নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে যে অর্পনের কেমন লাগেনা তা না, কিন্তু কি আর করা, ওর কথা না শুনলে নিজের কাছেই নিজে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে।
ওদের পরিচয় গত বছর ডিসেম্বরে, সন্ধ্যায় রোড লাইটের আলোতে খোলা চুলে এক তরুনীর রাস্তার পাসে দাঁড়িয়ে থাকা যে কারো দৃষ্টি আকর্ষন করতে বাধ্য কি বলেন। যদিও রাস্তার উল্ট পাসে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে ছেলে গুলোর নির্লিপ্ততা ওকে অবাক করে। হতে পারে এলাকার কোন প্রভাবশালী নেতা গোছের কারো মেয়ে, অথবা ঐ বখাটে দের কারো বোন।
এখানে উপকার করতে চেয়েও নাক না গলানোই ভালো ভেবে চলে যাচ্ছিলো অর্পন। তরুনীর ডাকে বাধা পেলো।
ঃ ভাইয়া শুনেন একটু।
ফিরে তাকিয়ে একটা ধাক্কা খেলো অর্পন। মানুষ এত সুন্দর হতে পারে ? মেয়েটার মায়াবী নিস্পাপ মুখ আর তা ঘিরে কালো কাল সাপের মত চুল দেখে নির্বাক হয়ে গেলো সে।অনেক চেষ্টার পর মুখ ফুটে বের হলো একটা শব্দ, জী বলেন
মেয়েটা জানায় তার একটু উপকার করতে হবে ।মোড়ের দোকান থেকে তাকে ৫ টা সিঙ্গারা এনে দিতে হবে, সামনে এত ছেলে থাকতে তাকেই বললো কেনো ভেবে অবাক হলেও মনে মনে খুশি হয়েছিলো অর্পন। সেই শূরু, তারপর থেকে প্রায় ই দেখা হয় সন্ধ্যায় । সিঙ্গারা এনে দেয় অর্পন, মেয়েটা হাসিমুখে চলে যায়, এভাবে জানে তার নাম “জয়তী”। বাস অতটুকুই, আর কিছু জানতে চাইলে ওর মুখ কালো হয়ে যাওয়া দেখে মেনে নেয় অর্পন, মানুষের কত কষ্টের দিক থাকতেই পারে। নাই বা জানলো সে, জয়তীর সাথে এই যে রোজ দেখা হইতেছে, এটাই কম কিসে, জয়তী জানে অর্পন সারাদিন অপেক্ষা করে এই একসাথে থাকা সময় টুকুর ?
একদিন অর্পন মুখ ফুটে বলেই ফেলে “ভালবাসি, আর তারপর জয়তীর লাজুক হাসি দেখে বুঝে নিতে অসুবিধে হয়নি তার উত্তর কি হতে পারে।
এভাবেই শুরু, তারপর কতদিন মাঝরাত পর্যন্ত হেটেছে হাতে হাত রেখে ঝিল টার পাস ঘেসে। এগিয়ে দিয়ে গেছে জয়তীর বাসার গলিটার আগ পর্যন্ত।
কিন্তু আজ অর্পনের অবস্থার শুরু গত পরশু থেকে, ঐ দিন বৃষ্টি ছিলো,অর্পন ঠিক ই অন্ধকার গলির মাথায় যেয়ে দাড়িয়ে ছিলো ভিজা শরীরে জয়তীর অপেক্ষায়, জয়তী এসে বকাও কম দেয়নি। ওরা হেটে চলে গেলো ঝিলের ধারে। একসময় ফেরার সময় হলো, জয়তী ভুলে ওর ছাতা টা ফেলে গেলো অর্পনের হাতে। অর্পন কি ভেবে বাসা এসে একটা টর্চ লাইট নিয়ে গেলো ছাতা দিয়ে আসতে, পরদিন দিলেও হতো কিন্তু কিসের জানি আকর্ষনে থামাতে পারলো না অর্পন। গলির মাথায় এসে ভাবলো কিছুক্ষণ, তারপর ঢুকে পড়লো গলির ভেতরে…………………
শেষ মাথায় এসে হোচট খেয়ে থেমে গেলো ও ! কোন বাসা নেই, দুপাসে উচু দেয়াল, আর মাঝখানে অন্ধকার গলি।
রাতে দুঃচিন্তায় ঘুম হলো না অর্পনের, সকালে জেগেই ছুটে গেলো। রাতে যা দেখেছিলো তাই, ঐ গলিতে কোন বাসা নেই। তাহলে কি…………
পড়দিন আর জয়তী আসেনি, আজ আজো মাঝরাত হয়ে গেলো, আসলো না ও। এখন বুঝতেছে অর্পন জয়তী কখনও দিনে দেখা দেয়নি কেনো।
চোখ ফেটে কান্না আসছে আজ ওর, জয়তী শুনিতে পারছে ওর কথা? ও যে বলতে চায় “ জয়তী আমি তোমার মানুষ রুপ টা না, তোমাকেই ভালোবাসতাম, বাসবো…………………………………
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: নামকরন এর সার্থকতায় ৫ এ ২ পাইছিলাম কি আর সাধে ?
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫
In2the Dark বলেছেন: ভালোই লাগলো
ওহ, ৫ এ ২ কি?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: বুঝি নাই
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: ভুত !!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
সেলিব্রেটি ব্লগার বলেছেন: ভৌতিক ভালোবাসা