![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অন্তর্গত কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় দেশের সবচেয়ে বড় স্তম্ভবিহীন(পিলার বিহীন) মসজিদটি অবস্থিত। এ মসজিদটির চারপাশে চার দেয়াল ছাড়া মাঝখানে আর কোনো স্তম্ভ নেই। মসজিদের ভেতরে ২৩টি সারিতে নামাজ পড়ার কাতার হয়। আর প্রতি কাতারে শতাধিক মুসল্লি অনায়াসে দাঁড়াতে পারেন।
এই মসজিদের অন্যতম আকর্ষণ হলো- মুসল্লিরা যে যেখানেই নামাজের জন্য দাঁড়ান না কেন তারা প্রত্যেকেই খতিব কিংবা ইমাম সাহেবকে বাঁধাহীনভাবে সরাসরি দেখতে পারেন এবং ইমামের বয়ান ও ওয়াজ শুনতে পারেন।
অনেক বড় বড় মসজিদে মাঝখানের স্তম্ভের জন্য মুসল্লিদের কেউ কেউ ইমাম সাহেবকে সরাসরি দেখতে পান না। কিন্তু চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত এই মসজিদে সে সমস্যা নেই। ইমাম সাহেবও উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে নির্দিষ্ট কাউকে অনায়াসে সরাসরি দেখতে পান ও খেয়াল করতে পারেন।
২।
এই মসজিদের ছাদে রয়েছে ৮৪টি সিলিং ফ্যান। টিউবলাইট রয়েছে ৩৮টি। ছোট দৃষ্টিনন্দন ঝাড়বাতি রয়েছে ৩৮টি। এতগুলো ফ্যান ও বাতি বুকে নিয়ে মসজিদের ছাদ কিভাবে বছরের পর বছর ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা এক অবাক করা ব্যাপার। মোজাইক করা মসজিদের মেঝেতে বসলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শীতাতপ ব্যবস্থা না থাকলেও মসজিদের সামনে পিছে ১৬টি এবং দুই পাশে ১৪টি জানালা রয়েছে। জানালাগুলো সব সময় খোলা থাকে। জানালা দিয়ে খোলা ফুরফুরে বাতাস সবসময় মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। আর উপরে সিলিং ফ্যানতো অবিরাম ঘুরছেই। মসজিদে প্রবেশ করার জন্য তিনটি ফটক রয়েছে। উল্লেখ্য যে স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন মসজিদটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ যা অনেকেই দেখতে আসেন।
৩।
কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই মসজিদের দেখভাল করেন। এটি স্থানীয়দের কাছে কেপিএম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ বা বড় মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
তৎকালীন দাউদ গ্রুব অব ইন্ডাষ্ট্রিজের চেয়ারম্যান আহমেদ দাউদ এইচ.কে সাহেবের মা হাজিয়ানী হানিফা বাঈ ১৯৬৭ সালের ৮ ডিসেম্বর (৫ রমজান ১৩৮৭ হিজরি) কেপিএম আবাসিক এলাকায় এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই সময় কর্ণফুলী পেপার মিল দাউদ গ্রুপের অধীনস্থ ছিল।
৪।
আমরা যারা প্রিয় কেপিএম আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ছিলাম মা-বাবার চাকরি করার সূত্রে আমাদের এলাকার সব লোকজনের কাছেই এটি "আমাদের বড় মসজিদ" হিবেসেই বেশি পরিচিত! তাই এখনো যারা কেপিএম এলাকা ছেড়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করুক না কেন এখনো সবাই এক অদ্ভুত মায়ায় ও ভালোবাসায় অতি আপন করে বলি "আমাদের বড় মসজিদটা"! আর আমাদের এই মসজিদের সাথে কেপিএম আবাসিক এলাকার সব মানুষেরই কম-বেশি অনেক স্মৃতিবিজড়িত কথা জড়িয়ে আছে যা নিশ্চিত করে বলা যায়।
তেমনি আমারও অনেক স্মৃতিময় কথা জড়িয়ে আছে ফেলে আসা সেই শৈশবের দিনগুলোতে.....
৫।
আমি যখন ছোট ছিলাম প্রতিদিনই স্কুলে যাওয়া আসার সময় মসজিদের উত্তর দিকের সিঁড়ি বেয়ে মসজিদের পূর্ব দিকের সামনের ময়দানের রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতাম। মসজিদের পাশ ঘেঁষে থাকা লোকজন ও গাড়ি চলাচলের আসল পিছঢালা পাহাড়ি ঢালু রাস্তা দিয়ে যেতাম না কারণ ওই রাস্তাটা সবসময়ই পিচ্ছিল ও ভেজা থাকতো পাহাড় ঘেমে পানি নামতো বলে। আর তাই এই রাস্তায় কতো যে পিছলিয়ে পড়ে আঘাত পেয়েছি ও লজ্জা পেয়েছি সবার সামনে যা কখনো ভুলার নয়। আর এখন তা মনে পড়ে খুব হাসিও পাচ্ছে। কারণ মনে আছে আমি একবার এমন জোরে হুমড়ে চিৎ হয়ে আঁচড়ে পড়েছিলাম যে একেবারে কাটা কম্পাসের মতন ৩৬০° কোণ করে দুই ঘুরান্তি খেয়ে আমি যেন তাজ্জব বনে গেলাম ও সম্পুর্ণ স্কুলের ড্রেসসহ ভিজে গেলাম! পরে আমার সাথে থাকা এক সহপাঠী আমাকে টেনে উঠালো। তা দেখে সবাই কী যে হাসাহাসি.....
আর ওইদিক দিয়ে মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে যেতেও মনের মধ্যে হাজার রকমের ভয় কাজ করত। কারণ মসজিদের সিঁড়িগুলোতে আরবি হরফের মতই উর্দু বর্ণে খোদাই করা লিখা ছিল। আর তখন ছোট্ট মনে জেনেছিলাম ও বিশ্বাস করতাম ওই সিঁড়িগুলাতে পায়ের পারা পড়লে নাকি ভীষণরকম গুণাহ হবে তাই এই ভয়ে লিখাওয়ালা সিঁড়িগুলো ভালোমতন খেয়াল করে লাফিয়ে লাফিয়ে যেতাম। আর এইভাবে প্রায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত মসজিদের সামনের ময়দানের রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতাম।
আর আমাদের এই মসজিদকে ঘিরে আরেকটা মজার স্মৃতি হচ্ছে, যখনই স্কুলে কোনো টার্মের প্রথমদিনের পরীক্ষা শুরু হতো সেদিন মসজিদের তিনটা ফটকের সামনেই লম্বা লাইন সৃষ্টি হতো। কারন আমরা বিশ্বাস করতাম মসজিদের ফটকের দেয়ালে থাকা সম্পুর্ন আরবি হরফে লিখাগুলোকে হাত বুলিয়ে চুমু খেয়ে গেলে পরীক্ষা ভালো হবে। পরীক্ষার্থীদের ভীড়ে কিছুটা ঠেলাঠেলি হতো তাই তাড়াতাড়ি করে পরীক্ষা দিতে স্কুলে রওয়ানা দিতাম যেন মসজিদের সামনে ভীড়ের মাঝে লাইনে দাঁড়াতে না হয় যা খুব মনে পড়ে!
এখনো আমি প্রায়ই ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের মাঝে আমাদের বড় মসজিদটাকে দেখি। দেখি আমি সেই ছোট্ট বেলার মতই স্কুলে যাচ্ছি মসজিদের সিঁড়িগুলো বেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে মনের মধ্যে অদ্ভুত এক ভয় নিয়ে। এই বুঝি আমার পা ভুলে পিছলিয়ে পড়ে যাচ্ছে সিঁড়ির আরবি লিখাগুলোতে... আর স্বপ্নের মাঝে ধপাস করে আমি পড়ে গিয়ে ঘুম ভেঙে জেগে উঠি বুক ধড়ফড় নিয়ে! জানিনা আমার মতন এমন করে কেউ আমাদের মসজিদটাকে স্বপ্নে দেখে কিনা তা খুব জানতে ইচ্ছে করে !
৬।
৭।
৮।
৯।
এই হচ্ছে আমাদের প্রিয় কেপিএম এলাকার বড় মসজিদটা নিয়ে আমার শৈশবের স্মৃতিকথন। যেখানে স্বপ্নের ঘোরেও আমি হারিয়ে যাই সেই প্রিয় দিনগুলোতে। যেখানের আলো বাতাসে জন্ম থেকেই বেড়ে উঠেছি সম্পুর্ণ আলাদা এক প্রাকৃতিক পরিবেশে পাহাড়ে ঘেরা মফস্বল শহরে।
১০।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৯
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আল্লাহর রহমতে কোনদিন এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বা তেমন আশঙ্কাও কেউ করেনা আমার জানামতে। আর এই মসজিদ প্রতিমুহূর্তেই বিশেষ তদারকিকে থাকে বিসিআইসির( বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিস কর্পোরেশন) অধীনস্থ মিলের দেখভালের মাধ্যমে।
আপনার প্রথম মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া তাই আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকবেন সবসময়। আমার শুভেচ্ছা নিবেন...
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে মসজিদ দেয়াল দিয়ে ঘেরা, মোটা গ্রিল, তালা। টয়লেটেও বিশাল তালা। মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ।
বিদেশে ও আরবে সব মসজিদে ছেলে মেয়েদের জন্য মসজিদে একটি পার্টিশন বা পর্দা আছে, ইমাম একই।
মসজিদের বারান্দা লবি ছেলে মেয়ে পরিবার সবার জন্য উম্মুক্ত।
মক্কা ও মদিনার মসজিদে ছেলে মেয়ে পরিবার সবার জন্য উম্মুক্ত। একসাথে একই কাতারে ছেলে মেয়ে নামাজ পড়তে পারে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আপনি বলেছেন:
"বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে মসজিদ দেয়াল দিয়ে ঘেরা, মোটা গ্রিল, তালা। টয়লেটেও বিশাল তালা। মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ।"
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি। বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে পূর্ণবয়স্ক মহিলা/মেয়েদের প্রবেশ করা নিষেধ।
যদিও আমাদের এই মসজিদটা তৈরির প্রথম থেকেই বাচ্চা ছেলেমেয়েদের একসাথে আরবি পড়ানো হতো। আমার আম্মাও এই মসজিদে হুজুরের কাছে আরবি পড়তে যেতেন যখন মসজিদটার নির্মাণ কাজ শেষ হয় তখন হতেই ওনারা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা এইখানে কোরআন ও নামাজশিক্ষা নিয়েছেন। কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে বাচ্চাদের আর পড়ানো হয়না। তবে ৫ ওয়াক্ত নামাজে ছোট বড় সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে।
"বিদেশে ও আরবে সব মসজিদে ছেলে মেয়েদের জন্য মসজিদে একটি পার্টিশন বা পর্দা আছে, ইমাম একই।
মসজিদের বারান্দা লবি ছেলে মেয়ে পরিবার সবার জন্য উম্মুক্ত।
মক্কা ও মদিনার মসজিদে ছেলে মেয়ে পরিবার সবার জন্য উম্মুক্ত। একসাথে একই কাতারে ছেলে মেয়ে নামাজ পড়তে পারে।"
আমাদের দেশেও এইধরনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করি।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যে পেয়ে অনেক ধন্য হলাম ভাইয়া। তাই অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
আর আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। ভালো থাকবেন সবসময় এই প্রত্যাশা করি।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৭
নিভৃতা বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুটোই খুব ভালো লাগলো। একটি সুন্দর নিদর্শন সম্পর্কে জানাও হলো।
দারুণ একটা পোস্ট।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি আপু।
আর আপনার মূল্যবান সুন্দর মন্তব্যে ও পাঠে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার পোস্টটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত ও ধন্য হলাম এবং উৎসাহিত হলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি। ভালো থাকবেন সবসময়.....
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২০
কালো যাদুকর বলেছেন: সুন্দর ছেলেবেলার স্মৃতি বর্ণনা।
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
৬ নং ছবির দিকে লক্ষ্য করুন। এটাকে বলে "ট্রাস্ট স্ট্রাকচার" (wavy roof) রুফ । এ ধরনের ছাদে ( long span) "ট্রাস্ট স্ট্রাকচার" ব্যবহার করলে, অনেক দুর পর্যন্ত কলাম ( থাম) লাগে না। অনেক হিসাব টিসাব আছে। সাধারনত ৫০ থেকে ১০০ বছর হিসাব করে এ ধরনের দালান বানান হয়। (my 2 cents. )
চিন্তার কিছু নেই। এটা একটি নিরাপদ দালান। নিশ্চিন্তে এবাদত করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: শুরুতে আমার অশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া আপনার অতি মূল্যবান মন্তব্যটা পেয়েছি বলে । আসলে আমিও সঠিকভাবে জানতাম না এই মসজিদের ছাদের স্ট্রাকচার সম্পর্কে। তবে এটা জানতাম অনেক স্ট্রং এবং নিরাপদ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে এবাদত করার উদ্দেশ্যে। আর তাই অনেকেই জানার ও দেখার কৌতূহলে এখানে নামাজ পড়তে আসেন।
শেষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সবসময় এই দুয়া রইল....
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এই মসজিদে একদিন জুম্মার নামাজ পড়ার ইচ্ছা আছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আল্লাহ আপনার এই নেক ও সৎ ইচ্ছা পূরণ করুন। আমীন....
আপনার এমন মন্তব্য পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগছে ভাইয়া। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সবসময় ভালো থাকুন ও সুস্থ সুন্দর থাকুন এই দুয়া করি।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কত স্মৃতিবিজড়িত এই মসজিদ। আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো। তবে বেশি প্রাচীন না হওয়ায় বোধহয় এতটা আধুনিক বা ডেকোরেটেড। পোস্টে লাইক।
শুভকামনা জানবেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আমার পোস্টটা পাঠে ভালোলাগা এবং আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্য ও লাইকে আমি অনেক ধন্য হলাম ও আনন্দিত হলাম ভাইয়া তাই আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া ।
আর হ্যা এই মসজিদটা আমাদের সবারই স্মৃতিবিজড়িত মসজিদ আমরা যারা সেখানে বসবাস করেছি তাদের কাছে যা এলাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মিলের শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা নির্বিশেষে সবাই ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হতে পারত এবাদতের উসিলায় বা যে কেহই মারা গেলে তার জানাযার নামাজ এখানে পড়ানো হতো যা সবার মাঝে অতি সহজে হৃদ্যতা সৃষ্টি করত।
মসজিদের বয়স বরাবর ৫২ বছর হলেও কিন্তু অতটা আধুনিক নয় কারণ এর নির্মাণশৈলী পিলারবিহীন বলে।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময়....
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: ফিরে এসে আবার প্রতিমন্তব্য করেছেন দেখে ভাইয়া আমি অনেক খুশি হয়েছি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো অবিরত....
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোন দিন যেতে পারলে এখানে নামাজ পড়ে আসবো।
দৃস্টিনন্দন মসজিদটি সম্পর্কে সাবলিল ভাবে জানান দেয়ায় রুমিকে ধন্যবাদ ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৮
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: অবশ্যই আল্লাহ মানুষের নেক ইচ্ছা পূরণ করেন। আশা করি মহান আল্লাহ আপনার এই ইচ্ছে পূরণ করবেন। যদি কখনো যাওয়া হয় ভাইয়া আপনার তাহলে একসাথে কর্ণফুলী কাগজ কলও দেখে আসতে পারবেন।
ভাইয়া আপনার মন্তব্যে অনেক খুশি হয়েছি ও ধন্য হয়েছি তাই আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
দোয়া করি সবসময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
শের শায়রী বলেছেন: ছবি ও লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগল, বেশ কিছুটা স্মৃতিকাতর ও হয়ে গেলাম। ভালো লাগা বোন।।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫০
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: প্রথমেই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় ভাইয়া আপনার মূল্যবান সুন্দর মন্তব্য পেয়েছি বলে। অনেক অনেক ধন্য হলাম। আমার লিখাটা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই অনেক অনুপ্রাণিত ও উৎসাহ পেলাম এবং অনেক আনন্দিত হলাম।
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইল । ভালো থাকবেন সবসময়.....
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: স্মৃতিময় কেপিএম মসজিদের ছবি ও বর্ণনা ভালো লেগেছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৪
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার প্রথম পদচারণায় অনেক আনন্দিত হলাম ভাইয়া আপনার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করবেন। আর আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে ও উৎসাহ পেলাম লিখার প্রতি। আশাকরি সবসময় পাশে পেয়ে এইভাবে আরো উৎসাহ পাবো।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই আর আপনার জন্যে শুভকামনা রইলো ভাইয়া। ভালো থাকবেন নিরন্তর.....
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর স্মৃতিচারণ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৭
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে আপনার প্রথম পদধূলিতে আমাকে ধন্য করলেন। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আর আপনার মন্তব্যে অনেক খুশি হলাম ও অনুপ্রাণিত হলাম তাই আমার অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো নিদর্শন। তবে, মসজিদের যেরূপ বর্ণনা দিলেন, তাতে ছাদটা নিরাপদ কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়ে গেলো।। এটার লাইফ চেক করা দরকার, কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই।