অবন্তী ও অপুর গল্প

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

অনেক দিন পর একটা পরিচিত মানুষের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। প্রায় বছর দুই আগে শেষবার দেখা হয়েছিলো। তারপর হঠাত করেই দুজনের পথ দু দিকে বেঁকে গেছে। সেই থেকে আজ অবধি এই আমি।


বিন্দু বিন্দু সময় যাচ্ছো আর একটু একটু করে অস্থিরতা বাড়ছে।

অবন্তী কি আগের মতো আছে নাকি বদলে গেছে। ওর কি পুরোনো স্মৃতি একবার ও নাড়া দেয় না??

একটা সময় ছিলো অবন্তী কে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা ও অসম্ভব বলে মনে হতো । আর আজ তাকে ছাড়া দিব্যি দিন কেটে যাচ্ছে। শুধু দিনশেষে ঘরে ফিরে মনে হয় কি যেন নেই, কি যেন নেই। রাত বারে আর বারে অবন্তী র জন্য অপেক্ষা।


অনেকদিন পরে চিরচেনা সেই একি পথে হাটছি । এতোদিন একা হাটতাম আর আজ অবন্তী সাথে।

_ কথা বলছো না যে?? আর কতোক্ষন চুপচাপ হাটবো??

_ অবন্তী??

_ কি??

_ না কিছু না। তুমি বলো। আমি শুনি। কতোদিন যাবত তোমার কথা শুনা হয় না।

_ আচ্ছা অপু তুমি কি এখনো আমাকে ভালবাসো??

_ ভালবাসি কিনা জানি না তবে এটুকু বলতে পারি এখনো ভোর হয় তোমার অপেক্ষায়। বৃষ্টি রোমন্থন করি অবন্তী তোমার প্রতিক্ষায়।

_ তোমার হাতটা দিবা একটু? শুকনা কট কটা হাতটা কতো দিন হয়ে গেল ধরা হয় না।

_ আবার কি হাত ধরে ছেড়ে দিবে?? যদি তাই হয়, থাক না অতৃপ্তি টুকু। নাই ধরলা হাত।

_ অপু??

_ কি অবন্তী??

_ তুমি বললে আজ দুজনে
নীল রঙা বৃষ্টিতে ভিজব ।।
রোদেলা দুপুরে একসাথে
নতুন সুরে গান গাইবো ।।
শেষ বিকেলের ছায়ায়
নীল
আকাশের বুকে আমি,
লাল রঙা স্বপ্ন আঁকব ।।
তুমি চাইলে আজ
দুজনে সাত
রঙা প্রজাপতি ধরবো ।।
নোনা বালিচরেতে একসাথে
আকাশের সমুদ্র স্নান দেখবো ।। গোধুলির
আলো আঁধারিতে ঊর্মির
সাথে দুজনা,
নীলের বুকে আজ হারাবো ।।
আমি কবি নই,
তবু কাব্যের ভাষাই বলবো আজ তোমার হাসির
শ্রাবণ ঢলে স্বপ্ন
নিয়ে ভাসতে চাই । । ।


_

০ টি +০/-০