![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগার মানে যারা ব্লগে লেখালেখি করেন। ব্লগ মানে অনলাইন বা ইন্টারনেটের ওয়েবসাইডে একাউন্ট খোলে লেখালেখি করা,অন্যের লেখা পড়া, মতামত প্রদান ও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার স্থান। তা ব্লগেই লিখুন আর কাগজেই লিখুন যিনি লিখেন তিনি একজন লেখক। কিন্তু আমাদের দেশে ব্লগার শব্দের অর্থই মনে হয় বদলে গেছে। এমন একটা ধারনা মোটামুটি দাড়িয়ে গেছে যে ব্লগার মানে নাস্তিক। আর নাস্তিকদের হত্যা করলে পুরষ্কার হিসেবে যদি স্বর্গ বা বেহেস্ত মেলে তাহলে দুই দিনের এই দুনিয়ায় এমন সুযোগ ছাড়ে কোন বেআক্কেলে?
একটা কথা আছে যে, শয়তানের ছলের অভাব হয় না। খেয়াল করে থাকবেন, যখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহাবাগে গণজাগরণ মঞ্চ সোচ্চার হলো এবং এ আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ল তখনই অপশক্তি কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রচার করতে শুরু করল যে, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা সব নাস্তিক। সরাসরিতো আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করা যায় না। তাই ঘুরিয়ে তা দমানোর চেষ্টা চল্ল। কেউ কেউ আবার বিচারে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার দাবি তুললেন। কিন্তু নিজেরা কেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলেন না সেই ব্যাখ্যা দিলেন না।
যাই হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার গণজাগরন মঞ্চের কর্মীরা অপশক্তির টার্গট হলেন। তাদের তালিকা তৈরী হলো। তারপর শুরু হলো তালিকা ধরে ধরে খুনের পালা। একেবারে বলে কয়ে খুন।
সম্প্রতি ব্লগার নীলাদ্রি হত্যার পর পরই সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বলতে শোনা গেল যে, "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ লেখালেখি করলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।" এসময়ে কেন এই হুশিয়ারি উচ্চারন তা ঠিক বুঝা গেল না। তবে এসময়ে এমন হুশিয়ারি উচ্চারনে এমন একটি ভুল বার্তা পৌছে যাওয়ার আশংকা তৈরী হয় যে, নীলাদ্রিকে বুঝি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখির কারনেই হত্যা করা হয়েছে।
আজ শুধু গণজাগরনমঞ্চের কর্মীদের নয়, শুধু ব্লগারদের নয়, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রগতিশীল লেখক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদের অবিরাম হত্যার হুমকী দিয়ে চলেছে ধর্মান্ধ একাত্তরের পরাজিত শক্তি। অথচ স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দলটি রয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। সত্যিই অবাক লাগে।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩০
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: সত্যিই আবাক লাগে!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৩
রামন বলেছেন: বর্তমানে সরকারের কৌশল হচ্ছে 'ধরি মাছ না ছুই পানি' অথবা ' সাপ মরলো আবার লাঠিও ভাঙ্গলো না' এই জাতীয় বিশেষ৷ গোটা দশ-বিশেক নিরীহ ও দুর্বল ব্লগারদের মৃত্যুর বিনিময়ে যদি সরকার প্রমান করতে পারে তারা ধর্মনিরপেক্ষ তথা নাস্তিক সরকার নয় এবং তার সুবাদে যদি মৌলবাদী, জঙ্গিদের আক্রমন, উপদ্রপ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে খাবার টেবিলে থাকা মুরগাই মুসাল্লাম ও রাজভোগ স্বচ্ছন্দে শাবার করতে পারে ,তাতে ক্ষতি কি!?
সর্ষের মধ্যে যে ভুত আছে সেটা সরকার চোখ বুজে না বোঝার ভান করলেও জনগণ ঠিকই বুঝে গেছে।