![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। ক্ষমতালোভীদের এই ষষ্ঠ-যন্ত্রটি তখনই সক্রিয় হয়, যখন সোজা আ্ঙুলে ঘি ওঠাতে ব্যর্থ হয়, যখন জনসমর্থণ শুন্যের কোটায় চলে আসে।
বেশ কিছু বছর ধরেই ঢাকার রাজনীতি ভালভাবেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দিল্লী, ওয়াশিংটন, বেইজিং আর ইসলামাবাদ থেকে। আজ কাল এটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। বিগত ১/১১ পূর্ববর্তী সময়গুলোতে নয়া দিল্লীতে অবস্থান করার কারণে এর সপক্ষে অনেক প্রমাণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলাম। এমপি, মন্ত্রী হবার জন্য লাইন পড়ে যায় দুতাবাসগুলোতে। তাতে কাজ না হছে দিল্লী-ওয়াশিংটন যেতেও আপত্তি নাই। ফলে গোড়াতেই দুর্বলতা থেকে যায়। এবারও শুরু হয়েছে সেরকম নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা।
আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইন, ভয়-ভীতি, পেশি শক্তি আর প্রলোভন - ষড়যন্ত্রের সবগুলো যন্ত্রই চলছে সমান তালে।
অন্যদিকে বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেই রয়েছে সর্ষের ভূত। সুবিধাবাদী মীরজাফর, উমি চাঁদ, জগৎশেঠদের সঙ্গে পেরে উঠছেনা দেশ ও দলপ্রেমী বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এমন পরিস্থিতিতেই ৮ নভেম্বর রাতে 'তেমন কোন' উস্কানী ছাড়াই গ্রেফতার করা হলো মওদুদ আহমেদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিষ্টার রফিকুল সহ কয়েকজন শীর্ষ বিএনপি নেতৃত্বকে। গেফতার পরবর্তী অবস্থা জানা ও বোঝার জন্য পূর্বানুমান না করে অপেক্ষা করাই শ্রেয়। এরফলে সংলাপ, সমঝোতার পথ আরও অমসৃণ হলো, সাধারণ দৃষ্টিতে এমনটিই মনে করা হচ্ছে।
সে যাই হোক, হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকার চেয়ে জেলে থাকাটা মন্দ না। বিএনপিতে ঘোঁট পাকাবার মত কিছু 'মৌ দুধ' আছে। মুক্ত বাতাসে থাকলে ঘোট পাকানোর সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তারচেয়ে ওরা জেলের মধ্যে বসবাস করলে এবং এমপি গোলমাল রনি'র মত নাকের লোম ছিড়ে আর জেল জীবনের কাহিনী লিখলে, জাতি আরও কিছু রাজনীতি সাহিত্য উপহার পাবে।
তাছাড়া, এরকম হিজড়া নেতারা অনুপস্থিত থাকলে বরং দলের জন্যই ভাল। আওয়ামীলীগ যদি হাজতে নিয়ে এসব মৌসুমী পাখীদের যদি ভালরকম বাদাম দেয়, সেটা ভিন্ন কথা। তবে এদেরকে জেলের মধ্যে জামাই আদরে রাখলে আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি। কারণ, এইসব মৌ-দুধ রা এসি রুমে মিটিং করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। আর কর্মীরা ককটেল ফুটাতে গিয়ে নিরীহ মানুষ মারবে নয়তো পুলিশের গুলিতে মরে।এতে করে কর্মীদের ওপর নেতাদের নিয়ন্ত্রন ক্রমশ: কমে আসছে। এসব দলছুট বেঈমান ছাড়া বিএনপি আরও ভালই চলবে। বিএনপি'র জন্য ম্যাডাম খালেদা জিয়া একাই যথেষ্ঠ।একটা দলে নেতার মত একজন নেতাই যথেষ্ঠ। যার নির্দেশে লাখো কর্মী ঝাপিয়ে পড়তে, জীবন দিতে প্রস্তুত। শুধু এই স্বার্থ কানা দু'মুখো নেতাদের কারণে কর্মীরা মনোবল খুঁজে পাচ্ছেনা। আর কারাবন্দী খালেদা জিয়াম মুক্ত খালেদা জিয়ার চেয়ে সহস্রগুণ শক্তিশালী। তখন বিএনপির প্রতিটি কর্মীই একেকটি প্রতিবাদী ঝড় হয়ে উঠবে। সে ঝড়ের গন্তব্য কোথায় কেউ জানেনা।
তবে, বিএনপি'র প্রতিটি কর্মীই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, ক্ষমতার পালাবদলে কোন ষড়যন্ত্র না হলে এমনিতেই জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি পরবর্তী সরকার গঠন করবে। কোন জ্ঞানপাপী অথবা দলান্ধ কেউ হয়তো চেচিয়ে উঠবে, প্রতিবাদ করে বলবে বিএনপি আর কিছুতেই ক্ষমতায় আসবেনা। যুক্তি তুলবে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধ আর দুর্নীতি কায়েম হবে। তবে ১৯৭১ সালের পরে এ্ই বঙ্গ ভূমিতে কোন রাজনৈতিক দলই পরপর দু'বার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগে বা পরে - সন্ত্রাসবাদের আঁচ এক-আধটু লাগবেই। সেটা মোকাবেলার জন্য জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। তাই বলে কি বিজাতীয় স্বার্থের কাছে আমরা বিক্রী হবো?
হায়রে স্বাধীনতা ! হায়রে শান্তি! তুমি কত দূর !!!
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
জায়েদ ইকবাল বলেছেন: বিএনপি নেতারা হরতাল দিয়ে এসিতে বসে থাকবে সরকার তা আর হতে দিবেনা ! তবে সরকার এদেরকে গ্রেফতার গনতন্ত্রের জন্য ভাল সিদ্ধান্ত ছিলনা । দিল্লি সব সময় সরকারকে ভাল বুদ্ধি দিচ্ছে বলে মনে হয় না ! ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' হয়ত খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতে বলতে পারে তবে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে !
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: এখন হইল কলিকাল
গোলাপী দেয় হরতাল
নয় তো সে হরতাল
আসলে তা ভয়তাল ।
নেত্রী মোদের পাকিস্তানী
মাথায় তার শয়তানী ।
নেত্রী মোদের আপোষহীন
মানুষ মারে প্রতিদিন ।
নেত্রী মোদের এইটপাশ
করছে দেশের সর্বনাশ ।