মৃন্ময়ী

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩০

_ খোলা চুল গুলো বেঁধে বের হওয়া যেতো না? বারবার তো চুল মুখের উপর পড়ছে।

ঃ যতবার পড়বে ততবার তুমি সরিয়ে দিলে কি হবে না??

_ তোমার ছেলে মানুষী গুলো আর গেলো না।

ঃ তুমি থাকতে যাবেও না। হি হি হি...

মৃন্ময়ী র দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আমি। একটু পরপর চুল গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিচ্ছি। হয়তো দুনিয়ার সবচাইতে সুন্দর মুহূর্ত গুলোর একটি।

প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক ভেঙে যখন আমি বারান্দা থেকে লাফ দেয়ার অভিপ্রায়ে মত্ত তখনি হঠাত করে মৃন্ময়ী র আবির্ভাব। দিনকে দিন আমাকে সাজিয়েছে নিজের রঙে। তাই হয়তো আজকের এই আমি।

সত্তি বলতে কি জীবনের কঠিন সময় টা তেই আমি পাশে পেয়েছি মৃন্ময়ী কে। বিভ্রান্ত দূপুর এও হাতটা শক্ত করে ধরে বলতো 'পাশে আছি তো, ভয় কিসের??' তখন কি আর ভয় থাকতে পারে??

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি সত্তিই কতো ভাগ্যবান। জীবনে কোন ভালো কাজ করেছি কিনা তাও হলফ করে বলতে পারিনা। আর আমার কপালেই কিনা এতো ভালো একজন মানুষ। হয়তো সুন্দর পৃথিবী টা আর দেখা হতো না যদি ' যে চলে গেছে তাকে ভেবে নিজেকে শেষ করে দিতাম।'

হয়তো আমার সব অপূর্ণতা গুলোকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছে। আর পেয়েছি নতুন করে বাঁচবার কিছু শক্তি। হয়তো প্রচন্ড পরিমাণ ভালবাসা থেকেই শক্তির আবির্ভাব।

ঃ কি হইছে বউ পাগলা?? হঠাত করে তোমার ভাইব্রেটর অফ হয়ে গেলো কেন??

_ এইতো... তোমাকে নিয়ে ভাবছিলাম।

ঃ হি. হি.হি। কত্তো কিছু...

_ হুম। অনেক কিছু...

ঃ হুম ভালবাসি তোমাকে। তোমার হাত টা সেদিনের মতো ঠান্ডা যেদিন তোমার হাত টা প্রথম ধরেছিলাম।

কিছু কিছু স্পর্শ হয়তো নিমিষে সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। ক্লান্ত দূপুরেও হয়তো ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আর আমিও হয়তো সেই স্পর্শ টা কে ভালবেসে ফেলি জন্ম থেকে জন্মান্তরে।।

০ টি +০/-০