নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ..আমার লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাই এইখানে। :) ফেবুতেও বেশ লেখালেখি হয় । আমার ফেবু আইডি উল্লাস চৌধুরী ।

উল্লাস সাইমুন

আমি খুবই সাধারণ..আমার লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাই এইখানে। :) ফেবুতেও বেশ লেখালেখি হয় । আমার ফেবু আইডি উল্লাস চৌধুরী

উল্লাস সাইমুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিবাসীরা কি মানুষ নয়?

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

দৃশ্য ১ : স্বামীকে বেঁধে রেখে গর্ভবতী স্ত্রী কে ধর্ষণ করছে পাকিস্তানী সৈন্যরা । সময়টা ৭১।

দৃশ্য২ : রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গর্ভবতী মার্মা মহিলাকে পাঁচজন বাঙালী ধর্ষণ করছে । সময়টা ২০১৫।

এটা মাত্র একটা ঘটনার উদাহরণ দিলাম , অবস্থাটা এমন হয়েছে প্রায় প্রতি মাসেই একটা দুটো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে । সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় দেশটা বাংলাদেশ এবং ধর্ষকরা কেউ পাকিস্তানী নয় , বাংলাদেশী !!
মজার বিষয় হল মেইনস্ট্রিম পত্রিকাগুলোতে অমুক নায়িকার ব্রেসিয়ারের ফিতার ছবিটা বেশ স্পষ্টই আসে , অমুক নেতার হাঁচি কাশির খবর বড় বড় শিরনামে বের হয় । কিন্তু এই আদিবাসী সরল মানুষগুলোর কান্নার শব্দ তাদের কাগজে জায়গা পায় না ।
এর চেয়ে মজার বিষয় হল, বাঙালীদের পায়জামার ফিতা যে এই সব আদিবাসী মেয়েদের দেখলেই আজকাল ঢিলা হয়ে যাচ্ছে সে খবর বেমালুম চেপে যাচ্ছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো।
জি জি , সব বাঙালী পুরুষ এক না । যারা ধর্ষণ করছে ওরা মোটেও বাঙালী না । ওদের কোন জাত পাত নেই । সবই মানছি ,
কিন্তু প্রশ্ন হল এই এক দুলাইন বলেই যখন আপনার প্রতীবাদটা ঢেঁকুরেই ফুঁড়িয়ে যাচ্ছে এবং আপনার এই চুপ হবার সুযোগে ঐ শুয়োরেরা আর একটি ধর্ষণের সুযোগ খুঁজছে সে জন্য কি আপনি দায়ী নন ? মেইনস্ট্রিম পত্রিকাগুলোর চুপ থাকা , আমাদের মিউ মিউ স্বভাব আর নেতাদের চোখ বন্ধ রাখাটাও কি এক ধরণের ধর্ষণ নয়?
আমরা বাঙালীরা পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি , কেন করি সেটা সবাই জানি । খুব ছোট্ট একটা প্রশ্ন করি , এখন যদি এই আদিবাসী গোষ্ঠী ঠিক একই ভাবে বাঙালীদের ঘৃণা করে সেটা কি খুব অযৌক্তিক হবে ?
আমরা বাঙালীরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করি , আমরা বলি আমরা একটা প্রতিবাদী সংগ্রামী জাতি। দাম দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি কিন্তু যখন দেখি সেই জাতিই এখন পাকিদের মত আচরণ করা শুরু করেছে তখন খুব লজ্জা হয় ।
এক জন আদিবাসীর উপড়ে আঘাত মানে সমস্ত বাঙালীদের উপড়ে আঘাত । স্পষ্ট করে বলতে চাই স্বার্থপর মিডিয়া কর্তারা , নেতা এবং সুশীল টকমারানিরা চোখে কানে কাপড়্গুজে বসে থাকুক ।
যেহেতু আমরা কার দালালী করি না তাই এই সরল আদিবাসী মানুষগুলোর উপর নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি । প্রয়োজনে আমরা ওদের পাশে থেকে ঐ সব শুয়োর স্বভাবের অত্যাচারী বাঙালীদের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করব । আমার আদিবাসী বোনটি , ভাইটির পাশে আছি থাকব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ঢাকার বাসাবাড়ি, কূটনীতিক, কারখানা অদক্ষ গারো শ্রমিকে ভর্তি। পথহারা গারো বালিকাদের ধর্ষণ করে হত্যা করে টুকরো বানিয়ে নদীতে ফেলে। রাঙ্গামাটিতে প্রতিবাদের লোক আছে কিন্তু গারোদের কেউ নেই।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: শুধুমাত্র খাগড়াছড়ি থেকেই ইউপিডিএফ বৎসরে চাঁদা আদায় করে প্রায় ৪৫ কোটি টাকার। অপহরণ বাণিজ্যে আরও ৪-৫ কোটি টাকার মত। পুরো পার্বত্যাঞ্চলে সবগুলো উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠির চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যে বার্ষিক আয় প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা। এর এক-চতুর্থাংশ ব্যয় হয় অস্ত্র কেনায়। প্রতিটা সন্ত্রাসী সদস্যের কাছে একটা করে কেলাশনিকভ রাইফেল আছে (বর্তমানে এদের চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে বিজিবির ক্যাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে)। স্থানীয় বাঙালিরা তাদের দয়ায় আতঙ্কে বেঁচে আছে। তারা বন্দি সেটেলার পাড়ার ক্ষুদ্র চৌহদ্দিতে। তাদের শিক্ষা নাই, জিয়া এনে তাদের এখানে সেটেল করেছিল বলে বর্তমান সরকার তাদের প্রতি বিরূপ। তাদের পক্ষে কেউ নাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম রিজিওনাল কাউন্সিল, ৩টি পার্বত্য জেলা কাউন্সিলসহ সকল প্রতিষ্ঠানে আছে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। সংসদ, উপজেলা এবং ইউনিয়ন নির্বাচনেও আছে উপজাতিদেরই একক প্রাধান্য। প্রশাসনের সকল ক্ষমতা নিয়ে তারা বাঙালিদের উপর সকল বৈষম্য চালায়। বাঙালি পাড়ায় রাস্তাঘাট বা ইলেক্ট্রিসিটি বা ক্লিনিক বা প্রাথমিক স্কুল বা বাজারঘাট সংস্কার তারা কখনও অনুমোদন করে না।

অর্থাৎ, তাদের আছে অস্ত্রের ক্ষমতা, সন্ত্রাসী দলের সুবিধা ও সহযোগীতা, তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, বামপন্থী ও ছুপা বামপন্থী মিডিয়া ও দলগুলোর সর্বাত্মক সহযোগীতা। আছে সরকারের পরোক্ষ সমর্থন (সেটেলারদের শত্রু বিবেচনায়)। আছে সাংবিধানিক সকল পার্বত্য প্রতিষ্ঠানে একচ্ছত্র আধিপত্য, সকল নির্বাচনী পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এত কিছুর পরে উপজাতিদের পার্বত্য এলাকায় দুর্বল বা কোনভাবে বৈষম্যের শিকার ভাবা নির্বোধ মনবৈকল্যের লক্ষণ।

চাকমারা পার্বত্যাঞ্চলের সকল সুবিধাভোগী। এমন কি, মারমারা ছাড়া অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোও নয়। চাকমাদের শিক্ষার হার ৯০%, উপজাতি চাকুরি ও উচ্চশিক্ষা কোটার প্রায় পুরোটা তারাই (দেশের জনসংখ্যার ০.৫ শতাংশ হয়েও) ভোগ করে।

এবার আসি ধর্ষণ প্রসঙ্গে। ধর্ষন একটি ঘৃন্য অপরাধ, তাকে কোনভাবে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নাই। কিন্তু ধর্ষনের অভিযোগ আনাকে একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করলে সত্যিকারের অপরাধ তাতে চাপা পড়ে যায়, সেখানে ভিন্ন ভাবনার অবকাশ আছে। বাঙালিরা যেমন উপজাতি মেয়েদের ধর্ষণ করে, উপজাতিরাও বাঙালি মেয়েদের সুযোগ পেলেই ধর্ষন করে, প্রথম আলো টাইপ পত্রিকা বা সুলতানা কামাল টাইপ বুদ্ধিজীবিরা সেটা কখনও মুখে আনেন না, উল্টোটা হলে তাদের মুখে/কলমে খই ফুটে। তবে বাঙালি মেয়েরা যেহেতু সেটেলার পাড়ায় বন্দি থাকে, তাদের উপজাতিদের পক্ষে ধর্ষন করার সুযোগ কম থাকে, উল্টোটা উপজাতি মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যদিকে কোন বাঙালি মেয়ের উপজাতি ছেলের প্রেমে পড়া একটা বিরল ব্যাপার। উপজাতি মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টা, বাঙালি ছেলেরা তাদের সহজাত পছন্দের তালিকায় বরাবর থাকে। এখানে অন্তত অর্ধেক ধর্ষণের ঘটনা প্রকৃতপক্ষে প্রেমঘটিত ব্যাপার। কোন বাঙালি ছেলের সাথে প্রেম হলেই তাকে ধর্ষণের গল্প বলে প্রচার করা উপজাতিদের একটা প্রিয় ঘৃন্য ট্রিকস। এক চাকমার ব্লগে আফসুস দেখেছি, বাঙালি ছেলেদের প্রতি তাদের মেয়েদের অবসেশন দেখে, এমনকি কনকচাঁপা চাকমা কেন বাঙালি বিয়ে করলেন তাতেও ছিল বিষোদ্গার। এই ভিডিওটা দেখে বিষয়টা খানিক আন্দাজ করতে পারবেন।


আসি অন্য প্রেক্ষিতে, উপজাতিদের আদিবাসী পরিচয় দিয়ে জাতিসংঘের আইএলও সনদ ১৬৯ স্বাক্ষর করিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইস্ট টিমর ও দক্ষিন সুদানের মত করে স্বাধীন করার একটা ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে ২০০৭ থেকে। সেই ষড়যন্ত্রে আছে সুলতানা কামালের কেপেনহেগেনভত্তিক সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি, আইএলও, এদেশে রাজা দেবাশিস চাকমার কাপেং ফান্ডেশনসহ অসংখ্য দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্রী মহল (বর্তমান সরকার ঐ ষড়যন্ত্রে প্রায় পা দিয়ে ফেলেছিল, শেষ মুহূর্তে ফাঁদ কেটে বেড়িয়ে আসে). উপজাতিদের কাছে বিস্তর অস্ত্র থাকলেও তারা সেসব পারতপক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে না, শুধু চাঁদা আদায় ও অপহরণ বাণিজ্যে এবং নিজেদের মধ্যে [ইউপিডিএফ, জেএসএস (মূল) ও জেএসএস (সংস্কার)] আধিপত্য বিস্তারের জন্য ব্যবহার করছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভবিষ্যত যুদ্ধে শক্তি সঞ্চয় ও তা ধরে রাখার কৌশল নিয়েছে। গত দুই বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের অসংখ্য অস্ত্র চোরাচালান উপজাতি সন্ত্রাসীসহ ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ধরা পড়েছে। ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়ার একাধিক তথ্য জানা গেছে। বিশেষ মহল থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা সর্বাত্মক যুদ্ধে যাবে, তা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই সময়ে তারা বাংলাদেশের সরকার, সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙালিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, শান্তিচুক্তি না মানা ইত্যাদি অভিযোগে ইন্টারনেট ও মিডিয়ায় সুপরিকল্পিত ঘৃনোদ্দীপক ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। [২০১৫ সালে শুধুমাত্র ০১ জানুয়ারি ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০দিনে জাতীয় পত্রিকাগুলো উপজাতিদের পক্ষে ৬১টি নিউজ করেছে। সূত্র- সিএইচটি কমিশনের ওয়েবসাইট]

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিচুক্তির বলে ন্যূনতম আভিযানীক কার্যক্রম চালিয়ে গুটিয়ে আছে, আর ইন্টারনেট ও মিডিয়ার অবারিত ক্ষেত্র উপজাতিদের একপাক্ষিক অভিযানের জন্য ফেলে রাখা হয়েছে। এই মঞ্চে নামাতে শাম্তিচুক্তি আমাদের বারন করেনি, সেটা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রও না, ক্ষেত্রটা আমার-আপনার, আমরা নামছি না সেই ময়দানে। নাকি আমরা উপজাতিদের সেই অভিযানের একজন ভিক্টিম হয়ে প্রকৃত ভিক্টিম স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধেই বিষোদ্গারে নামব?

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি ও ধর্ষণে অভিযোগ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.