বৃষ্টিকাব্য

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি। বিন্তী তাকিয়ে আছে। আমি এমনিতেই চা খাই না। শুধু মেয়েটা কে খুশী করার অভিপ্রায় মাত্র।

_ কি চিনি হয় নাই?? আর একটু দিবো?

ঃ না। একদম ঠিক ঠাক হইছে। জীবনে এতো মজার চা কখনো খাওয়া হয় নি।

_ তুমি তাইলে বসো। আমি আর এক কাপ বানায় নিয়া আসি। আমি বলছিলাম না আমি ভালো চা বানাই তে পারি। তুমি তো হেসে উড়ায় দিছিলা।


বিন্তী পুনরায় চা বানাচ্ছে। চা টা সত্তিই অনেক ভালো হইছে। আর এক কাপ নিঃসন্দেহে শেষ করা যায়। কিন্তু ভয় হচ্ছে আবার যদি বানায়।

_ ক্ষুধা লাগে নাই?

ঃ চা খাওয়াই তো পেট ভরে ফেলছো। খাওয়ার জায়গা কই??

_ সরি। ভালো হইছে বললে তো, তাই আর কি।।

মুখটা গোলাপি হয়ে গেছে। সৌন্দর্যরূপ নিংড়ে বেরুচ্ছে। আমি নিঃসংশয় ভাবে বলতে পারি আমার জায়গাতে নিউটন থাকলে আপেল তত্ত্ব বাদ দিয়ে সৌন্দর্যতত্ত্ব লিখে ফেলতো। হয়তো সেটা হয়ে যেতো কোন এক মহাকাব্য। শুরু থেকে শেষ অবধি বিন্তীময়।


_ মুখ বন্ধ করো। মশা ঢুকবে।

ঃ ঢুকলে আর কি করা যাবে। ওইটা বের করে তোমাকে দিয়ে যাবো। তুমি ফ্রাই করে খেয়ে নিও।।

_ ছিঃ ছিঃ ছিঃ। এতো নোংরা কেন তুমি??

ঃ ধুর তাতে কি হইছে।

_ তুমি একটু বসো। তোমার জন্যে কিছু নিয়ে আসি।


ঠান্ডা বাতাস বইছে। টিপটপ বারান্দা। আমি বসে আছি। জীবন টা নেহায়েত মন্দ না।

_ তোমার কি বিড়বিড় করে কথা বলার অভ্যাস টা এখনো গেলো না??


ভোর ছয়টা সতেরো। ঘুম ভেঙে গেছে। বাইরে ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে। বিন্তী ফিরে এসেছে তবে স্মৃতি হয়ে। বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চারিদিক। দেয়ালে দেয়ালে হাসির ঝলকানি। ঠিক যেন বৃষ্টিকাব্য.... না না না তুমি বিন্তী কাব্য।।।

৬ টি +০/-০