![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মওদুদী জামাতীদের বর্তমান সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মুখাপেক্ষী হতে হবে। মওদুদী জামাতীরা সহিংসতা চালিয়ে মহা অনৈসলামিক কাজ করছে এবং সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী যে ইসলামের দৃষ্টিতে কাফির সে কথার ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে।
জামাতে মওদুদীদের অব্যাহত সহিংসতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। হামলা, গুলি, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের মধ্য দিয়ে তাদের ডাকা হরতাল পালিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়, থানা, স্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি, বাণিজ্য মেলা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। কুমিল্লা, কসবাসহ বিভিন্ন স্থানে রেল-লাইনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। পুলিশ-বিজিবি র্যা ব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপর তারা দফায় দফায় আক্রমণ করছে। এমনকি খোদ থানা আক্রমণ করে পুলিশ হত্যার মতো ন্যক্কারজনক কাজও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
জামাতে মওদুদীর অব্যাহত সহিংসতা আবারো প্রমাণ করে তারা একটি মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। পবিত্র ইসলামের লেশ মাত্র তাদের মধ্যে নেই। কারণ, কুরআন শরীফে স্পষ্ট ঘোষিত হয়েছে “একজনের দোষ-ত্রুটির দায়ভার অপরজন বহন করবে না।” যদি তাই হয় তাহলে কুরআন শরীফের আইন প্রার্থী কথিত জামাতে মওদুদীরা কী করে সাধারণ মানুষকে প্রতিপক্ষ বানাতে পারে? তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করতে পারে? এটা কী ইসলামী কাজ?
ব্যাংক লুট, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন, স্টেশন হামলা, র্যাব-পুলিশ-বিজিবির উপর আক্রমণ এসব কী ইসলামী কাজ! তাদের কুখ্যাত নেতা সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এসব ঘৃণ্য সহিংসতা, নাশকতা, আক্রমণ হত্যাকাণ্ড এসব কী ইসলামী কাজ?
বলাবাহুল্য, সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসির রায়ের প্রক্রিয়ার প্রতি মওদুদী জামাতেরও সমর্থন রয়েছে। নচেৎ তারা এতদিন পর্যন্ত সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর প্রতি ট্রাইব্যুনালে আইনী লড়াই চালিয়ে আসলো কেন ? ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়ার প্রতি যদি তাদের অসমর্থন থাকতো তাহলে তারা প্রথম থেকেই একে অস্বীকার করতো। তাদের দৃষ্টিতে বাঘা বাঘা আইনজীবী দিয়ে লড়াই, সাফাই সাক্ষীর উপস্থিতি ইত্যাদি কর্মকাণ্ড তো মূলত ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সমর্থনই ব্যক্ত করে। এমনকি এখনও আপিল করার সুযোগটাও তারা নিচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া মানবে, বিচারপতি মানবে কিন্তু বিচার মানবেনা এটা তো প্রতারণামূলক। দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মওদুদী জামাতীদের এ প্রতারণা প্রচার করে দিতে হবে। পাশাপাশি জামাতে মওদুদীরা বর্তমানেও হত্যা-লুণ্ঠন চালিয়ে আরো ফাঁসির অপরাধী হচ্ছে। এ ইসলামী কথাও প্রচার করতে হবে।
মওদুদী জামাতীরা কুরআন শরীফের দোহাই দিয়ে থাকে। আর কুরআন শরীফের মধ্যে, “হদে ক্বিছাছ” সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হত্যার বদলে হত্যা।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “সাক্ষ্য-প্রমাণ অনুযায়ীই বিচার হবে। যে ভুল সাক্ষ্য দিবে তার গুনাহ তার উপর বর্তাবে।” এক্ষেত্রে বিচারক বা বিচারে কোনো ভুল হবেনা। এ দৃষ্টিকোণ থেকেও সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর ফাঁসি সম্পূর্ণ ইসলামিক। কারণ তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন ইত্যাদি অভিযোগ সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণাদির উপর প্রতিষ্ঠিত। কাজেই এ রায় সম্পূর্ণ ইসলামিক। কিন্তু এই ইসলামিক রায়ের বিরুদ্ধে আজ জামাতে মওদুদীরা শহীদের নামে আত্মাহুতি দিচ্ছে।
অথচ বর্তমানে সলামের বিরোধী যে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলো, সংবিধান থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে নেয়া হলো তার প্রতিবাদে এই জামাতে মওদুদীরা ‘টু’ শব্দও করেনি। কিন্তু সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীকে দিয়ে ওদের ব্যবসা সচল থাকে। সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ওদের ধর্মব্যবসায় ভালো সেলসম্যান। তাই ওকে রক্ষায় ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সরকারকে এজন্য সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মুখাপেক্ষী হতে হবে। একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজন পেতে পারেনা- কুরআন শরীফের এই আয়াত শরীফ অনুযায়ী জামাতী মওদুদীরা যে মহা অনৈসলামিক কাজ করছে সেটা ধর্মপ্রাণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশপাশি মওদুদী জামাতীরা যে ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের তাদের বিশ্বাসে কুফরীতে পরিপূর্ণ সে কথাও সরকারিভাবে প্রচার করতে হবে এবং সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী যে এই জামাতে মওদুদী তথা কুফরীর ধারক-বাহক তথা মহা কাফির সে কথাও ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে। পাশাপাশি শুধু সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারেই সন্তুষ্ট থাকলে চলবেনা- সে যে তাফসীরের নামে এদেশের ধর্মপ্রাণদের অধর্ম শিখিয়েছে, ইসলামের নামে কুফরী বিশ্বাস প্রচার-প্রসার করেছে সর্বোপরি ইলমে তাছাউফ, ওলীআল্লাহগণ উনাদের বিরুদ্ধে চরম বিষোদগার করে এদেশে মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত এনেছে সেজন্যও ধর্মদ্রোহী, ধর্ম অবমাননাকারী ও ধর্ম অপব্যাখ্যাকারী সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীর বিচার করতে হবে।
মোদ্দাকথা, বর্তমান পরিস্থিতি সামলে নিতে সরকার যত ইসলাম উনার সাহায্য নিবে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে চলবে ততই বিষয়টি সহজ হবে। দেশের মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন মিলবে।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০১
মুহম্মদ মুসাদ্দিক হুসাইন সাজু বলেছেন: ব্যাংক লুট, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খুন, স্টেশন হামলা, র্যাব-পুলিশ-বিজিবির উপর আক্রমণ এসব কী ইসলামী কাজ!
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
িলপু_িসলেট বলেছেন: Ki hosse keno hosse prekkapot ki ta bibechona korun. Judde manus mara R amnite mara ki ak bisoy ??
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
িলপু_িসলেট বলেছেন: Hasina , khaledar jonno koyta luk morbe ? Ai sai saydi jar jonno lako kuti musolman pran dite prostut. Apni moira deken apnar jonno kutta akta more ki na shondeho!