অবেলায় রোদ্দুর

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

রাত দুইটা পঁয়ত্রিশ। প্রচন্ড ঠান্ডায় ঘুম ভেঙে গেছে। অবন্তী পাশে ঘুমিয়ে আছে। কি মায়ামায়া মুখ। চোখ দুটো বাতাবী লেবুর মতো গোল। এলোমেলো চুলগুলো সারামুখে ছড়িয়ে আছে। নতুন করে আবার প্রেমে পড়ছি। যৌবন পেড়োনো সেই স্মৃতি নাড়া দিচ্ছে। মন চাচ্ছে ঘুম থেকে উঠিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আবার প্রপোজ করি। চোখে চোখ রেখে বড্ড বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসি তোমায়।

_ এই বউপাগলা হা করে কি গিলছো?? এমন করে কেউ মাঝরাতে তাকিয়ে থাকে??

_ কই কি গিললাম?? আমি তো তোমাকে দেখছি আর কি। তুমি বড়ই সৌন্দর্য।।

_ বুইড়া বয়সে ভিমরতি ধরছে তোমার। তারাতারি ঘুমাও।

_ অবন্তী.....

_ কি?? তারাতারি বলো। ঘুমাবো।

_ আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবে??

_ কি হইছে বলো তো বউপাগলা?? শরীল খারাপ তোমার??

_ ধরতে বলছি ধরো তো।


বুকে মাথা দিয়ে শক্ত করে ধরে আছে অবন্তী। তিন যুগ পেড়োনো বসন্তে অনেক কিছু পেয়েছি কিন্তু হলফ করে বলতে পারি এর চাইতে সুখের কিছু আর নেই। কিছুক্ষনের জন্য হলেও দুনিয়ার সব কষ্ট ভুলে গেছি। চোখ ভাঙা ঘুমে নতুন করে ভালবাসার স্পর্শ পাচ্ছি। স্পর্শ পাচ্ছি অবন্তী র সেই মায়াময় কোমল হাতের। বার বার হারাচ্ছি তেপান্তরের সেই নির্জন প্রান্তরে। আমি পেয়েছি, ইহাকে পেয়েছি আমার করে। লজ্জার মাথা খেয়েও বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়।

০ টি +০/-০