![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাজার বছর পথ চলা শেষে,পাঁজিতে পুরাণে চেপে ; আমারা এসেছি নদীতে-নায়েতে, বেনো জল মেপে মেপে।।
♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣
জীবনের সমতলে
হেঁটে হেঁটে জীবনানন্দীয় বোধে ; আজ
এতগুলো বছরের পর যখন ঠোঁঠ রাখি জীবনের কার্নিশে; চড়ুইয়ের
সহজাত কৌতূহলে- আমি স্থীর অনুসিদ্ধান্ত টানি ; তুমিই
ঠিক ছিলে।
হেমন্ত-যৌবনে মথিত হবার দুর্বার আকুলতায় যখন তুমি আমার-ই
আগুনে দিতে পতঙ্গ-ঝাঁপ ; একটি গঙ্গা-ফড়িং ধরে দেবার
জন্য তোমার মানুষি খুনসুটিতে যখন আমি বিমূর্ত-সুখে মরে
যেতে যেতে গাঙচিল-সন্ধ্যা হতাম ; তখন তুমিই
ঠিক ছলে।
কিছুই দেবার ছিলনা আমার ; তোমাকে
নৈবেদ্য। না আহামরি-দর্শন দেহ-সৌষ্ঠব মাংসল-পেশী, যা
দেখিয়ে তুমি বান্ধবীদের কাছে করতে পারতে গৌরব। তোমাকে দেবার
মত নিকোনো বেডরুমের নিকুঞ্জেরর-ফ্লাট ; নিদেন পক্ষে রতন টাটার
গরিবী-ন্যানো ; নূন্যতম ন্যায্য দাবী এসব আজ মধ্যবিত্ত
সমাজ-বাস্তবতায়। তুমি ঠিক-ই টের পেয়েছিলে প্রজ্ঞার প্রখরতায় ; বড্ড
আটপৌঢ়ে মেধা, আমার মগজের প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে ; যুগযুব্ধে বেমালুম
বেমানান।
আমি কি-ই-বা দেবার ক্ষমতা ধরি ; তোমাকে
অর্ঘ্য। আমাদের নড়বড়ে টিনের চালে ঝুম-বৃষ্টি এলে, তোমাকে
আধ-নরম সস্তার-ইলিশে খিচুড়ী রাঁধতে বলতে পারতাম ; গড়পড়তা
টাঙ্গাইলের শাড়ীতে চন্দনের টিপ এঁকে অফিস-ফেরতা আমার বিপন্ন
চোখের সামনে এসে দাঁড়ালে ; আমি সকল-কাঁটা ধন্য করে লিখে দিতে
পারতাম দু'লাইন জাদু-বাস্তব কবিতা। কিংবা আমাদের সংকীর্ণ
পাক-ঘরে তোমার রান্নার নুন-জল এগিয়ে দিতে দিতে কোন এক ঘামাচি
জাগা দুপুরে তুমুল জমিয়ে দিতে পারতাম আমাদের পান্তাফুরোনো
সংসারের খুনসুটি। কি-ই-বা স্বপ্ন-সম্ভব পারতাম
আমি এর বেশী?
তুমি-ই তাহলে
ঠিক ছিলে ; এইসব মানবিক
বর্ষায় তুমি বেছে নিলে মধ্যবিত্ত-ছাতা। আর আমি জল-পড়া
টিনের ছাউনিতে আজন্ম-ভূমিদাস।।
২২/১০/১৪
ঝালকাঠী।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: বাহ বাহ অসাাধারন লেখেছেন ভাই শুভ কামনা থাকলো
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
নিলু বলেছেন: লিখে যান