নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেমন তা বলতে পারব না, তবে আম্মু বলে আমি নাকি অনেক ভাল পুলা!

রাফাত সাগর

তুমিহীনা আমি ছন্নছাড়া!!

রাফাত সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়ার সাথে আমার সম্ভব্য বিয়ের গল্প!!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

প্রচন্ড রৌদ্র তাপ, আজকে সকাল বেলাতেই এত রৌদ্র তাপ কেন বুঝলাম না। নাকি আমি সকাল সকাল বের হয়েছি বলে কে জানে? এই মুহুর্তে আমার অবস্থান রিয়ার বাবার অফিসের সামনে। চারদিকে অনেক লোকজন। কেউ অফিসের ভেতরে ঢুকছে আবার কেউ বের হচ্ছে। কিন্তু আমি এক জায়গায় স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছি। কি করব বুঝতে পারছি না ভেতরে ঢুকব নাকি ফিরে যাব। কেন যে মেয়েটার কথায় রাজি হলাম। এখন নিজের গালেই নিজে চর মারতে ইচ্ছে করছে। এত লোকের ভিরেও একটা লোক দেখলাম আমাকে লক্ষ করছে। কেউ যদি আমার দিকে তাকিয়ে থাকে সেটা আমি বুঝতে পারি। এই অভ্যাসটা আমার অনেক আগে থেকেই। এমনিতেই অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছি তার উপর লোকটা হাবলার মত তাকিয়ে আছে। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। আরে লোকটা দেখি আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
-আপনি কি সাগর?
-জি, কেন বলুন ত?
-স্যার আপনাকে নেবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছে। আমার সাথে আসুন।
`
লোকটা একটা রুমের মধ্যে বসিয়ে দিয়ে গেল। বলল স্যার কিছুক্ষণ পর আসবে কিন্তু কতক্ষন বসে থাকতে হয় কে জানে। এখন অবশ্য খারাপ লাগছে না। রিয়া বলেছিল কোম্পানিটা ওদের নিজেদের। কিন্তু এতবড় কোম্পানির মালিক ওর বাবা সেটা আগে জানতাম না। হাটতে হাটতে বারান্দায় গেলাম। পুরো শহরটা এখান থেকে ভাল করেই দেখা যায়। যাইহোক এতকিছু ভাবলে চলবে না। যে কাজে এসেছি সেটা আগে কমপ্লিট করি। কিন্ত কিভাবে কি করব ভাবতে লাগলাম।
`
গতকাল বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম। পরিচিত টোনে ফোনটা বেজে ওঠল। বুঝতে বাকি রইল না এটা রিয়ার কল।
-হ্যালো সাগর
-হুম বল।
-কোথায় তুই?
-চায়ের দোকানে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি।
-বিকেলে একটু পার্কে আসতে পারবি? তর সাথে কিছু জরুরি কথা ছিল।
এইমুহুর্তে ওর সাথে দেখা করা মানে আমার জন্য মহাবিপদ। যতবারই আমার সাথে জরুরি দেখা করে ততবারই একটা না একটা বিপদে আমাকে ফেলবে। আর ওকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমাকেও আর হাজারটা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। যাইহোক এখন মিথ্যা বলে বাচতে হবে।
-বিকেলে দেখা করতে পারব না আমাকে একজায়গায় যেতে হবে।
-প্লিজ, আস না। খুব জরুরি কথা।
-বললাম ত পারব না।
-দেখ আমি বিকেল ৪টার সময় তর জন্য পার্কে অপেক্ষা করব। তুই আসবি কি আসবি না সেটা তোর বিষয়।
ফোনটা কেটে গেল। ওর যা জেদ, যেটা মুখ দিয়ে বের করবে সেটা করবেই। কি আর করা যেতে হবে।
`
বিকালে পার্কে দিকে রওনা দিলাম। ওকে খুজে পেতে বেশি সময় লাগল না। রিয়া চিন্তিত মুখে বসে আছে। আমাকে দেখে ওর মুখে হাসি অাভা দেখলাম। যেন সব চিন্তা শেষ।
-কি জন্য ডেকেছিস বল।
-জানতাম তুই আসবি। আসলে আমার একটু হেল্প লাগবে। আর এর জন্য তোকে ছাড়া কারো উপর নির্ভর করতে পারছি না।
-বিষয়টা কি আগে বল। পরে বাকিটা চিন্তা করা যােব।
-বাবা আমার বিয়ের কথা ভাবছেন।
-সত্যি বলছিস! উনাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দিয়ে দিস। কত ভাল একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। যাক অনেকদিন কারো বিয়ে খাওয়া হয় না, তরটা মনে হয় খেতে পারব।
কথাটা শুনে রিয়ার মুখটা দেখার মত হয়েছিল। এমনটা হয়তো আশা করে নি। একটু রেগে গিয়ে বলল
-দেখ সাগর, ফাইজলামি করবি না। আমি বাবাকে বলছি আমি এখন বিয়ে করব না আমর বয়ফ্রেন্ড আছে।
-কিরে তোর বয়ফ্রেন্ড আছে আগে কোন দিন বলিসনি কেন?
-আরে ধুর, থাকলে ত বলব। এখন বাবা বলছে দেখা করাতে। বাবা নাকি দেখবে।
-তাহলে এখন উপায়!
-এইজন্যই তোর কাছে আসা। তুই আমার বয়ফ্রেন্ড হয়ে বাবার সাথে দেখা করবি। তাহলে আমি বেচে যাই।
-জি না মেডাম। আপনার এই আশা পূর্ণ হবে না। আপনি অন্য কোথাও যোগাযোগ করেন আমি যাই।
-এই এই কোথায় যাচ্ছিস। তুই ছাড়া আমার তেমন পরিচিত কেউ নেই। প্লিজ এইটুকু করতে পারবি না আমার জন্য?
-আচ্ছা ঠিক আছে। আমাকে কি করতে হবে বল।
-এখন কিছু করতে হবে না। আমি তোকে ফোন দিয়ে জানাব কখন দেখা করতে হবে।
-আচ্ছা এখন চল সন্ধ্যা হয়ে আসছে। তোকে বাসায় দিয়ে আসি।
`
রাতে আবারও রিয়ার কল আসল।
-হ্যালো সাগর..
-হুম বল।
-কাল কোন কাজ আছে? মানে ফ্রি আছিস?
-তেমন কোথাও তারা নেই। কেন বল ত?
-বাবা চাচ্ছিল কাল তুর সাথে মিট করতে।
-ও তাই। কালকেই দেখা করতে হবে নাকি?
-হুম। কাল সকালে। তুই বাবার অফিসে চলে যাবি বাবা সেখানে থাকবে।
-এই শুন না, আমার কিন্তু ভয় হচ্ছে, তোর বাবার যা রাগ। আবার কি না কি করে বসে।
-ভয় পেলে চলবে না। বুকে সাহস রাখ। আর আমি আছি সব ঠিক হয়ে যাবে।
-ওকে, আল্লাহ্ই জানে কি আছে কপালে।
না আর ভাবতে পারছি না। ওর কথায় রাজি হয়ে মনে হয় ভুলই করেছি। এমন সময় রিয়ার বাবা হাসি মুখে রুমে প্রবেশ করল। আমাকে চেয়ারে বসতে ইশারা করল। ওনাকে সালাম দিয়ে চেয়ারে বসলাম।
-তাহলে তুমিই সাগর?
-জি আংকেল।
-তা কি করছ এখন। লেখাপড়া নাকি অন্যকিছু?
-জি আংকেল, অনার্স ফাইনাল ইয়ারে আছি।
-ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি তোমার? লেখাপড়া শেষ করে কি করতে চাও?
-বাবা চাচ্ছিল লেখাপড়া কমপ্লিট করে বাবার বিজনেস দেখতে। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে একমত নই।
-একমত নও কেন? তিনি ভালই চিন্তা করছেন। আর আমার যদি তোমার বয়সি একটা ছেলে থাকত তাহলে আমিও সেটাই করতে বলতাম।
-তারপরেও, আমি নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। কারো উপর নির্ভর করে সেটা করতে চাই না।
"কথাটা শুনে তিনি খুব আনন্দিত হলেন। মনে হয় এটাই আমার কাছ থেকে আশা করছিলেন। তিনি হাসি দিয়ে বললেন"
-বাহ্ তুমি দেখছি আমার মতই কথা বলছ। আমিও তোমার বয়সি যখন ছিলাম তখন এই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আর সেই ফলশ্রুতিতে আজ আমি এই অবস্থানে। তা তোমাদের রিলেশন কত দিনের?
"এই সেরেছে জায়গা মত ধরা খাইছি। এখন কি বলব। প্রেমই হয়নি আর জানতে চাচ্ছে কতদিন ধরে চলছে। এতক্ষন ভালই বলছিল হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন? যাক মিথ্যা বলে বাচতে হবে।"
-জি আংকেল তিন বছর ধরে চলছে। (পুরাই মিথ্যা)
-আচ্ছা তোমার বাবার নাম্বার দিয়ে যাও আমি ওনার সাথে কথা বলব।
-আব্বুর নাম্বার কেন আংকেল?
-দরকার অাছে। আর কি খাবে বল?
- না অাংকেল এখন কিছু খাব না। অন্য একদিন খাব। এখন আসি।
বাবার নাম্বার দিয়ে চলে আসলাম।
`
বাহিরে এসে লক্ষ্য করলাম এসি রুমে থেকেও আমি ঘেমে জবুথবু হয়ে গেছি। এটা কোন সমস্যা ছিল না তবে আসল সমস্যা হল বাবার নাম্বার যে দিয়ে আসলাম সেটা। এখন যদি বাবা জানতে পারে আমি প্রেম করি তাহলে বাবা আমাকে তার দু-নালা বন্দুক দিয়ে গুলি করে মারবে।
রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে হাটছিলাম। অনুভব করলাম পিপাসায় গলাটা শুকিয়ে গেছে। পানি খাওয়া দরকার। হোটেল থেকে পানি খেয়ে বের হচ্ছিলাম তথন রিয়ার ফোন আসল।
-হ্যালো সাগর, বাবার সাথে দেখা করছ?
-হ্যা, তোকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমি নিজেই বিপদে পরলাম।
কথাটা একটু জোরেই বললে ফেলাম মনে হয়। দেখলাম আশেপাশের লোকজন আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। রিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল
-বাবা কি তোমাকে খারাপ কিছু বলছে?
-খারাপ কিছু বলবে কেন? তবে আসার সময় তোর বাবা আমার বাবার ফোন নাম্বার রেখে দিছে কথা বলবে বলে। এখন যদি বাবা এই বিষয়টা শুনে তাহলে আমাকে সোজা গুলি করে মারবে। আমার এখন বাসায় যেতেই ভয় হচ্ছে।
-আচ্ছা শুন চিন্তা কর না। এখন বাসায় যাও বিকেলে আমাদের দেখা হচ্ছে।
-পাগল নাকি আমি আর তর আগে পিছে নাই। আর কখনো আমাকে সাহায্যের কথা বলবি না। এখন রাখি। ওকে কিছু বলার সুজোগ না দিয়ে ফোনটা কেটে দিলাম। এখন সে মন খারাপ করে থাকবে সেটা আমি ভাল করেই জানি। থাকুক মন খারাপ করে আমার কি?
`
রিয়ার সাথে প্রথম দেখাটা হয়েছিল খুব অদ্ভত ভাবেই। সেদিন আমি কিছু প্রয়োজনীয় বই কেনার জন্য নীলক্ষেত গিয়েছিলাম। বই কিনে ফেরার সময় দেখলাম রিয়া আমার একটু সামনেই হাটছে। কিন্তু একটু পরই একটা রিসকা সাইড ক্রস করে যাবার সময় ওর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। আর রিয়া ব্যাথায় রাস্তায় বসে পরে। পুরো ঘটনাটা আমি পিছন থেকে লক্ষ করলাম। তারাহুরু করে ওর কাছে গিয়ে দেখি পায়ে ভালই চোট পেয়েছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। ব্যান্ডজ করে বাসা পর্যন্ত দিয়ে চলে আসব ঠিক তখই পেছন থেকে ডাকল
-আরে আরে কোথায় যাচ্ছেন? আপনি আমার এত বড় উপকার করলেন। বাসা পর্যন্ত এসে চলে যাবেন সেটা হবে না। চলুন ভেতরে চলুন।
যদিও বাসায় যাবার ইচ্ছা ছিল না তবে সেদিন রিয়ার জোড়াজোড়িতে বাসায় না গিয়ে পারলামই না। কথায় কথায় জানতে পারলাম ও আমাদের ভার্সিটিতেই পড়ে আমার ডিপার্টমেন্টে। সেই থেকেই একসাথে চলা।
`
তবে একটা বিষয় লক্ষ করলাম রিয়া আমাকে তুমি করে বলল কেন? ও তো আমাকে তুই করেই বলে কিন্তু আজ হঠাৎ তুমিতে চলে এল কেন? এই মেয়েগুলো যা ঢং করতে পারে না! অবাক হতে হয়। বাসায় যাওয়া উচিত। বিকেলে বাবা বাসায় ফেরার আগেই বের হয়ে আসতে হবে।
`
বাসায় এসে ক্লান্তই লাগছিল তাই কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম টেরই পেলাম না। কিন্তু কতক্ষণ ঘুমালাম বলতে পারব না। ঘুম ভাংল কাজের ছেলেটার ডাকে। বাবা নাকি ডাকছে আমাকে। কিন্তু কেন? তাহলে কি রিয়ার বাবা ফোন করেছিল বাবা কাছে। এখন কি হবে বাবা যদি জিজ্ঞেস করে তাহলে আমি কি বলব। বাবা যা রাগ না কি করে বসে কে জানে।
কাপা কাপা পায়ে ড্রইং রুমের দিকে গেলাম। কিন্তু গিয়ে যা দেখলাম সেটা বাস্তবে দূরের কথা কল্পনাতেও ভাবি নি। রিয়া!! বাবার সামনে বসে আছে। বাবার সাথে খুব স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছে। বাবাও দেখলাম হাসি মুখে ওর সাথে গল্প করছে। তবে এই মেয়ে এখানে কি করে? আবারও বিপদের আশংকা দেখলাম। ঠিক তখনই বাবার নজর আমার উপর পড়ল। মুহুর্তেই ওনার হাসি মুখটা ভয়ংকর রূপ ধারন করল। আমি কেবল ভাবতে লাগলাম আজ আমার রক্ষা নেই। বাবা বলল।
-এদিকে এস। বস এখানে।
বাবা সাধারণত আমাকে তুই করেই বলে কিন্তু যখন রেগে যায় তখন কথা বলার ধরণ তুিমতে উঠে যায়। ধুরধুর বুকে গিয়ে বাবার পাশে বসলাম।
-এই মেয়েটা কে? ওকে চেন তুমি?
-জি বাবা, ও রিয়া।
-হুম সেটা আমিও জানি। কিন্তু সে এখানে আসল কেন?
-আমি কিভাবে বলব ও এখানে কেন এল? ওকেই জিজ্ঞেস করেন।
-দেখ সাগর, একদম ন্যাকা সাজার চেষ্টা করবি না। তোকে আমি হারে হারে চিনি। তুই আমার বউমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস কি জন্য? এতবড় সাহস তোকে কে দিয়েছে?
-বউ মা!!!!!
কথাটা মুখ দিয়ে আপনা আপনি বের হয়ে গেল। বাবার কথা শুনে আমার আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা হল। শুধু আকাশ থেকে না একেবারে সাত আকাশ থেকে। রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ও মাথা নিচু করে মুচকি হাসছে। তাহলে রিয়াই বাবার কাছে এসব বলেছে। আমি কেবল রিয়ার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। মেয়েটা এতগুলো মিথ্যা কথা কিভাবে বলল?
-কিরে এমন হা করে তাকিয়ে আছিস কেন? শুন তোকে শেষবারের মত বলে দিচ্ছি ওর সাথে আর যদি খারাপ ব্যবহার করেছিস শুনি তাহলে তোকে আমি গুলি করে মারব।
বাবা চলে গেল। আমি এখনও রিয়ার দিকে আগের মত তাকিয়ে আছি। আসলে ঘুম থেকে উঠার পর আমার সাথে কি হয়ে গেল আমি ঠিক বুঝলাম না। রিয়া বলল
-আমার উপর রাগ করেছ?
-ওরে অভিনয় রে!! রাগ করব কেন তুমি যেটা করেছ সেটার জন্য তোমাকে কোলে নিয়ে নাচা উচিত। চল একটু নাচি?
রিয়া কি বলবে বুঝে উঠতে পারল না। ও কেবল আহত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
একটা সময় বলল।
-ফ্রেশ হয়ে এস তোমাকে নিয়ে আজ রিকসা করে পুরো শহর ঘুরে বেড়াব।
-না আমি যেতে পারব না।
-আহা চল না।
আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল। আজ ওর আচরনে কেবল অবাকই হচ্ছি।
`
রিকসা চলতে শুরু করল। রিয়ার সাথে রিকসাতে আজই প্রথম উঠলাম। ও সব সময় গাড়িতে করেই ভার্সিটিতে যায়। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি মুখে একটা দুষ্টুমি ভাব। আমি কেবল আজকের রিয়া আর আগের রিয়ার সাথে মিলাতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই মিল খুজে পেলাম না। রিয়া আজকে লাল রংয়ের চুড়িদার পড়েছে। যেটাতে ওকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। তবে একটা বিষয় কি রিয়ার সাথে আমিও ওকে তুমি বলা শুরু করে দিয়েছি। কিন্তু কেন? রিয়া বলল
-চুপ করে থাকবে?
-কি বলব, আমি যে এখন বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারছি না। আচ্ছা রিয়া তুমি কি সত্যিই বাবার বউমা হবে? মানে আমার…
-আমার কি? বাকিটা না বললে কিন্তু রিকসা থেকে ফেলে দিব।
কথাটা বলে রিয়া একেবারে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কি বলব সেটা শুনার অপেক্ষায়। হঠাৎ আমার মাথায় একটা দুষ্টুমি বুদ্ধি এল ওকে রাগানোর জন্য বললাম
-রিয়া তুমি কি আমার বউমা হবে?
কথাটা বলেই আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও এমন ভাবে আমার দিকে তাকাল যেন পারলে আমাকে এখনি চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে।
-এই কি বললে তুমি!? হ্যা কি বললে? আমি আর তোমার সাথে যাব না। এই রিকসা থামান বলছি। থামান।
এইত কাজ হইছে দেখছি। ওকে রাগিয়ে দিলাম। সুন্দরী মেয়েরা হঠাৎ রেগে গেলে নাক মুখ লাল হয়ে যায়। রিয়ারও ঠিক এমনটাই হল। ওর রাগী মুখটা দেখার জন্যই এমনটা করলাম। যাক এখন রাগ ভাংতে হবে।
-এই এই কোথায় যাচ্ছ? আসলে আমি সরি, কি বলতে গিয়ে কি বলে ফেললাম। প্লিজ রাগ কর না। লক্ষী বউটা আমার।
-হু, এখন বিয়ে করে নি তিনি আসছে বউ বলতে। শখ কত!
-তাহলে চল এখনি বিয়েটা করে ফেলি?
-এখনি?
-হুম, এই মামা কাজী অফিসের দিকে যান।
লক্ষ্য করলাম রিয়া যেন একটু লজ্জা পেল। তবে আর কিছু বলল না। আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখল। আমি কেবল ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ইস কি সুন্দর লাগছে আমার হবু বউটাকে। বিয়েটা আরো আগে করা দরকার ছিল। বড্ড দেরি করে ফেলেছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.