনি বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু,

জীবনে বেঁচে থাকতে হলে মানুষ বরাবরই নতুন সুর বাঁধতে চেষ্টা করে। এটা ঠিক কারো কারো সুর বরাবরই বেসুর হয়ে যায়। তবুও বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা তো সব সময় থাকেই।

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০০

ইমিনা বলেছেন: একটা মানুষের জীবনের কিছু গল্প যে এতটা জীবন্ত ও মর্মস্পর্শী হয়ে উঠতে পারে তা কেবল মাত্র লেখকের বর্ণনার বিন্যাসের জন্যই সম্ভব। গল্পটি পড়তে গিয়ে একবারও মনে হয় নি যে এটা শুধুমাত্র একটা গল্প যা আমি পড়ে উপলব্ধি করছি। বরং মনে হচ্ছে আমি যেন একটা জীবন দেখলাম যে জীবনটা শুধু স্বপ্নভঙ্গের জন্যই নির্ধারিত করা হয়েছে।
গল্পে ভালোলাগা রেখে গেলাম আপু।
শুভকামনা সব সময়।।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা ইমিনাপু,

কষ্টগুলোকে যদি কলমের আঁচরে আঁকা যায় সেখানেই লেখক লেখিকার সার্থকতা। এই গল্পটা লিখে ভাবছিলাম গল্পের কষ্টটা কত খানি উপযোগিতা পেলো। সত্যিকারের শোভনের জীবন কত খানি আঁকতে পারলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে কিছু নিশ্চিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মুন্না হাসান(অচেনা পথিক) বলেছেন: ভাল লাগল....

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

টুম্পা মনি বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কষ্টের গল্প। সাধারন গল্পের অসাধারন বর্ননা। ৯ তম ভালোলাগা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০০

টুম্পা মনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তনিমাপু,

ঈদ মোবারক।

৩৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:








আমি এই সেক্টরে বরাবরই ভীতু মানুষ , তাই নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছিলাম :)
দেখেছেন কতগুলা ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা দিলাম ;) হাহাহাহা
আর আমাদের বাসার ছাদে সন্ধ্যায় চা খাওয়ার দাওয়াতও দিলাম , আপনি তো দিবেন্না :P :P :P :P B-)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: এহ এখন শুভেচ্ছা দিয়ে কাজ হবে না। শুভেচ্ছা বাসী হয়ে গেসে। :D তবুও থিংকু,

চায়ের দাওয়াতের জন্য আরেকটা থিংকু, আর আমি দাওয়াত দিবো না কে বলল? আফটারওল আই এম নট কিপটা লাইক ইউ। আমাদের বাসার ছাদে চায়ের সাথে টা এর দাওয়াতও রইল।

৩৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০১

তাওহীদ৭১তমাল বলেছেন: আরে না, হিয়ার আরেকটা গোপন বয় ফ্রেন্ড ছিল,তার জন্য কাঁদছে :P

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

টুম্পা মনি বলেছেন: ছে ছে ছে হিয়া এমুন না। তার কোন গোপন বয় ফ্রেন্ড নাই। B-)

৩৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

তাওহীদ৭১তমাল বলেছেন: হুম্‌, বুঝলাম
সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার অগাধ বিশ্বাস। :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০১

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। স্রস্টাই যে ভালো জানেন সৃষ্টি সম্পর্কে :D

৩৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

এম এম করিম বলেছেন: সুন্দর গল্প।

১০ম ভালোলাগা।

ভালো থাকুন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০২

টুম্পা মনি বলেছেন: পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা এম এম করিম,

সুন্দর থাকুন,

শুভরাত্রি ।

৩৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

জাফরুল মবীন বলেছেন: কারো জীবন বা ভাবনার কথা অক্ষরের সাহায্যে পাঠকদের কাছে প্রাণবন্ত করে ফুটিয়ে তোলার সক্ষমতার উপরই একজন লেখকের সাফল্য ও দক্ষতা নির্ভর করে।আপনি সফল ও দক্ষ লেখক। :)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। লেখাটা কতটুকু প্রাণবন্ত হয়েছে জানি না তবে আপনার লেখা পড়ে সৌন্দর্য সচেতন তরুণ/তরুণীরা প্রাণবন্ত হতে পারে। আমি নিজেও অনেক উপকৃত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.