শুভ র গল্প

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

রিংটোনের তীব্র শব্দে ঘুম ভাঙে শুভর। একটা অপরিচিত নাম্বার। কেটে দেওয়ার পরেও বারবার ফোন দিচ্ছে। নিরস মুখে ফোন ধরে শুভ।

_ হ্যালো। কে??

_ একটু দেখা করতে পারবে??

_ কেন??

_ কিছু কথা ছিল। যদি দেখা করতে তাহলে ভাল হতো।

_ আচ্ছা। কখন??

_ এইতো এখন। তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি অপেক্ষা করছি।


টুট টুট শব্দে লাইন কেটে যায়। না আর কেও না। অবন্তী র ফোন। নতুন করে আবার কি চায়?? আবার কেন দেখা করতে বলে?? ওর ইচ্ছেতেই তো সব শেষ করে দিয়েছি। যা ছিল সব।

অবন্তী র সাথে ব্রেক আপ প্রায় সাত মাস। ভালই চলছিল। হঠাত করে কি হলো কিছুই বুঝলাম না। এলোমেলো হাওয়ায় সব উড়ে গেল। শেষ যা ছিল তাও নিংড়ে ফেলে দিয়েছি। কি হবে ময়লার ঝুড়ি বয়ে বেড়ানো। তাতে শুধু দূর্গন্ধ ছড়ায়।


অবন্তী র সামনে বসে আছি। সেই চিরচেনা মুখ। ঠোঁটের কোনে জমে থাকা সেই বিজলী বাতি আর নেই। গোলগাল মুখটা শুকিয়ে সূচালো হয়ে গেছে। রুক্ষ চুলগুলো আটির মতো করে বঁাধা। কি জানি এ হয়তো নতুন কোন স্টাইল।


_ কি কথা বলবে না??

_ হুম। তুমি বলো।।

_ কেমন আছো??

_ এইতো যেমন দেখছো। কি জন্য আসতে বলছো??

_ আমাকে মাফ করে দিলে হয় না??

_কিসের জন্য??

_ আমি জানি আমি ভুল করেছি শুভ। সে ভুলের কোন ক্ষমা নেই। সত্তি বলতে আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি। চলো আমরা আবার আগের মতো হয়ে যাই।।

_ কিসের ভুল করছো। তোমার কোন দোষ নেই। নতুন করে শুরু করতে হলে তো আমার ও তোমার মতো একটা রিলেশান করে দেখা দরকার। যদি মনে হয় ভুল করেছি। তখন যদি তোমার কাছে ফিরে তুমি কি ক্ষমা করবে??

_ তুমি নতুন করে রিলেশান করবে মানে??

_ আমি কিন্তু উত্তর পাইনি অবন্তী??


অবন্তী নিশ্চুপ। কাকের মতো চোখ দুটো ছলছল করছে। সত্তি বলতে কি আমার দেখে কোন কষ্ট হচ্ছে না। শুধু ভিতরে যেন কেমন একটা মোচর দিয়ে উঠলো। এরি নাম হয়তো ভালবাসা।।

মাফ করো অবন্তী। আমি চলে যাচ্ছি।

অবন্তী আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। দুচোখ জুড়ে ছলনার আগুন। আমিই বা কেন মিছিমিছি পুড়বো। সকাল বেলা অবন্তী রা আলো দেখে ঠিকি তার দিকে দৌড়ায় কিন্তু দিনশেষে যখন দেখা যাবে অন্ধকারের কাছেই ফিরে আসতে হবে তখন ঠিকি ফিরে এসে ছলছল চোখে বলবে " প্লিজ ক্ষমা করে দাও। আমার ভুল হয়েছে। "

আমি জানি, আমি আবার সেই ভুল করবো না। কারন আমি জানি, রাত শেষ হলে আবার অবন্তী রা অবন্তী হয়ে যাবে। আমি আর নতুন করে কাঁদতে চাই না।

২ টি +০/-০