![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু’চোখ আমার নদীর দু’পাড়, পরাস্ত মেঘ, বৃষ্টিহীনা-
বিন্দু বিন্দু স্বপ্ন জমে, ভাঙে; লুকিয়ে পড়ে আড়াল বহুদূর!
মাথা তুলে শস্যদানার সাহসী বেড়ে ওঠা
কাঁটার ডানায় ফোটা প্রেমের মুকুল
কিভাবে হতে পারে বীর্যবতী, যদি বিশ্বাস...
স্বাধীনতা পরবর্তী মাগুরা জেলায় স্বল্পসংখ্যক কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে ভোলানাথ সিকদার এক অনন্য নাম। অন্ধকার ভালবেসে অন্ধকার ভেঙে তিনি পাঠকের কাছে হয়ে উঠেছিলেন আলোর দিশারী। রাতভর জোছনায় তিনি অবগাহন করেছেন...
হাজার বছর অতিক্রম করে বাংলা কবিতা পা রেখেছে নতুন শতাব্দির আঙিনায়। চর্যাপদের মাধ্যমে বাংলা কবিতা সূচনার পর থেকে বিচিত্র অভিজ্ঞতা, বিবর্তন ও বাঁক সৃষ্টির মাধ্যমে আজকের ঋদ্ধতর বাংলা কবিতা। এই...
ঘুম ভাঙলেই ফিরে আসি রাতের পর্দা ছিঁড়ে
নগরের কোলাহল ভেঙে
প্রেমের নাড়ি কেটে-
ফিরি নিত্যকার ব্যস্ততায়
তোমাকে ছেড়ে ফিরে আসি চিরচেনা গেয়ো মাঠে, সবুজের বক্ররেখায়।
তোমার চোখ থেকে চোখ সরালেই জানি একা হয়ে যাই
হিম আগুনে...
স্পর্শের অনুভবটুকু পড়ে আছে ধুলোমাখা পাপড়িতে, রাস্তার ধারে;
মিথ্যের ঝুলিতে জমে আছে আমাদের শৈশব!
কাঙ্ক্ষিত রোদে পুড়ে যাক হারানোর ভয়
চৌচির মাটি ফুঁড়ে আবার প্রাণে বাজুক আমাদের প্রিয় বৈশাখ; গ্রামীণমেলা,
কাঁচের চুড়ি, নাগরদোলা; শক্ত...
যে জল আমাকে সাঁতার শেখায়, গহীনে, গভীরে-
মায়ার সে সুন্দর আমার নয়
মঙ্গলদীপ জ্বেলে, ভিখিরির মতো সত্য খুঁজে
আকাশের নির্মলতা চাই
আঁতুড়ঘরে প্রিয় শপথের ঠোঁটে দীক্ষার সূত্র শিখি
তার আঁচলকে ভাবি দিকভোলা মাছেদের আশ্রম।
আমার...
যারা এ গায়ে, বসনে, কোল পেতে বসতে চায়
তারা হেরে যাওয়া বড়শিতে জলের নীহারিকা গোনে
এক এক করে চেতনার মাছগুলো আটকে গেলে
নদীজল নিথর কান্নার মাতম তোলে
ওদের পালিত গোরস্থানে আমি ভীষণ একা হতে...
ভীষণ ঘোর লাগা চোখে ভালোবাসা খোদাই করি নক্ষত্রপিঠে
মেঘের উদম বুকে খেলা করে যাযাবর রোদ
রঙধনু চোখ দেখে দিগন্তের কফিন
ধূসর স্বপ্ন ওড়ে আকাশ থেকে আকাশ
কোথায় মাতাল বাতাস জ্বালিয়ে যাবে চিতার আগুন ছাই...
আর কত নিঃসঙ্গতায় তুমি আমাকে সঙ্গ দেবে নীরা?
আমার প্রতিটি দিন সাদা মেঘে ঢাকা ধোঁয়াময় কফিন
প্রতিটি রাত অস্বচ্ছতার সরোবর; করতল জুড়ে নিঃস্ব অন্ধকার
কত রাতের একা ভাবনায় সঙ্গী হবে তুমি?
আমার বসন্ত শোনায়...
ও বাড়ি প্রতিদিন যাই; চতুর্দশী তৃষ্ণায় অপেক্ষায় থাকি ঈশ্বরীর
একদিন শস্যদানার হাসি লেগেছিল তার ঠোঁটে
প্রজাপতি মেঘ ছুঁয়েছিল শরীর
খোপার পূর্ণসাজি ফুল তারা হয়ে ঝরেছিল চোখে
আমি ডালিমফুলের ভিড়ে পরাজয় চেয়েছিলাম আরাধ্য ভঙ্গিমায়
হঠাৎ হলুদ...
বড় বিচ্ছিরি লাগে বেঁচে থাকা
একা লাগে ভীষণ রাতের গহ্বরে জাগা
বয়সী ছাপ এলে নিজেকে আর ভাবা যায় না
নিষ্পাপ শৈশবের কেউ
বৃক্ষ-আয়নায় নিজেকে মনে হয় গৃহত্যাগী পাপ
অথচ একদিন এই চোখে বয়ে যেত...
তুমি বোঝনি নীরা, কতটা আঁধার নামে প্রতিরাতে
কতটা আঁধার এই বুকে
কতটা মন্থনে প্রতিরাত হয়ে ওঠে ঈশ্বরী
আমি বেদনার নীল হাতে পুষে রাখি মরণপাথর
তুমি প্রাচীন চিত্রের মতো আঁচলে বিছিয়ে রাখো মুঠো মুঠো...
জানালার পাশে উৎকণ্ঠিত নদী
বিষণ্ন মেঘে ঘেমে ওঠে ক্ষয়িষ্ণু পাথর
শহরচোখে বাড়তে থাকে পথের বিস্ময়
কত আর ক্ষরা
শ্রাবণ মেঘের কত রসিকতা হেঁটে যাবে আমাদের মেঠো পথে!
টিনের চালে
বহুতল ছাদে
ভর করে বিষণ্নতা; বৃক্ষরা কাঁদে চরম...
অদৃশ্য নদীস্রোত বয়ে যায় বুকের ভেতর
রাতের বর্ষা ভেজায় কবিতার শরীর
বৃষ্টির নন্দিত ছোঁয়ায় দুলে ওঠে উর্বশীবুক
চুলগুলো তার খেলে যায় মাতাল হাওয়ায়...
দু'হাত আমার এগোয় অজানার পথে; কবিতার ধ্রুব বাঁকে
ফুলে ওঠে বুক আন্দোলনে
যেন...
বিচ্ছেদ ঘন্টা বাজে
প্রতীক্ষার পথ শেষে ক্ষয়ে আসে কারাপল্লীর ভিড়
অন্তহীন হাওয়া ফিরে ফিরে আসে...
©somewhere in net ltd.