১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম গাধা টাইপের বাবাদের এরকমটাই হবে তো! মনে রাখবেন অবসরের পর আপনার টাকাই আপনার একমাত্র শক্তি, ছেলেমেয়েকে টাকা দেয়ার কথা মুখেও আনবেননা। ওদের আর একপয়সাও দিবেননা। ওদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন আপনার দায়িত্ব শেষ। আপনার কত আছে তাও জানাবেননা ওদের! রিটায়ার্ড বাবারা বি কেয়ারফুল!

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখতে উনার স্বাস্হ্য ভালো বলেই মনে হচ্ছে।

এটমিক এনার্জি ও শিক্ষকতা করে এমএল কোম্পানীকে বুঝাটা উনার পক্ষে সম্ভব হলো না; দু:খের বিষয়।

এ ধরণের অনেক কাহিনী আছে বৃদ্ধাস্রমগুলোতে ; এদের দুস্ট ছেলেমেয়েকে ঠিক করার জন্য আমরা একটা প্ল্যান নেবো।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আজকালকার ছেলেমেয়েরা পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা পায়না, তাই এমন হয় । মা-বাবারও দোষ কম নয় । ছেলে-মেয়েদের ফার্মের মুরগীর মত স্কুলে পাঠান । ঠিকঠাক মত দেখাশোনাও করেন না । ফল যা হবার তাই । সন্তানরা বড় হয় ঠিকই, মা-বাবার প্রতি টান থাকেনা । বাবা-মার বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয়, অথবা মানবেতর জীবন যাপন করেন ।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মায়ার চেয়ে করুনা বেশি লাগলো। দোষটা উনার নিজেরও। সন্তানদেরুনি চিনেননাই, মনে হয় শিক্ষাঠিকমত দেননাই। আবার বুড়া বয়সেও এলএমএল নাকি কি জানি ওইগুলার লোভে ছুইটা ধরা খাইছেন। কর্মফল নিজেরও ভোগ করতে হয়। উনিও মনে হয় তাই করতেছেন। তিন সন্তানের কেউ দেখেনা এইটা দুঃখজনক। কি শিক্ষা দিছিলেন উনি তাদের?

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২২

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: বিষয়টা বড়ই দু:জনক। মনে হয় উনি ছেলেদের শুধু টাকা ইনকাম করাই শুধু শিখিয়েছেন । আর কিছুই শেখান নাই।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৪

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: যতোই আমরা দুঃখ প্রকাশ করিনা কেন.......বাস্তবতা হলো....আমরা সবাই ধীরে ধীরে এমন কর্পোরেট লাইফের মধ্যে জড়িয়ে পরছি......। যেখানে ক্যারিয়ারই সব......বাবা-মা বা সন্তানদের দেখার জন্য আমরা ধীরে ধীরে বৃদ্ধাশ্রম আর ডে-কেয়ার ওয়ালাদের উপরে ছেড়ে দিচ্ছি.....।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৭

ডেড ম্যান ওয়াকিং বলেছেন: ঘুমাতে যাচছিলাম, আপনার লেখাটা দেখে আবার বসলাম। কষ্টকর, খুব কষ্টকর। মানুষের জীবন ..... মাঝে মাঝে নিষ্ঠুর হয়ে আসে।

চোখেৱ জল আৱ বাধা মানলোনা....!
নিউজ'টা পড়ার পর অনেক খারাপ লাগছে।

আসলে আমাদের মাঝ থেকে নৈতিকতা বোধ টা উঠে গেছে॥ কি মন্তব্য করব, কোন ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। দোয়া করি এই বাবার জন্য! এবং আল্লাহ যেন উনার কুলাঙ্গার সন্তানদের কে হেদায়েত দান করেন। আর আমি মনে করি, এদের মতো সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই অনেক ভালো।

আসলে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক দৈন্যও একটা কারন সন্তানের মা-বাবাকে অবহেলার জন্য।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: কেউ কেউ বললেন তিনি ছেলে মেয়েদের কি শিক্ষা দিলেন,নিশ্চই ভুল শিক্ষা দিয়েছেন তাই তার জীবনে এমনটা নেমে আসলো।আসলে কি তাই? উনি শিক্ষা না দিলে কি এরা আজ এখানে আসতে পারতো? যখন ওরা শিশু ছিলো যখন ওদের ক্ষুধায় কাননা করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলোনা, যখন ওরা বসতে গিয়ে একপাশে কাৎ হয়ে পড়ে যেতো, যখন ওরা উঠে দাড়াতে গিয়ে পা ভেঙে পড়ে যেতো, যখন হাতের কাছে ভালো মন্দ নর্দমা পেয়ে মুখে দিয়ে ফেলতো, যখন ওরা ক খ গ ঘ ঙ টুকু জানতোনা তখন যদি বাবার হাত টুকু ওদের হাতে না থাকতো তারা আজ কোথায় থাকতো,কিভাবে তাদের ক্ষধা নিবারণ হতো, কিভাবে তারা বসতো উঠে দাড়াতো কিভাবে তারা আজকে ভালো জব করতো? এই টুকুর দায়কি ওরা দিয়ে শেষ করতে পারবে সারা জীবন বাবাকে মাথায় তুলে রেখে? আফসোস মানব সন্তান তোমাদের জন্য যারা বাবার চোখে পানি আনেন। তোমাদের জন্মটাই আজন্ম পাপ।

আমার দাদু ভাই এর চাচাতো ভাই, বয়স ৮৫ হবে,তার বড় ছেলে বিশাল মার্কা সরকারি কর্মকর্তা, ছেলে পড়া লেখা করেছে বাড়ি থেকে টাকা চুরি কোরে কোরে, গাছের আম কাঠাল জাম আম নারকেল সুপারি বিক্রি করে,বর্তমানে বিয়ে করেছে ছেলের বউ টিএনও । আমার দাদুটা মুর্খ,এবং অতি মাত্রায় স্বার্থপর, কাউকে বিশ্বাস করেনা, ইভেনে নিজের ছেলেদেরকেওনা,তিনি ছেলেদের আলাদা করে দিয়েছে, জায়গা জমি কাউকে দেননি, ছেলেরাও কোন দাবি নিয়ে দাড়াননি, তিনি নিজের জায়গা জমি নিজে চাষ বিক্রি করে নিজের নতুন বউ নিয়ে সুখেই কাটেন, প্রতি মাসে চাচা চাচি দুজিনি আসেন বাবাকে দেখতে, আসার সময় সারা মাসের সব কিছু কিনে নিয়ে আসেন।কিন্তু দাদাজি ওদের দেখলেই তাড়া করার মত আচরণ করেন,যখনি চাচা চাচি আসেন তিনি বলেন তোরা আমাকে তাবিজ করে মারতে আসছিস আমি বুঝি, তোদের ফলের মধ্যে বিষ আছে আমি খাবোনা, তোরা আমাকে মেরে জায়গা জমি সব নেয়ার ফন্দি করছিস, চাচা চাচি হাসেন, মুখে কমলা ছিলে তুলে দেন বাবার, আর বলেন বাবা জায়গা তো নেবোইনা আপনার লাগলে আপনি বলেন কোন জমি কে বিক্রি করবে আমি আপনাকে নিয়ে দেবো, সারা দিন কাটান বাবার সাথে কিন্তু বুড়ো বাপ লাঠি নিয়ে তারা করেন ছেলেকে ছেলের বউকে,তারা এক দরজা দিয়ে বের হয়ে হাসতে অন্য দরজা দিয়ে আবার ঢুকেন, এসব আমার চোখে দেখা, তারা এটাই ভাবে যে শুধু একটা ঘন্টা যদি ওনারা আমাদের সেই শিশু সময়ে চোখের আড়াল হতো আমাদের জীবন নিবে যেতো কিংবা আমরা পঙ্গু হয়ে যেতে পারতাম, এইটুকু থেকেই ওনারা মনে করেন বাবা যদি তাদের গলায় পা দিয়ে দাড়ান তবুও বাবার জন্য তারা শেষ পর্যন্ত করে যাবেন।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

রামন বলেছেন: এটাই বাস্তব। আজকাল সন্তানদের সাথে একত্রে বসবাস করার চিন্তা করা তো দুরের কথা, তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করাটাও হবে অরন্যে রোদন। তবে এটাও দেখতে হবে ভদ্রলোক কি এমন কাজ করেছেন যে, তিনটি সন্তানই তার কাছ থেকে দুরে সরে গেছে।
ঢাকা বাসীর কমেন্ট রুক্ষ হলেও, একেবারে উপেক্ষা করার মত নয়৷

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

এইচ তালুকদার বলেছেন: ঢাকাবাসী বক্তব্যের সাথে একমত তবে ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট এর ঘটনাটাও সমাজে বিরল নয়। আমার দাদাও আমার বাবার শিক্ষা জীবনের কোন ধরনের ব্যায় বহন করেননি আমার বড় চাচা অনেকটা সিনেমার বড় ভাইদের মত করেই আমার বাবাকে পড়ালেখা করিয়েছেন।আবার আমার বাবা পড়ালেখা করিয়েছেন আমার ছোট চাচাকে,আমার বাবা একজন সচিব এবং আমার ছোট চাচা ব্যাবসায়ী,আমার দাদা আমাদের বাসাতেই থাকেন।
আমার বড় চাচা ২০১০ সালে মারা গেছেন এবং আমার আমার দাদার সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ তার ওপরই কারন অন্যান্য ছেলেরা তকে খুব সন্মান করলেও বড় চাচার সাথে তার সম্পর্ক কখনই স্বাভাবিক হয়নি,এবং খবরের ভদ্রলোকের মতই আমার দাদাও একই হাদীসের উক্তি দিয়ে আমার বড় চাচার প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে থাকেন।
তাই আমিও জানতে চাচ্ছি ভদ্রলোক কি এমন কাজ করেছেন যে, তিনটি সন্তানই তার কাছ থেকে দুরে সরে গেছে?

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৩

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: অনেক কিছু বলার ছিল!দূঃখিত পারলাম না

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১০

প্রামানিক বলেছেন: সরকার তো আইন করেছে, যারা বাবা মা কে ভাত দিবে না, লালন পালন করবে না তাদের জেল জরিমানা হওয়ার কথা।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

বৃতি বলেছেন: ছেলেমেয়েরা অনেকেই আজকাল বাবা-মায়ের সাথে থাকছে না- এরকম ঘটনা অনেক দেখছি, শুনছিও। তবে এই ঘটনাটা আরও বাজে- ছেলেমেয়েরা যোগাযোগই রাখছে না, নানা রকম ছলচাতুরী করছে । মন খারাপ করার মতই নিউজ।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

বৃতি বলেছেন: রাজনীতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা আর আলোচনা করার মত অনেকে এই ব্লগে আছেন- তাঁরা অনেক ভালো জানেনও। বুঝলাম না আমি কিভাবে আমাদের দেশের পারফেক্ট বুদ্ধিজীবীদের কাতারে পড়লাম? না জেনে কোন বিষয় নিয়ে চিল্লাচিল্লি করলে আপনারাই বা শুনবেন কেন আমার কথা?
যে সময়টুকু ব্লগে দিতে পারি - আমি গল্প আর কবিতা নিয়েই থাকতে চাই- কারণ এটা আমার পছন্দের বিষয়। সাহিত্য কি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একদমই কথা বলে না?

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১২

বৃতি বলেছেন: আর যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমার লেখা কবিতা আছে এই ব্লগে । হয়ত আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছি না- কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আমার নিজস্ব কোন চিন্তা ভাবনা নেই- সেটা ভাবলে ভুল ভাববেন আপনি।

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১২

কাবিল বলেছেন: ডলা দিতে হবে মানসিক অত্যাচারে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর খবরটি তাঁদের দৃষ্টি গোচর হোক অথবা আপনার পোস্টটি।
শিক্ষা দিতে হবে বিবেককে। বাবা-মা শিক্ষার পথ ঠিকই দেখিয়েছেন, কিন্তু তারা তাঁদের নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে মায়া-মমতার উপর প্রলেপ মেখে দিয়েছেন।