এশিয়া কাপ চাই না, টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ ও চাই না.......আমরা টেষ্ট খেলার অধিকার চাই.

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

সেদিন পাশে ইন্ডিয়া না থাকলে আমরা টেষ্ট স্ট্যাটাস পেতাম না। বিশ্বকাপে চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্সের পর টেষ্ট স্ট্যাটাস অর্জন আমাদের ঊচ্ছাস বহুগুন বাড়িয়ে দিলো। আমাদের স্বপ্ন ব্যপ্তি পেলো।আমাদের প্রথম টেষ্ট প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা পেলাম সেই বন্ধু রাষ্ট্র কে। প্রথম টেষ্টেই আমরা জানান দিলাম আমরা থাকতেই এসেছি। বুলবুল ভাইয়ের সেই সেঞ্চুরী আজ ও আমদের চোখে ভাসে। আমদের ঘরোয়া কাঠামো আর পরিকল্পনার অভাবে আমরা প্রত্যাশার ধারে কাছেও যেতে পারলাম না। স্বাভাবিকভাবেই অভিজাতদের কটুক্তি, অবজ্ঞা, অবহেলা সজ্ঞী হলো আমাদের। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মাঝেও আমরা শিখেছি। ক্রিকেট বিশ্ব কে মাঝে মাঝে ই আমাদের প্রতিভার কথা জানান দিয়েছি।আমরা শিখেছি একটা দল হয়ে খেলতে, একটা করে সেশন ধরে খেলতে। আজ আমরা অভিজাতদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি। ক্রিকেটের অভিধানে নতুন একটি শব্দ সংযোজন হলো, বাংলাওয়াশ!!! নিজেদের দিনে আমরা যে কাওকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি। আমাদের আছে সাকিব, তামিম, মুশফিক, নাসির, মুমিনুলদের মতো পারফরমার। আছে মাশরাফির মতো ক্রিকেটের অন্তঃপ্রান খেলোয়ার। এতো কিছুর পর ও আমরা টেষ্ট খেলতে পারি না।আজ ও আমরা আমাদের কাছের বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে খেলার আমন্ত্রণ পাইনি!!!! আইপএল এ আমাদের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়ারদের পারফরম্যান্স করার পর ও খেলার সুযোগ দেয়া হয় না। ইন্ডিয়ার কল্যানে ক্রিকেট আজ সোনার ডিম পাড়া হাঁস!! তাই এখানে বাংলাদেশ এর মতো দল অপাকংতেয়। আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ থাকবে। থাকবে টেস্ট মর্যাদাও। তবু টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবে না বাংলাদেশ! ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো সত্যিই বাস্তবায়িত হলে অভূতপূর্ব এই ঘটনা দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব। বন্ধুর মুখোশ পরে ওরা আমাদের পাশে আবারো দাড়ালো, এশিয়া কাপ ও টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ আমাদের দেশে রাখার ব্যাপারে সাহায্য করলো। আর অন্তঃরালে কেড়ে নিচ্ছে আমাদের টেষ্ট খেলার অধিকার।য়াজ এই সাম্রাজ্যবাদীদের অপতৎপরতায় আমাদের প্রিয় খেলার কফিনের শেষ পেরেক টা ঢুকিয়ে দিতে যাচ্ছে। আমরা এশিয়া কাপ চাই না, টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ ও চাই না.......আমরা টেষ্ট খেলার অধিকার চাই...[/sb। এত সব অনৈক্যের মধ্যেও আমরা এই ক্রিকেটের কারনে আমাদের নৈকট্য খুজে পাই। তাই বিসিবির উচিত এই পরিস্থিতির গভীর পর্যালোচনা করা। আজ যদি বিসিবি এর বিপক্ষে অবস্থান না নেয়, এর প্রতিবাদ না করে তবে বর্তমান সরকার নিশ্চিত ভাবেই আবার সমালোচনার মুখে পড়বে। তাদের ভারত প্রীতির কথা মানুষের মনে আবার উঁকি দিবে।তাই আশা করবো বিসিবি পদক্ষেপ যেন আমাদের কণ্ঠস্বর হয়।

৪ টি +০/-০