"বিশ্বাস না থাকলে বিবেকহীন"

০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

লিখেছি আমি পড়বেন আপনি তবে একটা জিনিস বলে রাখি লিখতে সবাই
পারে না তবে পড়ার অধিকার সবার থাকে। তাই বলে সবার লেখা পড়বেন আবার সবার কথা বিশ্বাসও করবেন তা ঠিক নয় কি?
১৯ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কালো কালিতে অনেক কিছুই লেখা থাকে।
তাই বলে সব কথা বিশ্বাস করতে গেলে-ই ঠকবেন।

বিশ্বাস বিষয়টি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
মনে করেন আপনার এক বন্ধুর সাথে সাগর পথে ভ্রমন করছেন হঠাৎ করে আপনার বন্ধু বললো জানো বন্ধু সাগরের পানি কিছু অংশ মিষ্টি আর কিছু অংশ লবনাক্ত। আপনি অবাক হলেন কারণ আপনি ইতোপূর্বে কখন এটা শুনেন নাই।
এখন কথা হলো আপনি কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টা সঠিক নাকি ভুল!
যদি আপনি উওর খুজে না পান তাহলে প্রশ্নটা ছুড়ে দিন আপনার বিবেকের কাছে। আপনার বিবেক বলে দিবে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল। তবে মনে রাখবেন আপনার এই বিবেককেই পৃথিবীর শ্রেষ্ট আদালত বলা হয়। আপনি হয়ত চিন্তা করবেন এটা বিশ্বাস করা যায় না। ভাববেন কিভাবে মিষ্টি পানি আর লবনাক্ত পানি একসাথে থাকতে পারে।
আর তখনই আপনার সামনে ভেসে আসবে হ্যাঁ 'এই সাগরের পানি থেকেই তো লবণ তৈরি করে'। আবার এই পানি মানুষ পান করে।
এই বিষয় গুলো আপনার বিবেক থেকে বুঝার পরেও আপনি এটা বিশ্বাস না করে থাকলে এটা আপনার ব্যর্থতা।
চিন্তা করেছেন কখন কিভাবে একটা নারিকেল গাছের ডাবের ভিতর মিষ্টি পানি থাকতে পারে। কেন নদীর পানি প্রবাহমান? কে সৃষ্টি করেছে এই খুটি বিহীন আসমান!
হ্যাঁ! তিনি ঐ মহান আল্লাহ যিনি সাগরের মাঝে মিষ্টি এবং লবনাক্ত পানি স্থাপন করেছেন। ডাবের ভিতর মিষ্টি পানি স্থাপন করেছেন আর খুটি বিহীন আসমান সৃষ্টি করেছেন।
এরপরেও যদি বিশ্বাস করতে না পারেন তাহলে আপনার বিবেক কে প্রশ্ন করুন উওর পেয়ে যাবেন।
উওর যদি না পান তাহলে আমি বলবো আপনার বিবেক
বিবর্জিত! নাহলে আপনার সাহস হতো না মহান আল্লাহ বিপক্ষে লিখতে!

০ টি +১/-০