নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৬ এর দিকের কথা , আমাদের পাশের বাসায় সুমি আপুরা থাকত ।ওনারা দুই ভাই বোন । উনি ছোট আর ভাইয়া বড় ।ওনার বাবা মানে আঙ্কেল সরকারি চাকরি করতেন। উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা । আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল । কিন্তু ওনাদের দুই ভাই বোনেরই বিয়ে হচ্ছিল না । কারণ ওনার বাবা ঘুষ খোর বলে কোন সম্ভ্রান্ত পরিবার ওনাদের সাথে আত্মীয়তা করতে রাজি ছিল না । বাবা দুর্নীতিবাজ বলে দুই ভাই বোনই ওনার বাবা কে নিয়ে বেশ লজ্জায় থাকত।
এখন সময় বদলেছে । অনেকেই ঘুষ খোর বেয়াই পছন্দ করে । এক ভদ্র মহিলাকে চিনি উনি বড় গলায় বলে বেড়ান ওনার বেয়াই ঘুষটুস খেয়ে প্রচুর টাকা পয়সা করেছেন। ওনাকে কি কি গিফট পাঠান তার লিস্টগুলো বেশ গর্ব করেই প্রচার করেন।
ঘুষ খাওয়াটা আমাদের কালচারে পরিণত হয়েছে ।
অভিজিৎ রায় , বাবুর খুনিদের নিয়ে অনেকেই চুপ আছে । আবার অনেককেই দেখছি , খুনের মৌন সম্মতিও দিচ্ছে। বিচার টিচার তো পরের হিসাব ।
আজ থেকে দশ বছর পরে কেউ খুন করে গর্ব করে বলে বেড়াবে , জানেন আমি অমুক কে খুন করেছি ।
প্লিজ অবাক হবেন না । ঘুষ খোর কে ঘুষ খোর বলে ঘৃণা না করতে করতে এখন ঘুষ খোর বেয়াই , ছেলে , জামাই , বৌ , আত্মীয় কে পছন্দ করাটাই কালচার হয়ে গেছে ।
আজ আপনি স্পষ্ট করে খুনি কে খুনি বলছেন না । বরং খুনির ছাফাই গাইছেন । এমন আচরণ করতে করতে এক সময় এই খুনিরাই সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি হবে । এবং এটাই হবে আমাদের কালচার ।
এই বোকা মানুষগুলো বুঝতে পারছে না খুনি কে আজ প্রশ্রয় দিলে কাল খুন করাটাই কালচার হয়ে যাবে।
সামনে রেপিস্টদের পস্রয় দেয়া হবে রেপ ও বাড়বে।
জাতি কি এমন দেশ চেয়েছিল?
©somewhere in net ltd.