![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাস্তানী কি রাজনীতি হয়?
গুন্ডামী তো দুষ্টামী নয়!
ছেঁচড়া কখনো বন্ধু নয়,
এলাকার বলেই হয়তো কথা হয়।
অনলাইন নিউজ মারফত জানতে পারলামঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ এফ রহমান হল খেলার মাঠে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ এ এফ রহমান হলের শতাদিক কক্ষ ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন অনলাইন নিউজে বিভিন্ন ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে,যার মধ্যে কমন অংশটুকু হচ্ছে,"শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ আরও একধাপ এগিয়ে গেল" এবং "শিবিরই প্রথম ছাত্রলীগের উপর হামলা করেছে।"
হলে অবস্থানরত ছিল/আছে এরকম কয়েকজনের থেকে এবং ফেসবুকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নিউজ পেইজ গুলো থেকে খবরের একটু ভিন্নতা পাওয়া গেল। জানা গেল,হলে ছাত্রলীগ হামলা করার সময় ছাত্ররা সিড়ি দিয়ে নামতে না পেরে দোতলা পর্যন্ত এসে দোতলা থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে অনেকের পা মচকে গেছে/ভেংগে গেছে,কারো কারো কোমর প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
তবে এর চেয়েও যে বিষয়টি ক্যাম্পাসে সবার মুখে মুখে তা হচ্ছে ছাত্রলীগ আজকের সংঘর্ষ থেকে অনেক বড় ধান্দা করে ফেলেছে। হলের ছাত্ররা জীবন বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় অনেকেই রুম থেকে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন,ফ্যান এসব সরিয়ে ফেলতে পারে নি। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত ছাত্রলীগ ভাংচুর শেষ করার পর ছাত্ররা হলে ফিরে চোখের পানি ফেলছে। কারো রুমে কোন মুল্যবান সামগ্রী নেই।সব নিয়ে গেছে ছাত্রলীগ। নিজ ডিপার্টমেন্ট এমনকি নিজের এলাকার ছেলেরাও রক্ষা পায়নি ছাত্রলীগের ছিনতাই থেকে।
এটা খুবই স্বাভাবিক যে প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ লুটপাটের কথা অস্বীকার করবে। এরপর কেউ যদি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রমাণাদি নিয়ে হাজিরও হয় তখন হয়ত ভিসি স্যার অতীতের মত একগাল হেসে বলবেন,"ছাত্রলীগের ছেলেরা একটু দুষ্টামি করেছে। তোমরা এসব ভুলে যাও।"
যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোজ খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন বিশ্ববিদ্যালয় এর হলে যারা থাকে এরা মধ্যবিত্ত অথবা একেবারেই গরীব পরিবার থেকে আসা। কেবল নিজের মেধা আর পরিশ্রমের জোরে এরা ভর্তিযুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হয় এবং তারপর আবার বিশ্ববিদ্যালয় এর পরীক্ষায় ফার্স্ট /সেকেন্ড/থার্ড হয়ে হল এ সিট পায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। সেই তারা যখন আজ ছাত্রলীগের হাতে এভাবে সব হারিয়ে কাদে তখন সবার চোখে পানি এলেও আসেনা কেবল বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশাসনের সাথে জড়িত শিক্ষকদের চোখে। ভিসি,প্রক্টর সহ কিছু কিছু শিক্ষক এতটাই দলকানা হয়ে গেছে যে এরা নিজেদের বিবেক,মনুষ্যত্ব সব বিসর্জন দিয়ে একের পর এক হল তুলে দিচ্ছে স্বীকৃত খুনি,ধর্ষক,চাদাবাজ আর অছাত্রদের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের নিয়ম নীতি ভেঙ্গে হল থেকে সিট বাতিল করা হচ্ছে মেধাবী ছাত্রদের। কেবল ছাত্রলীগ করলেই দেয়া হচ্ছে সীট। ছিনতাই,মাদক সেবন এবং বিক্রির মত অপকর্মগুলো করা হচ্ছে হলকে কেন্দ্র করে।
কিন্তু,এভাবে আর কত?? কে ঠেকাবে এই জাতিকে ধ্বংস হওয়া থেকে??
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:০১
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: নতুন কিছু বলেন ভাই, এইসব আর কতো খাবে মানুষ!! ছাত্রলীগের অত্যাচার সহ্য হয়ে গেছে সবার।
যদি বলতেন সাধারণ ছাত্ররা ওড়না পড়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিল, তখন তারা ছাত্রলীগ দ্বারা লাঞ্চিত হয়; তবে না হয় একটা ইস্যু হইত!!