![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাজার বছর পথ চলা শেষে,পাঁজিতে পুরাণে চেপে ; আমারা এসেছি নদীতে-নায়েতে, বেনো জল মেপে মেপে।।
যা/যা/ব/র/ জি/য়া/
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
তাকে আমি প্রথমবার দেখেছিলাম,
শেষ বিকেলের আলো যখন
ঝুলছিল সত্যভামার উঠোনের পারিজাতের
হ্যাঙ্গারে হ্যাঙ্গারে।
সে তখন মসৃণ রোদ্দুরের মতো
দাঁড়িয়ে ছিল কিছু পরাগরেণু মেখে। তাকে আমি সেই প্রথমবার দেখেছিলাম।
তাঁর চুলে থমথম করছিল দ্বারকার রাত্তির ।
চোখ দুটিতে উঁকি দিচ্ছিল
ঠাকুর বাড়ির জোড়া-পুকুর। দুটি ঠোঁটের কার্নিসে
উড়ছিল শুয়োপোকা থেকে সদ্য পরিণত
কিছু রোমাঞ্চকর প্রজাপতি।
একজোড়া কোমল ঘুঘু উদ্যত উড়ানের উল্লাসে উসখুস
করছিল বুকের বৈঠকখানায়।
তাঁর অস্থির হাত দুটোতে
চুইয়ে পড়া ক্যালিগ্রাফির মনোহর সৌন্দর্য
ঝলসে দিচ্ছিল আমার জন্মান্ধ
আতুর দৃষ্টিসীমাকে। সে কাছে এসে কানে কানে কইল, " শূন্য মন্দির মোর! "
তার সাথে আমার শেষবার
অপ্রস্তুত দেখা হয়েছিল অলকানন্দার তীরে।
তাকে আমি
বলতে পারিনি যে, এবারও আমার জন্মান্তরের দূরত্ব অতিক্রম করা হলো না।
আমাকে পুনর্বার রক্তাক্ত করে দিয়ে
সে সোজা হেঁটে গেল
অস্তাচলের রহস্যময়তা ধরে। তাঁর চুলে তখন থমথম করছিল দ্বারকার রাত্তির ।
##আমবাগান, বরিশাল।
০৩/০৩/১৫ খ্রিঃ।##
বিঃদ্রঃ এই কবিতাটিতে কিছু পুরাণাশ্রিত মিথোলজির ব্যবহার করা হয়েছে।।
©somewhere in net ltd.