শেষ বিকেলের মেয়ে ঃ প্রিয়ন্তী

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

মাঝেমাঝে কড়া রোদে উদ্দেশহীন হাটতে ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে প্রায়শই কাজটা করা হয়ে। আজকেও হয়তো মন খারাপ। শেষ সম্বল বলতে পকেট এ এগারো টাকা। সিগারেট ধরাবো কিনা চিন্তা করছি।

কেও একজন হয়তো পেছন থেকে ডাকছে। আমার পেছনে তাকাতে ইচ্ছে করে নে। যদি আবার সেই মুখ দেখতে পাই।

_ আপনাকে এতোক্ষণ যাবত ডাকছি। উত্তর দিচ্ছেন না কেন??

ঃ না...মানে... বুঝতে পারিনি।

_ এই নিন টিস্যু। সুন্দর ছেলেদের কাঁদলে কেমন কেমন জানি লাগে। অন্তত ভালো লাগে না।

সদ্য যৌবনে পা দেয়া এক লকলকে তরুণী আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে । আর আমি হা করে কথা শুনছি।

_ সুইসাইড করতে যাচ্ছেন?? আমিও যাচ্ছি। চলুন দুজনে একসাথে যাই। অন্তত কথা বলার একজন মানুষ পাওয়া যাবে।

ঃ না। রোদ পোহাতে যাচ্ছি। আমার রোদ খুব ভালো লাগে তো তাই।

_ ইন্টারেস্টিং তো। চলুন তাহলে যাওয়া যাক। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে।

ঃ আচ্ছা আপনার নাম কি?? নাম ছাড়া তো আর একটা মানুষ কে বারবার ডাকা যায় না।

_ হি. হি.হি... আমি প্রিয়ন্তী। আপনি...

ঃ আমি কেও না।

_ ইন্টারেস্টিং তো। আমি আপনাকে কেও না বলেই ডাকবো।

ঃ চা খাবেন? এগারো টাকা আছে।

_ ইন্টারেস্টিং তো। আমার কাছেও এগারো টাকা আছে। চলুন... সাথে একটা সিগারেট ও ধরানো যাবে। হি.হি.হি...

প্রিয়ন্তী কে যতো দেখছি ততো অবাক হচ্ছি । কিছু সময় মানুষ অল্পতেই অবাক হয়। আমার ও হয়তো সে সময়, তাই অবাক হচ্ছি।

_ চলুন আপনাকে এক জায়গায় নিয়ে যাই। আপনার পছন্দ হবে হয়তো।

ঃ অনেক দূরে??

_ না। এইতো সামনে। আপনি কবিতা লিখেন??

ঃ না। কোন কিছুই লিখতে পারি না।

_ ইন্টারেস্টিং তো। আমিও কিছু পারি না। চার লাইনের একটা কবিতা লিখছি। আপনাকে পড়ে শুনাই...

ঢং ঢং ঢং
আমি সুইসাইড এর যম।
পং পিং পং
তোমার সাথে করবো ঢং।

ঃ হা হা হা। এইটা কবিতা না অন্যকিছু??

_ আপনার মন ভালো হইছে??

ঃ হুম। এই জায়গাতে আসলে আমার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর আপনার কবিতা শুনে তো পেট ফেটে যাচ্ছে। হা হা হা...

_ তপু আমি তোমাকে ভালবাসি?? কখনো ভাবিনি এইরকম সিচুয়েশন এ এসে তোমাকে পাবো। তুমি কিছু বলবে??

_ হুম। আমিও তোমাকে ভালবাসি।


যে মানুষ টা আমার মন খারাপ বলে নীরবে কাঁদে। সে মানুষ টা কে নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায় ভালবাসি। সেই মানুষ টা অন্তত আমার ভেজা চোখ দেখতে চাইবে না। ভুল করে হলেও একা ফেলে যাবে না।।।

৬ টি +১/-০