![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাশিম পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে ভত্তি হলাম । আমার এক ফুফাতো ভাই ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন । আমার ছন্নছাড়া বাউন্ডেলে জীবনের কথা শুনে এবং আমার ফুফু আম্মার পিড়া পিড়িতে দয়া করে তিনি আমাকে বিদ্যালয়ে ভত্তি এবং থাকা খাওয়ার জন্য একটা লজিং ঠিক করে দিলেন ।
যশোর শহরের নিকটবর্ত্তি কনেজপুর গ্রামে লজিং ঠিক হল। ছাত্র হিসাবে
পেলাম ৫ম শ্রেনীতে অধ্যায়ন রত শরিফুল এবং ওর ছোট ভাই
মোঃ আলি হোসেনকে।
লজিং বাড়ি যেয়ে ওদের নুতন পরিবেশের সংঙে খাপ খাওয়াতে প্রথম প্রথম আমার বেশ কষ্ট পেতে হয়েছে । আবার কিছু দিন যেতে না যেতেই আমি তাদের পরিবারের সংঙে এমন ভাবে মিশে গিয়ে ছিলাম যে, বাইরের কোন লোক ঐ বাড়িতে এলে সে বুঝতেই পারতো না আমি বাহিরের না ওদের পরিবারের লোক । লজিং সম্পর্কে আমার ভাগ্য সু-প্রসন্নই বলতে হবে । আমি গেলাম লজিং মাষ্টার হয়ে কিন্তু দুই এক দিন যেতে না যেতেই আমি ওদের পরিবারেরই একজন হয়ে গেলাম এমন ভাগ্য কয়জনের হয় ।
লজিং বাড়ি এক বছর ছিলাম সেই এক বছরের স্মৃতি আমার জীবনে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে । কোন দিনই ভুলতে পারবো না সেই স্বর্নময় দিনগুলির কথা । কত স্মৃতি কত আবেগ কত প্রানচ্ছাস সেই দিনগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে । মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনের একটি বড় অধ্যায়
আমি ওখানে ফেলে এসেছি ।
লজিং বাড়ীর বসবার ঘরের সামনে অনেক জায়গা, বাড়ির সিমানা শেষে একটা রাস্তা , রাস্তার ওপারে একটা পুকুর , পুকুরের দক্ষিন পাশে
মোল্লা বাড়ী । ঐ মোল্লা বাড়ীর একঠা ছেলে ছিল আমার সহপঠি তার নাম শাজাহান । সহপাঠিদের মধ্যে ওর সংঙেই আমার সখ্যতা বেশী ছিল এবং ওদের বাড়ীতে ছিল আমার অবাধ যাতায়াত। অন্যআন্য সহপাঠিদের নাম প্রায় সবই ভুলতে বসেছি । শাহজাহান আমার জীবনের একটি বড় অধ্যায় দখল করে আছে , তাই হয়তো ওর নামটি এত বছর পরেও স্মৃতির মণি কুঠায় অম্লান হয়ে আছে । ঐ নামটি স্মৃতিতে চির অম্লান হয়েই থাকবে চিরদিন ।
শাজাহানের আব্বা আম্মা আমাকে অত্যান্ত আদর করতেন।
বাবা মা ভাই বোন থেকে বিচ্ছিন্ন এক হতভাগা কিশোর আমি, একটু মায়ের উষ্ণতা,একটু বাবার আদর, আর ভাই বোনের স্বাস্নিদ্ধ পাবার লোভে,
কাঙালের মত ছুটে যেতাম ওদের বাড়িতে ।বাবা মা ভাই বোন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমার চরিত্রও হয়ে গিয়েছিল রবি ঠাকুরের অমর সৃষ্টি " ফটিকের চরিত্রের মত"
শাজাহানের বিধবা এক বড় বোন ছিল। তার নাম ছিল... না তার নাম আমি এখানে বলবো না , তার নামটি আমার মনের মণি কোঠায়ই সংরক্ষিত থাক । মেট্রিক পাশ করার সংঙে সংঙেই তার বিয়ে হয়েছিল । কিন্তু দুঃভাগ্য স্বামী সুখ বেশী দিন তার কপালে সইল না । বিবাহের অল্প কিচুদিন পরেই স্বামীকে সাদা বসনে আবৃত করে শেষ বিদায় জানিয়ে বাবার বাড়ী চলে এসেছিল, তাও অনেক দিন, আমার সংঙে পরিচয় হওয়ার আরো দুই বছর আগে । আমি তাকে আপা বলে ডাকতাম , সে আমার নাম ধরে ডাকত ।
চলবে ।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৪
জীবলু বলেছেন: দোয়া করবেন ভাই যেন ঠিক মত চালাতে পারি ।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:২৭
হুতুমে পঁচা বলেছেন: প্রেমসংবাদ আরো বাকি আছে মনে হয় ???
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪০
জীবলু বলেছেন: হ্যাঁ ভাই আরো চমক আছে অপেক্ষা করুন ।
ধন্যবাদ ।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: চলুক.....
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪
জীবলু বলেছেন: ধন্যবাদ নীল দর্পন ।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
মুক্ত বয়ান বলেছেন: চালাইতে থাকেন।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১৫
জীবলু বলেছেন: দোওয়া কইরেন ভাই যেন চালাইতে পারি ।
ধন্যবাদ ।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯
ঈশান৭২৮৫ বলেছেন: চলুক। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:২৪
জীবলু বলেছেন: আশাকরি আপনার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটবে ।
ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫০
বাহারুল ইসলাম বাহার বলেছেন: চালিয়ে যান।